19/05/2024
নামাজের গুরুত্ব এবং ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হাদিস দেওয়া হলো:
হাদিস ১
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “নামাজ আমার চোখের প্রশান্তি।”
(সহীহ বোখারী)
হাদিস ২
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি: আল্লাহর একত্বের সাক্ষ্য দেওয়া, নামাজ কায়েম করা, যাকাত প্রদান করা, রোজা রাখা এবং হজ পালন করা।”
(সহীহ বোখারী, সহীহ মুসলিম)
হাদিস ৩
হজরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, “কেয়ামতের দিন বান্দার প্রথম যে কাজের হিসাব নেওয়া হবে, তা হলো নামাজ। যদি নামাজ ঠিক থাকে, তাহলে তার সমস্ত কাজ ঠিক হবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়, তাহলে তার সমস্ত কাজ নষ্ট হবে।”
(তিরমিজি, নাসাঈ)
হাদিস ৪
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে, সে আল্লাহর হেফাজতে থাকবে।”
(সহীহ মুসলিম)
হাদিস ৫
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “নিশ্চয়ই মুনাফিকদের জন্য সবচেয়ে কঠিন নামাজ হলো এশা এবং ফজরের নামাজ। যদি তারা জানত এই দুই নামাজের ফজিলত, তবে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও আসত।”
(সহীহ বোখারী, সহীহ মুসলিম)
হাদিস ৬
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং জুমার নামাজ এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং রমজান এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজান পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের কাফফারা, যদি বড় গুনাহ থেকে বাঁচা যায়।”
(সহীহ মুসলিম)
হাদিস ৭
হজরত ওসমান ইবনে আফফান (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি পবিত্রতা রক্ষা করে নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করবে, কেয়ামতের দিন তার জন্য আল্লাহর নিকট নিরাপত্তা, প্রমাণ এবং নাজাতের কারণ হবে।”
(ইবনে মাজাহ)
নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে এই হাদিসগুলো আমাদের বুঝিয়ে দেয় যে, নামাজ কায়েম করা শুধু একটি ধর্মীয় দায়িত্ব নয়, বরং এটি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বরকত বয়ে আনে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে নিয়মিত ও খুশুখুজু সহকারে নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন। আমিন।