
12/02/2025
ব্লু কাট চশমা চোখের জন্য কতটা উপকারী এবং ক্ষতিকারী?
আজকে আপনারা ব্লু কাট চশমা চোখের জন্য কতটা উপকারী এবং ক্ষতিকারী তার বিস্তারিত জানাবো। ব্লু কাট বা ব্লু লাইট ব্লক চশমা ডিজিটাল ডিভাইসের থেকে আমাদের কতটুকু সুরক্ষা প্রদান করে। ব্লু কাট চশমা আমাদের ব্যবহার করা উচিত কি না? ব্লু কাট চশমার দাম কত? এই সকল প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য সবাই আগ্রহী। তাহলে চলুন ব্লু-কাট চশমা চোখের জন্য কতটা উপকারি এবং কতটা ক্ষতিকারী তার পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করি।
ব্লু লাইট কি?
আমরা আমাদের চারপাশে যে আলো দেখতে পাই, বিশেষ করে সূর্যের আলো। সেই আলো সাতটি রংয়ের সংমিশ্রণে তৈরি। এই আলোর সংমিশ্রণকে ইংরেজিতে Visibal Spectram বাংলায় দৃশ্যমান বর্ণচ্ছটা বা বর্ণালি। অর্থাৎ দেখতে পারা যায় এই আলো। এই বর্ণালির সাতটি রং হচ্ছে: বেগুনি, বেগুনি নীল, নীল, সবুজ, হলুদ, কমলা এবং লাল।
ব্লু লাইট হলো একটি দৃশ্যমান আলো যা উচ্চ-শক্তিসম্পন্ন শর্ট-ওয়েভলেংথে থাকে। এটি ৩৮০ থেকে ৪৯২ ন্যানোমিটারের মধ্যে রয়েছে এবং দৃশ্যমান আলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। এটি সূর্যের আলোতে, LED লাইট, কম্পিউটার স্ক্রিন, স্মার্টফোন, এবং টিভির মতো ডিজিটাল ডিভাইসগুলিতে পাওয়া যায়।
ব্লু কাট চশমা মূলত এমনভাবে ডিজাইন করা যা ডিজিটাল ডিভাইস থেকে নির্গত হওয়া উচ্চ শক্তির ব্লু লাইট বা নীল আলো ফিল্টার করে। এই চশমাগুলি সাধারণত এমন লেন্স দিয়ে তৈরি হয় যা ব্লু লাইটের তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে ফিল্টার করে এবং চোখের ক্লান্তি, শুষ্কতা
এবং অন্যান্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
ব্লু লাইট / নীল আলো মানুষের জন্য কতটা ক্ষতিকর?
চোখের চাপ (Digital Eye Strain): দীর্ঘ সময় নীল আলোর দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের উপর অনে চাপ পরে। যার ফলে চোখ ব্যাখা করে, অসস্থি লাগে।
রেটিনার ক্ষতি: ব্লু লাইটের উচ্চ-শক্তির ফোটোনিক তেজস্ক্রিয়তা দীর্ঘমেয়াদে চোখের রেটিনার ক্ষতি করতে পারে। এই উচ্চ নীল আলোর প্রভাবে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন চোখের রোগ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া কেন্দ্রিয় দৃষ্টি শক্তির ক্ষমতা কমে যেতে থাকে।
ঘুমের সমস্যা: মেলাটোনিন আমাদের ঘুমানো জন্য সহায়তা করে। কিন্তু নীল আলোর সংস্পর্শে থাকলে মেলাটোনিন উৎপাদন কম হয়। যা ঘুম চক্রকে প্রভাবিত করে। তাই নীল আলোর সংস্পর্শে দীর্ঘদিন থাকলে মানুষ নিদ্রাহিতনায় ভুগে থাকেন।
ড্রাই আই সিনড্রোম: ব্লু লাইটের প্রভাবে চোখের পৃষ্ঠের আদ্রতা কমে যায়। তাছাড়া একনাগাড়ে দির্ঘক্ষন তাকিয়ে থাকলে মানুষ চোখের পলক কম ফেলে। যা চোখ শুষ্ক হওয়ার আরেকটা বড় কারণ। এই সমস্যাকেই ড্রাই আই সিনড্রোম বলে। এই সমস্যা হলে চোখে জ্বালা, শুষ্কতা এবং অস্বস্তি হয়।
মাথাব্যথা: মাথার সবচেয়ে কাছের একটি অংশ হচ্ছে চোখ। ব্লু লাইট বা নীল আলো চোখের পেশীতে চাপ প্রয়োগ করে। যার ফলে মানুষ মাথা ব্যথার মতো সম্যায় ভুগে থাকেন। যারা দির্ঘক্ষন ডিজিটাল স্কিনের দিকে তাকিয়ে তাকে তাদের এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।