30/05/2025
গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, আইনের শাসন, ঐক্যমত্য, সহাবস্থান, নয়া বন্দোবস্ত সবকিছুই ফাঁকা বুলি। জুলাইয়ের দুই হাজার শহীদের রক্ত কথা বলতে এখনো বহু পথ বাকী।
এদেশে ইসলামপন্থীদের সামনে আরো কঠিন পরীক্ষা আসতে যাচ্ছে।
চট্টগ্রামে শাহবাগী বামদের সাথে শাহবাগবিরোধীদের সংঘর্ষের একপর্যায়ে একইসাথে দুজন নারী এবং পুরুষকে লাথি মারা হয়। এই ঘটনায় সারাদেশ তোলপাড় হয়ে যায়। এই ঘটনায় শিবিরের কোনো দায় না থাকলেও শিবিরকেই আসামী বানানো হয়। আমরা সাথে সাথেই এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিচার দাবী করলেও মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে শিবিরের মুণ্ডপাত করা হয়।
গতকাল সারাদিনে ছাত্রদল কর্তৃক একজন বৈষম্যবিরোধী নেত্রীকে রাস্তায় ফেলে নির্যাতন, হল থেকে ছাত্রদল নেত্রী কর্তৃক ছাত্রীকে বের করে দেওয়ার হুমকি, থানায় গিয়ে নিপীড়িত নারীকে আবারো নিপীড়ন করার হুমকি দেওয়া হলেও আশ্চর্যজনকভাবে সবাই নীরব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকে কোনো বিক্ষোভ হচ্ছে না। ৭ জন মিলে হলপাড়ায় মশাল মিছিলও কেউ করছে না। মিডিয়াপাড়াও নীরব। ডান- বাম- রাজনৈতিক- অরাজনৈতিক সবাই সম্মিলিতভাবে নীরব। চট্টগ্রামে সংঘর্ষ চলাকালে একটা লাথিতে যাদের চেতনা জেগে ওঠে, আজ সারাদিন নারীদের ওপর সিরিজ হামলায় তাদের চেতনায় আঘাত লাগে না।
চট্টগ্রামের ঘটনায় জামায়াত-শিবির সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ করলেও আজকের ঘটনায় বিএনপি-ছাত্রদল-যুবদল সফ্টবাম বাগছাচ সুশীল কারো প্রতিবাদ দেখবেন না।
এটারই পুনরাবৃত্তি হতে থাকবে দেশে। এভাবেই ক্ষমতাবানদের জুলুমকে নরমালাইজ করা হবে। অনাগত দিনে এভাবেই দুর্বলের উপর শকুনের মতো ঝাপিয়ে পড়বে সবাই।
এ জাতির মুক্তি এখনো বহুদূরে।