Fazlul Haque Official

Fazlul Haque Official Your success level depends on your thinking level.

সরকারি অফিসে নতুন পদ্ধতিতে ২২টি কোডসহ ডিজিটাল নথি নম্বর ব্যবহার ও নথি খোলার প্রক্রিয়া।(ক) মন্ত্রণালয়/বিভাগ কোড:দুই অঙ্ক...
18/07/2025

সরকারি অফিসে নতুন পদ্ধতিতে ২২টি কোডসহ ডিজিটাল নথি নম্বর ব্যবহার ও নথি খোলার প্রক্রিয়া।

(ক) মন্ত্রণালয়/বিভাগ কোড:
দুই অঙ্কবিশিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ কোড নথি নম্বরের প্রথম অবস্থানে সন্নিবেশিত হইবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের কোড ক্রোড়পত্র-৫-এ সন্নিবেশিত রহিয়াছে। কোনো মন্ত্রণালয়/বিভাগ সৃষ্টি/বিলুপ্ত অথবা সংযুক্ত করা হইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোড নম্বর পরিবর্তন/সংশোধন/বরাদ্দ প্রদান করিবে।

(খ) সংযুক্ত দপ্তর/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/বিভাগীয় কার্যালয়/অন্যান্য অধিক্ষেত্র কোড:

প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ-এর আওতাধীন সংযুক্ত দপ্তর/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/বিভাগীয় কার্যালয়/আঞ্চলিক কার্যালয়/অন্যান্য অধিক্ষেত্র, যেমন-বোর্ড, ব্যুরো, কমিশন এর অনুকূলে দুই ডিজিটের কোড নম্বর বরাদ্দ করিতে হইবে। উহা নথি নম্বরের দ্বিতীয় অবস্থানে সন্নিবেশিত হইবে। এই কোড নম্বর ০১ (এক) হইতে ৯৯ (নিরানব্বই) পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে স্ব স্ব প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ-এর প্রশাসন কর্তৃক বরাদ্দ করিয়া সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর/সংস্থাকে অবহিত করিতে হইবে এবং উহা স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করিতে হইবে। নূতন কোনো অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/কর্পোরেশন অথবা অনুরূপ কোনো সংস্থা যেমন-বোর্ড, ব্যুরো, কমিশন সৃষ্টি/বিলুপ্ত অথবা সংযুক্ত করা হইলে স্ব স্ব প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ কোড নম্বর পরিবর্তন। সংশোধন/বরাদ্দ প্রদান করিবে।

(গ) জিওগ্রাফিক (জিও) কোড:

এই কোড চার অঙ্কবিশিষ্ট হইবে। ইহা নথি নম্বরের তৃতীয় অবস্থানে সন্নিবেশিত হইবে। যেসকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ-এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অফিস রহিযাছে তাহাদের জেলা পর্যায়ের অফিসের জন্য প্রথম দুই অঙ্কে জেলার জিও কোড এবং উপজেলা পর্যায়ের অফিসের জন্য জেলার জিও কোডসহ অবশিষ্ট দুই অঙ্কে উপজেলার জিও কোড ব্যবহার করিতে হইবে। পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক নির্ধারিত এবং পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইট এ প্রকাশিত জিও কোড অনুসরণ করিতে হইবে।

(ঘ) অধস্তন প্রতিষ্ঠান কোড

তিন অঙ্কবিশিষ্ট এই কোড নম্বর নথি নম্বরের চতুর্থ অবস্থানে সন্নিবেশিত হইবে। ইহা প্রতিটি দপ্তরের অধীন প্রতিষ্ঠান নির্ধারণের জন্য ব্যবহৃত হইবে। এইক্ষেত্রে একটি জিও কোড, যেমন- বিভাগীয়/জেলা/উপজেলার আওতাভুক্ত একটি দপ্তরের অধীনে একাধিক প্রতিষ্ঠান থাকিলে তাহার জন্য এই তিন ডিজিটের প্রতিষ্ঠান কোড নম্বর ধারাবাহিকভাবে বরাদ্দ করিতে হইবে।

(ঙ) শাখা কোড

তিন অঙ্কবিশিষ্ট এই কোড নম্বর নথি নম্বরের পঞ্চম অবস্থানে সন্নিবেশিত হইবে। ইহা প্রতিটি দপ্তরের শাখা নির্ধারণের জন্য ব্যবহৃত হইবে। এইক্ষেত্রে শাখা বলিতে নথি সৃষ্টিকারী সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অভ্যন্তরীণ শাখা/অধিশাখা/অনুবিভাগকে (প্রশাসন/বাজেট/হিসাব/অডিট ইত্যাদি) বুঝানো হইবে।

(চ) বিষয়ভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাস কোড

এই কোড নম্বর দুই অঙ্কবিশিষ্ট হইবে। প্রতিটি সরকারি দপ্তরে কার্যক্রম ভিন্ন ভিন্ন হইয়া থাকে। বিষয় ভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাস কোড স্ব স্ব দপ্তর/প্রতিষ্ঠান/সংস্থার প্রশাসন নির্ধারণ করিয়া সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করিবে এবং উহা স্থায়িভাবে সংরক্ষণ করিবে। এইক্ষেত্রে ক্রোড়পত্র-৬-এ উল্লিখিত বিষয়ভিত্তিক কোডকে নমুনা হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে। নূতন কোনো বিষয় সংযোজনের প্রয়োজন হইলে উহা সর্বশেষ কোড নম্বরের পরে সন্নিবেশিত হইবে।

২০

(ছ) নথির ক্রমিক সংখ্যা কোড

এই কোড চার অঙ্কবিশিষ্ট হইবে। ইহা নথি সৃষ্টিকারী দপ্তর/ইউনিট/কোষ/শাখা/অধিশাখা/অনুবিভাগ-এর নথি রেজিস্টারে যে ক্রমিক সংখ্যা ব্যবহার করা হইবে সেই ক্রমিক সংখ্যাই এই অবস্থানে লিখিতে হইবে। প্রতিবৎসরের শুরুতে নথি ক্রমিক সংখ্যা বিষয়ভিত্তিক নূতনভাবে ০০০১ (এক) হইতে শুরু করিতে হইবে। এইক্ষেত্রে পুরাতন/বিনষ্টযোগ্য কোনো নথি নম্বর পুনরায় ব্যবহার করা যাইবে না।

(জ) নথি খোলার সন কোড

নথি খোলার সনের শেষ দুই ডিজিট এই অবস্থানে সন্নিবেশিত হইবে। অতঃপর ডট (.) দিয়া চিঠির জারি নম্বর ব্যবহার করিতে হইবে। জারি নম্বর ডিজিটাল নথি নম্বরের অংশ নহে। ডিজিটাল নথি নম্বর ২২ (বাইশ) ডিজিটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকিবে।

এইক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় অনুসরণীয়, তাহা হইল, ডিজিটাল নথি নম্বরের কোনো ঘর কোনো দপ্তরের জন্য প্রযোজ্য না হইলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শূন্য দিয়া পূরণ করিতে হইবে।

কয়েকটি দপ্তরের ডিজিটাল নথি নম্বরের নমুনা ক্রোড়পত্র-৬(ক) তে দেখানো হইল।

বিশেষ করণীয়: নথি নম্বরের প্রতিটি কোডের অবস্থানকে অবশ্যই ডট (.) চিহ্ন দ্বারা বিভাজন করিয়া লিখিতে হইবে। যদি কোনো কারণে ডিজিটাল নথি নম্বরের চতুর্থ, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ অবস্থানের জন্য কোনো কোড নির্ধারণ করিবার প্রয়োজন না হয়, সেইক্ষেত্রে অবস্থানটি অবশ্যই শূন্য দ্বারা পূরণ করিতে হইবে। অর্থাৎ কোনো অবস্থানকেই বাদ দেওয়া যাইবে না।

(৬) একটি টাইপ করা কোড তালিকা সহজেই দেখিবার জন্য নথি নিবন্ধনবহির সহিত সর্বদাই হালনাগাদ অবস্থায় সংযুক্ত রাখিতে হইবে।

৪৩। নথি নম্বর জানা না থাকিলে নথি নিবন্ধনবহিতে কতসংখ্যক পৃষ্ঠায় একটি নথি অন্তর্ভুক্ত করা হইয়াছে তাহা খুঁজিয়া বাহির করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। অতএব, অপর একটি নিবন্ধনবহি রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন যাহা হইতে নথি সংখ্যা সহজেই নিরূপণ করা যায়। ইহাকে 'চলতি নথির বিস্তারিত সূচির নিবন্ধনবহি' বলা হয় (ক্রোড়পত্র-৪)। এই নিবন্ধনবহিতে বর্ণানুক্রমিক ধাপ থাকিবে এবং প্রতিটি বর্ণের জন্য নিবন্ধনবহিতে প্রয়োজনানুসারে পৃষ্ঠার সংখ্যা নির্ধারিত হইবে। সাধারণত প্রতিধাপের প্রথম পৃষ্ঠায় নির্দিষ্ট বর্ণের অন্তর্গত নথিসমূহের ইঙ্গিত শব্দগুলির পৃষ্ঠা নির্দেশিত সূচি থাকিবে যাহাতে ইঙ্গিত শব্দ যে বিষয় নির্দেশ করে তাহা খুঁজিয়া বাহির করা যায়। নিবন্ধনবহির প্রথম কলামে ৪২ নম্বর নির্দেশের উপনির্দেশ (১)-এ যেমন উল্লিখিত রহিয়াছে ঠিক তেমনভাবে ইঙ্গিত শব্দের অধীনে নথির শিরোনাম লিখিতে হইবে এবং দ্বিতীয় কলামে নথিসংখ্যা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। যদি নথির বিষয় নির্দেশক শিরোনাম একাধিক শব্দের হয়, তাহা হইলে ঐ সমস্ত শব্দ দ্বারাই সূচিপত্র নির্দেশ করিতে হইবে। যেমন: ৪২ সংখ্যক নির্দেশের উপনির্দেশ (১)-এর প্রথম উদাহরণে প্রদর্শিত 'ঢাকা জেলা পরিষদের হিসাব নিরীক্ষা' ইহা 'নিরীক্ষা', 'হিসাব', 'ঢাকা', 'জেলা পরিষদ' শব্দগুলির দ্বারা সূচিকরণ করিতে হইবে। ইহাকে ক্রসসূচিকরণ বলা হয়।

৪৪। শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সহিত পরামর্শক্রমে প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রাপ্ত পত্রাদির যেগুলির জন্য নূতন নথি খুলিবেন সেইগুলির বিষয়ের ভিত্তিতে নথিতে একটি যথাযথ শিরোনাম প্রদান করিবেন। উদাহরণস্বরূপ: অর্থ বিভাগ হইতে প্রাপ্ত সাধারণ প্রশাসন খাতের অধীন ২০২৩-২৪-এর বাজেট বরাদ্দ।
#সংগৃীত

Old memory!!
17/07/2025

Old memory!!

17/07/2025

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো (কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা-২০২৫
16/07/2025

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো (কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা-২০২৫

বিনম্র শ্রদ্ধা চরম ড. আবেদ চৌধুরী স্যারকে!!খাদ্য সংকটের বিশ্বে বাংলাদেশকে ১০০ বছর এগিয়ে দিয়েছেন জিন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধ...
10/07/2025

বিনম্র শ্রদ্ধা চরম ড. আবেদ চৌধুরী স্যারকে!!

খাদ্য সংকটের বিশ্বে বাংলাদেশকে ১০০ বছর এগিয়ে দিয়েছেন জিন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী।
জমিতে একবার চারা রোপণ করে পাঁচবার ফলন দেয়া পঞ্চব্রীহি ধান উদ্ভাবন করেছেন তিনি।

👉আমাদের দেশের কীর্তিমান সন্তান মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের জিন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরীর নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই আজ এমন পঞ্চবৃহী ধানের উদ্ভাবন ।

👉এ ধানের ব্যাপক উৎপাদন খাদ্য সংকটের আগামীর বিশ্বে যা বাংলাদেশকে ১০০ বছর এগিয়ে দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বের সেরা সব বিজ্ঞানীদের সাথে তিনি গবেষণা করেছেন। অথচ সেখানে না বসবাস করে দেশে ফিরে এসেছেন।

👉বাংলাদেশকে ভালোবেসে বাংলাদেশের স্বার্থেই তিনি বাংলাদেশেই তার সেই গবেষণা কাজে লাগিয়েছেন।
▶️আসুন বিজ্ঞানী ড. আবেদ খান স্যারকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেই।

#সংগৃীত

জরীপ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।জরীপ বিজ্ঞানে ব্যবহৃত কিছু শব্দ ও পরিভাষার বিশ্লেষণ১. বদর: বদর অর্থ শুদ্ধ করা, ভূমি রেক...
10/07/2025

জরীপ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

জরীপ বিজ্ঞানে ব্যবহৃত কিছু শব্দ ও পরিভাষার বিশ্লেষণ

১. বদর: বদর অর্থ শুদ্ধ করা, ভূমি রেকর্ড ও নকশার ভুল-ত্রুটি সংশোধন প্রক্রিয়াকে বদর বলে। আর একাজে নিয়োজিত আমিনকে বলে বদর আমিন।

২. মৌজা : এটি আরবী শব্দ موضع থেকে গৃহিত, অর্থ- স্থান, এলাকা বা মহল্লা। ভূমি জরীপের একটি ভৌগোলিক ইউনিটকে মৌজা বলে। একটি মৌজা প্রায় একটি গ্রামের সমান বা তারও বেশি। সি.এস জরীপের সময় এক একটি মৌজাকে পৃথক পরিচিতি নম্বর দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। বাংলাদেশে মোট মৌজা আছে ৫৮৬০৮ টি। তবে এর মধ্যে ৩৫৬ টি মৌজা এখনো জরীপ করা হয়নি। একটি মৌজার আয়তন কম-বেশি ১ বর্গমাইল পরিমাণ হয়ে থাকে।

৩. মৌজা নকশা : ভূমি জরীপের সময় মাঠে সরেজমিনে জরীপের মাধ্যমে মৌজার প্রতিটি ভূ-খণ্ডকে পরিমাপ করে এর অন্তর্ভুক্ত ফসলসমূহের অবস্থান ও আয়তনসংবলিত যে নকশা প্রস্তুত করা হয় তাকে "মৌজা নকশা" বলা হয়।

৪. তৌজি (Tauzi) : ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তীয় প্রথায় ভূমির জন্য কালেক্টরিতে (জেলার রাজস্ব আদায়ের প্রধান অফিস) যে রেজিস্ট্রি বই রাখা হয়, তাকে তৌজি বলে। এতে ভূমির পরিচিতিমূলক একটি নম্বর ব্যবহার করা হত, তাকে তৌজি নম্বর বলে।

৫. জে.এল নম্বর : প্রতিটি থানায় অবস্থিত মৌজাসমূহকে উত্তর-পশ্চিম কোণ থেকে পর্যায়ক্রমে একটি করে ক্রমিক নম্বর দেওয়া হয়। মৌজার এ পর্যায়ক্রমে পরিচিতিমূলক ক্রমিক নম্বরকেই জে.এল নম্বর বলা হয়, যার পূর্ণনাম জুরিসডিকশন লিস্ট নম্বর।

৬. দাগ নম্বর : জরীপকালে জমির নকশা প্রস্তুত করার সময় প্রত্যেকটা প্লটের উপর পরিচিতিমূলক ক্রমিক নম্বর ব্যবহার করা হয়। তাকে জমির দাগ নম্বর বলে। এটি নকশার উত্তর-পশ্চিম কোণ থেকে শুরু হয়ে ক্রমানুসারে দক্ষিণ-পূর্ব কোণে গিয়ে শেষ হয়।

৭. কিত্তা: দাগের প্রতিশব্দ। কোনো কোনো অঞ্চলে দাগ নম্বরকে কিত্তা নম্বর বলে।
সোর্স: সংগৃহীত।

স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সরকারী গেজেট।
10/07/2025

স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সরকারী গেজেট।

09/07/2025

ইতিহাস!!

ইহুদী ধর্মের জাতির পিতা এবং ইসলাম ধর্মের জাতির পিতা একজন ই, হযরত ইবরাহীম(আঃ)।
ইবরাহীম(আঃ) এর দুই পুত্র, ইসহাক(আঃ) আর ইসমাইল(আঃ)।

হয়রত ইসহাক(আঃ) এর পুত্র ছিলেন হযরত ইয়াকুব(আঃ), উনার আরেক নাম ইস/রা/ইল। এই ইয়াকুব(আঃ) এর বংশকে আল্লাহ্ তা'আলা বনি-ই/সরা/ইল নামে সম্বোধন করেছেন।

হযরত ইয়াকুব(আঃ) এর ১২সন্তানের মধ্যে ১জনের নাম ছিলো ইয়াহুদা। এই ইয়াহুদা এর বংশই পরবর্তীতে সবচেয়ে বেশি বিস্তার লাভ করে।
তাই, বনি-ই/সরা/ইল এর আরেক নাম ই/হু/দী।

ই/হু/দী ধর্ম আর বংশ দুটো আলাদা।
সব ইহুদী বংশের লোক ইহুদী ধর্মের হলেও সব ইহুদী ধর্মের লোক ই ইয়াহুদার বংশ নয়।
এই ইয়াহুদা ই কিন্তু তার আপন ভাই ইউসুফ(আঃ) কে কূপে ফেলে হত্যা করতে চেয়েছিল!

৪ হাজার বছর আগে ইসহাক(আঃ) এর মৃত্যুর পর ইয়াকুব(আঃ) আল্লাহ্‌'র নির্দেশে শামনগরী (সিরিয়া) থেকে কেনানে হিজরত করেন। এই কেনান ই বর্তমানের ফিলিস্তিন।

এরপর কেনানে (ফিলিস্তিন) দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে ইয়াহুদা তার সব ভাই এর সাথে মিশরে চলে যায় এবং মিশরে বসবাস শুরু করে।

মিশরের তখনকার রাজা ছিলেন ইউসুফ(আঃ), যিনি ইয়াকুব(আঃ) এর ১২সন্তানের মধ্যে ১১তম। সেই কারণে ইয়াহুদা ও তার বংশ মিশরে অনেক দাপটের সাথে থাকতে শুরু করে।

তারপর কালের পরিক্রমায় ক্ষমতা যায় ফারাও রাজাদের হাতে। ফেরাউন এসে বনি-ই/সরা/ইলদের এত অত্যাচার শুরু করে যে এরা সারাদিন 'ইয়া নাফসী' 'ইয়া নফসী' করতো।
তখন আল্লাহ্ তাদের কাছে পাঠালেন মূসা(আঃ) আর তাওরাত কিতাব। মুসা(আঃ) ফেরাউনকে নীলনদে ডুবানোর মাধ্যমে বনি-ই/সরা/ইল মুক্তি পায়।

তারপর মূসা(আঃ) সবাইকে নিয়ে কেনানে (ফিলিস্তিন) ফিরে যান। পরে তারা সেখানে গিয়ে আল্লাহ্‌'র অশেষ রহমত পাওয়া সত্ত্বেও মুসা(আঃ) এর ওফাতের পর আবার আল্লাহ্‌ কে ভুলে যায়, গরুপূজা সহ নানা রকম অনাচার শুরু করে।

তারপর তাদের মধ্যে ক্ষমতার লোভে নিজেদের একতা ভেঙ্গে যায়, ভিনদেশীরা তাদের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের আবার গোলাম বানিয়ে অত্যাচার করতে থাকে।
এর ১০০বছর পরে দাউদ(আঃ) আর উনার ছেলে সুলাইমান(আঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা আবারও এই অত্যাচার থেকে তাদেরকে মুক্তি দেন।

কিন্তু সুলাইমান(আঃ) এর মৃত্যুর পর ই/হু/দীরা আবার শয়তানের পূজা শুরু করে। তাদের ভিতরে থাকা ধর্ম ব্যবসায়ীরা তাওরাত কিতাবের মধ্যে নিজেদের সুবিধামত সংযোজন-বিয়োজন করার মতন ধৃষ্টতা দেখায়।
তারা তাওরাতে সংযোজন করে যে, "আল্লাহ্ তায়ালা ইসহাক(আঃ) এর স্বপ্নে কেনানকে ইহুদীদের জন্য প্রমিজ ল্যান্ড হিসেবে দিয়েছেন, এটা তাদের জয় করে নিতে হবে।"
এটাকে তারা 'জেকব লেডার ড্রিম' বলে।

তাদের এমন নির্লজ্জতা ও ধৃষ্টতার কারণে তারা বারবার আল্লাহ্‌'র শা/স্তির মুখে পড়েছে। যেমনঃ
কখনো গৃহহীন হয়ে যাযাবরের মতো ঘুরেছে,
ব্যবিলনীয় সাম্রাজ্যের দ্বারা গণহ/ত্যার শিকার হয়েছে,
রোমান সাম্রাজ্যের দ্বারা সিরিয়া থেকে আরব দেশে বিতাড়িত হয়েছে।
মহানবী(সাঃ) এর সময় তারা আরব দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে চলে যায় ইউরোপে।
আর উমার(রা:) ফিলিস্তিন ও আল-আকসা বিজয় করেন।
আজ ইস/রা/য়েলের এতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইউরোপও তখন তাদেরকে আশ্রয় দেয়নি।

বনি-ইস/রা/ইলের এমন পরিণতির কারণ আল্লাহ তায়ালা এর শা/স্তির পাশাপাশি তাদের ব্যবহার!
তখনকার লোকদের ভাষ্যমতে, তারা অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির মানুষ ছিল।
তাদেরকে যে জায়গায় আশ্রয় দেয়া হতো সেই জায়গাতেই তারা তাদের প্রতিবেশীর জমি দখল করতো!

ই/হু/দীরা বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ছিল আর তাদের ব্যবসা অন্যদের থেকে কৌশলগতভাবে আলাদা ছিলো, যার কারণে যাযাবরের মতো ঘুরলেও তাদের অর্থ-সম্পদ ভালোই ছিল। সেই অর্থ-সম্পদ এর দাপট দেখিয়ে তারা সেইসব এলাকার স্থানীয় লোকদের উপরই ছড়ি ঘুরাতো।
তাই তারা সেইসব এলাকার রাজা ও বাসিন্দাদের দ্বারা বার বার বিতাড়িত হতো।

বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করার পর তারা একসময় বুঝতে পারে যে, যেকোনো সমাজকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে শিক্ষা ও অর্থের বিকল্প নেই।
তাই তারা শিক্ষা অর্জন ও অর্থ উপার্জনের উপর গুরুত্ব দেয়।
তারা বিশ্বাস করে, কেনান তাদের জন্য সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক বরাদ্দকৃত ভূমি।
তারা এটাও বিশ্বাস করে যে, একসময় তাদের একজন মসিয়াহ্‌(দাজ্জাল) এসে তাদের এই ভূমিকে উদ্ধার করে দিবে।

১৮ শতাব্দীতে ই/হু/দীরা তাদের ধর্ম-পরিচয় গোপন করে ইউরোপে বসবাস শুরু করে।
তখন থিওডোর হার্জেল নামে তাদেরই একজন ব্যবসায়ী ফিলিস্তিনকে নিজেদের দখলে আনার লক্ষ্যে ১৮৯৭ সালে জিওনিজম আন্দোলন শুরু করে ই/হু/দীদেরকে আবারও নতুন করে স্বপ্ন দেখানো শুরু করে।
এই আন্দোলনকে যারা সমর্থন করে, তাদেরকে জিওনিস্ট বলে।

যেহেতু ই/হু/দীরা অনেক শিক্ষা অর্জন আর অর্থ উপার্জন করেছিলো, তাই তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষ ইউরোপে ধর্ম গোপন করে থাকলেও কেউ কেউ মেধার জোরে ইউরোপে গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করতে, বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি পেতে শুরু করে।
তখন তারা শুধুমাত্র পদ দখল করেই থেমে থাকেনি, সেই সাথে নিজেদের একটা রাষ্ট্র গঠনেও প্রচুর সমর্থন সংগ্রহ করার চেষ্টা করতে থাকে।

তখন ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো, তাদেরকে আফ্রিকার উগান্ডায় থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
ঠিক এমন সময় শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে যুক্তরাজ্য নিজেদের অস্ত্র সংরক্ষণের জন্য এক ধরনের গ্লিসারিন ইউজ করতো, যেটা আসতো জার্মানি থেকে।
কিন্তু যুদ্ধের সময় জার্মানি যুক্তরাজ্যের বিপক্ষে থাকায় গ্লিসারিন সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

তখন যুক্তরাজ্যকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে চাইম ওয়াইজম্যান নামক একজন ই/হু/দী গবেষক ও ব্যবসায়ী। তিনি গ্লিসারিন এর বদলে এসিটোন দিয়ে অস্ত্র সংরক্ষণের পদ্ধতি শিখিয়ে দেন এবং যুদ্ধে প্রচুর অর্থ সহায়তা দেন।
তার এমন অভুতপূর্ব অবদানের জন্য যুদ্ধের পর যুক্তরাজ্য যখন তাকে পুরস্কৃত করতে চায়, তখন সে জানায় যে তার একমাত্র পুরস্কার হবে তাদের প্রমিজল্যান্ড মানে ফিলিস্তিনে তাদের বসবাসের সুযোগ করে দেয়া!
এখানে উল্লেখ্য, চাইম ছিলেন জিওনিজম আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

ফিলিস্তিন তখন ছিল উসমানী সালতানাতের দখলে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর তুরস্কের ক্ষমতা একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়। সেই সুযোগে ধাপে ধাপে ই/হু/দীরা ফিলিস্তিনে প্রবেশ করতে থাকে।
প্রথমে তারা ফিলিস্তিনিদের কাছে ঘর ভাড়া করে থাকতে শুরু করে, তারপর বেশি দামের লোভ দেখিয়ে সেগুলো কিনতে থাকে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি পরাজয়ের পর পুরো বিশ্বের ক্ষমতা ইউরোপের হাতে চলে যায়।
ই/হু/দীরা তখন স্থানীয় ফিলিস্তিনিদেরকে অত্যাচার-জোর-জবরদস্তি করা শুরু করলে ফিলিস্তিনিরা প্রতিবাদ করে।

তখনই ইউরোপ থেকে ঘোষণা আসে, পুরো ফিলিস্তিনের ৫৫ ভাগ থাকবে ফিলিস্তিনিদের দখলে আর বাকি ৪৫ ভাগ হবে ই/হু/দীদের।
৬লাখ ই/হু/দীর জন্য ৪৫% আর ১২কোটি ফিলিস্তিনির জন্য ৫৫% জায়গা!

জাতিসংঘ থেকে স্বীকৃতি পাওয়ার পর ই/হু/দীরা ইজ/রা/য়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।নবগঠিত এই রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয় চাইম ওয়াইজম্যান।

ইজ/রায়ে/ল রাষ্ট্র গঠন হওয়ার ঠিক ৬ মিনিটের মধ্যে আমেরিকা তাদেরকে স্বীকৃতি দেয়!

আর এভাবেই যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে তারা ইয়াকুব(আঃ) এর সাথে কেনানে আসা যাযাবর থেকে আজকে গাজাকে ধ্বংসকারী দানবে পরিণত হয়েছে!
সোর্স: সংগৃহীত।

খাগড়াছড়ি, বাংলাদেশের একটি সুন্দর পার্বত্য জেলা।
07/07/2025

খাগড়াছড়ি, বাংলাদেশের একটি সুন্দর পার্বত্য জেলা।

14/06/2024

Address

Cox's Bazar

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Fazlul Haque Official posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Fazlul Haque Official:

Share