KAFI

KAFI Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from KAFI, Digital creator, Adorsho sadar Cumilla, Cumilla.

রাগান্বিত অবস্থায় কখনও শিশুকে প্রহার করবে না। পিতা ও উস্তাদ উভয়ের জন্যই এই কথা।রাগ প্রশমিত হওয়ার পর চিন্তা-ভাবনা করে ...
04/10/2023

রাগান্বিত অবস্থায় কখনও শিশুকে প্রহার করবে না। পিতা ও উস্তাদ উভয়ের জন্যই এই কথা।
রাগ প্রশমিত হওয়ার পর চিন্তা-ভাবনা করে শাস্তি দেবে। ছাত্রদের জন্য উত্তম শাস্তি হল ছুটি মওকুফ করে দেওয়া। শিশুর উপর এর খুব প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে।

শিক্ষক ছাত্র প্রহারে এজন্য বেপরওয়া হয়ে যান যে, তাকে প্রশ্ন করার কেউ থাকে না। শিশুর তো প্রশ্ন করার যোগ্যতাই নেই আর অভিভাবক শিক্ষককে পূর্ণ স্বাধীন করে দিয়েছেন এই বলে যে, ‘হাড্ডি আমাদের, আর চামড়া মিয়াজীর’!
মনে রাখবে! যার অধিকার সম্পর্কে প্রশ্ন করার কেউ থাকে না তার সম্পর্কে প্রশ্নকারী স্বয়ং আল্লাহ।

শিশুদেরকে প্রহার করা খুবই ভয়াবহ। আমাদের পিতা হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ শফী রাহ. বলতেন, অন্যান্য গুনাহ তো তওবার মাধ্যমে মাফ হতে পারে, কিন্তু শিশুদের উপর জুলুম করা হলে এর ক্ষমা পাওয়া খুবই জটিল। কেননা, এটা হচ্ছে বান্দার হক। আর বান্দার হক শুধু তওবার দ্বারা মাফ হয় না, যে পর্যন্ত না যার হক নষ্ট করা হয়েছে সে মাফ করে। এদিকে যার উপর জুলুম করা হয়েছে সে হচ্ছে নাবালেগ। নাবালেগের ক্ষমা শরীয়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়।

এমনকি শিশু যদি মুখে বলেও যে, আমি মাফ করলাম তবুও তা গ্রহণযোগ্য নয়। এজন্য এই অপরাধের মাফ পাওয়া খুব জটিল। আর তাই শিশুদেরকে প্রহার করা এবং তাদের সঙ্গে মন্দ ব্যবহার করার ব্যাপারে সাবধান হওয়া উচিত।

মাদরাসার কারী সাহেবরা এ অন্যায় করে ফেলেন। আল্লাহ তাআলা তাদের রক্ষা করুন। আমীন। হযরত থানভী রাহ. নিয়ম করেছিলেন যে, মকতবে কোনো কারী সাহেব শিশুদেরকে প্রহার করতে পারবে না। কেউ প্রহার করলে তাকে হযরত রাহ.-এর কাছে জবাবদিহি করতে হত এবং কখনও কখনও শাস্তিও পেতে হত।
একবার হযরত একথাও বলেছিলেন যে, এখন থেকে যদি জানতে পারি, কোনো কারী সাহেব কোনো শিশুকে মেরেছে তাহলে ওই কারী সাহেবকে মসজিদের বারান্দায় দাড় করিয়ে ওই শিশুর দ্বারা বেত দেওয়াব। বিষয়টা খুবই নাজুক ও মারাত্মক। এজন্য হযরত থানভী রাহ. এ বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর ছিলেন।

এটা ঠিক যে, শিশুদেরকে পড়ানো খুবই কঠিন কাজ। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ নয় এবং কখনও কখনও প্রহারের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েই যায়। তো এমন পরিস্থিতিতে অন্য কোনো চিকিৎসা ফলপ্রসূ না হলে হযরত রাহ. বলেন, এ ক্ষেত্রেও রাগান্বিত অবস্থায় মারবে না। এ সময় চুপ থাক। যখন ক্রোধ দূর হয়ে যাবে তখন ভেবে চিন্তে শাস্তি দিবে। এতে শাস্তির মাত্রা ঠিক থাকবে। যে পরি

02/10/2023

প্রখ্যাত ও জনপ্রিয় এই ইসলামি ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন বয়ান থেকে বিশেষ ১০টি উক্তি তুলে ধরা হল আওয়ার ইসলামের পাঠকদের জন্য:

১. সফলতা কোথায় খুঁজছো? সফলতা তোমাকে দিনে পাঁচবার ডাকে, ‘ এসো সফলতার দিকে।’ অবশ্যই নামাজই সঙ্গী হবে, দুনিয়া থেকে কবর পর্যন্ত, কবর থেকে হাশর পর্যন্ত এবং হাশর থেকে জান্নাত পর্যন্ত। তুমি তোমার জীবনে নামাজ নিয়ে আসো, নামাজ তোমার জীবনে শান্তি নিয়ে আসবে।

২. কেউ তোমাকে কষ্ট দিয়ে কথা বললে তার সাথে তর্কে না জড়িয়ে উল্টো তার জন্য দোয়া কর। নিশ্চয় তুমি যা করবে, তার অনুরূপ পাবে।

৩. ঘৃণা গুনাহকে করো, যে গুনাহ করেছে তাকে নয়। হতে পারে তোমার ভালোবাসার কারণে সে গুনাহ করাই ছেড়ে দিবে।

৪. চারটি বিষয়ে লজ্জা পাবেন না।-

১. পুরাতন কাপড়।

২. বয়স্ক মা-বাবা।

৩. দরিদ্র বন্ধু বান্ধব।

৪. সাধারণ জীবন যাপন।

৫. জীবনে ভালো মানুষের খোঁজে না থেকে তুমি নিজেই ভালো হয়ে যাও, হয়তো কারো খোঁজ পূরণ হয়ে যাবে।

৬. শুধু টাকার নাম রিজিক নয়, নেক সন্তান, উত্তম আখলাক, নেককার বন্ধুও রিজিকের অন্তর্ভুক্ত।

৭. তোমার মালিক আল্লাহ তায়ালা। তার কাছেই চাও, তার কাছেই হাত তোলো, তার কাছেই পাবে, তিনিই একমাত্র তোমার আশা পূরণ করতে পারেন।

৮. নামাজকে ভালোবাসার সহিত আদায় করলে দেখবে, আল্লাহ পাক নিজেই তোমাকে পরবর্তী নামাজের জন্য দাঁড় করিয়ে দিবেন।

৯. এমন নামাজী হও যেন এক মুহুর্তও নামাজ বিহীন থাকতে না পারো।

১০. কত আফসোস! জানাজার নামাজ পড়ার জন্য মানুষ অন্য দেশ থেকে এসে পড়ে কিন্তু ফজরের নামাজের জন্য মহল্লার মসজিদেও যায় না।
#@মাওলানা তারেক জামিলের।

30/09/2023

মুসলমানের গোটা জীবনই হতে পারে পুণ্যময়

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর ফযল ও করমে আমাদেরকে এমন দ্বীন দান করেছেন, যার মধ্যে মানবীয় প্রয়োজনের কোনো দিককেই অবহেলা বা উপেক্ষা করা হয়নি। আপনারা জেনে থাকবেন, কুরআনে কারীম পৃথিবীতে মানব সৃষ্টির যে উদ্দেশ্য বর্ণনা করেছে তা হল-

وَ مَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَ الْاِنْسَ اِلَّا لِیَعْبُدُوْنِ

আল্লাহ তাআলা বলছেন, আমি মানুষ এবং জিনকে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি। তারা আমার ইবাদত করবে- কেবল এ উদ্দেশ্যেই তাদের সৃষ্টি করেছি। [সূরা যারিয়াত (৫১) : ৫৬]

তো মানুষকে সৃষ্টি করার মূল উদ্দেশ্যই যখন এই, তখন কর্তব্য ছিল, সকাল-সন্ধ্যা, দিবারাত্রি মানুষের আর কোনো কাজ থাকবে না; শুধু আল্লাহর ইবাদত করবে।

কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাঁর অসীম অনুগ্রহে মানুষ সৃষ্টির আসল উদ্দেশ্য ইবাদত হওয়া সত্ত্বেও তাকে তার মানবীয় প্রয়োজন পূরণ করারও অনুমতি দিয়েছেন। অর্থাৎ সে নিজের ও পরিবার-পরিজনের জীবনোপকরণ এবং বসবাসের চাহিদা পূরণ করতে পারবে।

এ কারণে আল্লাহ তাআলা এমন এক দ্বীন আমাদেরকে দান করেছেন, যার মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনের সকল চাহিদা পূরণ করতে পারি। শুধু প্রয়োজন পূরণ পর্যন্তই শেষ নয়, বরং এগুলোকে নেক আমলেও পরিণত করতে পারি।

#@ হযরত আল্লামা মুফতি তাকি উসমানী.।

Address

Adorsho Sadar Cumilla
Cumilla

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when KAFI posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share