25/07/2022
বর্তমানে প্রায় শোনা যায় গাভী ও ছাগলের বাচ্ছা হওয়ার সময় বিভিন্ন জটিলতা ও সমস্যার কথা। প্রিয় খামারি ভাই ও বোনেরা হোমিও 4 টি ঔষুধ সেবন করালে আপনার প্রিয় গবাদি পশুর ডেলিভারীর সমস্যা থেকে নিস্কৃতি পাবেন ইনশাআল্লাহ্।
(1) পালসেটিলা- 200 শক্তির এ ঔষুধটি গর্ভের বাচ্ছাকে সঠিক পজিশনে রাখতে ও সহজে গবাদি পশুর বাচ্ছা হতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে থাকে। এ ঔষুধটি গর্ভের বয়স যখন সাত মাস, তখন থেকে বাচ্ছা হওয়ার সময় পর্যন্ত প্রতিদিন সকালে 5 ফোটা করে সেবন করাতে হবে।
(2) বেলেডোনা- 200 শক্তির এ ঔষুধটি গর্ভের বয়স যখন 8-9 মাস, তখন ফাউল বা ফলস ব্যথা করে, সে কারনে গবাদি পশু পা ঝাড়া দেয়। এ ব্যথা দূর করতে ও বাচ্ছা ডেলিভরীর সময় হঠাৎ ব্যথা আসে আবার হঠাৎ ব্যথা থেমে যায়, সে ক্ষেত্রেও কাজ করে। গর্ভের সাত মাস বয়স থেকে বাচ্ছা হওয়ার সময় পর্যন্ত সপ্তাহে 1 বার 10 ফোটা করে সেবন করাতে হবে।
(3) জেলসেমিয়াম- 200 শক্তির এ ঔষুধটি গবাদি পশুর জরায়ুর মুখ খুলতে সাহায্য করে। গর্ভের বয়স যখন সাত মাস হবে, তখন থেকে বাচ্ছা হওয়ার দিন পর্যন্ত 10 ফোটা করে সপ্তাহে 1 বার সেবন করাতে হবে।
(4) চিকেলিকর- 200 শক্তির এ ঔষুধটি ও গবাদি পশুর জরায়ুর মুখ খুলতে সাহায্য করে। অনেক সময় দেখা যায়, কোন কিছুতেই জরায়ুর মুখ খুলছে না। অর্থাৎ জরায়ু শক্ত রবারের মতো টানলে লম্বা হয় না। সে ক্ষেত্রে এ ঔষুধটি সেবন করাত হয়। গর্ভের বয়স যখন সাত মাস হবে, তখন থেকে বাচ্ছা হওয়ার দিন পর্যন্ত 10 ফোটা করে সপ্তাহে 1 বার সেবন করাতে হবে।
উপরোক্ত 4 টি ঔষুধ সঠিক ভাবে সেবন করালে আপনার প্রিয় গবাদি পশু সহজেই বাচ্ছা প্রসব করবে ইনশাআল্লাহ্।