13/06/2025
প্রতীক জোশী ছয় বছর ধরে লন্ডনে থাকতেন। তিনি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। বহুদিন ধরেই স্বপ্ন দেখতেন—স্ত্রী আর তিনটি ছোট সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে সুন্দর জীবন গড়বেন। তখন তার পরিবার ছিল ভারতে।
বহু বছরের কষ্ট, কাগজপত্রের ঝামেলা আর অপেক্ষার পরে অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণের সময় এসেছিল। মাত্র দুই দিন আগে, তার স্ত্রী ডা. কোমি ভারতে থাকা চাকরি ছেড়ে দেন। সব ব্যাগ গুছিয়ে ফেলা হয়, প্রিয়জনদের বিদায় জানানো হয়। নতুন জীবনের পথে যাত্রা প্রস্তুত।
আজ সকালে, আনন্দ আর আশা নিয়ে প্রতীক, তার স্ত্রী এবং তিন সন্তান এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৭১-এ ওঠেন লন্ডনের উদ্দেশে। তারা একটি সেলফি তোলে, আত্মীয়দের পাঠায়। নতুন জীবনের শুরু।
কিন্তু তারা আর পৌঁছাতে পারেনি। মাঝ আকাশে বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে। পাঁচজনের কেউই বেঁচে থাকেনি।
মাত্র কয়েক সেকেন্ডে সব শেষ। একটা জীবনভর স্বপ্ন মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। এটা আমাদের কঠিনভাবে মনে করিয়ে দেয়—জীবন ভীষণ ভঙ্গুর। আমরা যা গড়ি, যাকে ভালোবাসি, সবই এক সুতোয় ঝুলে থাকে। তাই যতদিন বাঁচি, বাঁচার মতো বাঁচি, ভালোবাসি, যতটা পারি সুখ খুঁজি। কারণ কাল কী হবে, কেউ জানে না।
- অভিজিৎ রায় / The Skin Doctor
Pratik Joshi spent six years in London, working hard to build a better life for his family back in India. His wife, Dr. Komi Vyas, had just resigned from her job. Their bags were packed, hearts full of hope, ready to begin a new chapter together in a new land.
Just this morning, they boarded Air India Flight 171 with their three young children—smiles wide, dreams bigger. A selfie was sent to relatives. A one-way ticket to a brighter future.
But fate had other plans. The flight never made it. The crash left no survivors.
A life built over years disappeared in seconds. A reminder that life is fragile, tomorrow is never promised. Love deeply, live fully, and don’t put off joy for another day. 💔