Arwa's Lifestyle

  • Home
  • Arwa's Lifestyle

Arwa's Lifestyle Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Arwa's Lifestyle, Video Creator, .
(1)

Arwa's lifestyle is provide viral related videos or travelling videos,nice movement videos,memorable videos,cooking videos,everybody follow the page.checking my videos.

28/06/2025

লাকসাম নবাব ফয়জুন্নেছা জমিদার বাড়ি জাদুঘর।

৪ বছরের দোয়া কবুল।খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছে আমার।আমার হাসবেন্ড কাউন্সিলর পদে নিবার্চনে দাড়াবে,তাই আমার ভোটার আইডি কার্ড ম...
13/06/2025

৪ বছরের দোয়া কবুল।

খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছে আমার।আমার হাসবেন্ড কাউন্সিলর পদে নিবার্চনে দাড়াবে,তাই আমার ভোটার আইডি কার্ড মন গড়া করে ফেলছে।তখনো বুঝতে পারিনি এটা কত বড় ভুল করছে।যখন জায়গা কিনে নিজের নামে দলিল করতে পারিনি।এরপর বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করানোর সময় আইডি কার্ড চায় আমি দিতে পারিনি।স্যারদের বুঝিয়ে ভর্তি করালাম।এদিকে আল্লাহর কাছে চাইতে শুরু করলাম আল্লাহ যাতে আমার আইডি কার্ডের বিষয়টা সঠিক করে দেয়।এর মধ্যে অনেকবার আইডি কার্ড জন্য কম্পিউটার দোকানে নিয়ে সঠিক করার জন্য এপ্লাই করি কিন্তুু বারবার উপর মহল থেকে ডিক্লাইন করে দেয়।এবং একপর্যায়ে কম্পিউটার দোকানদার বলে আপনার এটা কখনোই হওয়া সম্ভব না।বলে রাখা ভালো আমার সার্টিফিকেট ও আমার জন্ম তারিখ ভুল আসছে।সাটিফিকেট ঠিক করতে হলে আইডি কার্ড লাগে।এরপর আমি কলেজ থেকে সাজেশন পাই আইডি কার্ডের জন্য আমাকে কোড এফিডেভিট করতে হবে।তাহলে আমার আইডি কার্ড ঠিক করাটা সহজ হয়ে যাবে।এরপর আমি ৫ হাজার টাকা দিয়ে কোট এবিডিবিট করি।এরপর নির্বাচন অফিসে গিয়ে আমার কাগজপত্র শো করি।তারাও আমার কাগজপত্র ডিক্লাইন করে দেয়।এদিকে আমি খুবই আপসেট।সামনে মেয়ে ক্লাস নাইনে উঠবে তখন আইডি কার্ড লাগবেই।এখন তো আমি ভুল আইডি কার্ড দিতে পারিনা।রাতদিন আমাকে এই নিয়ে টেনশন করতে হতো।আর যখন মনে হতো তখনি আল্লাহর কাছে বলতাম আল্লাহ আমার আইডি কার্ডের বিষয়টা একটা ভালো ফয়সালা করে দাও।এরপর মোনাজাতে তো বলতাম।এ আইডি কার্ডের জন্য তাহাজ্জুদ,সালাতুল হাজত নামাজ পড়েও বলতাম।এরপর প্রতি রমজানে ইফতার করার আগে মোনাজাতে চাইতাম।নিজে নিজে অনেকবার নির্বাচন অফিসে গিয়ে ঠিক হওয়ার জন্য সকল কাগজপত্র শো করতাম।কিন্তু উনারা বারবারই আমাকে হতাশ করে দিত,আমার এ কাগজ কখনোই ঠিক হবে না।এরপর আমি এক কম্পিউটার দোকানে গিয়ে বলেছিলাম যে এটা ঠিক করতে, ইলিগ্যাল কোন পদ্ধতি আছে কিনা?উনারা বলেছে আছে তবে প্রায় এক-দেড় লাখ টাকা লাগতে পারে। তাও সিউর না।আমার ছোট ভাই ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ে,সে একদিন আমাকে বলল ইউনিভার্সিটির একটা বড় ভাই আছে,উনার রেফারেন্স কাগজপত্র ঠিক করা যেতে পারে।কিন্তু তাও হল না।এরপর আমার ভাই ও নির্বাচন অফিসে যাওয়া শুরু করেছে ও প্রায় ৫/৬ বার গেছে।ওর বড় ভাইয়ের পরিচয় দিছে ইভেন সকল কাগজপত্র দেখিয়েছে। তারপর হচ্ছে আমাদের পরিবারের সবাই আমরা নির্বাচন অফিসে গিয়েছি,আমি যে আমার মায়ের সন্তান তা প্রমাণ করার জন্য।আমার আইডি কার্ডে আমার বয়সটা ভুল ছিল প্লাস হচ্ছে আমার মায়ের নামটা ভুল আসছে। যার কারনে আমার আম্মুর হাতের লেখা চিঠি পর্যন্ত শো করেছে।কারণ আমার আম্মুর নাম ছিল ফেরদৌসী আক্তার নাসরিন আইডি কার্ডের নাসরিন কবির উঠে গেছে তাই।ভাগ্য ভালো যে আব্বুকে লিখা একটা চিঠি আমার আম্মু রেখে দিয়েছিল।যেটার মধ্যে নাম ছিল নাসরিন কবির।এরপর সৌদিতে থাকার সময় আব্বু আমাকে বার্ডে উইশ করে সৌদি পত্রিকাতে আমার ছবিসহ দিয়েছিল।ঐটাও আমি রেখে দিয়েছি।সব কিছু উনাদের কে দেখালাম কাবিননামাসহ।এরপর অফিসার ভালো কোন রিপোর্ট দেয় নাই।শুধু লিখেছিল যে স্যার আপনার যদি,মনোপুত হয় তাহলে অ্যাপ্রুভ করে দিবেন।এরপর ছোট ভাইয়ের ভার্সিটির বড় ভাই নির্বাচন অফিসে কাজ করে ঢাকাতে।উনার রেফারেন্স দিলাম।এরপর নিজের এলাকার নির্বাচন অফিসে অফিসাররা আমার কাগজপত্র পাঠিয়ে দেয়।তখন আমার ছোট ভাই গিয়ে ঢাকা নির্বাচন অফিসে গেলে ওর ভার্সিটির বড় ভাই দেশের বাইরে ঘুরতে যান।যার কারণে আমার আইডি কার্ড টা অ্যাপ্রুভ হয়নি। আবারও হতাশ হয়ে পড়লাম। এরপর আমার ভাই আবারও আমাদেরকে বলে,আপনার নির্বাচন অফিসে আবারো যান।কাগজপত্র গুলো শো করেন।তখন আমরা যখন নির্বাচন অফিসে যাই।অফিসার তখন আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে,একটা করে দরখাস্ত নিয়ে গেছে। মানে আমি আমার বাবা-মার ফ্যামিলির সন্তান আমার ভাইয়ের বোন,আমার বোনের বোন,এগুলো প্রমাণ করার জন্য।প্রত্যেকটা দরখাস্ত আমার কাছ থেকে নিয়েছে।এরপরও উনারা কাবিননামা চাইছে বাট কাবিননামর ফটো কপি আমরা শো করলাম। উনারা বলতেছে কাবিননামা সঠিক না।ওখানে দু'রকম হাতের লেখা ছিল, আসলে একজনেরই হাতের লেখা ছিল কিন্তু এক সাইডে মোটা আর এক সাইডে চিকন।এরপর আমিও নির্বাচন অফিস স্যারকে রিকোয়েস্ট করলাম,স্যার আমার বাচ্চা ক্লাস নাইনে উঠেছে,আইডি কার্ড যদি সঠিক না হয়,তাহলে ফরম ফিলাপ করতে পারবে না। এদিকে আমি দোয়া-দুরুদ পড়তেছি যাতে আজকেই হয়ে যায়।এরপর অফিসার বলছে ঠিক আছে আমি কাগজপত্র পাঠিয়ে দিচ্ছি আপনার ভাইকে বলেন ওর ভার্সিটির বড় ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করতে। এরপর আমার ভাই আবার নির্বাচন অফিসে যায় গিয়ে শুনে উনি এখনো দেশ আসেনি। ছোট ভাই মাকে ফোন দিয়ে বলতেছে,আজকে যদি আইডি কার্ড হয় হবে,আর না হলে এটার পিছনে আর সময় দিতে পারবে না।আমার আম্মু আমাকে ফোন দিয়ে বলতেছে দোয়া কর, যাতে আজকেই আইডি কার্ড ঠিক হয়ে যায়।তখন আমি আমার একটা রুমে দরজা আটকে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়েছি এদিকে ইফতারের টাইম খনি আসতেছে ঐদিন আমি ইফতারও বানাইনি। দুরুদ শরীফ পড়তেছি হাজার ৫ হাজার হয়ে গেছে।এরপর আমি মোনাজাত করলাম,মোনাজাতে আল্লাহর কাছে অনেক কান্নাকাটি করতেছি এবং আল্লাহকে রীতিমতো ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করলাম,(ব্ল্যাকমেইল শব্দটা অন্য ভাবে নেওয়ার দরকার নাই)আল্লাহকে বলতেছি আল্লাহ তোমার রাসূলের দুরুদের দোহাই দিয়ে বলতেছি,আল্লাহ তুমি আজকে আমার আইডি কার্ড ঠিক করে দাও। এরপর মোনাজাত শেষ করে লম্বা একটা সেজদায় পড়ে গেলাম এবং সেজদার মধ্যেও আল্লাহর কাছে দোয়া করতেছি,আর বলতেছি আল্লাহ আমার সেজদা উঠানোর আগে ভালো একটা নিউজ আমাকে দিও।হঠাৎ করে মোবাইলের মেসেজ বেজে ওঠে,আমি আস্তে করে সেজদা থেকে উঠলাম।উঠে মেসেজে দেখি আমার আইডি কার্ড ঠিক হয়েছে।সাথে সাথে আমার ভাইয়ের ফোন আইডি কার্ডের মেসেজ আসছে?আমি বলছি হুম আসছে সব ভুল সঠিক হয়ে গেছে আলহামদুলিল্লাহ।আমি তখন আরেকটা সেজদা দিয়ে অনেক কান্না করলাম।সেদিন সারাদিন আমার খুশিতে কান্না আসছে।আল্লাহ এভাবেই আমার দোয়া কবুল করছে।এ জন্য দোয়া করতে কখনো ক্লান্ত হওয়া যাবে না। আল্লাহর কাছে চাইতে থাকুন ইনশাআল্লাহ আল্লাহ এ ভাবেই একদিন দোয়া কবুল করবে।মনে মনে ভাবলাম নবীজির দরুদের উসিল আল্লাহর এই অশেষ রহমত আমি দেখলাম।বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা এই কথাটা আমি বললে এখনো আমার কান্না চলে আসে।চাওয়ার মত চাইলে আল্লাহ সবকিছুই দিয়ে দেয়।

✍️উম্মে হাবিবা।

আমেরিকায় এই টুকু পেয়ারা পাতার দাম ৪০০ টাকার+ । এতে এটা ভালোভাবেই বুঝা যায় যে আপনি যে স্থানে আছেন সেখানে আপনি মূল্য না...
08/06/2025

আমেরিকায় এই টুকু পেয়ারা পাতার দাম ৪০০ টাকার+ । এতে এটা ভালোভাবেই বুঝা যায় যে আপনি যে স্থানে আছেন সেখানে আপনি মূল্য না পেলে অবশ্যই আপনার স্থান পরিবর্তন করা উচিত। এই পাতা আমেরিকায় ইমপোর্ট করার সিস্টেম জানার দরকার । কোটি কোটি টাকার সম্পদ আমাদের পেয়ারা বাগান 😁😁

চোখ দুটো একটু হালকা করে বন্ধ করে দেখেন।
29/05/2025

চোখ দুটো একটু হালকা করে বন্ধ করে দেখেন।

ঈমান হোক পর্বতসম, নিয়ত হোক স্বচ্ছ(একটি সত‍্য ঘটনা)একজন লিবিয়ান যুবক, নাম তার আমের, সৌদি আরব যাচ্ছিল হজ করার জন্য।যেইমাত...
28/05/2025

ঈমান হোক পর্বতসম, নিয়ত হোক স্বচ্ছ
(একটি সত‍্য ঘটনা)
একজন লিবিয়ান যুবক, নাম তার আমের, সৌদি আরব যাচ্ছিল হজ করার জন্য।
যেইমাত্র সে এয়ারপোর্টে পৌঁছালো, তার নাম নিয়ে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত একটি সমস্যা দেখা দিল।
নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা তাকে বলল:
“একটু অপেক্ষা করো, আমরা চেষ্টা করছি সমস্যাটা সমাধান করতে।”
এই সময়ে অন্য সব হাজিরা তাদের প্রক্রিয়া শেষ করে প্লেনে উঠে পড়ল, আর প্লেনের দরজা বন্ধ হয়ে গেল।
কিছুক্ষণ পর সমস্যা ঠিক হয়… কিন্তু পাইলট দরজা খুলতে রাজি হল না। প্লেন চলতে শুরু করল এবং আমেরকে ফেলে রেখে উড়ে গেল!
অফিসার তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল:
“মন খারাপ কোরো না, হয়তো এটা তোমার কপালে ছিল না।”
কিন্তু আমেরের ছিল অটল বিশ্বাস। সে উত্তর দিল:
“আমার নিয়ত হজের, ইনশাআল্লাহ আমি যাবোই।”
হঠাৎ… খবর এলো, প্লেনটিতে যান্ত্রিক সমস্যা হয়েছে এবং তা ফিরে আসছে!
প্লেন ফিরে এলো, মেরামত করা হলো… কিন্তু তাও পাইলট আমেরের জন্য দরজা খুলতে রাজি হল না।
অফিসার আবার বলল:
“হয়তো তোমার ভাগ্যে নেই।”
কিন্তু আমের ছিল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, স্থির ও দৃঢ়চেতা। সে বলল:
“আমার নিয়ত হজের, ইনশাআল্লাহ আমি যাবোই।”
প্লেন আবার উড়ে গেল… কিছুক্ষণ পর আরেকটি খবর এলো:
প্লেনে আবারও সমস্যা হয়েছে!
এবার নিজেই পাইলট বললেন:
“আমি আর উড়ব না, যতক্ষণ না আমের প্লেনে ওঠে।”
শেষ পর্যন্ত… আমের প্লেনে উঠল, সৌদি এয়ারপোর্ট থেকে সে একটি ভিডিও করল —
তার আনন্দ ছিল বর্ণনার বাইরে!

“আল-কাহّহার” — এটি আল্লাহর সুন্দর নামসমূহের একটি।
এর অর্থ:
তিনি কারণগুলোকেও পরাস্ত করেন।
আপনার জন্য সব নিয়ম ভেঙে দিতে পারেন, কেবল আপনাকে সন্তুষ্ট করার জন্য।

তাই “কীভাবে”, “কখন” — এসব নিয়ে বেশি চিন্তা কোরো না…
যতক্ষণ তোমার বিশ্বাস থাকে যে আল্লাহ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান,
বিশ্বাস করো…
তিনি পরিস্থিতি উল্টে দেবেন, তোমার পথ সহজ করে দেবেন,
এমনকি অসম্ভবকেও বাস্তবে রূপ দেবেন।
শর্ত একটাই:
নিয়ত হোক পবিত্র, আর ঈমান হোক অটল।
Collected

20/05/2025

ঈদের মেকআপ ডান।🤘👍

゚ #

এক ভদ্রমহিলা একটি মাংস সরবরাহ কারখানায় চাকরি করতেন। একদিন তিনি ডিউটি শেষ করে মাংস সংরক্ষণ হিমাগারে কোনো একটি বিষয় পরীক্ষ...
16/05/2025

এক ভদ্রমহিলা একটি মাংস সরবরাহ কারখানায় চাকরি করতেন। একদিন তিনি ডিউটি শেষ করে মাংস সংরক্ষণ হিমাগারে কোনো একটি বিষয় পরীক্ষা করার জন্য ঢুকলেন। তখন আকস্মিকভাবে হিমাগারের দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তালাবদ্ধ হয়ে গেল এবং ভদ্রমহিলা ভিতরে আটকে পড়ে গেলেন।

মহিলা সেখান থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে সাহায্যের জন্য চিৎকার শুরু করলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার চিৎকারের শব্দ হিমাগারের বাইরে কারো কানে পৌঁছাল না।

এদিকে সন্ধ্যা নামার পর একে একে অফিসের সবাই বেরিয়ে গেল। মহিলা একাকী অন্ধকার হিমাগারে আটকা পড়ে থাকলেন।

এভাবে প্রায় পাঁচ ঘন্টা পার হয়ে গেল এবং মহিলা যখন ঠান্ডায় একেবারে মৃতপ্রায়, ঠিক তখন ফ্যাক্টরির নিরাপত্তা প্রহরী হিমাগারের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলেন। বলা যায়, সে রাতে ভদ্রমহিলা প্রায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন।

বাইরে বের হয়ে উষ্ণ পরিবেশে কিছুটা ধাতস্থ হয়ে ভদ্রমহিলা নিরাপত্তা প্রহরীকে জিজ্ঞাসা করলেন, "ওই সময়ে আপনি হিমাগারের দরজা খুলতে গেলেন কেন? ওটা তো আপনার রুটিন ওয়ার্কের অংশ ছিল না।"

তখন নিরাপত্তা প্রহরী বললেন, "আমি বিগত ৩৫ বছর যাবৎ কারখানার প্রবেশ দ্বারে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত আছি। প্রতিদিন শত শত লোক এই কারখানায় কাজে আসে, কাজ শেষে ফিরেও যায়। এত বছরে এত লোকের মধ্যে একমাত্র আপনিই প্রতিদিন সকালে কারখানায় প্রবেশকালে আমাকে হাত তুলে 'হ্যালো' বলেন এবং সন্ধ্যার পর কাজ শেষে ফিরে যাবার সময় হাসিমুখে আমাকে 'গুড বাই, আবার কাল দেখা হবে' বলে বেরিয়ে যান। অন্য সবাইকে দেখে মনে হয় আমি বোধহয় কোন অদৃশ্য বস্তু। কেউ আমাকে কোনদিন দেখতেই পায় না!

আজও রোজকার মতো সকালে আপনি আমাকে 'হ্যালো' বলে কারখানায় ঢুকলেন। সন্ধ্যার পর একে একে সবাই কাজ শেষে বেরিয়ে গেল। আমি ভাবলাম গেট বন্ধ করে তালা লাগিয়ে বিশ্রাম নেব। হঠাৎ মনে হলো, কি ব্যাপার, যে ভদ্রমহিলা আমাকে 'গুড বাই , আবার কাল দেখা হবে' বলে বেরিয়ে যায় তাকে তো আজ বের হতে দেখলাম না।

প্রথমে ভাবলাম হয়তো কোনো কাজে আপনার বিলম্ব হচ্ছে, তাই গেট বন্ধ না করে প্রায় ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করলাম। তারপরেও যখন আপনাকে বের হতে দেখলাম না, তখন কৌতূহলবশত সারা কারখানার আনাচে কানাচে প্রতিটি জায়গায় খুঁজে কোথাও না পেয়ে কেমন একট ভয় মিশ্রিত সন্দেহ হলো। তখনই আমি হিমাগারের দরজা খুলে আপনাকে মেঝের উপর পড়ে থাকতে দেখলাম।

সত্যি বলতে কি, আমি প্রতিদিন মনে মনে সকালে 'হ্যালো' এবং সন্ধ্যায় 'গুড বাই' এই শব্দ দুটো শোনার অপেক্ষায় থাকি। কেননা ওই শব্দ দুটিই আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে, আমিও একজন মানুষ!"

অস্থির এক সময় পার করছি আমরা। সবাই যার যার মতো ব্যস্ত। কেউ জানে না আগামীকাল কার জন্য কি অপেক্ষা করছে! তাই প্রতিদিন যাদের সাথে আপনার দেখা হয়, তাদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখার চেষ্টা করুন

গাছ কাটার কড়াতে লেগে কব্জির উপরে কেটে সম্পূর্ণ হাত আলাদা হয়ে মাটিতে পড়ে যায়.....কুমিল্লা বরুড়া উপজেলা ধানুয়া বাজার হরিশপ...
14/05/2025

গাছ কাটার কড়াতে লেগে কব্জির উপরে কেটে সম্পূর্ণ হাত আলাদা হয়ে মাটিতে পড়ে যায়.....
কুমিল্লা বরুড়া উপজেলা ধানুয়া বাজার হরিশপুর এলাকার নুমান হোসেনের
হাত গাছ কাটার কড়াতে লেগে কব্জির উপরে কেটে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে এলাকাবাসী হাতটি পলিথিন পেছিয়ে রোগীসহ দ্রুত কুমিল্লা শহরে নিয়ে আসেন। ঢাকায় নিয়ে অপারেশন করাতে অনেক দেরি হয়ে যাবে ভেবে দ্রুত কুমিল্লার একদল চিকিৎসক কুমিল্লাতেই হাত পূনরায় রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়। দীর্ঘ ৪ঘন্টা অপারেশনের পর রোগীর হাত জোরা দেওয়া সম্ভব হয়। এখন রোগীর হাতে রক্তচলাচল স্বাভাবিক।একটু একটু হাত নাড়াতেও পারে,আলহামদুলিল্লাহ।
রোগী ও রোগীর স্বজনরা ডাক্তারদের কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ধন্যবাদ সহকারী অধ্যাপক ডা. কামরুল মামুন স্যার
প্লাস্টিক সার্জন, ময়নামতি মেডিকেল কলেজ, ডা.সাইফ মাহমুদ স্যার (অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ) এবং উনাদের টিম এই অপারেশনটি করেন।
অপারেশনটি হয়েছে কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারে।

ইনকামে বরকত পাচ্ছিনা এই অভিযোগ নিয়ে একদিন আমার এক প্রিয় উস্তাযের (মেন্টর) কাছে গেলাম। আমার এই উস্তাযের কথা আমি আরো একবার...
12/05/2025

ইনকামে বরকত পাচ্ছিনা এই অভিযোগ নিয়ে একদিন আমার এক প্রিয় উস্তাযের (মেন্টর) কাছে গেলাম। আমার এই উস্তাযের কথা আমি আরো একবার লিখেছিলাম। কোনো কিছু নিয়ে দ্বিধান্বিত-কনফিউজড কিংবা অশান্তিতে থাকলে তার সাথে কথা বললে এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি আমি পাই।

তো একবার এইরকম একটা ডাউট নিয়ে আমি মেন্টরের সাথে দেখা করলাম।

আমাকে দুধ এবং চিনি ছাড়া স্রেফ গরম পানিতে ডুবানো একটা টি প‍্যাক এগিয়ে দিয়ে বললেন-তানভীর, আছো কেমন?
আমি কিছুটা আড়ষ্টতা নিয়ে তাকে বললাম, কনফিউজড উস্তায!

তিনি আমার চেহারার দিকে গভীর ভাবে তাকালেন, মিনিট খানেক। তারপর চায়ে চুমুক দিয়ে বললেন-কি নিয়া পেরেশানিতে আছো?
আমি তার আরো একটু সামনে এসে নিচু কন্ঠে বললাম-উস্তায, আমার ইনকাম নিয়া আমি দ্বিধায় আছি। আমি সৎ পথে উপার্জন করি। পেশাগত কাজে পারলে ২০০ ভাগ নিবেদন দিয়ে কাজ করি। তারপরও কেন জানি এতো বছর কাজ করার পরও আমার মনে হয়ে যে আমার উপার্জনে কোনো বরকত পাচ্ছিনা।

উস্তায মন দিয়ে আমার কথা শুনলেন, তারপর জিজ্ঞেস করলেন
-কেন তোমার এমন মনে হচ্ছে?
আমি এবার বললাম, যে আমার সেভিংস হচ্ছেনা। প্রতিবছর যেমন আয় বাড়ছে, তেমনি খরচও বাড়ছে।

উস্তায আবার কী মনে করে যেন আমার ডান হাতটা তার হাতে নিলেন। তারপর আবার গভীর ভাবে আমার কপাল আর চোখের দিকে তাকালেন। প্রশ্ন করলেন
-কিসের খরচ বাড়ছে তোমার?
-এই ‍যেমন বাচ্চাদের এডুকেশন-ওদের স্কুলের বেতন, ওদের টিচারদের বেতন, কিছু অস্বচ্ছল আত্নীয় স্বজনদের খরচ।
-কোন স্কুলে পড়ে তোমার বাচ্চারা?
-আমি স্কুলের নাম বললাম।

-তানভীর, তুমি কি মনে করো, শুধু ব‍্যাংকে জমা বাড়া মানেই আয়ের বরকত?
আমি আমতা আমতা করি।
-এই যে তুমি সেরা একটা স্কুলে তোমার বাচ্চাদের পড়াতে পারছ, এটা কি বরকত নয়? কয়জন বাবা-মা এরকম ভালো স্কুলে তার বাচ্চাদের পড়াতে পারছে?
হ‍্যাঁ, তা তো ঠিক। আমি মাথা নাড়ি।
-তোমার বাচ্চারা কেমন? ওরা কি উচ্ছৃংখল? তোমাদের কথা বার্তা শোনেনা?
-না, না উস্তায। খুব লক্ষি বাচ্চা ওরা।
-এটা কি বরকত নয়, তানভীর?
-জি, অবশ‍্যই।
-বিগত ৫/৭ বছরে তোমার পরিবারে কেউ বড় রকম অসুস্থ হইছে? বা তুমি নিজে?
-না উস্তায, আল্লাহর রহমতে কেউ ওরকম সিরিয়াস অসুস্থ হয়নাই। আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়েছিল, আল্লাহর রহমতে দ্রুত সুস্থ হয়ে গেছে।
-হাসপাতালে ভর্তি করাতে হইছিল?
-না উস্তায, আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়েছে।
-এই যে তোমরা সুস্থ আছো, এটা কি বরকত না, তানভীর? আমার
Cp
Tanvir Shahriar Rimon

সূত্র  বানানোর আগে ভাঙলে কি হইতো।🙄🙄
12/05/2025

সূত্র বানানোর আগে ভাঙলে কি হইতো।🙄🙄

🥰📣 জীবনের পথে চলতে হলে…চারপাশে অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হবে, অনেক রকম কথা কানে আসবে, কখনো কখনো আপনাকে ভিড় ঠেলে এগোতেও হবে...
27/04/2025

🥰📣 জীবনের পথে চলতে হলে…
চারপাশে অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হবে, অনেক রকম কথা কানে আসবে, কখনো কখনো আপনাকে ভিড় ঠেলে এগোতেও হবে। এমন সময় আপনি যা করবেন তা হলো—ইগনোর। কারণ জীবনে কিছু মানুষ থাকবে, যাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো আবর্জনা ছড়ানো, অন্যের জীবনে বিষ ঢালা।
লাইফ আপনার—চয়েস ও ডিসিশনও আপনার।
নেগেটিভিটি যেখানেই দেখবেন, সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন। এটা দুর্বলতা নয়, বরং নিজের মানসিক শান্তির প্রতি দায়িত্বশীল থাকা।
খারাপ লাগলেও এটা সত্যি—আপনি যাদের বন্ধু ভাবেন, তাদের অনেকেই আপনার পতন দেখতে চায়। সহানুভূতির মুখোশ পরে তারা সুযোগ খুঁজে বেড়ায় আপনাকে আঘাত করার।
তাদের সেই সুযোগটা দেবেন না। অপ্রয়োজনীয় তর্কে যাবেন না, কারো কিছু বোঝাতে যাবেন না। কেউ যদি আপনাকে মূর্খ বলে, হেসে বেরিয়ে আসুন। এতে আপনি সময়, এনার্জি আর মানসিক শান্তি—সবই বাঁচাবেন।
আপনার রেসপন্সই আপনার শক্তি।
যারা জীবনটা সত্যি বোঝে, তারা জানে কাকে রেসপন্স দিতে হয় আর কাকে এড়িয়ে যেতে হয়।
সমালোচনার মধ্যে না ডুবে গিয়ে ভালো কিছু করুন—
একটা ভালো বই পড়ুন
প্রিয়জনের সাথে সময় কাটান
ঘর সাজান
রংতুলি দিয়ে ক্যানভাসে মনের কথা ফুটিয়ে তুলুন
সিনেমা দেখুন, গান শুনুন
ছবি তুলুন, ব্যায়াম করুন, গাছ লাগান
কিংবা একটুখানি চুপ করে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে সংযোগ গড়ুন
নিজেকে বাঁচান অপ্রয়োজনীয় মানুষের আগ্রাসন থেকে।
আপনার জন্য আসল মানুষগুলোকে চিনে নিন—পরিবার, কাছের কিছু বন্ধুবান্ধব, যাদের সামনে আপনি আয়নার মতো স্বচ্ছ হতে পারেন। তাদের সঙ্গেই আপনার মনের কথাগুলো ভাগ করুন, কারণ তারা আপনার ভালোটা চায়। বাকি দুনিয়াকে জঞ্জাল ভাবুন, এবং দরকার হলে ঝেড়ে ফেলুন।
সবশেষে, মনে রাখবেন—
জীবন অনেক সুন্দর। পৃথিবীও অনেক সুন্দর। পথে চলতে গিয়ে আগাছা আর কাঁটাঝোপ থাকবেই, কিন্তু আপনাকেই বেছে নিতে হবে কোনটা পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাবেন।
সব কথার উত্তর দিতে নেই, সবকিছুর প্রতিক্রিয়াও দিতে নেই।
নিজেকে প্রমাণ করার দরকার নেই, শুধু নিজের পথে স্থিরভাবে এগিয়ে যান।

Arwa's Lifestyle

আচ্ছা বলুন তো, কোনো মানুষের সফল বা ব্যর্থ হওয়ার পিছনে Root Factor হিসেবে কাজ করে কোনটা। তার জিন (Gene), তার শৈশব, সে কীভ...
27/04/2025

আচ্ছা বলুন তো, কোনো মানুষের সফল বা ব্যর্থ হওয়ার পিছনে Root Factor হিসেবে কাজ করে কোনটা। তার জিন (Gene), তার শৈশব, সে কীভাবে বেড়ে উঠেছে, তার পরিবেশ, নাকি অন্য কিছু?

এগুলোর কোনটাই না। আসল Root Factor হলো তার নিজের নেয়া ছোট ছোট কিছু চয়েজ।

এই পুরো পৃথিবীতে শুধুমাত্র একটাই জিনিস আছে যেটা যদি আমরা চাই তাহলে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। সেটা হচ্ছে আমাদের চয়েজ। আর এই চয়েজগুলোই আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ ঠিক করে দেয়।

আপনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে অফিস থেকে ফেরার পর জিমে যেতে পারেন বা সোফাতে শুয়ে টিভিও দেখতে পারেন। আপনি যদি চান কোনো কারণে আপনার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হওয়ার পর সবকিছু ভুলে তাকে জড়িয়ে ধরতে পারেন বা আপনার ইগোকে প্রশ্রয় দিয়ে তার সাথে দূরত্ব তৈরি করতে পারেন।

এরকম ছোট ছোট চয়েজগুলোই আপনার সবকিছুর গতিপথ নির্ধারণ করে — আপনি সারাজীবন সুস্থ্য থাকবেন নাকি রোগ বয়ে বেড়াবেন, আপনি একটা দীর্ঘ এবং মধুর সম্পর্ক পাবেন নাকি আপনার ছেলেমেয়েকে জবাব দিতে হবে কেন তার মাকে আপনি ডিভোর্স দিয়েছিলেন।

কিন্তু আমরা এরকম ছোট ছোট চয়েজগুলোতে বেশি মন দিই না। আমি বিষয়টি ব্যাখ্যা করছি। ধরুন আমি আপনাকে এখন দুটো অপশন দিলাম :

১. আপনাকে ১ টাকা দেব যেটা আগামী ১ মাস প্রতিদিন দ্বিগুণ হবে, অথবা

২. এখনই আপনাকে একবারে ১০ কোটি টাকা দিয়ে দেব।

আপনি এর মধ্যে কোন অফারটি নিতে পছন্দ করবেন?

বেশিরভাগ মানুষই, হয়তো প্রায় সবাই ২ নাম্বার অপশন অর্থাৎ ১০ কোটি টাকাই নেবে। আচ্ছা, আমি ১ নাম্বার অফারটা নিলাম। এবার দেখা যাক ১ মাস পর এর আউটকাম কী আসে।

৫ দিন পর আমার কাছে আছে ১৬ টাকা আর আপনার কাছে ১০ কোটি। ১০ দিন পর আমার কাছে আছে ৫১২ টাকা আর আপনার কাছে সেই ১০ কোটি। ২০ দিন পর আমার কাছে ৫,২৪,২৮৮ আর আপনার কাছে সেই ১০ কোটি টাকা। আপনি ভাবছেন আমি কত বড় বোকা, তাইনা?

এবার দেখা যাক ৩১ দিন পর কার কাছে কত টাকা আছে। আপনার কাছে আছে এখনো সেই ১০ কোটি, কিন্তু আমার কাছে আছে ১০৭,৩৭,৪১,৮২৪ অর্থাৎ ১০৭ কোটি টাকা, যেটা কিনা আপনার থেকে ১০ গুণ বেশি।

সাকসেস জিনিসটাও ঠিক এই প্যাটার্নটাই ফলো করে। যে ব্যক্তি ছোট ছোট চয়েজগুলো সঠিকভাবে নেয় সে ৩১ মাস পর রাতারাতি সাফল্য অর্জন করে।

আরো সহজভাবে বোঝানোর জন্য রাজীব, সাগর এবং আকাশ নামের তিন বন্ধুর উদাহরণ দেওয়া যাক। তিনজনই একই রকম পরিবেশে বড় হয়েছে, একই জায়গায় থাকে আর ইনকাম মোটামুটি একই। আর হ্যাঁ, ধরা যাক তিনজনেরই বিয়ে হয়ে গেছে এবং সবারই স্ত্রীর সাথে একটু মনোমালিন্য চলছে।

নতুন মাস বা বছরের শুরু থেকে রাজীব সবসময় যা করে সেটাই করতে থাকল, কারণ তার মনে হলো সে এটাতেই খুশী আছে। সে কিছুটা খুঁতখুঁতে টাইপের, অর্থাৎ অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ানো তার স্বভাব। আগের মতোই সে সবার ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করে যেতে লাগল।

আরেক বন্ধু সাগর তার জীবনে কিছু ছোট ছোট Insignificant Negative Change আনা শুরু করল। যেমন :

১. প্রতিদিন জাংকফুড খাওয়া।
২. কাজের চাপের অজুহাতে ব্যয়াম না করা।
৩. প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার সময় ১ বোতল কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়া।
৪. টিভিতে ফেভারিট শো দেখার জন্য ইভিনিং ওয়াক বন্ধ করে দেওয়া।
৫. সময়ের অভাবের অজুহাতে অফিসিয়াল যোগাযোগ কমিয়ে দেওয়া।
৬. এছাড়া ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে সে স্ত্রীর সাথে বাইরে যাওয়াও বন্ধ করে দিল।

অন্যদিকে, আকাশ একটি Daily Checklist বানিয়ে নিজের মধ্যে কিছু ছোট ছোট Insignificant Positive Change আনা শুরু করলো। যেমন :

১. প্রতিদিন ঘুমানোর আগে একটা ভাল বইয়ের ১০ পৃষ্ঠা পড়া।
২. প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার বা ফেরার সময় গাড়িতে বসে বা সুবিধামতো সময়ে ৩০ মিনিট কোনো মোটিভেশনাল ভিডিও দেখা।
৩. নিজের ডেইলি ডায়েট প্ল্যান থেকে ১২৫ ক্যালরি কমালো।
৪. প্রতিদিন এক্সট্রা অন্তত ২ লিটার পানি খাওয়া।
৫. সকালে ১ কিলোমিটার হাঁটা।
৬. ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িত প্রতিদিন অন্তত এমন ২/৩ জনকে ফোন দিয়ে খোঁজখবর নেয়া বা সম্পর্কোন্নয়ন।
৭. নিজের স্ত্রীকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহে ১ দিন ঘুরতে যাওয়া।

পরবর্তী ৫ মাসে ৩ বন্ধুর মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য দেখা গেল না। ১০ মাস পরেও একই। এবার আকাশ একটু একটু হতাশ হতে লাগল। কেননা এখনো সে কোনো পজটিভ রেজাল্ট দেখতে পায়নি। তবুও সে কোনোরকমে জেদ ধরে তার অভ্যাসগুলো চালিয়ে গেল। অপরদিকে, সাগর কম কাজ করে জীবনকে উপভোগ করতে থাকল। আর রাজীবও খুশিতেই আছে।

কিন্তু ২৫ মাস পর হঠাৎই এদের মধ্যে বড় পার্থক্য দেখতে পাওয়া গেল, আর ২৭ মাস পর সেটা আরো স্পষ্টভাবে ফুটে উঠল। এবং ৩১ মাস পর পার্থক্যগুলি বিশাল আকারে দৃশ্যমান হলো।

রাজীব এখন সবার ব্যাপারে আরো বেশি অভিযোগ করে। সে বেশিরভাগ সময়ই নিজেকে বোরিং এবং উদ্দেশ্যহীন অনুভব করে।

সাগর রোজ একটু একটু জাংকফুড খেয়ে এবং জিম বাদ দিয়ে ১৫ কেজি ওজন বাড়ালো, সাথে নানান রোগব্যাধি। যোগাযোগ কমিয়ে দেয়ার ফলে বিজনেসের অবস্থাও খারাপ হতে লাগল। ফলস্বরূপ আর্থিক অবস্থাও বাজে হয়ে গেল। সেই সাথে স্ত্রীর সাথেও সম্পর্ক আরো অবনতি হয়ে ডিভোর্সের পর্যায়ে চলে গেল। অর্থাৎ ৩১ মাস ধরে ছোট ছোট Negative change-গুলো একটি ভয়াবহ ফলাফল এনেছে।

এবার আসা যাক আকাশের ব্যাপারে। এই ৩১ মাসে সে প্রায় ৫০ টি বই এবং ৪৬৫ ঘন্টা মটিভেশনাল ভিডিও দেখে নিয়েছে যেটাতে তার জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা দুটোই আগের থেকে অনেকগুণ বেড়ে গেল। প্রতিদিন ১২৫ ক্যালরি কমিয়ে আর ১ মাইল হেঁটে ১৫ কেজি ওজন কমাল যে কারণে সে এখনো আগের মতই স্লিম আর হ্যান্ডসাম। প্রতিদিন মাত্র ২ লিটার পানি খেয়ে সে মোট ২ হাজার লিটার পানি খেয়ে নিল যা কিনা তার ভেতরের অনেক রোগের বেড়ে ওঠা কমিয়ে দিল। আর প্রতিদিন মাত্র দুইটা ফোন করে সে মোট ১৮০০ কল দিল যাতে সম্পর্ক ভালো হলো, ফলে বিজনেসও বাড়তে থাকল। সপ্তাহে মাত্র একদিন স্ত্রীকে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে মোট ১২৪ টা ডেট করে ফেলল, যাতে স্ত্রী সাথে তার সম্পর্কটাও মজবুত হলো।

কিন্তু!

যদি সাকসেস পাওয়া এতোটাই সোজা হয় আর আমরা সবাই প্রসেসটাও জানি, তাহলে কেন আমরা এই সূত্রটা ফলো করতে ব্যর্থ হই?

৪টি ফাঁদ আছে যার কারণে আমরা ব্যর্থ হই বা ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারি না।

১. ভাবুন যদি আপনি আজ একটা বার্গার খান আর পরদিন সকালে ১৫ কেজি ওজন বাড়িয়ে ঘুম থেকে ওঠেন তাহলে কি আপনি কোনোদিন বার্গার খেতেন? অথবা আজ একটি সিগারেট খেলে পরদিন দেখেন আপনার গলায় ক্যান্সার হয়েছে তাহলে কি আপনি কখনো সিগারেট খাওয়ার সাহস করতেন? কিন্তু সমস্যাটা হলো শুরুতে কোনো পরিবর্তনই চোখে ধরা পরে না। কিছু মাস বা কিছু বছর পর হঠাৎ যেন রাতারাতি কিছু ভয়ানক ফলাফল সামনে এসে যায়, যতক্ষণে সেটাকে আটকানোর আর সুযোগ থাকে না। এই ফাঁদ থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে সবসময় এটা মনে রাখতে হবে, Every choice you make ignites a butterfly effect। মানে আপনার বেছে নেওয়া ক্ষুদ্র চয়েজগুলো ভবিষ্যতে এক বৃহদাকার প্রভাব সৃষ্টি করে।

২. নিউইয়র্কগামী কোনো বিমান যদি ১ ডিগ্রিও Off route হয়ে যায় তো সেই প্লেন লস এঞ্জেলস থেকে ১৫০ মাইল দূরে অন্য কোনো দ্বীপে গিয়ে ল্যান্ড করবে। এবার আপনি ভাবুন যদি আপনিও নিজের জীবনে শুধুমাত্র ১ ডিগ্রি Off route হয়ে যান ১০ বা ১৫ বছরের জন্য, তাহলে জীবনের কোথায় গিয়ে ল্যান্ড করবেন! এটা থেকে বাঁচার জন্য একটা গাইডলাইন থাকা খুবই দরকার। যেমন একটা Daily checklist, যেটা একটা ফুটপ্রিন্টের মতো আপনাকে On track থাকার জন্য সাহায্য করবে। যদি আপনি কোনো কারণে কিছুদিনের জন্য Off track হয়েও যান তখন এই চেকলিস্টটা আপনাকে On track-এ ফিরে আসার জন্য অনেকটাই সাহায্য করবে।

৩. আপনার কাছে দুটো অপশন আছে, ডিনারের পর আপনি একটা হট চকলেট কেক খেতে পারেন অথবা শুধু ১ গ্লাস পানি। আপনি পানি বেছে নিলেন আর আপনার একটা বন্ধু নিলো কেক। বন্ধু খুব আনন্দে ওই কেকটাকে আপনার চোখের সামনে মজা করে খেতে লাগল। আর এদিকে আপনি শুধু পানি খাচ্ছেন যেটার এতটুকুও স্বাদ নেই। তখন কেমন লাগবে আপনার?

এটাই ফাঁদ!

যদি আপনি শর্ট টার্মে দেখেন তাহলে কোনো ভাল চয়েজ বেছে নিলে তাতে আপনি কিছুই পান না, কিন্তু যদি একটা খারাপ চয়েজকে বেছে নেন তাহলে আপনি অনেক খুশী আর মজা লাভ করেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে স্বল্পমেয়াদী আনন্দ দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা সৃষ্টি করে এবং স্বল্পমেয়াদী ব্যথা দীর্ঘমেয়াদী আনন্দ সৃষ্টি করে।

জীবনে একটা কষ্ট তো আপনাকে করতেই হবে, আপনি এটাকে এড়িয়ে যেতে পারবেন না। এই কষ্ট দুই ধরনের হয় : নিয়মশৃঙ্খলার কষ্ট এবং আফসোস বা অনুশোচনার কষ্ট। নিয়মশৃঙ্খলার কষ্টের ওজন শুধু কয়েক গ্রাম এবং কিছুদিনের, যেখানে অনুশোচনার কষ্টের ওজন কয়েক টন এবং আজীবনের।
এবার চয়েজ আপনার।

৪. Checklist মেনে চলা, প্রতিদিন অতিরিক্ত দুই বোতল পানি খাওয়া, ১ মাইল হাঁটা — এইসব কাজ করা একদিক থেকে খুবই সহজ আবার আরেক দিক থেকে মুশকিলেরও। কারণ কেউই নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে বাঁধা থাকতে পছন্দ করে না। শুধুমাত্র একটা জিনিস এরকম আছে যেটা সফল এবং ব্যর্থ দু'ধনের লোকের মধ্যেই কমন; তাদের কেউই ভালো চয়েজটা মন থেকে বেছে নেয় না।

হ্যাঁ এটাই সত্যি!

হট চকলেট কেকের পরিবর্তে শুধু স্বাদহীন পানি খেতে কেউই ভালবাসে না, কিন্তু সাকসেসফুল লোকেরা তাও যেকোনভাবে তাদের Will Power বা নিজের Why Power-কে কাজে লাগিয়ে সেই কাজটা করে যায়। যেমনটা মোহাম্মদ আলী বলেছেন, আমি ট্রেনিংয়ের প্রতিটা মিনিটকে ঘৃণা করতাম, কিন্তু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়াটাকে ভালোবাসতাম। অর্থাৎ মানুষ সফল হতে চায় কিন্তু সাফল্য লাভের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করতে হয় সেটা করতে রাজি নয়। এই ফাঁদ থেকে বাঁচার জন্য আপনার ওই Why-টাকে খুঁজে বের করতে হবে। এই Why যত শক্তিশালী হবে আপনিও ততটাই শক্তিশালী হবেন। এখন সিদ্ধান্ত আপনার আপনি কোনটা করবেন।

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Arwa's Lifestyle posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Arwa's Lifestyle:

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share