06/12/2024
ইনানী সী-বীচে কাল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান-পথে বসবে শত ব্যবসায়ী।
মোস্তফা কামাল আজিজি উখিয়া থেকে
ইনানী, পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকতে আগামীকাল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে মর্মে মাইকিং করা হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে, মূলত হাইকোর্টের একটি রিটের উপর ভিত্তি করে এই অভিযানটি পরিচালিত হবে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) যারীন তাসনিম তাসিন, মেরিন ড্রাইভের পশ্চিম পাশে গড়ে উঠা সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনীসহ সকল প্রভাবশালীদের দখলে থাকা স্থাপনা উচ্ছেদ হবে কী না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন পরিস্থিতি আর পরিবেশ বলে দেবে কোথায় কোথায় অভিযান চালাতে হবে, আমরা সেভাবেই অভিযান চালাবো।
এ বিষয়ে স্থানীয় গরিব অসহায় ব্যবসায়ীরা বলেন জীবনের সর্বোচ্চ দিয়ে একমাত্র উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছিলাম আমরা এই ঝোপড়ী দোকান গুলো, এখানে আমাদের অনেকেরই মাথার উপর রয়েছে ঋণের বোঝা, মাতা-পিতা স্ত্রী সন্তানের মুখে দু'মোঠো ভাত তুলে দেয়ার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি, আগামীকাল যদি আমাদদের দোকানগুলো ভেঙ্গে দেয়া হয় আমাদের উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে, স্ত্রী সন্তানদের কিভাবে দু'মুটো ভাত মুখে তুলে দেব জানিনা, আত্মহত্যা ছাড়া হয়ত আমাদের আর কোন পথ থাকবে না। স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল আলম জানান সী-বীচ মুখি ইনকাম সোর্স থাকায় ইনানীতে এত দিন অনেক অপরাধ কম ছিল, এখন মানুষ বেকার হয়ে গেলে অনেকেই হয়তো বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়বে, বেড়ে যাবে চুরি ডাকাতিসহ ছিনতাই, রাহাজানি।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনেকে বলেন আমরা হাই কোর্টের রিটকে যথাযথ সম্মান করি, তাই বলছি যদি অভিযান পরিচালিত হয় তবে ইনানী পেবেল স্টোনের সামনে তাদের অবৈধ ভাবে দখল করে তৈরী করা স্থাপনা, মেরিন ড্রাইভের পশ্চিমে ইনানী বে ওয়াচের সামনে সেনাবাহিনীর দখলে থাকা স্থাপনা,
ইনানী বে লান্স নামে অবৈধ স্থাপনা, রয়েল টিউলিপের সামনে তৈরি অবৈধ স্থাপনা, ক্যারেভ ইনানী, চৌধুরী রিসোর্স, এসব আগে উচ্ছেদ করলে আমরা আমাদের স্থাপনা গুলো নিজেরাই ভেঙ্গে নিয়ে যাব।
কেউ কেউ বলেন আইনতো সবার জন্য সমান যদি তাই হয় আমরা অসহায় ব্যবসায়ীদের উপর সরকার হস্তক্ষেপ করতেছে আমরা কোন প্রতিবাদ করতে পারবো না কারণ আমরা গরীব। কিন্তু এমন হাজারো স্থাপনা রয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা কক্সবাজার, কলাতলী, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেকসহ বিভিন্ন স্থানে তৈরি করে রেখেছে তাদের গুলো কি হয় সেটা দেখার বিষয়।