সনাতন-Hindu

সনাতন-Hindu "ধর্মো রক্ষতি রক্ষিতঃ" -মনুসংহিতা ৮/১৫


= ধর্মকে রক্ষা করো, ধর্মই তোমাকে রক্ষা করবে।

খিলক্ষেতে প্রতিমাসহ মন্দির ভেঙে ফেলা হলো।খিলক্ষেতের শ্রীশ্রী দুর্গা মন্দির সম্প্রতি প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানের শিকার হলো।...
26/06/2025

খিলক্ষেতে প্রতিমাসহ মন্দির ভেঙে ফেলা হলো।

খিলক্ষেতের শ্রীশ্রী দুর্গা মন্দির সম্প্রতি প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানের শিকার হলো। সরকারি জমি দখলের অভিযোগে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো আইনের ব্যাখ্যা বোঝা ও প্রয়োগ করার মতো এতো বোদ্ধা, প্রশাসন ও দায়িত্বশীল মহল থাকা সত্ত্বেও মন্দির ভাঙার আগে প্রতিমা অন্তত সম্মানের সঙ্গে বাইরে সরিয়ে নেওয়া হলো না কেন? এটি কি শুধু আইনি পদক্ষেপ, নাকি আমাদের মানবিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় সহনশীলতা ও সংস্কৃতির প্রতি অবহেলার প্রতিফলন?

একটি ঘটনার পর আরেকটি ঘটনা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে শত শত দেবোত্তর সম্পত্তি ও অর্পিত সম্পত্তি বছরের পর বছর ধরে দখল হয়ে আছে। সেই জমিগুলো উদ্ধারে কোনো কার্যকর নীতি বা দৃঢ় পদক্ষেপ আজও দেখা যাচ্ছে না।
প্রশাসন যখন সরকারি জমি উদ্ধারে এতো সক্রিয়, তখন জনগণ জানতে চায়,দেবোত্তর সম্পত্তি আর অর্পিত সম্পত্তি উদ্ধারে সরকার কবে সঠিক ও সাহসী সিদ্ধান্ত নেবে?
এ সম্পত্তি শুধু মাটি নয়; এটি ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক উত্তরাধিকারের প্রতীক।

যদি প্রশাসন সরকারি জমি উদ্ধারে পদক্ষেপ নিতে পারে, তবে আমরা কেন দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধারে সংগঠিত আন্দোলনে নামতে পারি না? সময় এসেছে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সম্পত্তিগুলো রক্ষা ও অধিকার আদায়ে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে আওয়াজ তোলার।

যশোরের অভয়নগর উপজেলার ডহর মশিয়াহাটিতে এরপর একদল দূর্বৃত্ত ভয়বহ তান্ডব চালায় পার্শ্ববর্তী গ্রামে। যে গ্রামের অধিকাংশ মানু...
23/05/2025

যশোরের অভয়নগর উপজেলার ডহর মশিয়াহাটিতে
এরপর একদল দূর্বৃত্ত ভয়বহ তান্ডব চালায় পার্শ্ববর্তী গ্রামে। যে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী মতুয়া সম্প্রদায়ের। সেখানে বাৎসরিক উৎসব চলছিলো, প্রায় ৫০০ মানুষের খাবারের আয়োজন ছিলো! সরজমিনে মধ্যরাতে গিয়ে দেখা যায় ১৩ টা বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে; একজন নার্সিংএর ছাত্রকে অপহরণ করা হয়েছে। ৩১ টি গরু চুরি হয়েছে, কিছু গরু মারাত্মকভাবে আহত ও শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে৷ গোলা ভরা ধান নষ্ট করা হয়েছে, প্রত্যেকটা বাড়িতে লুটপাট চলেছে, বাজারের দোকানগুলোতে লুটপাট হয়েছে। অতর্কিত এই আক্রমনে এলাকাবাসী বাসা থেকে পালিয়েছি৷ শুধুমাত্র যাদের পালানোর সামর্থ ছিলো না অর্থাৎ অসুস্থ ও বৃদ্ধ ব্যক্তিরা ছাড়া সবাই ওই এলাকা থেকে পালিয়েছে। এলাকার প্রত্যেকটা পরিবার সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব, সর্বশান্ত হয়ে গেছে! ওই পরিবারগুলোয় এখন তীব্র খাবার কষ্টে আছে, তাদের কারো কাছে পরনের পোষাকটি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো কাপড় নেই৷ সব আগুনে পুড়েছে।
ভয়াবহ এই সাম্প্রদায়িক হামলায় মানবিক সাহায্য প্রয়োজন ডহর মশিয়াহাটির এই মানুষগুলোর। ফায়ার সার্ভিস প্রচন্ড দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে৷
এই নিরিহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর বর্বরোচিত হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট নিয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সম্পুর্ন নীরবতা পালন করছে। মানে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা যেহেতু গুজব হিসেবে প্রমান করতে হবে ,তাই এসব বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম নিউজ করছে না।

22/05/2025

এ যেন এক টুকরো স্বর্গ 🌸🙏

16/05/2025

কে কে গেছেন এই মন্দিরে।

Celebrating my 4th year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉
16/05/2025

Celebrating my 4th year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉

08/04/2025

karna de/ath Scene 🌿
Part_ 05

06/04/2025

মর্যাদা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীরামের আবির্ভাব তিথি পবিত্র রামনবমীতে সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা।

ভগবান শ্রীরামের আদর্শ হয়ে উঠুক আমাদের জন্য অনুসরণীয় 🙏🙏

শ্রীরামনবমী-ব্রত পালনের নিয়মাবলী°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°চৈত্রমাসের শুক্লা নবমী শ্রীশ্রীরামচন্দ্রের জন্মতিথি। পুনর্...
04/04/2025

শ্রীরামনবমী-ব্রত পালনের নিয়মাবলী
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
চৈত্রমাসের শুক্লা নবমী শ্রীশ্রীরামচন্দ্রের জন্মতিথি। পুনর্বসুনক্ষত্রযুক্ত এই তিথিতে ভগবান রামচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেছিলেন; অতএব এই নবমীতে শ্রীরামনবমী-ব্রত করলে, ধৰ্ম-অর্থাদি লাভ ও অভীষ্ট সিদ্ধ হয়।

চৈত্রমাসের শুক্লা নবমীতে যদি পুনর্বসুনক্ষত্রের যোগ হয়, তা হলে সেই নবমীর মধ্যাহ্নকালে মহাপুণ্য প্রদান করে। বিষ্ণুপরায়ণ ব্যক্তিগণ অষ্টমীবিদ্ধা নবমীতে উপবাসাদি করবে না, অশুদ্ধা নবমীতে অর্থাৎ অষ্টমী-বিদ্ধা নবমীতে পুনর্বসুনক্ষত্রযোগ থাকলেও তা পরিত্যাগ করে নবমীতে উপবাস করবে।

দশম্যাদির বৃদ্ধি হলে অষ্টমীবিদ্ধা নবমী বৈষ্ণবেরা পরিত্যাগ করবে। কিন্তু এই সময়ে সকল ব্রতিগণই দশমীতে পারণ করবে। দশম্যামেব,-এই 'এব' পদ প্রয়োগ দ্বারা কদাচ দশমী লঙ্ঘন করবে না, এটি স্পষ্টই প্রতীয়মান হয়। অতএব দশমীতে পারণ সম্ভব হলে কেউ অষ্টমীবিদ্ধা নবমীতে উপবাস করবে না।

🪔 পূজাপদ্ধতি 🪔
স্বস্তিবাচনাদি করে সঙ্কল্প করবে। যথা,-
“বিষ্ণুরোম্ তৎসদদ্য চৈত্রে মাসি শুক্লে পক্ষে নবম্যাস্তিধৌ অমুকগোত্রঃ শ্রীঅমুকদেবশর্মা শ্রীরামপ্রীতিকামঃ শ্রীরামনবমী-ব্রতমহং করিয্যে।”

🔹সঙ্কল্পসূক্ত, সামান্তার্য্য, আসনশুদ্ধি, ভূতশুদ্ধি ও ন্যাসাদি করিয়া, শ্রীরাম-চন্দ্রের ও সীতাদেবীর ধ্যান করিয়া ষোড়শোপচারে পূজা করিবে।

🧘 রামের ধ্যান 🧘
কোমলাঙ্গং বিশালাক্ষমিন্দ্রনীলসম প্রভম্।
পীতাম্বরধরং ধ্যায়েৎ রামং সীতাসমন্বিতম্ ॥
দক্ষিণাংশে দশরথং পুভ্রাবেক্ষণতৎপরম্।
পৃষ্ঠতো লক্ষ্মণং দেবং সচ্ছত্রং কনকপ্রতম্।
পার্শ্বে ভরত-শত্রুন্নৌ তালবৃন্তকরাবুভৌ।
অগ্রে ব্যাং হনুমন্তং রামানুগ্রহকাঙ্ক্ষিাম্ ॥

🔸রামের প্রণাম-
রামায় রামচন্দ্রায় রামভদ্রায় বেধসে।
রঘুনাথায় নাথায় সাতায়াঃ পতয়ে নমঃ॥

🧘 সীতার ধ্যান 🧘
নীলান্তোজদলাভিরামনয়নাং নীলাম্বরালঙ্কতাং, গৌরাঙ্গীং শরদিন্দুসুন্দরমুখীং বিস্মেরবিন্বাধরাম্।
কারুণ্যামৃতবর্ষিণীং হরিহরব্রহ্মাদিতি-ব্বন্দি তাং, ধ্যায়েৎ সর্ব্বজনেপ্‌ সিতার্থফলদাং রামপ্রিয়াং জানকীম্ ॥

🔸সীতার প্রণাম-
বন্দে রামহৃদন্তোজ-প্রকাশাং জনকাত্মজাম্।
সত্রিবর্গ-পরানন্দদায়িনীং ব্রহ্মরূপিণীম্॥

পরে "ওঁ দশরথায় নমঃ" বলিয়া দশরণের পূজা করে প্রণাম করবে।
🔸দশববের প্রণাম-
ভক্ত্যা বশীরুতো সস্য পুত্রত্বং ভগবান্ হরিঃ।
বন্দে দশরথং বীরং তমযোধ্যাপতিং প্রভুম্ ॥

রামজননী কৌশল্যার-"ওঁ কৌশল্যায়ৈ নমঃ" বলিয়া পূজা করতঃ পুষ্পাঞ্জলি দিবে।
🔸কৌশল্যার প্রণাম
রামস্য জননী চাসি রামময়মিদং জগৎ।
অতত্ত্বাং পূজায়ষ্যামি লোকমাতর্নমোহস্তুতে॥

"ভগবন্ রামচন্দ্র আবরণং তে পূজয়ামি" এই মন্ত্রে অনুজ্ঞাগ্রহণ করে আবরণপূজা করবে। যথা এতে গন্ধপুষ্পে ও রাং হৃদয়ায় নমঃ, (এই ক্রমে) ওঁ রীং শিরসে স্বাহা, ওঁ রূং শিখায়ৈ বষট্, ওঁ রৈং করচায় হুং, ওঁ রৌং নেত্রাভ্যাং বৌষট্, ওঁ রঃ অস্ত্রায় ফট্।

যথাশক্তি উপচারদ্বারা ভরত, লক্ষ্মণ, শত্রুঘ্ন, হনুমান, সুগ্রীব, বিভীষণ, অঙ্গদ, জাম্ববান্ এবং ধূম্র, জয়ন্ত, বিজয়, সুরাষ্ট্র, রাষ্ট্রবর্দ্ধন, অশোক, ধর্মপাল ও সুমন্ত্র ইঁহাদিগের পূজা করবে।
তদনন্তর পুনর্বসুনক্ষত্রযুক্ত নবমী তিথিতে কর্কটলগ্নে মধ্যাহ্নকালে নিখিল রাক্ষসকুলদমন জন্য আবির্ভূত শ্রীশ্রীরামচন্দ্রের জন্ম চিন্তা করে বাদ্যধ্বনি করবে।

তৎপরে শঙ্খে একটী ফল, অশোকপুষ্প, তুলসী এবং কুশ ও চন্দনাদি সংযুক্ত অর্ঘ্য রামচন্দ্রকে নিবেদন করিয়া দিবে।
🔸 মন্ত্র,-
ও দশাননবধার্থায় ধৰ্ম্মসংস্থাপনায় চ।
দানবানাং বিনাশায় দৈত্যানাৎ নিধনায় চ॥
পরিত্রাণায় সাধুনাং রামো জাতঃ স্বয়ং হরিঃ।
গৃহাণার্থ্যং ময়া দত্তং ভ্রাতৃভিঃ সহিতো মম॥

প্রতি প্রহরে পুষ্পাঞ্জলি দান করিবে এবং রামগীতাদি পাঠ ও মন্ত্রাদি জপ করিবে। পরদিবস কথা শ্রবণ, দক্ষিণা দান ও অচ্ছিদ্রাবধারণ করে পারণ করবে।

উল্লেখিত নিয়মগুলি এ বছরের তিথি অনুযায়ী পালন করতে হবে।

তথ্যসূত্র - পুরোহিত দর্পণ

Address

Cumilla

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সনাতন-Hindu posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category