07/08/2025
প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে রাজনৈতিক নেতৃত্বের মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির আধুনিকায়ন।
বর্তমান বিশ্ব এক বিশাল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস (IoT), বিগ ডেটা ও ব্লকচেইনের মতো উদ্ভাবন বিশ্বব্যবস্থাকে নতুন আঙ্গিকে রূপ দিচ্ছে। আর এই পরিবর্তনের কেন্দ্রে রয়েছে তরুণ প্রজন্ম, যারা প্রতিনিয়ত নতুন প্রযুক্তির সাথে নিজেকে অভিযোজিত করছে এবং আধুনিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, দেশের অনেক প্রবীণ রাজনীতিক এখনো তাদের চিন্তাভাবনায় ব্রিটিশ-পাকিস্তান আমলের উপনিবেশিক ধ্যানধারণা বহন করে চলেছেন। এই প্রবণতা শুধুমাত্র সময়ের সাথে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাদৃশ্যহীনতাকেই তুলে ধরে না, বরং আগামী প্রজন্মের সঙ্গে একটি চিন্তার ফারাকও সৃষ্টি করে।
২০২৫ সালের বাস্তবতায় এসে রাজনৈতিক নেতৃত্বের উচিত হবে প্রযুক্তি-প্রবাহিত সমাজের প্রকৃত চাহিদা ও গতিপথ গভীরভাবে উপলব্ধি করা। একটি আধুনিক ও তথ্যভিত্তিক বিশ্বে নেতৃত্বের সাফল্য নির্ভর করে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রাসঙ্গিকতা, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও ভবিষ্যতবান্ধব চিন্তার ওপর।
তরুণ সমাজ এখন কেবল রাজনৈতিক বক্তব্য শুনে মুগ্ধ হয় না; তারা চায় সমাধান, স্বচ্ছতা এবং ভবিষ্যতের জন্য কার্যকর পরিকল্পনা। তাই নেতৃত্বের মানসিকতায় পরিবর্তন আনা এখন সময়ের দাবি। অভিজ্ঞতার পাশাপাশি প্রযুক্তি সম্পর্কে বাস্তব ধারণা, তথ্য বিশ্লেষণের সক্ষমতা এবং যুগোপযোগী চিন্তাভাবনাই একটি রাষ্ট্রের নেতৃত্বকে জনগণের আস্থার প্রতীক করে তোলে।
এই প্রেক্ষাপটে বলা যেতে পারে, শুধু প্রযুক্তির ব্যবহার নয়, প্রযুক্তির দর্শনকেও আত্মস্থ করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি এখন কেবল একটি খাত নয়, বরং এটি একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গির নাম, যেখানে জ্ঞান, গতিশীলতা এবং উদ্ভাবনই এগিয়ে যাওয়ার প্রধান শক্তি।
অতএব, রাজনৈতিক নেতৃত্বের উচিত হবে প্রযুক্তিনির্ভর বাস্তবতা সম্পর্কে গভীরভাবে সচেতন থাকা, এবং অতীতমুখী ভাবনা নয়, বরং ভবিষ্যতমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশের পথে এগিয়ে চলা।
✍️ Golb Uddin গোল্ব উদ্দীন