KSB Cox

KSB Cox বিনোদন সব সময়।

সৈয়দ মুজতবা আলী দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন ডায়মন্ড বলপেন আছে?সেলসম্যান মুখের উপর বলে দিল,  "নেই" তিনি চলে যাচ্ছিলেন আবার ...
15/09/2025

সৈয়দ মুজতবা আলী দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন ডায়মন্ড বলপেন আছে?

সেলসম্যান মুখের উপর বলে দিল, "নেই"

তিনি চলে যাচ্ছিলেন আবার ফিরলেন তারপর জিজ্ঞেস করলেন, ''অন্য কি বলপেন আছে?''
সেলসম্যান বললো অনেক আছে, পাওয়ার, সুলেখা, ব্রাইট ইত্যাদি।

সেলসম্যানশীপ কী সৈয়দ মুজতবা আলী তাদের বুঝালেন। যখন তিনি ডায়মন্ড বলপেন আছে কি তা জিজ্ঞেস করলেন তখন তাদের বলা উচিৎ ছিল যে নেই তবে পাওয়ার, সুলেখা, ব্রাইট ইত্যাদি আছে।
ক্রেতাকে বিকল্প না দেখিয়ে বিদায় করাটা ঠিক না।

সেলসম্যানরা লজ্জিত হলো কিন্তু শিখলো।
কিছুক্ষণ পর সাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায় এসেছেন, জিজ্ঞেস করলেন টয়লেট পেপার আছে?

সৈয়দ মুজতবা আলীর দীক্ষিত সেলসম্যান উত্তরে বললেন, টয়লেট পেপার একটু আগে শেষ হয়ে গেছে। তবে শিরিষকাগজ আছে। দেবো?

© কোনো একটা বইয়ের পৃষ্ঠা থেকে নেয়া।

প্রাক্তনের বিয়ের প্রায় ছয় মাস হয়ে গেছে।  আজ হঠাৎই কল দিয়ে কান্না ভেজা কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো - কই আছো! বরাবরই তার কান্নার প্...
14/09/2025

প্রাক্তনের বিয়ের প্রায় ছয় মাস হয়ে গেছে। আজ হঠাৎই কল দিয়ে কান্না ভেজা কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো - কই আছো!
বরাবরই তার কান্নার প্রতি ছিলো আমার পাহাড় সমান ব্যাকুলতা। তবুও নিজের শান্ত করে উত্তর দিলাম - বাসায়।
- তোমার সাহায্যের ভীষণ প্রয়োজন। প্লিজ না বলবা না।
- কি সাহায্য!
- আমার হাসবেন্ড একটা কাজে তোমাদের ঐদিকে গিয়ে এক্সিডেন্ট করছে। এখন হাসপাতালে আছে। আমরা তো সবাই ঢাকায় প্লিজ তুমি একটু ওর কাছে যাও।
তার স্বামীর প্রতি কি নিদারুণ ভালোবাসা।
- আপনার স্বামী এদিকে কেন! তাছাড়া এদিকে তো আপনাদের কোনো আত্মীয় নেই আমার জানা মতে।
- এইজন্য নিরুপায় হয়ে তোমাকে কল দিলাম। প্লিজ একটু যাও।
- কোন হসপিটালে আছে!
- প্রাইম হসপিটালে এডমিট আছে। ওখানে গিয়ে পেশেন্ট লিষ্টটা চেক করবা, নাম শায়েদ।
- আপনার স্বামীর নাম আমি জানি। যাই হোক, আমি গিয়ে দেখছি।
- তুমি যাও আমি এবং আমার আম্মু এখানে থেকে রওনা দিচ্ছি। হয়তো সকাল হতে হতেই পৌঁছে যাবো।
- আচ্ছা।

এখন রাত বারোটা প্রায়। এতো রাতে মনে হয় না কোনো গাড়ি পাবো শহরে যাওয়ার জন্য। তারপরও তড়িঘড়ি করে বের হয়ে আম্মুর রুমে আসলাম।
- আম্মু, আমি একটু বাইরে যাচ্ছি তুমি গেইট না লাগিয়ে দাও।
- এতো রাতে কই যাচ্ছিস!
- একটু শহরে যাবো। এক বন্ধু এক্সিডেন্ট করে হাসপাতালে আছে।
- এতো রাতে তো গাড়ি পাবি না।
- বের হয়ে দেখি কি করা যায়।
বাসা থেকে বেরিয়ে এক বন্ধু কে কল দিয়ে আমাকে রিসিভ করতে বললাম। ও বাইক নিয়ে এসে আমাকে নিয়ে প্রাইম হসপিটালে চলে আসলো।
- আমাকে কি এখানে থাকতে হবে!
- না, তুই শুধু শুধু কেন ঘুম নষ্ট করবি। তুই যা আর এদিকে কোনো দরকার হলে আমি তোকে কল দিবো।
- আচ্ছা, তাহলে আমি চলে গেলাম।
- সাবধানে যাস।

রিসিপশনে গিয়ে আজকে এডমিট হয়েছে শায়েদ নাম বলতেই সেখানে দায়িত্বে থাকা মেয়েটা ২০৪ নম্বর রুমে যেতে বললো।
প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো একটা রুমে একাই আছে কিন্তু যাওয়ার পর দেখলাম সেখানে আরো চারজন পেশেন্ট আছে। লোকটার মাথায় এবং বুকে আঘাত পেয়েছে আর ডান পা ভেঙে গেছে। মাথা ফেটে বেশ খানিক ব্লেডিং হয়েছে। এখন আপাতত তাকে গভীর ঘুমে রাখা হয়েছে।
একজন লোক এসে জিজ্ঞেস করলো- আপনি কি এনার বাড়ির লোক?
- বাড়ির লোক না কিন্তু তেমন কিছু।
- ওহ আচ্ছা। আমি উনাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু বাড়ির লোককে জানানোর পর জানতে পারি বাসা ঢাকায়। তাই আমিও বাসায় যেতে পারছিলাম না।
- আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এখন কি অবস্থা!
- এখন পা আর বুক এক্স-রে করা হয়ে গেছে। রিপোর্ট আসেনি। হয়তো সকালে আসবে। আপাতত উনাকে ঘুমের মেডিসিন দিছে সকালের আগে হয়তো ঘুম ভাংবে না।
- চলুন আমরা নিচে যাই তাহলে।

লোকটার সাথে হালকা নাস্তা করে উনাকে বাসায় পাঠিয়ে দিলাম।

রাত প্রায় দুইটা আবার প্রাক্তনের কল।
- তুমি কি গেছো!
- হ্যাঁ।
- কি অবস্থা!
- ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে দিছে সকালের আগে ঘুম ভাংবে না।
- আচ্ছা তুমি ওখানে থাকো আমি একটু।
- হুম।

বসে বসে ফেসবুক স্ক্রোল করছি। হঠাৎ মনে হলো স্কুলের একটা বান্ধবী এখানে জব করে। কিন্তু এতো রাতে কল দেওয়া কি ঠিক হবে!
এমন নয় ছয় ভাবতে ভাবতে কল দিলাম। কিন্তু রিসিভ হলো না। হয়তো ঘুমিয়ে গেছে। মোবাইল পকেটে রাখতে যাবো তখন দেখি ও নিজেই কল দিছে।
- কি খবর বড়লোক এতো দিন পর এতো রাতে আমাকে মনে পড়লো!
- তেমন কিছু না দোস্ত প্রাইমে আছি তো। তাই ভাবালাম তোকে কল দেই। না জানালে আবার পরে জানলে মাইন্ড করবি। তুই কি ঘুমিয়ে গেছিস!
- না। আজ তো আমার নাইট আছে। কোন রুমে তুই!
- ২০৪।
- একটু অপেক্ষা কর। আমি ৫০৩ এ আছি আসছি কিছুক্ষণের মাঝে।

রাতে তেমন কাজের প্রেসার না থাকায় বাকী রাত ওর সাথে টুকটাক গল্প করে কেটে গেলো।
সকাল সকাল চোখ বুঝে আসছে। গতকাল বিকেলে ঘুমিয়েছিলাম উঠেছি ১০ টার দিকে। তাই ঘুম খুব বেশি একটা কাবু করতে পারেনি।

হঠাৎ বিরক্তিকর ভাইব্রেশনে চোখ খুলে গেলো।
- হ্যালো।
- আমরা বাস থেকে নামলাম। এখন কোথায় যাবো!
- ওখানে কোনো রিকশাওয়ালা কে প্রাইম হসপিটালের কথা বললেই নিয়ে আসবে। তারপর রিকশা থেকে নেমে ২০৪ নম্বর রুমে চলে আসুন।
বেশ খানিক সময় বাদে প্রাক্তন আর প্রাক্তনের আম্মু চলে আসলো।
- ডাক্তার দেখেছেন!
- এক্স-রে রিপোর্ট গুলো দেখলো। মেজর কোনো ইস্যু হয়নি। তবে মাথায় আঘাত টা একটু বেশি লাগায় দুই দিন হসপিটালে থাকতে বলছে। তারপর বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন।
- তুমি তো মনে হয় সারারাত ঘুমাও নি! আচ্ছা আম্মুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।
- পরিচয় এর কি দরকার! আমি একটা মানুষ যে আপনার মেয়ের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। সেই কৃতজ্ঞতা থেকে এখানে এসেছি। এতটুকুই।
প্রাক্তনের আম্মু বললো- মানুষ আজকাল কৃতজ্ঞতা ও মনে রাখে এটাই অনেক।
- ওর ঘুম ভাঙ্গেনি?
- ভেঙ্গেছিল। পেইন কিলার এবং ঘুমের ইনজেকশন দিছে আবার।

সারাদিন ওখানেই কেটে গেলো। এরমাঝে বিকেলে আমার বান্ধবীর সাথে উনাদের পরিচয় করিয়ে দিলাম।
এখন রাত আট টা।
সবাই মিলে ২০৪ এ বসে আছি। শায়েদ সাহেব ও এখন সজাগ আছেন।
- আপনারা তাহলে থাকুন। আম্মু সারাদিনে অনেকবার কল দিছে। আমায় একটু বাসায় যেতে হবে। আপনারা রাতে আমার ফ্রেন্ড এর ম্যাসে গিয়ে থাকতে পারেন। আমি কথা বলেছি।
- তোমার বাসা এখানে থেকে কতদূর!
- ১০ কিমি।
শায়েদ সাহেব বললেন - আপনি উনাদের আপনার বাসায় নিয়ে যান যদি আপনার কোনো সমস্যা না থাকে তো। সারাদিন তো এখানেই তাছাড়া ম্যাসের পরিবেশ ভালো লাগবে না। তাছাড়া কাল তো রিলিজ দিয়েই দিবে। আজ তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
এখানে বলার মতো তেমন কিছু খুঁজে পেলাম না। অতঃপর তাদের সাথে করে বাসায় নিয়ে আসলাম।
আম্মু আমার প্রাক্তনের বিষয়ে সব কিছু জানলেও কখনো তার ছবি দেখানো হয়নি।

বাসায় ঢুকে উনাদের একটা রুম দেখিয়ে দিলাম বিশ্রাম নেওয়ার জন্য।

রাতের খাবারে সবাই একসাথে বসলাম।
আম্মু উনাদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছে। বাসার ডেকোরেশন নিয়ে কথা বলছে। হঠাৎ করে আমায় জিজ্ঞেস করলো- তোমার রুমটা তো দেখালে না! কিভাবে সাজিযেছো দেখতে হবে তো।
- আমার রুমে সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। আম্মু ছাড়া অন্য কারো প্রবেশাধিকার নেই।
কথাটা উনার খুব একটা ভালো লাগেনি এটা তার এক্সপ্রেশন দেখেই বুঝতে পারছি।
আমি খাবার আধা রেখেই চলে আসলাম। তবে উনারা কি কথা বলছে সবগুলো কানে আসছে।
আম্মু উনাদের কে আমার প্রেম কাহিনি বলছে - কোন এক মেয়ের পাল্লায় পরে ছেলেটা আমার এমন হয়ে গেলো। আগে কতো ভালো ছিলো। সারাদিন কতো কথা বলতো। এখন প্রয়োজন ছাড়া কথাই বলে না।
- বিয়ে দিয়ে দিন ঠিক হয়ে যাবে।
- সামনের সপ্তাহে মালেশিয়া চলে যাবে। এই দেশে নাকি আর ভালো লাগছে না।
আমি জানি আম্মু এখন একটু কান্না করবে।
খানিক বাদে ছাঁদে গিয়ে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি। রাতের আকাশটা আমার সব থেকে কাছের বন্ধু। যাকে সব কিছু বলা যায়। যার কাছে নিজেকে খুব করে প্রকাশ করা যায়।
- এতো রাতে তুমি ছাঁদে কি করো!
হাতে থাকা সিগারেট টা ফেলে দিলাম।
- আমি এখানে আপনাকে কে বললো!
- আন্টি।
- ওহ।
- সিগারেট খেতে খেতে ঠোঁট তো কালো বানিয়ে ফেলেছো।
মুচকি হাসলাম - হৃদপিণ্ড কালো হয়ে যাচ্ছে সেটা কেউ দেখে না ঠোঁট নিয়ে তাদের যত চিন্তা।
- আন্টি জানে তুমি সিগারেট খাও!
- হয়তো জানে।
- ওহ। আমি ভাবিনি তুমি আমাকে সাহায্য করবে।
- এটা আমি দায়িত্ব মনে করে পালন করেছি। আর আমি..
আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো- হ্যাঁ জানি। আমি কখনো দায়িত্ব থেকে পিছপা হই না। তবুও ভাবি নি তুমি সেখানে সারারাত থাকবা।
- আমার কাছে ভালোবাসার মানে হচ্ছে যাকে ভালোবাসি তাকে তার মতো করে থাকতে দেওয়া। সে যেটাতে ভালো থাকে তাকে সে ভাবে থাকতে দেওয়া। আপনি উনার জন্য ভালো থাকেন তাই আমার এটা দায়িত্ব ছিলো ওনাকে দেখে রাখা।
- তুমি নাকি বাইরে যাচ্ছো! দেশে থেকেও তো সব কিছু নতুন করে শুরু করা যায়!
- চারপাশে এতো স্মৃতি জড়িয়ে আছে যে আমাকে ভুলেও ভালো থাকতে দিচ্ছে না। একবার ভেবেছিলাম সু'ই'সাইড করবো। কিন্তু এতে আমার পরিবর্তন ছাড়া কারো কিছু যায় আসবে না। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম বাইরে যাবো। ঐ যে কেউ একজন বলেছিলো না " স্মৃতি মুছে ফেলার বড় অস্ত্র হচ্ছে স্হান পরিবর্তন।"
কিছুটা সময় দুজনেই চুপচাপ থাকলাম।
- কাল আমাদের সাথে হসপিটালে যাবে না!
- না।
- কেন!
- পুনরায় আপনার চলে যাওয়া দেখার মতো এতো শক্তি আমার মাঝে নেই।
- ওহ। একটা কথা বলি!
- আন্টি অনেক ভালো। উনাকে কষ্ট দিয়ে যেও না।
- সব কিছু ঠিকঠাক। চারদিন পর চলে যাবো।
- ওহ। আমাকে তোমার রুমটা দেখাবে না?
- না। ওটা আমার রুম। শুধুই আমার।
- হুম ।
আবার খানিকটা নিরবতা। - আচ্ছা থাকো গেলাম।

পরের দিন তাদের হসপিটালে পাঠিয়ে দিলাম কিন্তু মন কোনো ভাবেই মানছে না। তাকে কাছে থেকে আর একটু দেখার জিদ চেপে বসেছে। তাই দূর থেকে দেখতে গেলাম। উনারা হসপিটাল থেকে রিলিজ নিয়ে একটা মাইক্রোতে উঠলো। আর আমি! " আমি দূর হতে তোমারে দেখেছি, আর মুগ্ধ সে চোখে চেয়ে থেকেছি। "

( সমাপ্ত)

অণুগল্প - প্রাক্তন
SuMon Al-Farabi

Collected.

কাকা গামছার দোকান দিছে BMW ওপর ভাবেন তাহলে বাংলাদেশ কত উন্নত.
26/08/2025

কাকা গামছার দোকান দিছে BMW ওপর
ভাবেন তাহলে বাংলাদেশ কত উন্নত.

সাপের নাম কি জানেন?ছবি:জোবাইদুর রহমান মাহাদী ভাই।
25/08/2025

সাপের নাম কি জানেন?
ছবি:জোবাইদুর রহমান মাহাদী ভাই।

সিলেটের পাথর উত্তোলন সারাদেশের মানুষ এখন জানে।বান্দরবানের পাহাড়ি ছড়াগুলো থেকেও যে অবাধে পাথর উত্তোলন হয় সেটা কি দেশবাসী ...
25/08/2025

সিলেটের পাথর উত্তোলন সারাদেশের মানুষ এখন জানে।
বান্দরবানের পাহাড়ি ছড়াগুলো থেকেও যে অবাধে পাথর উত্তোলন হয় সেটা কি দেশবাসী জানে?
সিলেটের পাথর তো নদীর উজান থেকে প্রতি বছর ভেসে আসে কিন্তু বান্দরবানের পাথর তো আর কোন নদী দিয়ে ভেসে আসেনা।
আমাদের দেশীয় প্রাকৃতিক সম্পদ গুলো (যেগুলো ধ্বংস হলে আর কোনদিন ফেরত পাওয়া যাবেনা) আমাদের সংরক্ষণ করা আদৌ প্রয়োজন নয় কি

তথ্য- সাজিদ আলম তুষার

যাকে তাকে মামা বলিবেন না🐸
25/08/2025

যাকে তাকে মামা বলিবেন না🐸

সীমান্ত সড়ক কারো জন্য স্বস্তির, কারো জন্য অস্বস্তির কারণ কেন?অদ্ভুত এক অপপ্রচার চালাচ্ছে ‘হিল ভয়েস’ নামের একটি ইউটিউব চ্...
25/08/2025

সীমান্ত সড়ক কারো জন্য স্বস্তির, কারো জন্য অস্বস্তির কারণ কেন?

অদ্ভুত এক অপপ্রচার চালাচ্ছে ‘হিল ভয়েস’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল। ‘রাস্তা চাই না’! শিরোনাম দেখে প্রথমেই আপনার ভ্রম হতে পারে, কথাটা হয়তো বা ভুলভাবে উদ্ধৃত হয়েছে, ওটা হয়তো হবে ‘রাস্তা চাই’।

সারাদেশের মানুষ বছরের পর বছর কয়েক কিলোমিটার সড়কের জন্য কত জায়গায় ধর্ণা দেয়, মানববন্ধন করে। আর এরা কি না সড়ক না করার দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে!

বিষয়টি সরেজমিনে দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী উপজেলা পানছড়িতে। এখানে তৈরি হচ্ছে মাটিরাঙ্গা-তানাক্কপাড়া-লোগাং-সাজেকমুখী সীমান্ত সড়ক।

এখানে আগেই রাস্তা ছিলো, তবে অতটা প্রশস্থ ছিল না। এ পথ দিয়ে বিজিবি তাদের ক্যাম্পে যাতায়াত করে। এখন শুধু রাস্তাটি প্রশস্থ এবং পাকা হবে। এখানে কোনো সংরক্ষিত বন নেই। এই রাস্তা হলে পানছড়ির সাথে উত্তরের দূরবর্তী শিলাছড়া ও সাজেককে সংযুক্ত করা যাবে।

এর ফলে দুর্গম এবং গভীর জঙ্গলে নাগা, ত্রিপুরাসহ ভারতীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আনাগোনা বন্ধ হবে। ২৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় যেখানে রাষ্ট্রের কোনো বাহিনীর উপস্থিতি এতোদিন ছিলো না , এখন সহেজই সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ করা যাবে। এসব এলাকা অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় একসময় শান্তিবাহিনীর বড় একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প এই এলাকায় ছিলো।

সীমান্তবর্তী হওয়ায় তৎকালীন শান্তিবাহিনীর অধিকাংশ গোপন আস্তানা এসব এলাকাকে ঘিরেই ছিলো। আগামী দিনগুলোতে যে কোনো প্রকার সংঘাতে গোপন আস্তানা তৈরির দরকার হলে এসব এলাকাই বেস্ট। এখন রাস্তা তৈরি হলে বিশাল এই দুর্গম এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী সহজেই প্রবেশ করতে পারবে।

সে কারণেই এই সীমান্ত সড়ক শান্তিবাহিনীর দোসরদের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে। তাই বন উজার হওয়ার গল্পটা বানোয়াট। এখন পাহাড়ের গাছ নামে তারাবোন ছড়া দিয়ে, রাস্তা হলে মানুষের কষ্ট কমবে। স্থানীয় লোকজনের দীর্ঘ হাঁটা পথের কষ্ট লাঘব করবে এই সড়ক।

অন্যদিকে সড়কটি ইউপিডিএফ এবং জেএসএস’র সম্ভাব্য সংঘর্ষে জেএসএসকে চাপে ফেলবে। দুই দলই তাদের গোপন আস্তানার (হাইডআউটগুলোর) গোপনীয়তা হারাবে এই সড়কের কারণে। সে কারণেই কিছু মানুষ এই সড়ক নির্মাণ না করার ব্যাপারে শ্লোগান দিচ্ছে। আসলে এসব প্রতিবাদ আর যুক্তি সব ভুয়া কথা।

নারাইছড়ি, তক্কীরায় পাড়া এলাকার বিপুল মানুষ, যারা দীর্ঘ পথ হেঁটে লোগাং, পুঁজ গাও, পানছড়িতে আসতো তাদের জন্য এই সড়ক হবে আশির্বাদ স্বরূপ।

এই সীমান্ত সড়কের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব হবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। এই সড়ক পর্যটকদের জন্য হবে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। সাজেক এখন সকলেরই লক্ষ্য, এতদিন শুধু দীঘিনালা-বাঘাইহাট হয়েই সাজেক যেতে পারছে পর্যটকরা। মাটিরাঙ্গা-পানছড়ি-দীঘিনালা-সাজেক সীমান্ত সড়ক হলে, এই পথেও পর্যটকদের ভিড় বাড়বে।

তাছাড়া, এটা চোরাচালানের পথকে বন্ধ করবে। বিশেষ করে, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান বন্ধ করবে। এই রাস্তা নিঃসন্দেহে দেশের নিরাপত্তাকে বৃদ্ধি করবে। আর শনখোলাতে আর্মি ক্যাম্প আগেও ছিলো। এখন রাস্তা তৈরির জন্য এটা কাজে লাগবে।

এসব কারণেই এই সীমান্ত সড়ক উপজাতি সন্ত্রাসীদের গাত্রদাহের কারণ হবে, সেটা খুবই স্বাভাবিক। সব কিছুতেই এদের মধ্যে স্ববিরোধিতা দেখা যায়। একদিকে বলবে উন্নয়ন হয়নি, অবহেলিত, অন্যদিকে এখন রাস্তা হচ্ছে তাতেও তাদের কষ্ট লাগছে। আসল ব্যাপার হলো এই সড়ক জেএসএস, ইউপিডিএফ, নাগা, ত্রিপুরার বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর আরামের ঘুমকে হারাম করে দেবে।

এসব কারণেই সীমান্ত সড়ক হওয়ার কথায় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো অস্থির হয়ে উঠেছে। অথচ, আমাদের ঘিরে ভারতে সীমান্ত সড়ক অনেক আগে থেকেই আছে।

এখানে কর্মরত বিজিবি সদস্যদের দীর্ঘ পথ হাঁটার ক্লেশ থেকে মুক্তি দেবে এই সীমান্ত সড়ক। যে পথে ৩ দিন হেঁটে সর্ব উত্তরের ক্যাম্প নারাইছড়িতে যেতে হতো, সড়ক নির্মাণ হলে তা হবে মাত্র এক ঘণ্টার পথ। আসলে তারা আমাদের সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্যদের এতো স্বস্তিতে থাকতে দিতে চায় না, সে কারণেই হিল ভয়েস এতো চিল্লাফাল্লা করছে।

আয়নায় মোর প্রতিচ্ছবি, সেতো আমি নই...
18/08/2025

আয়নায় মোর প্রতিচ্ছবি, সেতো আমি নই...

পাহাড় থেকে কি বাঙালিদের অস্তিত্ব মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে?সৈয়দ ইবনে রহমত গত ১৩ আগস্ট (বুধবার) পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্...
15/08/2025

পাহাড় থেকে কি বাঙালিদের অস্তিত্ব মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে?

সৈয়দ ইবনে রহমত

গত ১৩ আগস্ট (বুধবার) পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা এক চিঠিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরামর্শক কমিটির জন্য ৯ জনকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে এই ৯ জনের মধ্যে ৮ জনই অবাঙালি এবং তারা পার্বত্যাঞ্চলের বাসিন্দা। অন্যদিকে একজন মাত্র বাঙালি, কিন্তু তিনি সরকারি চাকরিজীবী, পাহাড়ের কেউ না। অর্থাৎ ৯ জনের মধ্যে পার্বত্যাঞ্চলের ৮ জন অবাঙালি সদস্য থাকলেও কোনো পার্বত্য বাঙালির স্থান সেখানে হয়নি।

এই পরামর্শক কমিটির কাজ হচ্ছে উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন প্রকল্প ও স্কিম প্রস্তুত এবং তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বোর্ডকে পরামর্শ প্রদান করা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কি শুধুমাত্র অবাঙালিদের উন্নয়নের জন্য? যদি তাই না হবে, তাহলে এই অঞ্চলের বৃহ্ত্তর জনগোষ্ঠি তথা ৫০ শতাংশের অধিক জনসংখ্যা বাঙালিদের কোনো প্রতিনিধি রাখা হলো না কেন?

তাহলে কি ধরে নিব, যারা এই কমিটির সদস্য বাছাই করেছেন, যারা অনুমোদন দিয়েছেন তারা কেউ পাহাড়ে বাঙালিদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না? কিংবা তারা পাহাড় থেকে বাঙালিদের অস্তিত্ব মুছে ফেলতে চান বলেই এখানে পার্বত্য বাঙালিদের কোনো প্রতিনিধি রাখেননি?
©️

আর হেলথ্ কমার চিন্তা নেই গাইস। 🥹
09/08/2025

আর হেলথ্ কমার চিন্তা নেই গাইস। 🥹

বুঝেছো মনা😜
07/08/2025

বুঝেছো মনা😜

খুবই সহজ প্রশ্ন।এখানে কাটা চামচ কোনটা?
07/08/2025

খুবই সহজ প্রশ্ন।
এখানে কাটা চামচ কোনটা?

Address

Cox's Bazar

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when KSB Cox posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share