Golb Uddin গোল্ব উদ্দীন

Golb Uddin গোল্ব উদ্দীন Welcome to the official page of Mohammad Golb Uddin, where you can explore insights, updates, and information about his work and achievements.

Join us on this journey to discover more about his contributions and vision!

'আমি বান্দার সাথে তার ধারণা অনুযায়ী আচরণ করি'উপরিউক্ত কথাটি আমরা কমবেশি সবাই শুনেছি। এটি হাদিসে কুদসির অংশ বিশেষ। ইমাম ক...
11/12/2025

'আমি বান্দার সাথে তার ধারণা অনুযায়ী আচরণ করি'

উপরিউক্ত কথাটি আমরা কমবেশি সবাই শুনেছি। এটি হাদিসে কুদসির অংশ বিশেষ। ইমাম কুরতুবি রাহিমাহুল্লাহ এর চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, এর চারটি অর্থ হতে পারে :

১. দুআ কবুল হওয়ার ব্যাপারে..
আমি বান্দার সাথে তার বিশ্বাস অনুপাতে আচরণ করি। যদি সে বিশ্বাস করে যে আমি তাকে ফিরিয়ে দেবো না, তবে সত্যিই তাকে ফিরিয়ে দেবো না।

২. তাওবা কবুল হওয়ার ক্ষেত্রে.. আমি তার বিশ্বাস অনুযায়ী আচরণ করি। যদি সে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী হয়, তাহলে তাকে ফিরিয়ে দিই না।

৩. ইস্তিগফারের ক্ষেত্রে..
আমি বান্দার সাথে তার ধারণা অনুযায়ী আচরণ করি। যদি সে ক্ষমা পাবে বলে বিশ্বাস করে তাহলে তাকে ক্ষমা করে দিই।

৪. ইবাদাত কবুল হওয়ার ব্যাপারেও.. আমি তার সাথে একই রকম আচরণ করি।

— সহিহ বুখারি : ৭৪০৫; ফাতহুল বারি : ১৫/২৭০

07/12/2025

আমেরিকার নতুন বিশ্বনীতি: ক্ষমতার পুনর্বিন্যাস ও ভূ-রাজনৈতিক অগ্রাধিকার

১. নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল ও পশ্চিম গোলার্ধের গুরুত্ব
আমেরিকা তাদের সর্বশেষ National Security Strategy–তে বৈশ্বিক পুলিশি ভূমিকা থেকে সরে এসে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং Western Hemisphere—অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ল্যাটিন আমেরিকার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করছে।
১৮২৩ সালের ঐতিহাসিক Monroe Doctrine পুনরায় গুরুত্ব পাওয়ায় ল্যাটিন আমেরিকাকে আমেরিকার একচ্ছত্র প্রভাববলয় হিসেবে নির্ধারণ করা হচ্ছে, যেখানে বাইরের রাষ্ট্রগুলোর হস্তক্ষেপ স্পষ্টভাবে অগ্রহণযোগ্য।
বর্তমান অগ্রাধিকার—
সীমান্ত সুরক্ষা
অবৈধ অভিবাসন রোধ
মাদক ও অস্ত্র পাচার প্রতিরোধ

২. ইউরোপ ও ন্যাটোর ভবিষ্যৎ নীতি
আমেরিকা ইউরোপকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে ২০২৭ সালের পর নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব ইউরোপকেই বহন করতে হবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি অনুযায়ী—
ইউরোপকে ন্যাটোর ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে
নিজস্ব সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে
ন্যাটোর সম্প্রসারণ নীতি সীমিত করা হবে

ইউরোপীয় বাজার আমেরিকান স্বার্থে আরও উন্মুক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে

আমেরিকার মতে, ইউরোপের অর্থনৈতিক দুর্বলতা বাড়ছে, তাই তাদের নিরাপত্তায় আমেরিকার অতিরিক্ত ব্যয়ভার গ্রহণ করা যৌক্তিক নয়।

৩. মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়া নীতি
আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে সরাসরি সামরিক উপস্থিতি কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সৈন্য মোতায়েন না করে বরং Abraham Accords–এর মাধ্যমে ইসরাইল, সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে কেন্দ্র করে একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তোলার কৌশল নিচ্ছে।
আমেরিকার মূল্যায়ন—

ইরান বর্তমানে দুর্বল অবস্থানে, তাই সরাসরি সেনা উপস্থিতির প্রয়োজন কমেছে।

জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে নিজেদের নিরাপত্তা এবং চীন প্রশ্নে স্বনির্ভর হতে বলা হয়েছে।

চীনকে মোকাবেলার ক্ষেত্রে সামরিক সংঘাত নয়, বরং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক জোট গঠনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

৪. মুসলিম বিশ্বের কৌশলগত সুযোগ
আমেরিকার বৈশ্বিক উপস্থিতি কমানোর ফলে যে Security Vacuum তৈরি হচ্ছে, তা তুরস্ক, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়ার মতো উদীয়মান শক্তিগুলোর জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে।
নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তুলতে সক্ষম দেশগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে—

অস্ত্র বিক্রি
প্রশিক্ষণ
নিরাপত্তা সহযোগিতা
—বিষয়ে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে।
এ ছাড়া আমেরিকা চায় সৌদি আরবের নিরাপত্তা কাঠামোয় পাকিস্তানের ভূমিকাকে আরও জোরদার করা।

৫. সারসংক্ষেপ
সার্বিকভাবে বলা যায়—
যুক্তরাষ্ট্র এখন স্বীকার করছে যে অতীতের বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ–কেন্দ্রিক নীতি তাদের অভ্যন্তরীণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
তাই তারা—
বৈশ্বিক গণতন্ত্র রপ্তানির নামে যুদ্ধ নয়

বরং নিজেদের অর্থনীতি, সীমানা ও নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণে

এবং মিত্র রাষ্ট্রগুলোকে স্বনির্ভর হওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কৌশলে এগোচ্ছে।

#বিশ্বরাজনীতি #আমেরিকার_নীতি #ভূরাজনীতি

01/12/2025

পুরুষের জীবনে একদিকে পরিবার, অন্যদিকে ক্যারিয়ার—এই দুই দায়িত্বই তাকে প্রতিদিন নতুন করে চাপের মুখে ফেলে। এর বাইরে নিজের অনুভূতি বা ক্লান্তির দিকে তাকানোর মতো অতিরিক্ত কোনো সুযোগ অনেক সময়ই থাকে না। পরিবারের সুরক্ষা, আর্থিক স্থিতি, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা—সব কিছু নিশ্চুপে সামলে নিতে নিতে নিজের কষ্ট, হতাশা ও মানসিক চাপকে সে গোপন করে রাখে।

হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকে অঘোষিত সংগ্রাম; কারণ সমাজ তার কাছ থেকে শক্ত থাকা, অটল থাকা—এই প্রত্যাশাই করে। দুর্বলতা দেখানো যেন তার জন্য অপরাধ।
কিন্তু বাস্তবতা হলো—পুরুষও মানুষ, তারও ব্যথা আছে, ক্লান্তি আছে, আছে নীরব যন্ত্রণা; শুধু সে প্রকাশ করার সুযোগ বা স্বীকৃতি পায় না।

#স্বাস্থ্যসচেতনতা #মানসিকস্বাস্থ্য #পুরুষের_বাস্তবতা #নিঃশব্দ_সংগ্রাম #জীবনের_চাপ #সমাজের_ধারণা #আবেগ #মানসিকচাপ #জীবনসংগ্রাম

বিশ্বজুড়ে ২০২৪ সালে প্রতি ১০ মিনিটে একজন নারী বা কন্যাশিশু হত্যা হওয়ার মতো ভয়াবহ বাস্তবতা তুলে ধরেছে জাতিসংঘের নতুন গবেষ...
27/11/2025

বিশ্বজুড়ে ২০২৪ সালে প্রতি ১০ মিনিটে একজন নারী বা কন্যাশিশু হত্যা হওয়ার মতো ভয়াবহ বাস্তবতা তুলে ধরেছে জাতিসংঘের নতুন গবেষণা। এক বছরে প্রায় ৫০ হাজার নারী ও কন্যাশিশু নিহত হয়েছেন—এদের অধিকাংশই নিজের স্বামী, সহিংস সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন।

সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দেখা গেছে আফ্রিকা মহাদেশে, যেখানে শুধু ২০২৪ সালেই ২২,৬০০ নারী ও কন্যাশিশু পরিবার বা ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর হাতে নিহত হয়েছেন।

রাজনীতি, সাংবাদিকতা ও সামাজিক আন্দোলনে যুক্ত নারীরা আরও বেশি ঝুঁকিতে আছেন—তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও হত্যার ঘটনা দ্রুত বাড়ছে।

গবেষকদের সতর্কবার্তা: প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে, কারণ অসংখ্য হত্যাকাণ্ড রিপোর্টই হয় না।

সোর্স: আনাদোলু এজেন্সি।

নারী কর্মীরা এআই যুগে চাকরি হারানোর বেশি ঝুঁকিতে — নতুন গবেষণার সতর্ক বার্তাএআই প্রযুক্তির দ্রুত বিস্তারে কর্মক্ষেত্র বদ...
20/11/2025

নারী কর্মীরা এআই যুগে চাকরি হারানোর বেশি ঝুঁকিতে — নতুন গবেষণার সতর্ক বার্তা
এআই প্রযুক্তির দ্রুত বিস্তারে কর্মক্ষেত্র বদলে যাচ্ছে, আর এই পরিবর্তনের আঘাত সবচেয়ে বেশি পড়ছে নারী কর্মীদের ওপর। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পেশায় স্বয়ংক্রিয়তা সহজ—তার বেশিরভাগেই নারীর অংশগ্রহণ বেশি। ফলে এআই দ্বারা প্রতিস্থাপিত হওয়ার ঝুঁকিও তাদের তুলনামূলকভাবে বেশি।

আরও উদ্বেগের বিষয় হলো—জেনারেটিভ এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রেও লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য রয়েছে। নারীরা পুরুষদের তুলনায় প্রায় ২০% কম এআই টুল ব্যবহার করেন। এর ফলে তারা নতুন দক্ষতা অর্জন ও প্রযুক্তি-নির্ভর ভবিষ্যতের সঙ্গে তাল মেলানোর সুযোগ থেকেও পিছিয়ে পড়ছেন।

এটি শুধুই প্রযুক্তিগত বৈষম্য নয়—এটি কর্মক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা, ক্ষমতায়ন ও সমান সুযোগের প্রশ্ন। এখনই ব্যবস্থা না নিলে প্রযুক্তির অগ্রগতি নারীদের জন্য নতুন বৈষম্যের দরজা খুলে দিতে পারে।

👇👇👇🥸বাংলাদেশে এখন রাজনীতি নয়, চলছে নেতা পূজার মহা যজ্ঞ। ভোটাররা পাশে না থাকুক, তাতে কী—নিজেদের চারপাশে ‘হুজুর হুজুর’ আর ...
16/11/2025

👇👇👇🥸
বাংলাদেশে এখন রাজনীতি নয়, চলছে নেতা পূজার মহা যজ্ঞ। ভোটাররা পাশে না থাকুক, তাতে কী—নিজেদের চারপাশে ‘হুজুর হুজুর’ আর ‘স্যার স্যার’ বলে দলীয় পূজারি তো আছেই! যেন দেশ না চালিয়ে, একেকজন দেবতার মন্দির চালানো হচ্ছে।

এমন অবস্থা হয়েছে—
নীতির কথা বললে শত্রু, আর নেতার নামে স্তুতি গাইলে ঠিকই হয়ে যায় “বিশ্বস্ত কর্মী”!

জনগণের অধিকার, উন্নয়ন, জবাবদিহি—সব গেছে তলানিতে; এখন শুধু নেতা বন্দনা, পোস্টার টাঙানো আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সকাল–সন্ধ্যা “জয় হোক” লেখা—এটাই হলো সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক কর্মসূচি!

রাজনীতি যেখানে থাকা উচিত মানুষের পাশে, সেখানে এখন শুধু নেতা পূজার মিছিল—দেশের জন্য নয়, চেয়ার বাঁচানোর জন্য।

#নেতা_পূজা_রাজনীতি
#বাংলাদেশের_রাজনীতি
#চেয়ার_বাঁচানোর_উৎসব
#ভণ্ডামির_রাজত্ব
্চিত
#রাজনীতির_পতন
#ব্যক্তি_পূজার_রাজনীতি

সিরিয়ার ওপর থেকে সিজার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র সিনেট!দীর্ঘ এক দশকের অর্থনৈতিক অবরোধের অবসান—যুক্তরাষ্ট্র সিনেট ...
10/10/2025

সিরিয়ার ওপর থেকে সিজার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র সিনেট!

দীর্ঘ এক দশকের অর্থনৈতিক অবরোধের অবসান—যুক্তরাষ্ট্র সিনেট ভোট দিয়েছে সিরিয়ার ওপর আরোপিত ‘সিজার স্যাংশন’ সম্পূর্ণভাবে বাতিলের পক্ষে।
কোনো শর্ত ছাড়াই সব নিষেধাজ্ঞা স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী বছরের শুরু থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

সিরিয়ার কর্মকর্তারা একে বর্ণনা করেছেন—
🕊️ “একটি ঐতিহাসিক মোড় পরিবর্তন,” যা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির পুনর্গঠনের নতুন দুয়ার খুলে দেবে।

এখন বিলটি সিনেটের নিজস্ব সংস্করণে অনুমোদনের পর যাবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরের জন্য।

বাংলাদেশ: রাজনীতি, অর্থনীতি, ভূরাজনীতি ও নিরাপত্তার চলতি সপ্তাহের চিত্র।বাংলাদেশ বর্তমানে এক পরিবর্তনশীল সময় পার করছে। র...
02/10/2025

বাংলাদেশ: রাজনীতি, অর্থনীতি, ভূরাজনীতি ও নিরাপত্তার চলতি সপ্তাহের চিত্র।

বাংলাদেশ বর্তমানে এক পরিবর্তনশীল সময় পার করছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, ভূরাজনীতি, জাতীয় নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক বাণিজ্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ সামনে এসেছে। চলতি সপ্তাহে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো দেশের সামগ্রিক গতিপ্রকৃতি বোঝার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

রাজনীতি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় থাকলেও রাজনৈতিক উত্তেজনা স্পষ্ট।

জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে, যা ব্যয় সাশ্রয় নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

একইসাথে, ছাত্র আন্দোলন থেকে জন্ম নেওয়া নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় ক্ষমতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বিরোধী দল বিএনপি স্পষ্টভাবে বলেছে, নির্বাচন ২০২৫ সালের পর বিলম্বিত হলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে।

অর্থনীতি
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার।

চীনের সঙ্গে ২.১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ ও বিনিয়োগ চুক্তি দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিল্পায়নের নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

মোংলা বন্দর ও চট্টগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নে বড় প্রকল্প এগোচ্ছে।

তবে মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক বিনিয়োগের সীমাবদ্ধতা ও কর্মসংস্থানের চাপ এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।

বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সত্ত্বেও বাংলাদেশি পাসপোর্ট দুর্বল হওয়ায় অনেক দেশ প্রবেশাধিকার সীমিত করছে।

ভূরাজনীতি ও কূটনীতি
বাংলাদেশ এখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তির কূটনৈতিক ভারসাম্যে অবস্থান করছে।

ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক সমন্বয় করে চলার কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে।

চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পেলেও, এতে ভারত–চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঝে বাংলাদেশকে সাবধানে চলতে হবে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে এখন "দক্ষিণ এশিয়ার নতুন ভারসাম্যকারী শক্তি" হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

জাতীয় নিরাপত্তা ও সামরিক
"অপারেশন ডেভিল হান্ট" অভিযানে রাজনৈতিক সহিংসতা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে।

সীমান্ত অঞ্চলে মাদক ও চোরাচালান দমন বাড়ানো হয়েছে।

সামরিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নতুন সরকারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি মানবাধিকার ইস্যুতেও আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে।

চলতি সপ্তাহের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, অর্থনৈতিক উদ্যোগ, কূটনৈতিক তৎপরতা ও নিরাপত্তা কার্যক্রম সবকিছুই প্রমাণ করে যে বাংলাদেশ বর্তমানে একটি পরিবর্তনশীল অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। সামনে নির্বাচন, বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ—এসব ক্ষেত্রেই সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যেভাবে অতিমাত্রায় তোষামোদ ও ব্যক্তিপূজা চর্চা করা হয়, তা বিশ্ব রাজনীতিতে এক বিরল দৃষ্টান্ত—যে...
12/08/2025

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যেভাবে অতিমাত্রায় তোষামোদ ও ব্যক্তিপূজা চর্চা করা হয়, তা বিশ্ব রাজনীতিতে এক বিরল দৃষ্টান্ত—যেখানে নীতি ও আদর্শের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থের তেলচর্চা যেন মূলধারার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।

#রাজনীতি

প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে রাজনৈতিক নেতৃত্বের মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির আধুনিকায়ন।বর্তমান বিশ্ব এক বিশাল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ...
07/08/2025

প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে রাজনৈতিক নেতৃত্বের মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির আধুনিকায়ন।

বর্তমান বিশ্ব এক বিশাল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস (IoT), বিগ ডেটা ও ব্লকচেইনের মতো উদ্ভাবন বিশ্বব্যবস্থাকে নতুন আঙ্গিকে রূপ দিচ্ছে। আর এই পরিবর্তনের কেন্দ্রে রয়েছে তরুণ প্রজন্ম, যারা প্রতিনিয়ত নতুন প্রযুক্তির সাথে নিজেকে অভিযোজিত করছে এবং আধুনিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, দেশের অনেক প্রবীণ রাজনীতিক এখনো তাদের চিন্তাভাবনায় ব্রিটিশ-পাকিস্তান আমলের উপনিবেশিক ধ্যানধারণা বহন করে চলেছেন। এই প্রবণতা শুধুমাত্র সময়ের সাথে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাদৃশ্যহীনতাকেই তুলে ধরে না, বরং আগামী প্রজন্মের সঙ্গে একটি চিন্তার ফারাকও সৃষ্টি করে।

২০২৫ সালের বাস্তবতায় এসে রাজনৈতিক নেতৃত্বের উচিত হবে প্রযুক্তি-প্রবাহিত সমাজের প্রকৃত চাহিদা ও গতিপথ গভীরভাবে উপলব্ধি করা। একটি আধুনিক ও তথ্যভিত্তিক বিশ্বে নেতৃত্বের সাফল্য নির্ভর করে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রাসঙ্গিকতা, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও ভবিষ্যতবান্ধব চিন্তার ওপর।

তরুণ সমাজ এখন কেবল রাজনৈতিক বক্তব্য শুনে মুগ্ধ হয় না; তারা চায় সমাধান, স্বচ্ছতা এবং ভবিষ্যতের জন্য কার্যকর পরিকল্পনা। তাই নেতৃত্বের মানসিকতায় পরিবর্তন আনা এখন সময়ের দাবি। অভিজ্ঞতার পাশাপাশি প্রযুক্তি সম্পর্কে বাস্তব ধারণা, তথ্য বিশ্লেষণের সক্ষমতা এবং যুগোপযোগী চিন্তাভাবনাই একটি রাষ্ট্রের নেতৃত্বকে জনগণের আস্থার প্রতীক করে তোলে।

এই প্রেক্ষাপটে বলা যেতে পারে, শুধু প্রযুক্তির ব্যবহার নয়, প্রযুক্তির দর্শনকেও আত্মস্থ করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি এখন কেবল একটি খাত নয়, বরং এটি একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গির নাম, যেখানে জ্ঞান, গতিশীলতা এবং উদ্ভাবনই এগিয়ে যাওয়ার প্রধান শক্তি।

অতএব, রাজনৈতিক নেতৃত্বের উচিত হবে প্রযুক্তিনির্ভর বাস্তবতা সম্পর্কে গভীরভাবে সচেতন থাকা, এবং অতীতমুখী ভাবনা নয়, বরং ভবিষ্যতমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশের পথে এগিয়ে চলা।
✍️ Golb Uddin গোল্ব উদ্দীন

06/08/2025

ছাত্রসমাজের ঐক্যই একটি জাতির গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার মূল ভিত্তি। যখন এই ঐক্যে ফাটল ধরে, তখন দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়ে। আজ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কিছু গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের ছাত্রসমাজকে বিভক্ত করতে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ষড়যন্ত্রমূলক বিভেদ সৃষ্টি করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। দুঃখজনক হলেও সত্য—তারা অনেকখানি সফলও হয়েছে। এখনই সময়, ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে হবে, নইলে জাতীয় স্বার্থ চরমভাবে বিপন্ন হতে পারে।

Address

Link Road
Cox's Bazar
4701

Opening Hours

Monday 09:00 - 21:00
Tuesday 09:00 - 21:00
Wednesday 09:00 - 21:00
Thursday 09:00 - 21:00
Saturday 09:00 - 21:00
Sunday 09:00 - 21:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Golb Uddin গোল্ব উদ্দীন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share