30/05/2025
রকফেলারের ছকে WHO এখন বড়বড় ওষুধ কোম্পানির দাস!
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) আজকে যেমন কাজ করে, সেটা কেবল মানুষকে ভালো রাখার জন্য না—বরং বড় বড় ওষুধ কোম্পানির (যেমন Pfizer, Moderna) ব্যবসা বাড়ানোর জন্য গড়ে তোলা হয়েছে। এই পুরো পরিকল্পনার পিছনে ছিল রকফেলার ফাউন্ডেশন।
চলুন ধাপে ধাপে দেখে নেই তারা কীভাবে এটা করেছে:
১️. রোগের প্রতিকার নয়, চিরস্থায়ী চিকিৎসা
- মানুষ যেন সারাজীবন ওষুধ খেতে থাকে, সেইভাবে রোগ ব্যবস্থাপনা বানানো হয়।
- ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মার মতো রোগের জন্য এমন ব্যবস্থা করা হয় যাতে রোগ পুরোপুরি না সারে, শুধু নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- দারিদ্র্য, অপুষ্টি—এসব আসল সমস্যার দিকে কোনো গুরুত্ব দেয়া হয়নি, কারণ এতে কোনো কোম্পানির লাভ হয় না।
---
২️. WHO-তে ওষুধ কোম্পানির পছন্দের লোক বসানো
- WHO-এর প্রথম প্রধান ছিলেন একজন রকফেলার ফান্ডেড মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, যিনি বলতেন—জনসংখ্যা বেশি হলে বিপদ বাড়ে।
- WHO ও বড় ওষুধ কোম্পানির মধ্যে এমন সম্পর্ক তৈরি হয়, যেন একে অপরের লোক এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারে।
- কিছু কোম্পানিকে নিয়ম তৈরি করার সময়ও অংশ নিতে দেয়া হয়, যাতে তারা নিজের সুবিধামতো নিয়ম বানাতে পারে।
---
৩️.টিকার মাধ্যমে ব্যবসা বিস্তার
-১৯৭৪ সাল থেকে WHO টিকাদানকে মূল কাজ বানিয়ে ফেলে।
- ২০০০ সালে এমন একটি প্রকল্প চালু হয় (Gavi), যার মাধ্যমে টিকার নামে বিলিয়ন ডলার Pfizer/Moderna-কে দেয়া হয়।
- বাধ্যতামূলক টিকাদান যেন সাধারণ নিয়ম হয়, সেটা তৈরি করা হয়।
---
৪️. প্রতিযোগীদের সরিয়ে দেওয়া
- রকফেলারের টাকা দিয়ে চালিত মেডিকেল স্কুলগুলো প্রথাগত ও দেশীয় চিকিৎসাকে বলেছে "অবৈজ্ঞানিক"।
- আইভারমেক্টিনের মতো সস্তা বিকল্প চিকিৎসাগুলো দমন করা হয়েছে।
- কিছু রোগ (যেমন: এইডস, ডায়াবেটিস) এমনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে যেন মানুষ সারাজীবন ওষুধ খেতে বাধ্য হয়।
---
৫️. মহামারির সুযোগে লাভ
- ২০১৯ সালে "ইভেন্ট ২০১" নামে করোনা মহামারির অনুশীলন করা হয় রকফেলারের টাকায়।
- ২০২০ সালে WHO অল্প সময়েই পরীক্ষামূলক mRNA টিকা অনুমোদন করে।
- এরপর ডিজিটাল হেলথ পাসপোর্ট চালু করা হয়, যার মাধ্যমে মানুষকে নজরদারির আওতায় আনা যায়।
---
🎯 শেষ কথা?
এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বানানো হয়েছে এমনভাবে:
- মানুষ যেন সারাজীবন চিকিৎসা নেয়, রোগ ভালো না হয়।
- মানুষের উপকার নয়, ওষুধ কোম্পানির লাভ নিশ্চিত করতে।
- দেশগুলো নিজের স্বাস্থ্যনীতি ঠিক করতে না পারে, সব নিয়ন্ত্রণ থাকে কর্পোরেট কোম্পানির হাতে।
[Geopolitics live এর থ্রোব্যাক থার্সডে বিশেষ প্রতিবেদন]