07/08/2025
২০১৮ সালের ২৬মে, কক্সবাজার
(ফোন রিং এর শব্দ)
-হ্যালো
-আব্বু তুমি কোথায়?
- আমি এই যে, ঐযে ইউ(টি)এনও অফিসে যাচ্ছি তো, চলে আসবো আম্মু।
- কতক্ষণ লাগবে?
- এইতো, বেশিক্ষণ লাগবে না। আমি চলে আসবো, ইনশাল্লাহ...ঠিকাছে? ঘুমাও... (নিঃশব্দতা)
(ফোন রিং এর শব্দ)
- হ্যালো আব্বু, আব্বু?
- হ্যালো আম্মু, আমি নীলা যাচ্ছি, নীলা।
- ক্যানো?
- যাচ্ছি, জরুরী কাজে যাচ্ছি (অসহায়, ভয়ার্ত কন্ঠ), যাচ্ছি আম্মু, গাড়িতে আছি তো।
- আব্বু তুমি কান্না করছো যে?
- (তয় ব্যাক্তি) হ্যালো হ্যালো...
(ফোন কেটে যায়)
(ফোন রিং এর শব্দ)
আল্লাহ আমার মোবাইলটা ধরে... আল্লাহ আমাকে একবার কথা বলতে দাও খোদা... ইয়া আল্লাহ...
ফোন রিসভড হয়, বাতাসের শব্দ। এ পাশ থেকে হ্যালো হ্যালো কে বলতে থাকেন একজন। ওপাশ থেকে অনেক ধরনের শব্দ।
হঠাৎ দুই-তিন ব্যাক্তির কথা শোনা যায়। এপাশ থেকে একজন মহিলা অনবরত চিৎকার করছেন।
আবারো কিছু অপষ্ট কথা, তুমি জড়িত? 'জ্বি'... অপষ্ট কথা...'নাহ' অপষ্ট কথা।
ব***ন্দু***ক লোডের শব্দ, সাথে সাথে ফা***য়া***র। একজন ব্যাক্তি কুকিয়ে উঠেন, গু*বিদ্ধ হয়ে আর্তনাদ। আবার গুলি।
ফোনের এপাশ থেকে স্ত্রী, সন্তানের কান্না।
এরপর হুইসেল এর শব্দ, অকাথ্য ভাষায় কথা', ধর ওরে ধর...। সেই ব****ন্দুকযু**দ্ধের নাটকের শেষ অংশ।
একপাশে স্ত্রী, সন্তানের তখনও অসহায় ডাক। আর নাটকের বাকি অংশ তখনো চলছে,
ফোনের রেকর্ডে নাটকের স্ক্রিপট পুরোটা রেকর্ড হয়ে যায়। আমরা শুনতে পাই আরো একটা 'বন্দুকযুদ্ধ' এর গল্প।
বলছিলাম টেকনাফের কাউন্সিলর একরামুল হক কে বিদায় করে দেওয়ার কথা। ঠান্ডা মাথায় কিভাবে 'ব**ন্দুকযু**দ্ধ' সাজানো হয় তার একটা উদাহরন ছিলো এই ফোন রেকর্ডিং। একজনকে ডেকে নিয়ে যেয়ে কিভাবে শেষ করা হয় তার প্রমান হিসেবে সামনে আসে একরামের মৃ****ত্যু*****র ঘটনা।
রেকর্ডিং এর শেষ অংশে স্ত্রীকে বলতে শোনা যায় "নাহ আম্মু তোমার আব্বু ফিরে আসবে"।
কিন্তু একরাম ততক্ষণে চলে গেছেন অনেক দূরে।