27/09/2025
বাংলাদেশে বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত খুলতে যাচ্ছে—এমন বার্তা দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ এক্সিকিউটিভ বিজনেস গোলটেবিল আলোচনায় তিনি মার্কিন কোম্পানিগুলোকে আহ্বান জানান, বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগাতে।
আলোচনার শিরোনাম ছিল ‘অ্যাডভান্সিং রিফর্ম, রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড গ্রোথ’, যেখানে উঠে এসেছে সংস্কার, স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা। ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ পরিবর্তনের পথে। দুর্নীতি ও অনিয়মের জায়গায় আসছে সংস্কার ও স্বচ্ছতা।
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ এখন শিল্প, প্রযুক্তি, জ্বালানি এবং সেবা খাতে বড় বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত। আলোচনায় অংশ নেয় মেটলাইফ, শেভরন, এক্সেলেরেটসহ বিশ্বের শীর্ষ মার্কিন কোম্পানিগুলো।
তাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এখনই সঠিক সময় বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর। তিনি উল্লেখ করেন, গণতান্ত্রিক ভিত্তি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। অবকাঠামো উন্নয়ন, মানবসম্পদ, তরুণ জনগোষ্ঠী এবং ডিজিটাল অগ্রগতির কারণে বাংলাদেশ হয়ে উঠছে বিনিয়োগবান্ধব গন্তব্য।
ড. ইউনূস আশ্বাস দেন—অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবসায়িক পরিবেশকে আরও সহজ করবে। তিনি বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ এবং শিল্পায়ন বাড়ানোর ওপরও জোর দেন তিনি।
গোলটেবিলে উপস্থিত মার্কিন বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে বাংলাদেশ হতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বিনিয়োগকেন্দ্র।
ড. ইউনূস আরও জানান, ২০২৬ সালের এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে। এই লক্ষ্য পূরণে তিনি মার্কিন কোম্পানিগুলোকে পাশে থাকার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার এখন শুধু দেশের জন্য নয়, বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের জন্যও নতুন সুযোগ তৈরি করছে।