Abdul Gaffar

Abdul Gaffar I don’t care what you think of me!

একদিন এক ইঁদুর খাবার খুঁজতে খুঁজতে রাজার ঘরে প্রবেশ করল। সেখানে কোনো খাওয়ার জিনিস না পেয়ে সে একটি হীরার টুকরো গিলে ফেলল...
02/09/2025

একদিন এক ইঁদুর খাবার খুঁজতে খুঁজতে রাজার ঘরে প্রবেশ করল। সেখানে কোনো খাওয়ার জিনিস না পেয়ে সে একটি হীরার টুকরো গিলে ফেলল। এদিকে হীরা চুরি হওয়ার কারণে রাজপ্রাসাদে হুলুস্থুল কাণ্ড বেধে গেল!

রাজামশাই জ্যোতিষীকে ডাকলেন। গণনা করে জ্যোতিষী বলল, হীরার টুকরোটি একটি ইঁদুর খেয়ে ফেলছে।

সেনাপতি হীরা উদ্ধারের জন্য ঢেঁড়া পিটিয়ে পুরস্কার ঘোষণা করল। এরপর এক শিকারী রাজসভায় এসে বলল, সে ইঁদুর মেরে হীরা উদ্ধার করবে।

শিকারী যখন ইঁদুরটির খোঁজে বের হলো তখন দেখতে পেল, হাজার হাজার ইঁদুর একে অন্যের সাথে দল বেঁধে রয়েছে। আর একটা মাত্র ইঁদুর সবার থেকে আলাদা এক জায়গায় একটি ইটের ওপর বসা যেন সে সিংহাসনে বসে আছে।

শিকারী তখন ওই ইঁদুরটিকে হত্যা করে তার পেট চিরে হীরার টুকরো বের করে রাজার হাতে তুলে দিল।

রাজামশাই অনেক খুশি হয়ে শিকারীকে তার প্রাপ্য পুরস্কার বুঝিয়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, হাজার হাজার ইঁদুরের মধ্যে তুমি কিভাবে বুঝলে যে ওই ইঁদুরটাই হীরা চুরি করেছে?

শিকারী মৃদু হেসে জবাব দিল, এটা খুবই সহজ মহারাজ! মূর্খ যখন হঠাৎ বিত্তবান হয়ে যায়, তখন নিজেকে অন্যের থেকে আলাদা মনে করে, নিজের জাতির সঙ্গে চলাফেরা এবং মেলামেশা বন্ধ করে দেয়। এই মূর্খ ইঁদুরটাও তাই করেছিল। হীরা চুরি করে নিজেকে সবচেয়ে ধনী এবং ইঁদুরদের রাজা ঘোষণা করে আলাদা ভাবে বসে ছিল।

নীতিকথা: হঠাৎ অর্থাগমে স্বজন বা বন্ধু-বান্ধব ভুলে গেলে ধ্বংস সন্নিকটে।

নাইজেরিয়ান তেল কোম্পানীর মালিক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ফেমি ওতেদোলা একবার এক রেডিও ইন্টারভিউতে তার জীবনের অজানা অনেক কিছু জানাচ্...
02/09/2025

নাইজেরিয়ান তেল কোম্পানীর মালিক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ফেমি ওতেদোলা একবার এক রেডিও ইন্টারভিউতে তার জীবনের অজানা অনেক কিছু জানাচ্ছিলেন। কথোপকথনের এক পর্যায়ে উপস্থাপক তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনার কি এমন কোনো স্মৃতি আছে, যখন আপনার মনে হয়েছিল আপনি এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ?’

ওতেদোলা বললেন, "আমার জীবনে আমি সুখের খোঁজে চারটি পর্যায়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। তারপর অবশেষে আমি সত্যিকারের সুখের খোঁজ পেয়েছি।

প্রথম পর্যায় ছিল যত পারা যায় ধনসম্পদ উপার্জন। কিন্তু সবকিছু অর্জন করেও আমি সুখের দেখা পাইনি।

এরপর দ্বিতীয় পর্যায় ছিল দামি ও বিলাসবহুল জিনিসপত্র কেনা। আমার কাছে মনে হতো এর মাধ্যমে আমি সুখ পাব। কিন্তু এবারও আমি সুখের দেখা পেলাম না।

এরপর তৃতীয় পর্যায়ে বড় বড় প্রজেক্ট নিজের করে নেয়া শুরু করলাম। একটা সময় নাইজেরিয়া ও আফ্রিকার ৯৫% ডিজেলের সাপ্লাইয়ার ছিলাম আমি। আফ্রিকা ও এশিয়ায় সবচেয়ে বড় জাহাজ ছিল আমার। কিন্তু এরপরও আমি সুখ পেলাম না।

এই অবস্থায় একদিন আমার এক বন্ধু অনুরোধ করল ২০০ প্রতিবন্ধী বাচ্চার জন্য হুইলচেয়ার কিনে দিতে।

বন্ধুর অনুরোধে আমি তখনই ২০০ হুইলচেয়ার কিনে ফেললাম। কিন্তু আমার বন্ধু বলল আমি নিজেই যেন বাচ্চাদের হাতে হুইলচেয়ারগুলো তুলে দিই। তাই বন্ধুর সাথে আমি সভাস্থলে উপস্থিত হলাম।

আমি গিয়ে বাচ্চাদের হাতে হুইলচেয়ার তুলে দিলাম। হুইলচেয়ার পেয়ে তারা আনন্দের সাথে এখানে ওখানে ছুটাছুটি করতে লাগল। একেকজনের মুখে সে কি অপার্থিব হাসি। যেন এর চেয়ে আনন্দের দিন তাদের জীবনে আর আসেনি।

এসব দেখে নিজের মধ্যে কেমন এক আনন্দ অনুভূত হলো। মনে হলো জীবনে আগের চারটি পর্যায় পার হয়েও, সবকিছু পেয়েও , এতটা আনন্দ কখনও হয়নি।

এরপর যখন আমি অনুষ্ঠান থেকে বিদায় নিতে যাব হঠাৎ এক বাচ্চা আমার পা জড়িয়ে ধরল। আমি তার কাছ থেকে নিজের পা ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলাম, কিন্তু বাচ্চাটি আরও শক্ত করে পা ধরে এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইল।

আমি হাঁটু গেড়ে বসে বাচ্চাটিকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তোমার কি আর কিছু দরকার?’

বাচ্চাটি বললো, ‘আমি আপনার চেহারাটা ভালোভাবে মনে রাখতে চাই। যদি জান্নাতে আমাদের দেখা হয় সেদিনও যেন আমি আপনাকে চিনতে পারি আর আজকের এই দিনটির জন্য আরও একবার ধন্যবাদ দিতে পারি।’

ছোট বাচ্চার জবাবে ফেমি ওতেদোলার দুচোখের জল বাঁধ ভেঙ্গে গেলো। ছোট বাচ্চাকে জড়িয়ে কেঁদে ফেললেন তিনি।

ফেমি ওতেদোলা বলেন, ছোট্ট এই ঘটনা আমাকে কেবলই আনন্দিতই করেনি, বরং সেদিন থেকে আমার কাছে জীবনের অর্থই পাল্টে গিয়েছে। আজ আমি আনন্দের সংজ্ঞা কি সেটা জানি। আর সেই আনন্দ নিয়েই আমি আমৃত্যু থাকতে চাই।

[সংগৃহীত]

 #এক বিজ্ঞ রাজার প্রচন্ড শক্তিশালী অনেকগুলো যুদ্ধবাজ ঘোড়া ছিলো। রাজা'র অনেক যুদ্ধ জয়ে এই যুদ্ধবাজ ঘোড়াগুলোর অসামান্য ...
02/09/2025

#এক বিজ্ঞ রাজার প্রচন্ড শক্তিশালী অনেকগুলো যুদ্ধবাজ ঘোড়া ছিলো।

রাজা'র অনেক যুদ্ধ জয়ে এই যুদ্ধবাজ ঘোড়াগুলোর অসামান্য অবদান ছিলো, চারিদিকে তখন রাজার সুখ্যাতি।
রাজা ঘোড়া পোষার পাশাপাশি অনেকগুলো গাধাও পুষতো। তো ঘোড়ার পেছনে এত খরচ দেখে, উজির-নাজির প্রায়শঃই রাজার কাছে ঘোড়াগুলো নিয়ে অভিযোগ করতোঃ
"ঘোড়াগুলো বেয়াদব, সহজে বাগে আনা যায় না, তার উপর দিনের পর দিন কোন কাজেও লাগছে না, অথচ এদের পেছনে খরচ ঠিকই হচ্ছে"।

রাজা নিজেও লক্ষ্য করেছে আস্তাবলে ঘোড়াগুলোকে দেখতে গেলে ঘোড়াগুলো ঠিকমত সম্মান করে না। অথচ গাধার আস্তাবলে গেলে গাধাগুলো রাজার সারা গা-হাত-পা চাটা শুরু করে।
একদিন উজির-নাজির, রাজাকে পরামর্শ দিলো ঘোড়াগুলোকে বিক্রি করে দিতে, আর ঘোড়া বিক্রির টাকা দিয়ে পুরানো গাধাগুলোকে বেশি আদর যত্ন করতে সাথে বেশি করে আরো নতুন গাধা কিনতে।

তারপর যুদ্ধবাজ ঘোড়াগুলো বেশ দামে পাশের রাজ্যের দুর্বল রাজার কাছে বিক্রি করে দেয়া হল এবং অনেকগুলো গাধা কিনা হল।
কিছুদিন পরের কথা। পাশের রাজ্যের রাজা 'ঘোড়া বেচা রাজা'র রাজ্যকে আক্রমন করলো এবং খুব সহজেই রাজ্য দখল করলো।

রাজ্যের নতুন রাজা, বন্দী রাজাকে জিজ্ঞাসা করলো, "তোমার মনে কোন প্রশ্ন জাগেনি কেন তুমি এই যুদ্ধে হারলে!"

বন্দী রাজা বললো "কেন?"
নতুন রাজা বললেন, তুমি হেরেছ কারণঃ
১) তোমার রাজা হওয়ার পিছনে যাদের (ঘোড়াদের) অবদান ছিলো, তাদেরকেই তুমি ভুলে গেছ।
২) তুমি চাটুকার গাধাকে ঘোড়ার চেয়ে বেশী গুরুত্মপূর্ণ মনে করেছ। তোমাকে ঘিরে থাকা গাধাদের কথায় সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছ। (তোমার উজির-নাজির'রাই ছিলো সত্যিকার গাধা)।
৩)সর্বোপরি গাধা প্রয়োজনীয় প্রানী হলেও যুদ্ধবাজ ঘোড়ার কাজ গাধা দিয়ে চালানো যায় না এটা তোমার মাথায় আসেনি। দক্ষ কর্মীদের মূল্যায়ন ‘না’ করলে যা হয়
কোন বইয়ে, কোথায় বা কার লেখা মনে নেই কিন্তু গল্পটি সত্যিই চমৎকার এবং অনেক বেশি গভীর অর্থবহ।
তবে গল্প হলেও বাস্তবতার সাথে দারুণ মিল আছে। আমাদের দেশ, সমাজ, প্রতিষ্ঠান সব জায়গাতেই এই গল্পের ছায়া উপস্থিত।"🌿🍁
সংগৃহীত পো*স্ট...!.

শিক্ষণীয় গল্প: কুড়াল ও ব্লেডএকদিন এক বড় বন‍্যপথে দেখা হল কুড়াল আর ব্লেডের।কুড়াল ছিল অনেক শক্তিশালী, মোটা ও ভারী। সে ...
01/09/2025

শিক্ষণীয় গল্প: কুড়াল ও ব্লেড
একদিন এক বড় বন‍্যপথে দেখা হল কুড়াল আর ব্লেডের।
কুড়াল ছিল অনেক শক্তিশালী, মোটা ও ভারী। সে গর্ব করে বলল,
— “আমি এক আঘাতে বিশাল গাছ ফেলে দিতে পারি! আমাকে কেউ হারাতে পারবে না!”
ছোট্ট, পাতলা ব্লেড মৃদু হেসে বলল,
— “তুমি খুবই শক্তিশালী, এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু আমি এমন কিছু কাজ করি, যেখানে তোমার শক্তি কোনো কাজে আসে না।”
কুড়াল অবাক হয়ে বলল,
— “তুমি! তুমি আবার কী করো এমন?”
ব্লেড তখন তাকে নিয়ে গেল এক নাপিতের দোকানে। সেখানে এক লোক আয়নার সামনে বসে। ব্লেড দিয়ে সে সুন্দরভাবে দাড়ি কামিয়ে নিচ্ছে। একটুও কষ্ট হচ্ছিল না।
এই দৃশ্য দেখে কুড়াল চুপ করে গেল। সে বুঝতে পারল, তার মতো শক্তি থাকলেও, এমন সূক্ষ্ম কাজে সে কিছুই করতে পারবে না।
তখন ব্লেড বলল,
— “দেখো বন্ধু, আমরা একে-অপরের চেয়ে ভালো না। আমরা শুধু আলাদা কাজে দক্ষ। তুমি গাছ কাটো, আমি দাড়ি কাটবো। আমাদের দুজনেরই গুরুত্ব আছে, কিন্তু আলাদা জায়গায়।”
শিক্ষা:
জীবনে কেউ ছোট, কেউ বড় হলেও প্রত্যেকের নিজস্ব গুণ ও প্রয়োজনীয়তা থাকে। কেউ খুব শক্তিশালী, কেউ খুব সূক্ষ্ম ও নিখুঁত। তাই কাউকে তুচ্ছ না করে, সবাইকে সম্মান করতে শিখতে হবে। কারণ, নিজের জায়গায় প্রত্যেকেই গুরুত্বপূর্ণ।
সংগৃহীত।

এক বাংলাদেশী ডাক্তার চাকরি না পেয়ে লন্ডনে --- তাঁবু টেনে অস্থায়ী ক্লিনিক খুলে বসল।তাঁবুর বাইরে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে লিখে দিল...
01/09/2025

এক বাংলাদেশী ডাক্তার চাকরি না পেয়ে লন্ডনে --- তাঁবু টেনে অস্থায়ী ক্লিনিক খুলে বসল।
তাঁবুর বাইরে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে লিখে দিল --- 'GET TREATMENT FOR £20 - IF NOT CURED GET BACK £100.'

সহজ বাংলা -- বিফলে মূল্য ফেরত।

এক ব্রিটিশ আইনজীবী চিন্তা করল ১০০ পাউন্ড ধান্ধা করার এই সুযোগ।

উকিল গিয়ে ডাক্তারকে বলল- আমার জিহ্বায় কোন কিছুর স্বাদ পাইনা, আমি কোন স্বাদ পরখ করতে পারিনা, আমার চিকিৎসা করুন।

ডাক্তার তার এসিস্ট্যান্টকে হাঁক দিয়ে বলল--- একে ৪২০ নম্বর ডিব্বা থেকে তিন ফোটা খাইয়ে দাও।

ঔষধ খাওয়ানোর পর উকিল চেঁচিয়ে উঠল- এটা তো কেরোসিন!

ডাক্তার: গুড, আপনার জিহ্বা কাজ করা শুরু করেছে, ২০ পাউন্ড দিন।

২০ পাউন্ড হারিয়ে অনেক ভেবেচিন্তে উকিল দ্বিতীয় দিন আবার আসল ডাক্তারের কাছে।

উকিল: আমার স্মৃতি কাজ করছেনা, আপনি আমার চিকিৎসা করুন।

ডাক্তার আবার তার এসিস্ট্যান্টকে হাঁক দিয়ে বলল- একে ৪২০ নম্বর ডিব্বা থেকে তিন ফোটা খাইয়ে দাও।

খাওয়ানোর পর উকিল রেগেমেগে একাকার। বলল: এই কেরোসিন তো জিহ্বায় স্বাদ ফেরানোর জন্য খাইয়েছিলেন গতকাল!

ডাক্তার: এই তো স্মৃতি ফিরে এসেছে। বিশ পাউন্ড দিন।

টাকা উদ্ধারের আশায় + প্রতিশোধের নেশায় -- পরের সপ্তাহে আবার এল উকিল ডাক্তারের তাঁবুতে। এবার চোখে কালো চশমা, হাতে সাদা ছড়ি।

উকিল: আমি কিছু দেখতে পাচ্ছিনা, আমার চোখ ভালো করে দিন।

ডাক্তার: এই চিকিৎসা আমার আওতার বাইরে, এই নিন ১০০ পাউন্ড, বলে একটা নোট বাড়িয়ে দিল।

উকিল খেয়াল করে দেখলো -- সেটা ৫ পাউন্ডের নোট। উকিল চেঁচিয়ে বলল: এটা তো পাঁচ পাউন্ডের নোট!

ডাক্তার নোটখানা ফিরিয়ে নিয়ে বলল: আপনার দৃষ্টি ফিরে এসেছে -- বিশ পাউন্ড দিন !!

😁😜😁🥱🥱🥱

আপনি মানুষের অভিশাপ কুড়াচ্ছেন না তো???মানুষের জীবনে সাফল্য, অর্থ, সম্মান – সবই মূল্যবান। কিন্তু এগুলোর থেকেও বড় একটি বি...
01/09/2025

আপনি মানুষের অভিশাপ কুড়াচ্ছেন না তো???

মানুষের জীবনে সাফল্য, অর্থ, সম্মান – সবই মূল্যবান। কিন্তু এগুলোর থেকেও বড় একটি বিষয় আছে, আর তা হলো মানুষের দোয়া কিংবা অভিশাপ। দুনিয়ার সবকিছু হয়তো একদিন হারিয়ে যেতে পারে, কিন্তু কারও মনের কষ্ট, কারও চোখের পানি, কিংবা কারও বুকভরা অভিশাপ মানুষের জীবনকে তছনছ করে দিতে পারে।

আমরা অনেক সময় টাকার লোভে, স্বার্থের কারণে, কিংবা ক্ষমতার দম্ভে অন্যের সাথে অন্যায় করি। হয়তো তখন মনে হয়—"এতে আমার কী আসে যায়?" কিন্তু মনে রাখা উচিত, অবলা মানুষের দীর্ঘশ্বাস আর নির্যাতিত মানুষের অভিশাপ কখনো বিফলে যায় না। ইতিহাস সাক্ষী, অসংখ্য ধনী ও ক্ষমতাবান মানুষ অভিশাপের বোঝা কাঁধে নিয়ে শেষ পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে গেছে।

একজন গরিবকে ঠকিয়ে ধনী হওয়া, শ্রমিকের ঘাম মুছে নেওয়া, কিংবা পরিবারের আপনজনকে কষ্ট দেওয়া—এসব হয়তো সাময়িক স্বস্তি দেয়, কিন্তু ভেতরে ভেতরে তা অভিশাপ হয়ে জমতে থাকে। অন্যদিকে, যারা মানুষের দোয়া কুড়ায়, তাদের জীবন হয় শান্তিময়। কারণ মানুষের মঙ্গলকামনা, দোয়া, আর ভালোবাসার শক্তি অনেক বড়।

তাই নিজেকে প্রশ্ন করা জরুরি— “আমি কি মানুষের অভিশাপ কুড়াচ্ছি, নাকি দোয়া?” যদি দোয়া কুড়াতে চান, তবে মানুষের প্রতি সদয় হোন, অন্যায় এড়িয়ে চলুন, আর সবার সাথে মানবিক আচরণ করুন। কারণ মানুষের অভিশাপ কখনো বরকত আনে না, বরং সবকিছু ধ্বংস করে দেয়।

অর্থ, ক্ষমতা, গর্ব—এসব ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু মানুষের অন্তরের দোয়া চিরস্থায়ী আশীর্বাদ, আর অভিশাপ চিরস্থায়ী অভিশাপ। তাই সতর্ক হোন, মানুষের চোখের পানি যেন আপনার কারণে না ঝরে।

 #আমার_স্ত্রী_কিছুই_করে_না_সে_শুধুই_একজন_গৃহিণী।০১.সাইকিয়াট্রিস্ট: পেশা কী আপনার?ভদ্রলোক: আমি একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট্...
01/09/2025

#আমার_স্ত্রী_কিছুই_করে_না_সে_শুধুই_একজন_গৃহিণী।
০১.সাইকিয়াট্রিস্ট: পেশা কী আপনার?
ভদ্রলোক: আমি একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট্যান্ট।

সাইকিয়াট্রিস্ট: আপনার স্ত্রী কী করেন?
ভদ্রলোক: সে কিছু করে না, গৃহিণী।

সাইকিয়াট্রিস্ট: সকালের নাশতা কে বানায়?
ভদ্রলোক: আমার স্ত্রী, কারণ সে কিছু করে না।

সাইকিয়াট্রিস্ট: সকাল কয়টায় ওঠেন আপনার স্ত্রী?
ভদ্রলোক: ভোর পাঁচটার দিকেই উঠে যায় সে, ঘরদোর ঝাড়ু দিয়ে তারপর নাশতা বানাতে হয়। এ কিছু না, কারণ সে কোনো কাজ করে না।

সাইকিয়াট্রিস্ট: বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে আসতে হয় না?
ভদ্রলোক: হয়। আমার স্ত্রী নিয়ে যায়, নিয়ে আসেও সে-ই। কারণ, সে কিছু করে না।

সাইকিয়াট্রিস্ট: বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে আপনার স্ত্রী ওখানেই বসে থাকেন?
ভদ্রলোক: না না। ওখানে বসে থাকলে বাজার করবে কে? বাজার শেষ করে বাড়ি যায় সে, ওগুলো রাঁধে, জামাকাপড় ধোয়। আপনাকে তো বললামই, সে কিছু করে না।

সাইকিয়াট্রিস্ট: সন্ধ্যায় কাজ থেকে বাড়ি ফিরে, কী করেন আপনি?
ভদ্রলোক: বিশ্রাম নিই। কারণ, সারাদিনের কাজের ধকলে শরীর আর কুলিয়ে ওঠে না।

সাইকিয়াট্রিস্ট: আপনার স্ত্রী কী করেন তখন?
ভদ্রলোক: নাশতা তৈরি করে, বাচ্চাদের খাওয়ায়, আমাকে খাওয়ায়, বাচ্চাদের পড়তে বসায়, তারপর রাতের খাবার রাঁধে। রাতের খাওয়া শেষে থালাবাটি ধুয়ে, তারপর বাচ্চাদের ঘুম পাড়াতে নিয়ে যায়। এসব করতে তার সমস্যা হয় না, কারণ সে কোনো কাজ করে না।

সাইকিয়াট্রিস্ট: এবার আপনার সমস্যাটি আবার বলুন আমাকে। আমি কী করতে পারি দেখি।
ভদ্রলোক: কাজ শেষে ঘরে ফিরে স্ত্রীর বেকার জীবনের সুখ দেখে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছি জনাব। এ কি স্বাভাবিক ঈর্ষাকাতরতা? নাকি কোনো রোগ?

সাইকিয়াট্রিস্ট: এ অসুস্থতা। এর নিরাময় খুবই সহজ, যদি আমার প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করেন। আগামী দু'সপ্তাহ্‌ আপনি কাজ থেকে একটু আগে বেরুবেন, তারপর আমার দেওয়া এই তালিকার মানুষগুলোর সবাইকে, দৈনিক একজন করে খুঁজে বের করে, তাঁদের কাজ মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করবেন। সবার কাজ দেখা শেষ হলে, আমার কাছে আসবেন আপনি আবার, যদি আসার প্রয়োজন আছে মনে করেন, তো। এই নিন তালিকাটি:
১ম দিন- ক্লিনিকের নার্স
২য় দিন- রেস্তোরাঁর রাঁধুনি
৩য় দিন- কাজের আয়া
৪র্থ দিন- অফিসের পিয়ন
৫ম দিন- স্কুলের শিক্ষক
৬ষ্ঠ দিন- হোটেলের ওয়েটার
৭ম দিন- পাড়ার ধোপা
৮ম দিন- শিশুদের ন্যানি
৯ম দিন- স্কুলবাসের ড্রাইভার
১০ম দিন- বাড়ির দারোয়ান
১১ম দিন- ওল্ডহোমের কাউন্সেলর
১২ম দিন- হাসপাতালের চিকিৎসক
১৩ম দিন- বাজার করার কাজের লোক
১৪ম দিন- আশ্রয়দাত্রী মা

০২.
দু'সপ্তাহ্‌ পরে ভদ্রলোক আর আসেননি সাইকিয়াট্রিস্টের চেম্বারে।

০৩.
যে-কাজে অসুস্থতার ছুটি নেই, যে-কাজে সাপ্তাহিক বন্ধ নেই, যে-কাজে দৈনিক ৮ ঘণ্টার নিয়ম নেই, যে-কাজে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা অন-কল হাজিরা দিতেই হয়, সেই সনদ-বিহীন কাজটির সাহায্য পেয়েই আমরা প্রত্যেকটি মানুষ আজ এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি জীবনে।

"আপনি কোনো কাজ করেন, নাকি স্রেফ হাউজওয়াইফ?"- ন্যূনতম শিক্ষা থাকলে, এই প্রশ্নটি করবেন না আজকের পর থেকে।

সংগৃহীত ও পরিমার্জিত তথ্য
লেখাঃ Salah Uddin Ahmed Jewel

ইউরোপের একটি রেস্তোরা। ঐ রেস্তোরার ক্যাশ কাউন্টারে এক ভদ্রমহিলা এলেন আর বললেন ৫ টা কফি আর একটা সাসপেনশন। তারপর উনি পা...
31/08/2025

ইউরোপের একটি রেস্তোরা। ঐ রেস্তোরার ক্যাশ কাউন্টারে এক ভদ্রমহিলা এলেন আর বললেন ৫ টা কফি আর একটা সাসপেনশন। তারপর উনি পাঁচটি কফির বিল মেটালেন আর চার কাপ কফি নিয়ে চলে গেলেন।

কিছুক্ষণ পরে এক ভদ্রলোক এলেন আর অর্ডার করলেন দুটো লাঞ্চ প্যাক করুন আর দুটো সাসপেনশন রাখুন। উনি চারটে লাঞ্চের বিল মেটালেন আর দুটো লাঞ্চ প্যাকেট নিয়ে চলে গেলেন।

তার কিছুক্ষণ পর আরো একজন এলেন। অর্ডার করলেন দশটা কফি ছটা সাসপেনশন। উনি দশটা কফির পেমেন্ট করলেন আর চারটে কফি নিয়ে গেলেন।

এভাবেই একের পর এক চলতে লাগলো। বেশ কিছুক্ষণ পরে একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি জর্জর অবস্থায় কাউন্টারে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন কোনো সাসপেনশন কফি আছে ?

কাউন্টার থেকে জানানো হলো অবশ্যই আছে এবং এক কাপ গরম কফি ওনাকে দেওয়া হলো।

তারও অল্প কিছুক্ষণ পরে এক দাড়িওয়ালা ভদ্রলোক ভিতরে এসে জিজ্ঞাসা করলেন আজ কি কোনো লাঞ্চ সাসপেনশনে রাখা আছে ? কাউন্টার থেকে যথারীতি সম্মতি জানিয়ে তাকে গরম খাবারের একটি পার্সেল আর এক বোতল জল দেওয়া হলো।

এই ব্যাপারটা সারাদিন চলছে তো চলছেই। কিছু মানুষ নিজেদের পকেট থেকে নিজেদের অর্জিত রোজগার থেকে কিছু অজানা মানুষের খাওয়ার জন্যে পেমেন্ট করছেন আর কিছু গরীব দুস্থ মানুষ বিনা পেমেন্টে নিশ্চিন্তে খাওয়া দাওয়া করছেন। দিনভর চলছে এই কান্ড।

অথচ কেউ জানেনা কারোরই পরিচয়। না দাতা জানে গ্রহীতার পরিচয় না গ্রহীতা জানে দাতার পরিচয়।

প্রয়োজন নেই পরিচয় জানার,
প্রয়োজন নেই নিজের নাম জাহির করার।
কিন্ত প্রয়োজন আছে কিছু অভুক্ত মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেবার এবং সেটা একেবারেই গোপনে।

মানবিকতার এই চরম শিখরে পৌঁছনো দেশটির নাম "নরওয়ে", এবং নরওয়ের দেখাদেখি এই পরম্পরা ছড়িয়ে পড়ছে ইউরোপের অন্যান্য দেশেও!!

🚘 সদ্য কেনা নতুন গাড়ীটা যখন পরিষ্কার করছিলাম তখন আমার ছয় বছরের ছেলেটা ধাতব কিছু দিয়ে গাড়ীটাতে কিছু লিখছিল । খুব শখের গাড়...
30/08/2025

🚘 সদ্য কেনা নতুন গাড়ীটা যখন পরিষ্কার করছিলাম তখন আমার ছয় বছরের ছেলেটা ধাতব কিছু দিয়ে গাড়ীটাতে কিছু লিখছিল । খুব শখের গাড়ী তাই রাগ সামলাতে না পেরে লেখা অবস্হায় ছেলের হাতের উপর আঘাত করলাম । রাগের মাথায় খেয়াল করেনি যা দিয়ে আঘাত করেছি সেটা ছিল লোহার একটা পাইপ!
আমার ছোট্ট ছেলেটা হাসপাতালের বেডে শুয়ে ঘুমাচ্ছিল আর আমি ওর পাশে বসে কাঁদছি । লোহার আঘাতে চারটা আঙুল ভেঙে গেছে। আর ঠিক হবে না কখনও । আমার চোখের জল ওর গালের উপর পড়ে ঘুম ভেঙে যায় ওর । ব্যান্ডেজ করা হাতের দিকে চেয়ে আমায় বলে 'সরি বাবা, আমি আর গাড়ীর উপর লিখব না । আমার আঙুলগুলো কি আবার ফিরে পাবো-বাবা?'
বাড়িতে ফিরে পুরো গাড়ীটা দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে ফেলি । তারপর ক্লান্ত হয়ে বসে পড়ি । আমার চোখ পড়ে গাড়ীর গায়ে ছেলের লেখাটার উপর-- 'Love u Dad!♥️
পরদিন সকালে সেই হতভাগ্য বাবা আর বেঁচে নেই । ভীষণ কষ্টে আত্মহত্যা করেন। তার নিথর দেহের পাশে একটা চিরকুট পড়ে ছিল।😥😥😥
তাতে লিখেছিল :
'Anger & love have no limits. The choice is yours!'

আমরা এমন অনেক মানুষ আছি যারা নিজের রাগের জন্য জীবনে অনেক কিছু হারিয়ে ফেলি।

লেখাটা পড়ে চোখের কোণে পানি চলে এলো, শেয়ার না করে পারলাম না 😭

সংগৃহীত

এক বক্তৃতা চলাকালীন, একজন অধ্যাপক হঠাৎ এক গ্লাস জল তুলে ধরে উপরে তুলে ধরলেন। তিনি চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলেন, শুধু এটি ধরে র...
30/08/2025

এক বক্তৃতা চলাকালীন, একজন অধ্যাপক হঠাৎ এক গ্লাস জল তুলে ধরে উপরে তুলে ধরলেন। তিনি চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলেন, শুধু এটি ধরে রাখলেন, যখন ছাত্ররা একে অপরের দিকে তাকাতে শুরু করল, ব্যাখ্যার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। দশ মিনিট কেটে গেল, তবুও তিনি তার হাত নামিয়ে দিলেন না।

অবশেষে, তিনি জিজ্ঞাসা করলেন:
“আমাকে বলো, তোমাদের কি মনে হয় এই গ্লাসটির ওজন কত?”

ছাত্ররা অনুমান করতে শুরু করল:
“হয়তো কয়েক আউন্স!”
“চার আউন্স!”
“পাঁচ!”

অধ্যাপক হাসলেন।
“সত্যি বলতে, আমিও জানি না। জানতে হলে আমাদের এটি ওজন করতে হবে। কিন্তু এটাই আসল প্রশ্ন নয়। যদি আমি এই গ্লাসটি কয়েক মিনিট ধরে রাখি তাহলে কী হবে?”

“কিছুই না,” ছাত্ররা উত্তর দিল।

“ঠিক আছে। এখন, যদি আমি এটি এক ঘন্টা ধরে রাখি তাহলে কী হবে?”

“তোমার হাত ব্যথা করতে শুরু করবে,” একজন উত্তর দিল।

“ঠিক আছে। আর যদি আমি এটি সারাদিন ধরে রাখার চেষ্টা করি তাহলে কী হবে?”

“তোমার হাত অসাড় হয়ে যাবে, তুমি প্রচণ্ড ব্যথা পাবে, হয়তো চিকিৎসারও প্রয়োজন হবে,” ক্লাসের সবাই হেসে উঠলে আরেকজন বলল।

অধ্যাপক শান্তভাবে মাথা নাড়লেন।

“ঠিক আছে। কিন্তু বলো তো—কাচের ওজন কি কখনও বদলেছে?”

“না,” উত্তর এলো।

“তাহলে বাহুতে ব্যথা কেন? পেশীতে টান কেন?”

ঘরটি নীরব হয়ে গেল।

তারপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন:
“ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে আমার কী করা উচিত?”

“কাচটা নামিয়ে দাও,” কেউ একজন বললেন।

“ঠিক আছে!” অধ্যাপক চিৎকার করে বললেন। “জীবনের সমস্যাগুলি একইভাবে কাজ করে। যদি তুমি কয়েক মিনিটের জন্য এগুলো মাথায় বয়ে বেড়াও, তাহলে এটা কোন বড় কথা নয়। এগুলো নিয়ে বেশিক্ষণ ভাবো, আর এগুলো ব্যথা করতে শুরু করে। সারাদিন এগুলো নিয়ে ভাবো, আর এগুলো তোমাকে পঙ্গু করে দেবে—তুমি আর কিছুই করতে পারবে না।”

তিনি একটু থামলেন, তারপর এই কথাটি দিয়ে শেষ করলেন:
“এজন্যই প্রতিদিনের শেষে আপনার সমস্যাগুলি চেপে রাখা এত গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলির বোঝা বহন করে বিছানায় যাবেন না। বিশ্রাম নিন, রিচার্জ করুন, এবং আপনি শক্তি এবং স্পষ্টতার সাথে আগামীকালের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে ঘুম থেকে উঠবেন।”

During one lecture, a professor suddenly picked up a glass of water and held it up. He stood there quietly, just holding it, as the students began to glance at each other, waiting for an explanation. Ten minutes passed, and he still didn’t lower his arm.

Finally, he asked:
“Tell me, how much do you think this glass weighs?”

The students started guessing:
“Maybe a couple of ounces!”
“Four ounces!”
“Five!”

The professor smiled.
“Honestly, I don’t know either. To find out, we’d have to weigh it. But that’s not the real question. What happens if I hold this glass for a few minutes?”

“Nothing,” the students replied.

“Right. Now, what if I hold it for an hour?”

“Your arm will start to hurt,” one answered.

“Correct. And what if I try to hold it all day?”

“Your arm would go numb, you’d be in serious pain, maybe even need medical help,” another said as the class laughed.

The professor nodded calmly.
“Exactly. But tell me—did the weight of the glass ever change?”

“No,” came the reply.

“So why the pain in the arm? Why the tension in the muscles?”

The room fell silent.

Then he asked:
“What should I do to get rid of the pain?”

“Put the glass down,” someone said.

“Exactly!” the professor exclaimed. “Life’s problems work the same way. If you carry them in your head for a few minutes, it’s no big deal. Think about them for too long, and they start to hurt. Dwell on them all day, and they paralyze you—you won’t be able to do anything else.”

He paused, then finished with this:
“That’s why it’s so important to put your problems down at the end of each day. Don’t go to bed carrying the weight of them. Rest, recharge, and you’ll wake up ready to face tomorrow with strength and clarity.”

ছেলে মাকে বলছে, মা একটা কথা বলি, আমার একটা অনুরোধ রাখবে?তুই চাইলে আমি কি না করতে পারি? বল্ তোর সব কথা আমি রাখবো।তোমার বৌ...
29/08/2025

ছেলে মাকে বলছে, মা একটা কথা বলি, আমার একটা অনুরোধ রাখবে?

তুই চাইলে আমি কি না করতে পারি? বল্ তোর সব কথা আমি রাখবো।

তোমার বৌ'মা বলছিল তোমার বয়স হয়েছে। এখন তো তোমার শরীরের একটু বিশ্রাম প্রয়োজন। আর এই বাড়িটা তো খুব একটা ভালো না। ছোট ঘুপচি! তোমার কাশিটাও বেড়ে গেছে। আর ডায়াবেটিস তো আছেই, হার্টের সমস্যা, হাড়ের সমস্যা..... আরো কতো কি!"

হ্যাঁ রে, মনে হয় আর বেশিদিন....!

আহ্ থামো তো মা। তোমার সব সময় দেখা শোনার জন্য কাউকে রাখতে হবে।

আচ্ছা আমাকে তাহলে গ্রামের বাড়িতে...।

না না ওই যে বৃদ্ধাশ্রমের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চে ভর্তি করালে কেমন হয়? এটাই বলছিল তোমার বৌ'মা। ওখানে অনেকে থাকবে তোমার মতোই। তাদের সাথে গল্প করতে পারবে আর এ বাড়িতে তো কেউই নেই, আমি ব্যবসায় দৌড়াচ্ছি, তোমার বৌ'মা অফিসে আর মিঠু তো সারাদিনই স্কুলে।ওখানে তুমি আরামেই থাকবে মা। এটাই আমার, মানে আমাদের অনুরোধ ছিল।

আচ্ছা তুই চাইলে তাই হবে।

থ্যাংকস মা......।

আচ্ছা কালকে বিকেলেই কিন্তু তাহলে ওখানে যাচ্ছো। তোমার ব্যাগ গুছিয়ে রাখবে।

পরের দিন, অস্বস্তিকর জ্যামে আটকে আছে মা-ছেলে। নীরবতা ভাঙলেন মা.......!

বাবা ওখানে আমাকে দেখতে যাবি তো? পারলে একটা ফোন কিনে দিস আমাকে।

--- মা তুমি ফোন দিয়ে কি করবে? ওখানে ফোন আছে তো।

কিছুক্ষন পরে একটা বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামালো। বেশ কিছুক্ষণ নিরব থেকে এবার ছেলে বলে উঠলো।

-নামো মা, এটাই তো ওই বৃদ্ধাশ্রম। বলেছিলাম না তোমার পছন্দ হবে। তোমার জন্য দোতালার দক্ষিণের ঘরটা বুকিং দিয়ে রেখেছি।

টিং ডং টিং ডং (দরজা খুললো)

- হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ ! হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ 'মা' ! !

দরজা খুলতেই চমকে গেলেন মা। আরে ওই তো তার একমাত্র নাতি আর বৌ'মা কেক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এতো বেলুন আগে কখনো দেখেননি। এতো আয়োজন করে কখনো কেউ তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানায় নি। আরে, ওই তো তার দুই মেয়ে আর তাদের জামাই দাঁড়িয়ে।ওদেরও ডেকে এনেছে তার পাগল ছেলেটা।

হ্যাপি বার্থ ডে মা।

--- তুই অনেক বড় হয়ে গেছিস (মা কান্না ভেজা কন্ঠে)। কিন্তু, এটা কার ঘর?

--- বাড়ির ফলকে নাম দেখোনি! বাবার নামে রেখেছি। মা পুরো বাড়িটাই আমাদের। এবার তুমি আরামে থাকতে পারবে মা।

--- তুই না ! এমন কি কেউ করে? (কান্না ভেজা চোখে জোরে জোরে মাথা নাড়ছেন। আনন্দে কথা বলতে পারছেন না)

আয়োজন শেষে ঘুমাতে যাবে এমন সময় পেছন থেকে মায়ের ডাক। হাতের ব্যাগটা আতিপাতি খুঁজে একটা কৌটা বের করে ছেলের হাতে ধরিয়ে দিলেন।

--- নে এটার আর দরকার হবে না। (ইঁদুর বিষ)

চিন্তা করেছিলাম যদি বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসিস তাহলে সেদিনই খেয়ে নেবো।

--- ধুর মা কি যে বলো ! এটাই তো আমি কাল রাতেই পাল্টে তোমার ক্যালসিয়ামের ওষুধ ভরে রেখেছি। তুমি ঘুমাও।

মার আজ আর কিছুই চাওয়ার নেই। আর কিছু না হোক তার ছেলেকে অন্তত মানুষ করতে পেরেছে সে। যাক আজকের ঘুমটা সত্যিই আরামের হবে, ঘুমের ঔষুধ খেতে হবে না।

প্রত্যেক সন্তানই যেন মা-বাবাকে এভাবেই ভালোবাসে এবং মা-বাবার শেষ বয়সে যেন তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে না পাঠায়।
সংগৃহীত।

 #কোন এক রেষ্টুরেন্টে বহুবার দেখা গিয়েছে যে, এক ব্যক্তি (ভিক্ষুক) প্রায়ই আসে এবং ভিড়ের সুযোগ নিয়ে চুপচাপ খেয়ে বিল না দিয়...
29/08/2025

#কোন এক রেষ্টুরেন্টে বহুবার দেখা গিয়েছে যে, এক ব্যক্তি (ভিক্ষুক) প্রায়ই আসে এবং ভিড়ের সুযোগ নিয়ে চুপচাপ খেয়ে বিল না দিয়েই চলে যায়।

একদিন রেষ্টুরেন্টে যখন সে (ভিক্ষুক) খাচ্ছিল তখন এক ব্যক্তি রেষ্টুরেন্টের মালিককে গিয়ে বলল, ঐ যে লোকটা খাচ্ছে সে ভিড়ের সুযোগ নিয়ে বিল না দিয়েই চলে যাবে।

তার কথা শুনে রেষ্টুরেন্টের মালিক হেসে বললেন, কেবল আপনিই নন, আরো অনেকই ঐ লোকটার ব্যাপারে আমাকে অভিযোগ করেছে। তবুও আমি জেনে-শুনে, দেখেও না দেখার ভান করে কখনও তাকে বাধা দেইনি।

কারন, আমি মনে করি আমার রেষ্টুরেন্টে ভিড় এই লোকটার জন্যই হয়। সে যখন ক্ষুধার্ত থাকে তখন আমার রেষ্টুরেন্টের আশেপাশেই অবস্থান করে এবং স্রষ্টার কাছে দোয়া চায় যেন আমার দোকানে ভিড় হয় এবং এই ভিড়ের সুযোগে সে খেতে পারে।

এজন্য অহংকার করতে নেই যে, আমি কাউকে খাওয়াচ্ছি। বরং এটাও হতে পারে যে, আমিও কারো ভাগেরটা খাচ্ছি।
সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ 💞🌺🥀🍁💐🌿🍂☘️
সংগৃহীত পো*স্ট,,,,,

Address

Village/Titir Char, Post Office/Chandanpur, Upazila/Meghna
Cumilla
3515

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Abdul Gaffar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Abdul Gaffar:

Share