09/07/2025
পুরুষরা যেই জায়গাটাতে সবচেয়ে বেশি যত্নে থাকে, সেই জায়গাটাকেই আগে ধ্বংস করে। আর সেটা হচ্ছে তার নিজের স্ত্রীর মন।
একটা তীব্র, তীক্ষ্ণ সত্য। যে সত্যটা অজস্র সংসারের গোপন কান্না। সমাজ যেটা দেখে না, শুনে না, কিন্তু প্রতিদিন একটা একটা করে ভেঙে যায় অগণিত নারীর ভেতরটা।
সংসার চালানো আর মন বোঝা এক জিনিস না।
সংসার চালানো মানে শুধু বাজার করা, বিল দেয়া নয়।
একটা মেয়ের ভেতরের ক্লান্তি, অব্যক্ত কথা, মনের খাঁজে জমে থাকা হতাশাগুলো বুঝে ফেলা — সেটাই প্রকৃত যত্ন।
যুগ বদলেছে, মানুষ বদলেছে, চাওয়া-পাওয়াগুলোও বদলেছে।
একটা স্ত্রীকে শুধুই দায়িত্ব পালনের মেশিন মনে করলে, তার মন একদিন ধ্বংস হবেই।
শুধু বেঁচে থাকলেই তো বেঁচে থাকা হয় না।
স্ত্রীর মনটা হচ্ছে শিশুর মতো
একটা মেয়ে যখন কাউকে ভালোবেসে জীবন দেয়, তখন সে শুধু সংসার করতে চায় না — সে চায় পাশে থেকে বোঝা হোক, তার দুর্বলতাগুলো আলিঙ্গন করা হোক, আর তার কষ্টগুলো ভাগ করে নেওয়া হোক।
কিন্তু কষ্টের কথা বললেই যদি তাকে বলা হয় “তুমি ড্রামা করো”, “তুমি অতিসেন্সিটিভ”, “তুমি বোঝো না”— তখন ধীরে ধীরে সে নিঃশব্দ হয়ে যায়।
কি করা উচিত?
• শুনুন, বোঝার চেষ্টা করুন: স্ত্রী কাঁদছে মানে সে শুধু কাঁদছে না, তার একটা মন আছে যা হয়তো বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।
• তুলনা বন্ধ করুন: নিজের মা, বোন, বা অন্য কারো সাথে স্ত্রীকে তুলনা করা মানে তাকে অপমান করা।
• সময় দিন: ফোনের স্ক্রিনে চোখ রেখে নয়, তার চোখের ভাষা পড়ার চেষ্টা করুন।
• স্বীকৃতি দিন: ছোট ছোট কৃতজ্ঞতাগুলো বলুন — “তুমি যা করো, তা আমি দেখি”, “তোমার জন্যই আমার দিনটা সহজ হয়”।
সবচেয়ে মজবুত সম্পর্কগুলো ধ্বংস হয় ‘নিরব অবহেলা’ দিয়ে।পুরুষেরা সত্যিই যত্ন করে, কিন্তু সেই যত্ন যদি বোঝার অভাবে আঘাত হয়ে যায়, তবে স্ত্রী নামের নারীর মনটা সবচেয়ে বড় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
জানি না সবাই বুঝবে কিনা, কিন্তু একজন স্বামী যদি একটিবার স্ত্রীর চোখে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে — সে বুঝবে, কতটা মনোযোগ আর মমতা চেয়েছিল সেই মনটা, যেটাকে সে নিজের ভাবত।
আপনাদের জীবনের এমন কোন ঘটনা কি আছে? আপনি কি সেই স্ত্রীর জায়গায় ছিলেন? নাকি স্বামী হিসেবে এখন কিছুটা অনুশোচনায় ভুগছেন?
কমেন্টে জানাতে পারেন। কথা বললে বোঝা ভাগ হয়।
মনটাই তো শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে প্রিয় থাকার জায়গা হওয়া উচিত।