27/03/2025
ইন্টারনেটের শক্তি: ভবিষ্যৎ গড়ার চাবিকাঠি
বর্তমান বিশ্বে ডিজেল, পেট্রোল ও তেল একধরনের শক্তি, যা বিভিন্ন দেশকে ক্ষমতাশালী করেছে। সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, দুবাই—এমন অনেক দেশের সমৃদ্ধির মূল কারণ এই খনিজ শক্তি।
তবে শক্তির অন্যান্য উৎসের কথাও ভাবুন—গ্যাস, সূর্যের আলো, মাটি, পানি, বাতাস—এসব সবই প্রকৃতির দান। কিন্তু একমাত্র ইন্টারনেট এমন একটি শক্তি, যা মানুষ নিজের হাতে তৈরি করেছে, যা ভবিষ্যতের সবচেয়ে বড় শক্তি হয়ে উঠছে।
শক্তির রাজনীতি ও বাস্তবতা
আমরা দেখেছি, যারা তেলের খনি নিয়ন্ত্রণ করে, তারা বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হয়ে উঠেছে। আবার পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলো বিশ্বের রাজনৈতিক শক্তির নিয়ন্ত্রক। পারমাণবিক অস্ত্র যার হাতে, তার কথাই অনেকাংশে চলে।
ইন্টারনেটের বিপ্লব
কিন্তু আধুনিক বিশ্বে ইন্টারনেটের শক্তি প্রতিটি সেক্টর বদলে দিচ্ছে। দেখুন—
✅ মাইক্রোসফট: বিল গেটস ইন্টারনেটের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একজন হয়েছেন। ✅ আমাজন, আলিবাবা: ই-কমার্স বিপ্লব এনে দিয়েছেন জেফ বেজোস ও জ্যাক মা। ✅ গুগল, ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম: বিশ্বকে সংযুক্ত করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম, যা সম্পূর্ণ ইন্টারনেটনির্ভর। ✅ টেসলা, স্পেসএক্স, স্টারলিংক: এলন মাস্ক ইন্টারনেটের মাধ্যমে বৈপ্লবিক প্রযুক্তি সৃষ্টি করেছেন। ✅ এআই (Artificial Intelligence): ইন্টারনেটের মাধ্যমে এআই শক্তি এখন নতুন এক বিশ্ব গড়ছে।
ইন্টারনেট: সবচেয়ে কম খরচের শক্তি
বিশ্বের অন্যান্য শক্তিগুলোর তুলনায় ইন্টারনেট এমন একটি শক্তি, যা সবচেয়ে কম খরচে সবচেয়ে বড় কিছু তৈরি করার সুযোগ দেয়। যে কেউ চাইলেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারে, ব্যবসা গড়তে পারে, নিজের ভবিষ্যৎ বদলাতে পারে।
আপনি কি প্রস্তুত?
ভবিষ্যতে ইন্টারনেটের শক্তি আরও ব্যাপকভাবে বাড়বে। তাই আসুন, আমরা এখন থেকেই চিন্তা করি, পরিকল্পনা করি এবং ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে এমন কিছু তৈরি করি, যা শুধু আমাদের নয়, সারা বিশ্বের ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে!
আল্লাহ তায়ালা সূরা বাকারার ২৮৬ নম্বর আয়াতে বলেছেন—মানুষ যা করে, তাই সে পায়, এবং তার উপর ফিরে আসে সে যা করে।
অর্থাৎ, আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কোরআনের এই আয়াত নিশ্চিত করেছে যে, আল্লাহ আমাদেরকে বলে দিয়েছেন—তোমাকে মানুষ হিসেবে এমন একটি শক্তি দেওয়া হয়েছে, যা দিয়ে তুমি পৃথিবীতে যা কিছু করতে চাইবে, তাই তুমি পারবে। আবার পৃথিবীতে তুমি অন্যের সাথে যা করবে, ঠিক তুমি তার সাথে যা করেছ, ঠিক একই রকমভাবে তোমার সাথেও তাই ঘটবে।
আর সেজন্যই ডা. জাকির নায়েক সকল ধর্মের পাণ্ডিত্য অর্জন করার চেষ্টা করেছেন এবং তিনি পেরেছেন। বিল গেটস মাইক্রোসফট তৈরি করার চেষ্টা করেছেন এবং তিনি তৈরি করতে পেরেছেন। মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের নেতৃত্ব দেওয়ার চিন্তা করেছেন এবং তিনি তা করতে পেরেছেন। অ্যামাজন তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেই অ্যামাজন তৈরি হয়েছে। আলিবাবা তৈরি হয়েছে, গুগল তৈরি হয়েছে, ইউটিউব তৈরি হয়েছে, ইন্টারনেট তৈরি হয়েছে।
ঠিক একইভাবে আপনি যদি চান, আমি আপনাকে বলছি, হ্যাঁ, আপনাকে বলছি! আপনি তো স্মার্টফোন চালান, তাই না? এবং আপনার স্মার্টফোনে ইন্টারনেট আছে, তাই না? তার মানে, আপনার হাতে একটা শক্তি আছে—যে শক্তি ব্যবহার করে সারা বিশ্ব পরিবর্তন করা যায়!
এই চিন্তা কি কখনো আপনার মনে এসেছে?
ঠিক এখন থেকেই ভাবতে শুরু করুন—এই পৃথিবীতে মানুষের কল্যাণে, মানুষের জীবন সহজ করার জন্য কোন সমস্যাটি রয়েছে? সেই সমস্যাটি সমাধানের চিন্তা করুন! আর যদি সমাধানের পথ খুঁজে পান, তাহলে আপনার এই পথ হবে সারা বিশ্বের জন্য একটি বিপ্লব!
মার্ক জুকারবার্গ একজন মানুষ। একজন মানুষের সাথে আরেকজন মানুষের কানেক্টিভিটি অনেক কঠিন ছিল।
একটি মানুষ আরেকটি মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারত না। আপনার মনে আছে কিনা, একটা সময় ছিল চিঠির যুগ। একটি চিঠি পাঠালে এক মাস সময় লেগে যেত। অতিথি চিঠির উত্তর পাঠালে, সেটাও পৌঁছাতে অনেক দিন লেগে যেত।
অথচ এখন, আমরা মুহূর্তেই সারা বিশ্বে, যে যেখানেই থাকুক না কেন, একজন আরেকজনের সাথে সেকেন্ডের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারি।
মূলত মানুষের মধ্যে কানেক্টিভিটি তৈরি করা কঠিন ছিল—এটাই ছিল একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যার সমাধানের চিন্তা থেকেই ইন্টারনেট শক্তিকে ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে—
✅ ফেসবুক ✅ হোয়াটসঅ্যাপ ✅ মেসেঞ্জার ✅ ইমো ✅ ভাইবার ✅ আরো কত কিছু!
তাই এখন আপনার পালা—আপনি কী করতে যাচ্ছেন?