09/10/2024
সমাজ ও সভ্যতার নৈতিক অবক্ষয় রোধের অন্যতম উপাদান হচ্ছে ধর্মীয় অনুশাসন তথা ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবন-বিধান মেনে চলা। কেননা এটা যে কোন সমাজ ও সভ্যতার ভিত্তি এবং রাষ্ট্রীয় সুদৃঢ় অবকাঠামো বিনির্মাণের অন্যতম সোপান। মূলত ধর্ম বা জীবন-বিধান নৈতিক দর্শন থেকে শুরু করে প্রত্যয়গত ও সুদৃঢ় অধ্যাত্মবাদের প্রতি মানুষকে সচেতন করে তোলে। সুতরাং যারা বলে, ধর্ম সমাজ ও সভ্যতায় অসহনশীলতার জন্ম দেয়, তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক। তাদের এ ধারণা প্রতারণাপূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য।
আদর্শিক জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ধর্ম হলো সমাজ ও সভ্যতা বিনির্মাণ প্রক্রিয়ার অন্যতম ও অনিবার্যভাবে প্রয়োজনীয় এক অনুষঙ্গ। একটা পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা ও জীবন দর্শন হিসেবে ধর্মীয় বিধানের মাধ্যমে সামাজিক সমস্যা ও সভ্যতাকেন্দ্রিক জটিলতা নিরসন সম্ভব। (ইসলাম সভ্যতার শেষ ঠিকানা, পৃ. ১৪)
মানুষের মাঝে ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগরিত হলে তাদের দ্বারা কোন খারাপ কাজ সংঘটিত হতে পারে না। কারণ পবিত্র কুরআন ও হাদীসে বার বার অপরাধমূলক কাজের প্রতি ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। আর ভালো ও পূর্ণ কাজের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।
আল্লাহ বলেন, وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ “সৎকর্ম ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পরের সহযোগিতা কর। মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা করো না।” (সূরা মায়েদা-২) কাজেই মানুষ যদি ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে তাহলে সেখানে কোন অসঙ্গতি থাকবে না, মানুষে মানুষে কোন বিভেদ থাকবে না, একজন আরেকজনের অধিকার হরণ করবে না।