19/05/2025
একবার এক কৃষকের বাড়িতে ইদুর মারার জন্য ফাঁদ পাতা শুরু হল এবং ইদুর ফাঁদ থেকে বেরোনোর জন্য ফন্দি আটা শুরু করে এবং খুব স্বাভাবিকভাবেই সে খুব ভয় পেয়ে গেল। ফাঁদটি অকেজো করার জন্য সে ওই বাড়িতে থাকা মুরগির কাছে সাহায্য চাইতে গেল। মুরগি ঘটনা শুনে জবাব দিল যে, ফাঁদটি আমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। অতএব আমি এখানে কোন সাহায্য করতে পারবো না। মুরগির কাছ থেকে এই উত্তর শুনে ইঁদুর খুব স্বাভাবিকভাবেই দুঃখ পেল এবং ছাগলের কাছে গিয়ে সাহায্য চাইলো। ছাগল ফাঁদের কথা শুনে বলল ওই ফাঁদ বড়দের জন্য নয় আমি এখানে তোমাকে কোন সাহায্য করতে পারবো না। ইঁদুর ছাগলের কাছ থেকে সেইম উত্তর শুনে গরুর কাছে গেল। সবকিছু শুনে গরু বললো ইঁদুরের ফাঁদ আমার মত বড় প্রাণীর কোন ক্ষতি করতে পারবে না তাতে আমি কোন সাহায্য করতে পারবো না।ঈদুর শেষ পর্যন্ত নিরাশ হয়ে তার ঘরে ফিরে এলো। তারপর একদিন রাতের বেলা কৃষকের বউ অন্ধকারের ভেতরে বুঝতে পারলেন যে, ফাঁদে কিছু একটা ধরা পড়েছে। অন্ধকারে ফাঁদের কাছে হাত দিতেই উনি হাতে কামড় খেলেন। এবং দেখলেন ফাঁদে ইঁদুরের বদলে সাপ ধরা পড়েছে। তার চিৎকারে কৃষকের ঘুম ভাঙলো। তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডাকা হল। চিকিৎসা শুরু হয়ে গেল। কিন্তু অবস্থা মোটেই ভালো হচ্ছে না, ঔষধ হিসেবে ডাক্তার মুরগির সুপ খাওয়াতে বললেন। স্যুপের জন্য কৃষক মুরগিকে জবাই করে দিলেন। অবস্থা আস্তে আস্তে আরো খারাপ হতে লাগলো। দূর দূরান্ত থেকে আরো অনেক আত্মীয়-স্বজন আসতে লাগলেন বাধ্য হয়ে কৃষক ছাগলকে জবাই করে দিলেন তাদের আপ্যায়ন করার জন্য। আরো ভালো চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার দরকার হতে লাগলো। অবশেষে কৃষক তাদের গরুটিকে কসাইখানায় বিক্রি করে দিলেন। একসময় কৃষকের বউ সুস্থ হয়ে উঠলেন। আর এই সমস্ত ঘটনা ইঁদুর তার ছোট্ট ঘর থেকে পর্যবেক্ষণ করলো। এখন এই পুরো গল্প থেকে আমরা যে উপদেশটি পাই কেউ বিপদে সাহায্য চাইলে তাকে সাহায্য করা উচিত হোক সে বিপদ আপনাকে স্পর্শ করুক বা না করুক। বিপদগ্রস্থকে সাহায্য করা মানুষের নৈতিক দায়িত্ব । আপনার আমার নৈতিক দায়িত্ব। বিপদে পড়ে যে খারাপ সময় পার করে তার বিপদে খুশি বা উপহাস না করে তার পাশে গিয়ে দাঁড়ানো। দিনশেষে কাউকে কষ্ট দিলে, কারো ক্ষতির চিন্তা করলে আমরা নিজেরাই তার ফল ভোগ করব।