খুতবা

খুতবা আল্লাহর সাথে নিজের মনের দুঃখ গুলো প্রকাশ করতে শিখুন।

01/04/2023

শায়খ আল্লামা ড. সাইফুল আজম বাবর আযহারী ওয়াজ।

08/01/2023

প্রতিদিন তিনজনের গিবত করলে, ৬০ বছর হায়াত পেলে, রোজ কেয়ামতে ৬৫,৭০০ জন লোক আমার বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে মকদ্দমা লড়বে, নাউযুবিল্লাহ।

—শায়েখ আতিক উল্লাহ (হাফিঃ)
"তোমরা অন্যের দোষ খোঁজাখুঁজি করো না, একে অন্যের অনুপস্থিতিতে দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করো না।" (সূরা হুজুরাত : ১২)

08/01/2023

হাজেরা (আ.) চেয়েছিলেন তৃষ্ণা মেটাবার জন্য একটু পানি, মহান রব্বুল আলামীন দিয়েছেন জমজম কুপের খনি!

আল্লাহর কাছে চান, চাইতেই থাকেন.. তিনি অবশ্যই আপনাকে দেবেন, অবশ্যই দেবেন যা আপনার জন্য কল্যানকর ইন শা আল্লাহ!

"তোমরা আমার কাছে দোয়া করো। আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব।" (সূরা মুমিন, ৬০)

"যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কিছু চায় না, আল্লাহ তার ওপর রাগ হন।" (তিরমিজি, ৩২৯৫)

"সবচেয়ে হতভাগ্য মানুষ হল সে- যে দোয়া করতে অলসতা করে।" (তাবারানি, ৬০)

08/01/2023

কুড়িয়ে পাওয়া জীবন
ঈমানি ঝাঁকি
এখন প্লাস্টিকের বয়ামে ঝালমুড়ি পাওয়া যায়। কাল ঝালমুড়ি খাওয়ার সময় দেখা গেল, লবণগুলো সব তলায় চলে গেছে। উপরের মুড়িগুলো পানসে লাগছিল। বয়ামকে ওলটপালট করে ঝাঁকি দিতেই তলানির লবণ উপরে উঠে এসেছে। খাবারের স্বাদও ফিরে এসেছে।
ঈমানের অবস্থাও এমন। পরিবেশের প্রভাবে তলানিতে চলে যায়। কোনো কারণে ঝাঁকি খেলে ঈমান তাজা হয়ে ওঠে। ঝাঁকিটা কখনো বিপদের কারণে লাগে। কখনো নসিহত শুনে লাগে। কখনো অন্য কোনো কারণে লাগে। এজন্য নিয়মিত ঝাঁকির ব্যবস্থা রাখা জরুরী।
ঈমানি ঝাঁকি আসতে পারে, সৎসঙ্গের মাধ্যমে, ভাল কিছু পড়ার মাধ্যমে, ভালো কিছু শোনার মাধ্যমে। শিক্ষণীয় কোনো দৃশ্য দেখার মাধ্যমে।
রাব্বে কারীম আমাদের ঈমানকে হামেশা তাজাদম রাখুন। আমীন।

08/01/2023
30/12/2022

পথচলতে, গাড়িতে, বাড়িতে অযাচিত গানের আওয়াজ ভেসে এলে কানে আঙুল দেয়া সুন্নত (আবু দাউদ: ৪৯২৪)।
নবীজি সা. এমন করতেন।

08/11/2022

*বিয়েতে আল্লাহর সাথে নাফরমানী এর তালিকাঃ

১. বলা হলো নিজে গিয়ে মেয়ে দেখতে, আমরা শুরু করলাম সবাই মিলে দেখতে!

২. বলা হলো মেয়ে দ্বীনদার কি না দেখতে, আর আমরা শুরু করলাম মেয়ে সুন্দর কি না দেখতে!

৩. বলা হলো ছেলের দ্বীনকে প্রাধান্য দিতে, আর আমরা শুরু করলাম ছেলের টাকা-পয়সাকে প্রাধান্য দিতে!

৪. বলা হলো নিজের পছন্দ মতো মেয়ে দেখে বিয়ে করতে, আর আমরা শুরু করলাম অন্যের মন রাখতে !

৫. বলা হলো মেয়ের মতামত নিয়ে বিয়ে দিতে, আর আমরা শুরু করলাম নিজের ইচ্ছাতে বাধ্য হয়ে বিয়ে দিতে!

৬. বলা হলো কম খরচে বিয়ে করতে, আর আমরা শুরু করলাম আনুষ্ঠানিকতার নামে টাকা অপচয় করতে!

৭. বলা হলো মসজিদে বিয়ে করতে, আর আমরা শুরু করলাম সেন্টারে শুটিং করে বিয়ে করতে!

৮. বলা হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিয়ে করতে, আর আমরা শুরু করলাম নিজের স্বার্থের জন্য বিয়ে করতে!

৯. বলা হলো ছেলে পক্ষ ওয়ালীমা করে মানুষকে খাওয়াতে। আমরা শুরু করলাম মেয়ের বাবার উপর জুলুম করে খাইতে!

১০. বলা হলো স্ত্রীর মোহরানা পরিশোধ করতে, আর আমরা শুরু করলাম যৌতুক নিতে!

১১. বলা হলো দ্রুত বিয়ে করতে, আমরা শুরু করলাম পিছিয়ে বিয়ে দিতে!

১২. বলা হলো বিয়েকে সহজ করতে, আমরা শুরু করলাম কঠিন করতে!

১৩. বলা হলো নতুন বউকে দেখে দু'আ করতে, আমরা শুরু করলাম হাতে টাকা ধরিয়ে দিতে!

১৪. বলা হলো স্বামীকে সম্মান করতে, আর আমরা শুরু করলাম নিজের ইচ্ছাতে নিয়োজিত করতে!

১৫. বলা হলো স্ত্রীকে ভালোবাসতে, আমরা শুরু করলাম শালীর সাথে মিশতে!

১৬. বলা হলো স্ত্রীর সাথে সুন্দর করে কথা বলতে, আমরা শুরু করলাম দাসীর মতো আচরণ করতে!

১৭. বলা হলো দেবর থেকে দূরে থাকতে, আমরা শুরু করলাম দেবরের সাথে ফাজলামিতে মেতে উঠতে!

১৮. বলা হলো স্বামীর জন্য সাজতে, আমরা শুরু করলাম রাস্তার ছেলের কামনার বস্তু হতে!

১৯. বলা হলো স্ত্রীকে পর্দায় রাখতে, আমরা শুরু করলাম তাকে নিয়ে বাজারে বেড়াতে!

২০. বলা হল সামর্থ্যহীন দ্বীনদার পুরুষগণ ফেতনা হতে বাঁচতে কলমা (ইজাব-কবুল) করে রাখবে, আর আমরা শুরু করলাম engagement / Registry ( হিন্দুয়ানী প্রথা) করে রাখতে।

আরো এইরকম হাজার ঘটনা আছে যা আমরা সব সময় উল্টো টা করেই থাকি। আমাদের কারনেই বিয়ে দিন দিন কঠিন হয়ে গেছে, বিয়েতে বরকত কমে গেছে, সংসারে অশান্তি লেগেই থাকে। দিন দিন বাড়ছে তালাকের সংখ্যা তার কারণ আমরা বিবাহে সুন্নাত থেকে সরে যাচ্ছি....

আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দান করুক..©

23/10/2022

ব্যাকরণবিদ বিবি!
আলেম স্বামীর ইচ্ছা জাগল, তার বিবিকে আলেমা বানাবেন। বাসার পাশে মহিলা মাদরাসায় ভর্তি করিয়ে দিলেন। নিজেও সময় দিতে লাগলেন। অল্প দিনেই বিবিসাব ভালো অগ্রসর হলেন। আরবি ভাষার প্রথম ধাপ বেশ ভালভাবেই উতরালেন। নাহু-সরফের মৌলিক যোগ্যতাও হল। কুরআন তরজমাও কিছুটা শিখলেন।
জুমার দিন হুজুর জুমা পড়াতে যাবেন। জুমার দিনের যাবতীয় সুন্নত ও এদিনের ‘বিশেষ সুন্নত’ আদায় করলেন। মসজিদে যাওয়ার আগে স্ত্রীকে বিদায়ী সালাম দিয়ে বের হওয়ার আগে বললেন: (أنا أحبك) আমি আপনাকে ভালোবাসি।
কথাটা শুনে স্ত্রীর মুখে কেমন যেন ছায়া ঘনাল। এমন সোহাগমাখা কথা শুনে যেমনটা উচ্ছ্বসিত হওয়ার কথা, স্ত্রী তার ধারেকাছেও গেলেন না। উল্টো কেমন মুখ ভার করে রান্না ঘরের দিকে চলে গেলেন। খতিব সাহেবের কাছে বিবির আচরণ কেমন বেখাপ্পা ঠেকলও আপাতত কিছু করার নেই। জুমার দিন জুমা শেষ করা পর্যন্ত মনে এক ধরণের চাপা উত্তেজনা বিরাজ করে। অন্য কোনো দিকে মনোযাগ দেয়া যায় না। হুজুর মসজিদে চলে গেলেন।
জুমার পর ঘরে এসে দেখলেন বিবিজির মন ভার। পাশে বসিয়ে জানতে চাইলেন,
-আমার বিবি সাহেবের মন খারাপ কেন? আমার কোনো ভুল হয়েছে? আমার কোনো কথায় কষ্ট পেয়েছেন?
-কষ্ট পাওয়ার মতো কথা বললে, কে কষ্ট না পায় বলুন?
-ইন্নালিল্লাহ, কষ্ট পাওয়ার মতো কথা বলেছি? কখন? কীভাবে?
-আপনি বলেছেন ((أنا أحبك) আনা উহিব্বুকি। আমি আপনাকে ভালোবাসি। তার মানে আপনি শুধু আমাকেই ভালোবাসেন না। গোপনে অন্য কাউকেও ভালোবাসেন।
-কীভাবে বুঝলেন?
- ভুলে যাবেন না, আমি এখন আরবি ভাষা জানি। নাহু-সারফও বুঝি। আসুন বিস্তারিত বুঝিয়ে দিচ্ছি। আপনি বলেছেন (أنا أحبك)।
আনা (أنا) মুবতাদা।
উহিব্বু (أحب) ফেলে মুদারে মারফু বিদদম্মা।
ফেলের মধ্যে সুপ্ত (ضمير مستتر) যমিরে ‍মুসতাতির ফায়েল।
কাফে খেতাব মাফউলূন বিহি।
স্বামী জুমা পড়িয়ে এসেছেন। পেটে প্রবল ক্ষুধা। এর মধ্যে ইলমুন নাহুর এমন বিশুষ্ক কচকচানিতে থাকতে না পেরে বলে উঠলেন,
-তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকেও ভালোবাসি এটা কীভাবে বুঝলেন?
-আপনি বলেছেন (أنا أحبك)। আপনি মাফউলে বিহিকে ফেলের পরে এনেছেন। এমনটা তো সবাই করে। আপনি যদি শুধু আমাকেই ভালোবাসতেন, তাহলে সূরা ফাতিহার মতো মহব্বত প্রকাশ করতেন।
স্বামী বেচারা অবাক। ১৪-১৫ বছর পড়াশোনা করেও, সূরা ফাতিহায় স্বামী-স্ত্রীর মহব্বত নিয়ে কিছু বলা হয়েছে, এমনটা কখনো শুনেছেন বলে মনে পড়ছে না।
-সূরা ফাতিহার মতো মহব্বত মানে?
-আপনি নিশ্চয়ই গোপনে বিয়ে করে ফেলেছেন। নইলে যদি শুধু আমাকেই ভালোবাসতেন, তাহলে সূরা ফাতিহার মতো করে বলতেন। সূরা ফাতিহাতে আছে, ইয়্যাকা নাবুদু, ওয়া ইয়্যাক নাসতাঈন (إِیَّاكَ نَعۡبُدُ وَإِیَّاكَ نَسۡتَعِینُ) হে আল্লাহ, আমরা শুধু আপনারই ইবাদত করি। আমরা শুধু আপনার কাছেই সাহায্য চাই। এখানে মাফউলকে মুকাদ্দাম (অগ্রবর্তী) করার কারণে, কসর ও হাসর সৃষ্টি হয়েছে। শুধু আল্লাহরই ইবাদত করি আর শুধু আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাই, অন্য কারো কাছে চাই না- এই ভাবটা প্রকাশ পেয়েছে।
আপনি যদি শুধু আমাকেই মহব্বত করতেন, গোপনে আরো বিয়ে না করতেন, তাহলে বলতেন ইয়্যাকি উহিব্বু (إياكِ أحب) শুধু আপনাকেই মহব্বত করি।
বিবির কথা শুনে হুজুরের মুখ হাঁ।
ক্ষুধাও পালিয়ে গেছে।

© Atik Ullah

20/10/2022

Ya Makkah

13/10/2022

সৈয়দ মোকারম বারী বাংলা ওয়াজ
Sayeed Mokarambari Bangla waz

10/10/2022

হজের মওসুম। তীব্র ভীড়ে এক পাশে দাঁড়িয়ে এক নারী কান্নাভেজা কণ্ঠে ‘খালিদ খালিদ’ করে ডাকছেন। ছেলেটা হারিয়ে গেছে। একজন বলল, নেকাব তুলে দিন না, ছেলেটা দূর থেকে দেখতে পেলে ফিরে আসবে।
-নেকাব খুলে ‘হায়া’ খোয়ানোর বেদনার চেয়ে সন্তান হারানোর কষ্টই বেশি সহনীয়।

~ Atik Ullah

09/10/2022

--কি চমৎকার সমাধান!!
🌻"যখন আমি কষ্ট পাই,,
কোরআন বলেঃ--"নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে!""
---------[সূরা ইনশিরাহ]

🌻"যখন আমি সুখ চাই,,
কোরআন বলেঃ--"আল্লাহ কষ্টের পরেই সুখ দিবেন! ""
--------[সূরা তালাকঃ-০৭]

🌻"যখন আমি প্রিয় জিনিস টা পেলাম না,,
কোরআন বলেঃ--"তোমরা হয়তো এমন জিনিস পছন্দ কর, যা তোমাদের জন্য অকল্যাণ কর!! ""
---------[সূরা বাক্কারাঃ-২১৬]

🌻" যখন আমি বিচার চাই,,
কোরআন বলেঃ--" আপনি ধৈর্য ধারণ করুণ যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ বিচার না করেন ""!!
--------[সূরা ইউসুফ ঃ-১০৯]

🌻" যখন আমি কষ্ট সহ্য করতে চাই না,,
কোরআন বলেঃ--" যারা ইমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, আর আমি কাউকে তার সামর্থ্য এর অতিরিক্ত দায়িত্ব অর্পণ করি না। তারা হচ্ছে জান্নাতবাসী সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। ""
--------[সূরা আরাফঃ-৪২]

🌻" যখন আমি আল্লাহর সাহায্য চাই,,
কোরআন বলেঃ-" ভেঙে পড় না, নিরাশ হইও না, আল্লাহর সাহায্য আসবেই এটা আল্লাহর ওয়াদা। জেনে রেখ আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে। ""
---------[সূরা বাক্কারাঃ-২১৪]

🌻" যখন আমি ধৈর্য ধারণ করি,,
কোরআন বলেঃ-"যারা সবরকারী তারা পুরুষ্কার পায় অগণিত ""।
--------[সূরা যুমারঃ১০]

🌻" যখন আমি হতাশায় থাকি,,
কোরআন বলেঃ-"আল্লাহর উপর ভরসা কর, যদি তোমরা বিশ্বাসী হও"।
--------[সূরা মায়িদাঃ-২৩]

🌻"যখন আমি তাওবা করি,,
কোরআন বলেঃ--"আল্লাহ তাওবা কবুলকারী, করুণাময় ""!
--------[সূরা তাওবাঃ-১০৪]

🌻" যখন আমি নিরাশ হই,,
কোরআন বলেঃ-"একমাত্র কাফির ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না""!
--------[সূরা ইউসুফঃ-৮৭]

🌻" অবশ্যই তুমি পাবে যা তোমার থেকে চলে গেছে, তার চেয়েও উত্তম ""!!
--------[সূরা আনফালঃ-৭০]

🌻" যখন আমি ভালো কিছু করি,,
কোরআন বলেঃ-"উত্তম কাজের প্রতিদান, উত্তম ছাড়া আর কী হতে পারে?""""
--------[সূরা আর রহমানঃ-৬০]

🌻" যখন আমি বিপদে পড়ি,,
কোরআন বলেঃ-" আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করবো কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি এবং ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।
---------[সূরা বাক্কারাঃ-১৫৫]

🌻" খুব শীগ্রই তোমার রব তোমাকে এতো দেবে যে, তুমি খুশি হয়ে যাবে ""!
-------[সূরা আদ-দুহা :০৫]

✨💙সুবহান আল্লাহ💙✨

09/10/2022

একজন পাকিস্তানি যাদুকরের কনফেশনঃ
আমি মাঝে মাঝে কিছু জ্বীনদের পাঠাতাম যখন কেউ আমার কাছে অন্যের বিরুদ্ধে কালু জাদু করতে আসত। জ্বীনদেরকে বিভিন্ন খারাপ কাজের জন্য পাঠানো হত, যেমন কারো বাড়ির শান্তি অস্থিতিশীল করার জন্য, কারো অসুস্থতা সৃষ্টি করতে অথবা কারো মস্তিষ্ক এবং মেজাজ খিটখিটে করার জন্য। মাঝে মাঝে কারো উপর জ্বীন চালনা করা হলে কখনো কখনো জ্বীনেরা ফিরে এসে আমাকে বলত যে তারা কাউকেই সেখানে দেখতে পায়নি, আবার কখনো কখনো তারা বলত যে তারা শুধু তাদের কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছে কিন্তু তবুও কাউকে দেখতে পাচ্ছে না।

তখন আমি আফারিত দের (ইফ্রিদ) পাঠাই, যাদের ক্ষমতা জ্বীনদের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং তারাও একই অজুহাত দিয়ে ফিরে আসত।

এরপর আমি জ্বীনদের আবারও পুনরায় যাদের বিরুদ্ধে তাদেরকে পাঠানো হয়েছিলো তাদের নাম, জায়গার ঠিকানা এবং কোন অবস্থানে আছে সেটি বলি। এবং তারা উত্তর দেয় যে হ্যাঁ আমরা আপনার বলে দেয়া জায়গাতেই গিয়েছিলাম কিন্তু তাদের খুঁজে পাই নি!
আমি তখন অনুধাবন করতে পেরেছিলাম যে, ওইসব লোকদের সুরক্ষার স্তর, তাদের চারপাশের সুরক্ষা বেস্টনি বেশ মজবুত।
আবার এমন কিছু লোক আছে যাদের আদৌ কোনো সুরক্ষা নেই, এদের কালো জাদু দিয়ে শিকার করা এবং ইচ্ছেমতো কালো জাদুতে আক্রান্ত করা আমার জন্য খুব সহজ।

যাদেরকে আফারিত (ইফ্রিদ) পর্যন্ত খুজে পায় না সেসব লোকজন কুরআন এবং সালাত দিয়ে তাদের চারপাশে ভালমত সুরক্ষা বলয় তৈরী করে রাখে। কিন্তু যখন তারা মাঝে মাঝে তাদের সালাত মিস করে, জ্বীনেরা তাদের দেখতে না পেলেও শুধুমাত্র তাদের কণ্ঠস্বর শুনতে নির্দিষ্ট একটি দুরুত্ব থেকে।
যাদের প্রকৃত সুরক্ষা আছে, জিনরা তাদের দেখতে পায় না যাই হোক না কেন।

এবং তারপর আমি কুরআনের একটি আয়াত সম্পর্কে বুঝতে পারলামঃ
*যখন তুমি কুরআন তেলাওয়াত করো, তখন তোমার এবং যারা পরকালে বিশ্বাস করে না তাদের মধ্যে একটি অদৃশ্য পর্দা স্থাপন করে দেই*
যার অর্থ আপনি মানুষের মন্দ ব্যাপার এবং দুষ্ট জ্বীন উভয়ের বিরুদ্ধেই ঢাল (সুরক্ষা বলয়) পাবেন।"
প্রতিদিন কুরআন পড়ুন।

সহীহ মুসলিম এবং ইবন হিব্বানে নবী (সঃ) বলেছেনঃ "তোমাদের ঘরগুলিকে কবরস্থানে পরিণত করো না (কোরআন বা জিকির যে ঘরে নেই)।
যেখানে সূরাতুল বাকারা (আয়াতুল কুরসি্),সূরা ইখলাস ফালাক্ব ও নাস্ নিয়মিত পাঠ করা হয় সেখান থেকে শয়তান ও দুষ্ট জ্বীন আতংকিত হয়ে পালিয়ে যায়।
আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে ঘুমানোর আগে তিনকুল পড়ে দুই হাতের তালুতে ফু-দিয়ে সারা গায়ে মাসেহ্ করে ঘুমাতেন।
-Raihan Mahmud Rumi

" তুমি আমার জন্য খেজুর এনেছো কিন্তু এগুলোর বীচি ফেলো নি ! "এটা একটি বিখ্যাত আরবী প্রবাদ, কিন্তু এই প্রবাদটির উৎপত্তি কীভ...
06/10/2022

" তুমি আমার জন্য খেজুর এনেছো কিন্তু এগুলোর বীচি ফেলো নি ! "
এটা একটি বিখ্যাত আরবী প্রবাদ, কিন্তু এই প্রবাদটির উৎপত্তি কীভাবে হয়? আর কিভাবেই বা এটি বিখ্যাত হয়ে উঠে?
উমার বিন খাত্তাব ( রাঃ ) কে কেউ একজন জানালো যে, আবু বকর ( রাঃ ) ফজরের সালাত শেষ করে মদীনার সীমানার দিকে যান; একটা ছোটো বাড়িতে বেশ কিছু সময় কাটান; তারপর নিজের ঘরে ফিরে আসেন।
আবু বকর ( রাঃ ) কী করতেন না করতেন তার সব খবরই উমার ( রাঃ ) রাখতেন; শুধুমাত্র এই বাড়িতে কী হতো- তা তাঁর অগোচরে ছিলো।
দিন যায়, কিন্তু খলীফা আবু বকর ( রাঃ ) এর ঐ বাড়িতে গমন বন্ধ হয় না। উমার ( রাঃ ) সিদ্ধান্ত নিলেন- ফজরের পর আবু বকর ( রাঃ ) ঐ বাড়িতে গিয়ে কী করেন, তা তিনি নিজের চোখে একবার দেখে আসবেন।
উমার ( রাঃ ) ঐ ঘরে গিয়ে দেখতে পেলেন- ওখানে একজন বৃদ্ধা বাস করেন। বৃদ্ধার কেউ নেই, তারউপর বৃদ্ধা অন্ধ।
উমার ( রাঃ ) অত্যন্ত আশ্চর্যান্বিত হলেন। বৃদ্ধার সাথে আবু বকরের কী সম্পর্ক- তা জানার জন্য তিনি আগ্রহী হয়ে উঠলেন। উমার ( রাঃ ) বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করলেন,
" এই লোক আপনার বাড়িতে প্রতিদিন কী জন্য আসে? "
বৃদ্ধা জবাব দিলেন,
" আল্লাহ্‌র কসম ! আমার জানা নেই। সে প্রতিদিন আসে, তারপর আমার ঘর ঝাড়ু দেয়, সবকিছু পরিষ্কার করে, তারপর আমার জন্য খাবার তৈরি করে, তারপর কোনো কথা না বলেই চলে যায়। "
আবু বকর ( রাঃ ) এর মৃত্যুর পর আমীরুল মুমিনীন উমার ( রাঃ )ও একইভাবে বৃদ্ধার সেবা করতে আরম্ভ করলেন। বৃদ্ধা কিছু একটা টের পেয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, " তোমার বন্ধু কি মারা গেছেন? "
উমার ( রাঃ ) অন্ধ বৃদ্ধার প্রশ্ন শুনে প্রচণ্ড অবাক হলেন। উমার ( রাঃ ) বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করলেন, " আপনি কীভাবে বুঝলেন? "
বৃদ্ধা জবাব দিলেন,
" তুমি আমার জন্য খেজুর এনেছো, কিন্তু খেজুরগুলোর বীচি ফেলো নি। " ( অথচ এই সামান্য বিষয়টাও তোমার বন্ধুর নজর এড়াতো না )
উমার ( রাঃ ) হাঁটু গেঁড়ে বসে পড়লেন। তাঁর চোখ অশ্রুতে পরিপূর্ণ হয়ে গেলো। আর এই অবস্থায় উমার ( রাঃ ) তাঁর বিখ্যাত উক্তিটি বললেন,
" হে আবু বকর ! আপনি পরবর্তী খলীফাদের কাজ অত্যন্ত কঠিন করে গেছেন। "
( আল্লাহ্‌ তাঁদের উপর রহম করুন )
[ সংগৃহীত এবং ঈষৎ পরিমার্জিত ]

Address

Cumilla
3500

Telephone

+8801747379431

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when খুতবা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category