Akash The Nomad

06/07/2025

Explore in the world 💚

06/07/2025

চর কুকরি মুকরি 🖤
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিন এর চর 📍

05/07/2025

নিঃশব্দ প্রকৃতি, গভীর ভাবনা – আমি আর আমার যাত্রা।

05/07/2025

⛔নদীর নিচে আটকে পড়া ইবলিশের ফাঁদ⛔

ফটিকছড়ি, চট্টগ্রামের একটি পাহাড়ি গ্রাম। গ্রামের নাম হারুয়ালছড়ি। এ গ্রামটি একসময় ছিল শান্ত, সবুজে ঘেরা। কিন্তু পেরিয়ে গেছে শতাব্দী, পরিবর্তন এসেছে গ্রামেও। সেখানে দিয়ে বয়ে গেছে একটি প্রাচীন পাহাড়ি নদী, যার নাম মরাসতী নদী। নদীটি শুরু হয় উচ্চ পাহাড় থেকে, যেখানে মানুষ কখনো পা দেয়নি। তার গা বেয়ে প্রবাহিত হয়ে এসে হারুয়ালছড়ি গ্রামের পাশ দিয়ে বইতে থাকে, তারপরে তা চলে যায় চিনকিরহাটের দিকে, যেখানে দুই গ্রামকে সংযুক্ত করেছে একটি ব্রিজ—হারুয়ালছড়ি ব্রিজ। ব্রিজটি বেশ পুরনো, কিছুটা ভাঙাচোরা। কাঠের সাঁকোটি নদীর উপর ঝুলছে। বহু বছর ধরে নানা যন্ত্রণা সহ্য করে দাঁড়িয়ে আছে সে, তবে ব্রিজটি এতটাই সরু ও নড়বড়ে যে, তার উপর দিয়ে একসাথে দুটি মোটরবাইকও চলতে পারে না। যদিও অটোরিকশা, মোটরবাইক ও রিকশাভ্যানগুলো এই ঝুলন্ত ব্রিজের উপর দিয়ে নির্ভয়ে চলাচল করে, কেউ কখনো ভেবেও দেখেনি এই সাঁকোটি কখন যে ভেঙে পড়বে বা তার নিচে কী ভয়ঙ্কর কিছু লুকিয়ে আছে!

এভাবেই বহু বছর একে অপরকে সহ্য করে এগিয়ে চলছিল জীবন, কিন্তু কিছু মানুষ জানত, এই নদী এবং ব্রিজের ভেতর লুকিয়ে আছে একটি ভীষণ অদৃশ্য শক্তি, যা হাজার বছর ধরে মানুষের প্রলয় করেছে। এই ঘটনাটি এমন এক রাতের শুরু যখন একজন প্রবাসী মোঃ জুলফিকার রহমান দীর্ঘ ১০ বছর পর তার দেশে ফিরছিল। তার সঙ্গে ছিল পুরনো বন্ধু মাহবুব, যারা ওমানে কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে আসছিল। দেশে ফিরে তারা একদিন বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ে।

দিনের আলোর শেষে, তারা কুদ্দুস হাট বাজার পার হয়ে হারুয়ালছড়ি ব্রিজ পর্যন্ত পৌঁছায়। সন্ধ্যা হয়ে গেছে, আর বাতাসের মধ্যে একটা অদ্ভুত শীতলতা ছিল, যেন কোথা থেকে অদৃশ্য কোনো শক্তি আসছে। হালকা গুমোট গন্ধ যেন তাদের ঘিরে ধরেছিল।

মাহবুব জিজ্ঞেস করেছিল, "ব্রিজের নিচে কি তুই কিছু মনে করছিস?"

জুলফিকার হেসে উত্তর দেয়, "কী মনে করব? ভূত-ভয়াবহ ব্যাপার? মেটাল ব্রিজটা তো আগেও দেখেছি, তবে রাতে কিছুটা ভয়ের অনুভূতি হচ্ছে!"

তাদের সেসব কথাই ছিল শেষ। ব্রিজের ওপর পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু অদ্ভুতভাবে পরিবর্তিত হতে শুরু করে। নদীর পানি যেন দুলতে শুরু করেছিল, আর নদীর ধারে গাছপালার ছায়া ভয়ংকরভাবে ঘন হয়ে উঠছিল। বাতাসের মধ্যে একটি অদ্ভুত শব্দ ভেসে আসছিল—কোনো এক অদৃশ্য শক্তি তাদের দিকে এগিয়ে আসছিল। এ সময় তাদের বাইকটি একেবারে হঠাৎ জুলফিকারের হাতে থেকে চলে যায়। ব্রিজের মাঝখানে বাইকটি হঠাৎ দুলে ওঠে, এবং তারপর সোজা নদীতে পড়ে যায়।

বাইকটি নদীতে পড়ে যাওয়ার পর, একের পর এক স্রোত তাদের গিলে ফেলতে শুরু করে। পুরো স্রোত যেন পৃথিবী থেকে তাদের চিরতরে মুছে ফেলতে চায়। দুইজন সাঁতার কাটতে চেষ্টা করলেও, নদীর পানির তীব্র স্রোতের কাছে তারা কিছুই করতে পারছিল না। তাদের চিৎকার চেঁচামেচি রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে ফেলেছিল, কিন্তু কেউ তাদের সাহায্য করতে আসেনি। নদীর স্রোত তাদের ভেতরে ডুবিয়ে নিচ্ছিল। হঠাৎ এক অদ্ভুত তীব্র অন্ধকারে তাদের চোখে পড়েছিল কিছু অদ্ভুত মুখ—এটি যেন ছিল কোনো অশরীরী উপস্থিতি, এক ধরনের অমানবিক চেহারা। সেই মুখগুলোর দিকে তাকিয়ে তারা বুঝতে পেরেছিল যে, তারা মৃত্যুর খুব কাছাকাছি।

এরপর একাধিক ঘণ্টা চলে যায়, এবং দুইজনকে খুঁজে পাওয়ার কোনো সাড়া মেলেনি। বাজারে শুরু হয় হৈচৈ। লোকজন নদীর পাড়ে এসে অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে, কিন্তু কিছুই পাওয়া যায় না। অবশেষে, নদীর পাশে বসে এক বৃদ্ধ মহিলা বললেন, "এই নদীতে কিছু অদ্ভুত শক্তি লুকিয়ে থাকে। এর আগেও অনেক মানুষ এখান থেকে হারিয়ে গেছে। এক সময়ের তান্ত্রিকরা বলতেন—এখানে ইবলিশ বাস করে।"

তাদের মনের মধ্যে এই কথাটি সেঁধিয়ে গেল। একে একে এলাকাবাসী নদীর পাড়ে এসে দাঁড়াতে শুরু করে। রাতে পেছন থেকে হারিকেনের আলো দেখা যাচ্ছিল। একসময় একটি তান্ত্রিককে আনা হয়। সাধক রঘুনাথ বাবু নদীর পাড়ে এসে বসেন, তন্ত্রমন্ত্র পড়ে নদীর প্রতি নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, "এই নদীটার নিচে ইবলিশ লুকিয়ে থাকে, সেখান থেকে এক অদৃশ্য শক্তি তাদের নিয়ে গেছে। তবে, আমার মন্ত্রে যদি তা মুক্তি পায়, তবে ওই দুইজনকে ফিরে পাওয়া যাবে।"

তিনি বলেন, "এখন নদীর পাশ থেকে একটি কালো ছাগল এনে তার বলি দিতে হবে।"

শুরু হয় বলি প্রথা। মাত্র ৩০ মিনিট পর, নদী থেকে ভেসে ওঠে কিছু ভীষণ ভয়ংকর ঘটনা। দুইজনের নিথর দেহ নদীর পানির উপরে ভেসে উঠতে থাকে, আর তাদের সঙ্গেই ছিল একটা ভয়ঙ্কর মুখ, এক অশরীরী চেহারা, যেন নদীর নিচ থেকে উঠে এসে তাদের বুকের ওপর চাপ দিয়ে থাকলেও তাকে আবারও আটকানো হয়েছিল। এটা ছিল নদীর অন্ধকার রহস্যের পেছনের আসল কাহিনী—যেখানে ইবলিশ তাদের প্রতি নজর রেখেছিল।

বাড়ি ফিরে আসার পর, জুলফিকার আর মাহবুবের অবস্থা ছিল চরম ভীতিকর। তারা অন্যদের বলতে গিয়েও ভয় পেয়েছিল, তবে শেষমেশ তারা ঘটনাটি পুরো গ্রামে শেয়ার করে। এখনো ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়ি এবং চিনকিরহাটের মাঝে সেই নদী আর ঝুলন্ত ব্রিজ রয়েছে, তবে রাতের অন্ধকারে সেখানে যাওয়ার সাহস আর কারো হয় না।

এলাকাবাসী আজও বলে, "এখনো কেউ রাতে ওই নদীতে গেলে... ফিরে আসে না।"

সমাপ্ত

05/07/2025

প্রকৃতি শুধু দৃশ্য নয়, এটি এক অনুভূতি

05/07/2025

ছাগলকান্ধা ঝর্না 💚

04/07/2025

সীতাকুণ্ডর সুন্দর একটা ঝর্না 💚

04/07/2025

03/07/2025

🌍 বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে যাঁরা 🌟

২০১৮ থেকে টানা অষ্টমবার বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড 🇫🇮
- ২য় স্থানে ডেনমার্ক 🇩🇰
- ৩য় স্থানে আইসল্যান্ড 🇮🇸

03/07/2025

Traveling is one of the greatest education.
ভ্রমণ হলো শ্রেষ্ঠ শিক্ষাগুলোর একটি ।