Structure Aid Engineering

Structure Aid Engineering "নির্ভরযোগ্য নকশা, শক্তিশালী নির্মাণে প্রতিশ্রুতি "

➤ আজকের বিষয়ঃ ইট(Bricks)☞ স্বল্প খরচে সুদৃঢ় দীর্ঘস্থায়ী নির্মাণকাজের জন্য নির্মাণ উপকরণ সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা একজন স্থ...
13/07/2025

➤ আজকের বিষয়ঃ ইট(Bricks)

☞ স্বল্প খরচে সুদৃঢ় দীর্ঘস্থায়ী নির্মাণকাজের জন্য নির্মাণ উপকরণ সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা একজন স্থপতি, ইঞ্জিনিয়ার,কাঠামো নির্মাতা এবং নির্মাণকাজে সংশিষ্ট সকলের জানা একান্ত প্রয়োজন। বর্তমানে আমাদের দেশে
নির্মাণকাজে দেশীয় নির্মাণ উপকরণের সাথে সাথে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত অনেক উপকরণও ব্যবহৃত হচ্ছে।
সুতরাং নিয়মিতভাবেই নিজেকে নানা উপায়ে বিভিন্ন নির্মাণ উপকরণ সম্বন্ধে ধারণা সমৃদ্ধ করতে হবে। আজকে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ইট সম্বন্ধে আলোচনা করা হলো।
◑ ইট
☞ বাংলাদেশে ইট একটি বহুল ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রী। একই আকারের আয়তাকার বকের ছাচে কাদামাটি ঢালাই (moulding) দেয়ার পর রোদে শুকিয়ে এবং আগুনে পুড়িয়ে যে পাথরসদৃশ্য ঘন বস্তু পাওয়া যায় তাকে ইট বলে। যেহেতু ইটগুলো একই আকারের হয়, তাই এগুলো সঠিকভাবে সাজানো যায়, ওজনে হালকা হয় ফলে
ইট পাথরের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
◑ ইটের জন্য ভালো মাটিতে নিম্নলিখিত উপাদান থাকেঃ
ক. এলুমিনা (Alumina) - শতকরা ২০-৩০ ভাগ।
খ. সিলিকা (Silica)- শতকরা ৫০-৬০ ভাগ।
গ. লাইম ( Lime)
ঘ. আয়রন অক্সাইড (Oxide of iron)- শতকরা ৫-৬ ভাগ।
ঙ. ম্যাগনেসিয়া (Magnesia )
◑ ইট তৈরিতে নিম্নলিখিত পর্যায়গুলো বিদ্যমানঃ
১. মাটি প্রস্তুতকরণ (Preparation of clay)
২. ছাচে ঢালাই দেয়া (Moulding)
৩. রোদে শুকানো (Drying)
৪. পোড়ানো (Burning)
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
◑ ইটের শ্রেণিবিন্যাসঃ
> ইটকে সাধারণভাবে দুইভাগে ভাগ করা যেতে পারে; যথাঃ-
(i) কাঁচা ইট বা পোড়ানোবিহীন বা রোদে শুকানো ইট।
(ii) পাকা ইট বা পোড়ানো ইট।
✪ পোড়ানোবিহীন বা রোদে শুকানো ইটঃ
মোল্ডিং প্রক্রিয়ার পর সূর্য হতে প্রাপ্ত তাপে পোড়ানোবিহীন বা রোদে শুকানো ইট তৈরি হয়। অস্থায়ী এবং কম দামি কাঠামোর নির্মাণে এ ধরনের ইট ব্যবহার করা যেতে পারে। যে জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত ঘটে সেখানে এ ধরনের ইট ব্যবহার করা উচিত নয়।
✪ পোড়ানো ইটঃ
এ ধরনের ইট নির্মাণকাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এদেরকে নিম্নলিখিত চার ভাগে ভাগ করা হয়।
(ক) প্রথম শ্রেণির ইট ( First class bricks):
এ ধরনের ইট টেবিল মোল্ডেড (table moulded) এবং আদর্শ আকৃতির হয়। এর তল এবং কোণা তীক্ষ্ণ, বর্গাকার, মসৃণ এবং সোজা হয়ে থাকে। এই ধরনের ইটে আদর্শ ইটের সকল গুণাগুণ বিদ্যমান থাকে এবং তুলনামূলক স্থায়ী প্রকৃতির উত্তম (superior) কাজে এ ধরনের ইট ব্যবহৃত হয়।
(খ) দ্বিতীয় শ্রেণির ইট (Second class bricks):
এ ধরনের ইট গ্রাউন্ড মোল্ডেড এবং এগুলো ইটের ভাটায় পোড়ান হয়। এর তল কিছুটা অমসৃণ এবং আকৃতি অসম হয়ে থাকে। এই ধরনের ইট সাধারণত যেখানে ইটের কাজের উপর প্লাস্টার ব্যবহার করা হয় সেখানে ব্যবহৃত হয়।
(গ) তৃতীয় শ্রেণির ইট (Third class bricks):
এ ধরনের ইট গ্রাউন্ড মোল্ডেড এবং এগুলো ইটের ক্লাম্পে পোড়ানো হয়। এর তল অসম মসৃণ এবং কোণা ভাঙা হয়ে থাকে। এ ধরনের ইট যদি
এক সাথে আঘাত করা হয় তাহলে ক্ষীণ শব্দ হয়। এই ইট সাধারণত কম গুরুত্বপূর্ণ এবং অস্থায়ী কাঠামোগুলোতে এবং যেখানে ভারী বৃষ্টিপাত ঘটে সেখানে এ ধরনের ইট ব্যবহৃত হয়। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
(ঘ) চতুর্থ শ্রেণির ইট (Fourth class bricks):
এ ধরনের ইট বেশি পুড়ে যায়। এই ইট অসম আকৃতির এবং কালো রঙের হয়ে থাকে। এ ধরনের ইট যদি এক সাথে আঘাত করা হয় তাহলে ক্ষীণ শব্দ হয়। এই ইট সাধারণত এগ্রিগেট হিসেবে কংক্রিটের ভিত্তি, ফ্লোর, রাস্তা ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়। কেননা এই ইটের কাঠামো অনেক ঘন বিন্যস্ত থাকে, ফলে কখনও এগুলো প্রথম শ্রেণির ইটের চেয়েও বেশি শক্তিশালী হয়।
◑ ইটের পরিমাপঃ
> বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্স BDS 208 : 2009 Specification for Common Building clay bricks (Thirdrevision) এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর (পিডবিউডি) স্পেসিফিকেশন ( specification) অনুযায়ী প্রতিটি ইটের
পরিমাণ হবে ৯.৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য, ৪.৫ ইঞ্চি প্রস্থ এবং ২.৪৫ ইঞ্চি উচ্চতা (এফপিএস এককে ২৪০ মিমি x ১২০মিমি x ৭০ মিমি মেট্রিক এককে) এবং পাস্টারসহ ১০ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য, ৫ ইঞ্চি প্রস্থ এবং ৩ ইঞ্চি উচ্চতা বিশিষ্ট হয়ে থাকে। অন্যান্য মাপের ইটও রয়েছে কিন্তু এই মাপটি বিভিন্ন সাইজের ইটের দেয়াল নির্মাণে
অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে লাভজনক।
◑ বিভিন্ন প্রকার ইটের গুণাগুণঃ
✪ প্রথম শ্রেণির ইটের গুণাগুণঃ
⊕ উত্তমরুপে পোড়ানো, যার রং ও আকার সুষম ।
⊕ আঘাত করলে বাজনার বা ধাতব পদার্থের মতো শব্দ হবে।
⊕ গঠন উত্তম, ধার বা কিনারাগুলো ধারালো ও পৃষ্ঠদেশ সমতল কিন্তু মসৃণ নয় ।
⊕ কোনো ফাটল বা বিকৃতি থাকবে না।
⊕ আঁচড় কাটলে কোনো দাগ পড়বে না।
⊕ ৫ বা ৬ ফুট উপর হতে ফেললে ভাঙে না।
⊕ ২৪ ঘণ্টা পানিতে ডুবিয়ে রাখলে নিজ শুষ্ক ওজনের ২০% এর বেশি পানি শোষণ করে না।
⊕ ঘনত্ব বা একক ওজন ২০০০ কেজি/মি.৩
N ক্রাশিং স্ট্রেন্থ ১৭০ কেজি / সেমি. ২ (গড়), কিন্তু প্রতিটি ১৪০ কেজি/ সেমি. ২ এর চেয়ে কম হতে পারবে না।
✪ দ্বিতীয় শ্রেণির ইটের গুণাগুণঃ
⊕ এ ধরনের ইট গ্রাউন্ড মোল্ডেড (ground moulded) এবং এগুলো ইটের ভাটায় পোড়ান হয়।
⊕ এর পৃষ্ঠদেশ কিছুটা অসমৃণ এবং আকৃতি অসম হয়ে থাকে। প্রথম শ্রেণির ইটের মতই শক্ত।
⊕ রং কিছুটা সিঁদুরে কালচে লালের মতো।
⊕ পানি শোষণক্ষমতা প্রায় শতকরা ২২ ভাগ।
⊕ এই ধরনের ইট সাধারণত যেখানে ইটের কাজের উপর প্লাস্টার ব্যবহার করা হয় সেখানে ব্যবহৃত হয়।
✪ তৃতীয় শ্রেণির ইটের গুণাগুণঃ
⊕ এ ধরনের ইট গ্রাউন্ড মোল্ডেড (ground moulded) এবং এগুলো ইটের ক্লাম্পে পোড়ানো হয়।
⊕ এর তল অসম অমসৃণ ও কোণা ভাঙা হয়ে থাকে এবং নরম। এক সাথে আঘাত করলে ক্ষীণ শব্দ হয়।
⊕ হালকা হলুদ রঙের মতো এবং জলীয় বাষ্প গ্রহণের ফলে এ ধরনের ইটে লবণাক্ততা দেখা যায়।
⊕ কম গুরুত্বপূর্ণ এবং অস্থায়ী কাঠামোগুলোতে এবং যেখানে ভারী বৃষ্টিপাত ঘটে সেখানে ব্যবহৃত হয়।
✪ পিকেড/ঝামাঃ
⊕ সঠিকভাবে পোড়ানো, আকার আকৃতির সাম্যতাহীন ও গাঢ় রঙের হয়ে থাকে।
⊕ পোড়ানোর সময় অতিরিক্ত তাপের ফলে গলে বড় এবং এবড়ো থেবড়ো হয়।
⊕ ২৪ ঘণ্টা পানিতে ডুবিয়ে রাখলে নিজ শুষ্ক ওজনের ১৫% এর বেশি পানি শোষণ করে না।
⊕ ক্রাশিং স্ট্রেস্থ ২৪০ কেজি/সেমি ২ (গড়), কিন্তু প্রতিটি ১৭০ কেজি/সেমি. ২ এর চেয়ে কম হতে পারবে না।
✪ ঝামা ইটঃ
⊕ ভালোভাবে পোড়ানো থাকে ।
⊕ উচ্চ তাপমাত্রায় গলে ফোঁকর (ছিদ্র) অবস্থার সৃষ্টি হয়।
⊕ এই ইট কালো বর্ণের হয়ে থাকে।
⊕ আকার-আকৃতি সুষম থাকে না।
◑ ভালো ইটের বা প্রথম শ্রেণির ইটের বৈশিষ্ট্য বা গুণাগুণঃ
১। ভালো ইট টেবিল মোল্ডেড, ইট ভাটায় ভালোরূপে পোড়ানো, কপার রঙের, ফাটলবিহীন এবং তীক্ষ্ণ বর্গাকৃতির কোণা বিশিষ্ট হবে।
২। ইট সুষম আকৃতির এবং আদর্শ মাপের হবে।
৩। যখন দুটো ইট পরস্পরে আঘাত করা হবে তখন পরিষ্কার রিং-এর মতো শব্দ শোনা যাবে।
৪। এই ইট ভাঙা হলে একটি উজ্জ্বল সমগোত্রীয় এবং কোনো শূন্যস্থান (void) মুক্ত কাঠামো দৃষ্টিগোচর
হবে।
৫। ২৪ ঘণ্টা পানিতে ডুবিয়ে রাখলে প্রথম শ্রেণির ইট তার নিজের ওজনের শতকরা ২০ ভাগের বেশি, দ্বিতীয় শ্রেণির ইট শতকরা ২২ ভাগের বেশি পানি শোষণ করবে না।
৬। ইট যথেষ্ট পরিমাণ শক্ত হবে যাতে নখ দিয়ে আঁচড় কাটলে কোনো দাগ পড়ে না ।
৭। ভালো ইটের তাপ পরিবহন ক্ষমতা কম হবে এবং শব্দ নিরোধক হবে।
৮। যখন শক্ত কোনো মেঝেতে এক মিটার উঁচু হতে সোজা করে ফেলা হবে তা ভেঙে যাবে না । ইঞ্জিনিয়ার সাহেব
৯। ২৪ ঘণ্টা পানিতে ডুবিয়ে রাখার পর ছায়াতে শুকানো হলে কোনো সাদা লবণ জমা হওয়া দেখা যাবে না।
১০। এই ধরনের কোনো ইটের ক্রাশিং স্ট্রেন্থ ১৪০ কেজি/ সেমি২ এর চেয়ে কম হবে না।
◑ ইটের মাঠ পরীক্ষা বা ফিল্ড টেস্টঃ
> কোনো ইট নির্মাণকাজে উপযুক্ত কিনা তা বোঝার জন্য নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলো সম্পাদন করতে হয়। যথাঃ-
১। পানি শোষণ (Absorption):
একটি ভালো ইট তার শুষ্ক অবস্থার ওজনের চেয়ে শতকরা ২০ ভাগের বেশি পানি শোষণ করবে না।
২। ক্রাশিং স্ট্রেন্থ বা কমপ্রেসিভ স্ট্রেন্থ (Crushing strength or compressive strength) :
যদিও এগুলো জানার জন্য ল্যাবরেটরিতে কম্প্রেসন টেস্টিং মেশিনের সাহায্যের প্রয়োজন হয় তবে মাঠ পর্যায়ে বোঝার জন্য দুটো ইটকে ইংরেজি অক্ষর "T" এর মতো করে এক মিটার উঁচু হতে ফেলতে হবে, যদি না ভাঙে তাহলে বোঝা যাবে এটি ভাল ইট।
৩। কাঠিন্যতা (Hardness) : একটি ভালো ইটের গায়ে নখ দিয়ে আঁচড় কাটলে দাগ না পড়ে তাহলে বুঝতে হবে ইট যথেষ্ট শক্ত।
৪। দ্রবীভূত লবণের উপস্থিতি (Presence soluble salts):
পানিতে ২৪ ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখলে কোনো ধূসর
বা সাদা লবন দেখা যাবে না।
৫। আকার-আকৃতি এবং মাপ (Shape and size) :
ইট আদর্শ মাপের এবং এর কিনারাগুলো খুব তীক্ষ্ণ হবে।
৬। শব্দ (Sound) :
যখন দুটো ইটকে পরস্পর আঘাত করা হবে তখন পরিষ্কার বাজনার মতো বা ধাতব শব্দ
শোনা যাবে।
৭। গঠন (Structure):
ইটের গঠন সমগোত্রীয় (homogeneous), সুদৃঢ় এবং খুঁতবিহীন হলে ভালো ইট।
৮। রং (Colour):
ইট ভেঙে টুকরা করলে টুকরাগুলোর রং দেখতে একই রকম হলে তাহলে এটি ভালো
ইট। এম.আর কন্সট্রাকশন
◑ ইটের ওজনঃ
> কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে কোনো রকম বা কি ওজনের ইট ব্যবহার করতে হবে। যেমনঃ বহুতলা ভবন।
নির্মাণে কম ওজন বিশিষ্ট ইট বেশি উপযোগী।
⊕ সাধারণ প্রচলিত ইটের ওজনঃ
একটি ৯.৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য, ৪.৫ ইঞ্চি প্রস্থ এবং ২.৭৫ ইঞ্চি উচ্চতার ( ২৩ সেমি×১২ সেমি x ৩সেমি) ইটের ওজন প্রায় চার (৪) কেজি।
⊕ মডুলার ইটঃ
২০ সেমি x ১০ সেমি x ১০ সেমি (মসলাসহ) মডুলার ইটের ওজন প্রায় ৩.৫ কেজি।
◑ ইটের ব্যবহারঃ
⊕ প্রথম শ্রেণির ইটঃ
সকল প্রকার স্থায়ী ও উত্তম কাজে ইমারত, সেতু, রাস্তা-ঘাট, বাঁধ, উইয়ার বা লাইনের কাজে। সৌন্দর্য, কারুকার্যময় কাজে এবং ফেসিং ব্রিক হিসেবে। কংক্রিটের খোয়া তৈরীতে ব্যাবহার করা হয়।
⊕ দ্বিতীয় শ্রেণির ইটঃ
গাঁথুনির কাজে, তবে অসমৃণ তল থেকে দেওয়ার জন্য প্লাষ্টার ব্যবহার করতে হবে।
রাস্তা বা কংক্রিটের খোয়াতে। অভ্যন্তরীণ দেয়াল যার উপর কোনো লোড পড়ে না।
⊕ তৃতীয় শ্রেণির ইটঃ
সোলিং-এর কাজে। সুরকি তৈরির কাজে। ওয়াটার বন্ডিড ম্যাকাডাম সড়কে।
⊕পিকেড/ঝামাঃ
রাস্তার খোয়া তৈরিতে। গাঁথুনির কাজে। কংক্রিটের খোয়া তৈরির কাজে ব্যাবহৃত হয়।
⊕ ঝামা ইটঃ
খোয়া তৈরির কাজে। ব্যাটস্ তৈরির কাজে।
⊕ ঝাঁঝরা ইটঃ
ছোট ইমারতে ভার বহনকারী দেয়াল (load bearing walls) হিসেবে, বহুতলা ভবনে অভ্যন্তরীণ দেয়াল (partition walls) বা প্যানেল দেয়াল (panel walls) হিসেবে ব্যবহৃত হয় যা কাঠামোর মোট ওজন কমিয়ে আনে।
⊕ ফোকর বিশিষ্ট ইটঃ
বহুতল ভবনের ভার বহনকারী দেয়াল, অভ্যন্তরীণ দেয়াল, প্যানেল দেয়াল হিসেবে তাপ বা ঠাণ্ডার প্রতিবন্ধক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
⊕ ছক আঁকা ইটঃ
অলংকারমূলক কাজে ব্যবহৃত হয়। পিছ ইট দেয়ালের উপরিভাগে ছেড়ার এবং ফ্রেচার পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়। জ্যাম্ব ইট দেয়ালের কোণায় অলংকারমূলক কাজে ও জানালার জ্যাম্ব তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
⊕ বুলনোজ ইটঃ
দেয়ালে কোণায় অলংকারমূলক কাজে ব্যবহৃত হয়। কপিং ইট কম্পাউন্ড ওয়াল বা প্যারাপেটের কপিং-এর কাজে ব্যবহৃত হয়।
⊕ স্ট্রিং কোর্স ইটঃ
স্ট্রিং কোর্সে ব্যাবহৃত হয়।
⊕ কার্নিশ ইটঃ
কার্নিশের কাজে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়।
⊕ গাটার ইটঃ
ড্রেনেজ কাজে ঢালু ছাদের পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

08/07/2025

বাড়ি নির্মাণ শুরু করার আগে সঠিক প্রস্তুতি নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি সময়, টাকা এবং ভবিষ্যৎ ঝামেলা বাঁচায়। নিচে ধাপে ধাপে করণীয়গুলি দেওয়া হল:

১. **পরিষ্কার পরিকল্পনা ও লক্ষ্য নির্ধারণ:**
* **বাড়ির ধরন:** কত তলা হবে? কক্ষ কয়টি? আধুনিক নাকি ট্র্যাডিশনাল ডিজাইন?
* **বাজেট নির্ধারণ:** বাস্তবসম্মত ও বিস্তারিত বাজেট তৈরি করুন (নির্মাণ খরচ, ফার্নিচার, জরুরি ফান্ড সহ)।
* **জমি বিশ্লেষণ:** জমির আকার, আকৃতি, মাটি ধরন, দিকনির্দেশ (সূর্যালোক, বাতাস), পার্শ্ববর্তী পরিবেশ বিবেচনা করুন।

২. **অর্থের যোগান নিশ্চিতকরণ:**
* সঞ্চয়, ব্যাংক লোন (হাউজ বিল্ডিং লোন), বা অন্য উৎস থেকে টাকার ব্যবস্থা করুন।
* বাজেটের ১০-১৫% অতিরিক্ত জরুরি ফান্ড রাখুন (অপ্রত্যাশিত খরচের জন্য)।

৩. **পেশাদার নিয়োগ:**
* **আর্কিটেক্ট:** আপনার চাহিদা অনুযায়ী নকশা (ড্রয়িং) তৈরি করবেন। তাঁর সাথে নিয়মিত আলোচনা করুন।
* **স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার:** বাড়ির কাঠামো (ফাউন্ডেশন, কলাম, বিম) নকশা ও হিসাব করবেন।
* **সিভিল ইঞ্জিনিয়ার/সুপারভাইজর:** নির্মাণ কাজ তদারকি করবেন, মান নিয়ন্ত্রণ করবেন।
* **লিগ্যাল কনসালট্যান্ট (প্রয়োজনে):** জমি ও দলিল সংক্রান্ত জটিলতা এড়াতে।

৪. **ডিজাইন ও নকশা (ড্রয়িং) চূড়ান্তকরণ:**
* আর্কিটেক্ট ও ইঞ্জিনিয়ারের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করুন (রুমের লেআউট, সাইজ, দরজা-জানালার অবস্থান, বৈদ্যুতিক পয়েন্ট, প্লাম্বিং ইত্যাদি)।
* **অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:** **স্ট্রাকচারাল ড্রয়িং, আর্কিটেকচারাল ড্রয়িং, ইলেকট্রিক্যাল ড্রয়িং, প্লাম্বিং ড্রয়িং** - সব ধরণের ড্রয়িং চূড়ান্ত করুন।

৫. **সরকারি অনুমোদন ও কাগজপত্র:**
* **জমির দলিল:** স্পষ্ট ও ঝামেলামুক্ত দলিল নিশ্চিত করুন (মিউটেশন, খতিয়ান চেক করুন)।
* **ভূমি ব্যবহার অনুমতি (Land Use Permission):** আপনার এলাকায় আবাসিক নির্মাণের অনুমতি আছে কিনা।
* **বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন:** স্থানীয় পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন/উপজেলা থেকে আর্কিটেক্টের করা প্ল্যান জমা দিয়ে **বিল্ডিং পারমিট** নিন। **এটি ছাড়া কাজ শুরু করা বেআইনি ও বিপজ্জনক।**
* অন্যান্য প্রয়োজনীয় এনওসি (নন-অবজেকশন সার্টিফিকেট) সংগ্রহ করুন (প্রয়োজনে)।

৬. **সাইট প্রস্তুতি:**
* **সাইট ক্লিয়ারেন্স:** গাছপালা, আবর্জনা পরিষ্কার করুন।
* **সীমানা নির্ধারণ:** জমির চারপাশে সঠিকভাবে সীমানা চিহ্নিত করুন (বাউন্ডারি ওয়ালের জন্য)।
* **সাইট অফিস/গোডাউন:** সামগ্রী রাখার জায়গা ও শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা করুন (প্রয়োজনে)।
* **জল নিকাশি:** বৃষ্টির পানি যেন জমে না থাকে তার ব্যবস্থা করুন।

৭. **মাটি পরীক্ষা (Soil Test):**
* **অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ!** ইঞ্জিনিয়ারের মাধ্যমে মাটি পরীক্ষা করান। এর ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই ফাউন্ডেশনের ধরন ও গভীরতা নির্ধারিত হবে। এটি বাড়ির দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তার জন্য জরুরি।

৮. **নির্মাণ সামগ্রীর পরিকল্পনা ও ক্রয়:**
* ইঞ্জিনিয়ার/কন্ট্রাক্টরের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় উপকরণের তালিকা (সিমেন্ট, ইট, বালি, স্টিল, পাথর, বিদ্যুৎ-প্লাম্বিং সামগ্রী ইত্যাদি) তৈরি করুন।
* নির্ভরযোগ্য সাপ্লায়ার থেকে দরদাম করে ক্রয়ের পরিকল্পনা করুন। মানসম্পন্ন উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
* সামগ্রী সাইটে পৌঁছানোর রাস্তা ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন।

৯. **ঠিকাদার (কন্ট্রাক্টর) নির্বাচন:**
* **সুপারিশ, পূর্ব কাজ দেখা এবং রেফারেন্স চেক করুন।**
* **স্পষ্ট চুক্তিপত্র (Agreement):** **অবশ্যই লিখিত চুক্তি করুন।** চুক্তিতে যেন নিম্নলিখিত বিষয়গুলি স্পষ্ট থাকে:
* কাজের বিস্তারিত বিবরণ (Scope of Work)
* বাজেট ও পেমেন্ট শিডিউল
* নির্মাণের আনুমানিক সময়কাল
* ব্যবহার করা সামগ্রীর গুণগত মানের বিবরণ (ব্র্যান্ড, গ্রেড)
* দায়দায়িত্ব (যেকোনো দুর্ঘটনা বা ক্ষতির দায় কে নেবে)
* ওয়ারেন্টি/গ্যারান্টি (কাজের উপর)
* **কম দামের লোভে ভুলেও অদক্ষ বা অসৎ ঠিকাদার নিয়োগ করবেন না।**

১০. **যোগাযোগ ও তদারকির ব্যবস্থা:**
* আর্কিটেক্ট/ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদার এবং আপনার মধ্যে স্পষ্ট যোগাযোগের লাইন স্থাপন করুন।
* কে নিয়মিত তদারকি করবেন (আপনি নিজে, পরিবারের সদস্য বা নিয়োগকৃত সুপারভাইজর) তা নির্ধারণ করুন।
* সাপ্তাহিক/মাসিক মিটিংয়ের রুটিন করুন।

১১. **প্রাথমিক কাজের সিকোয়েন্সিং:**
* ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারের সাথে আলোচনা করে কাজ শুরুর প্রাথমিক ধাপগুলির পরিকল্পনা করুন (যেমন: সীমানা প্রাচীর > সাইট লেভেলিং > পিলিং/ফাউন্ডেশন খনন)।

**শুরুর আগে শেষ চেকলিস্ট:**
* ✅ জমির দলিল ও পারমিট নিশ্চিত? (বিল্ডিং পারমিট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ)
* ✅ বিস্তারিত নকশা (ড্রয়িং) চূড়ান্ত ও অনুমোদিত?
* ✅ মাটি পরীক্ষা সম্পন্ন ও রিপোর্ট অনুযায়ী ফাউন্ডেশন ডিজাইন?
* ✅ বাজেট ও অর্থের যোগান নিশ্চিত (জরুরি ফান্ড সহ)?
* ✅ পেশাদার দল (আর্কি, ইঞ্জি, ঠিকাদার) নিয়োগ ও চুক্তি সম্পন্ন?
* ✅ নির্মাণ সামগ্রীর প্রাথমিক অর্ডার/ব্যবস্থা?
* ✅ সাইট প্রস্তুত (পরিষ্কার, সীমানা চিহ্নিত, সামগ্রী রাখার জায়গা)?
* ✅ তদারকির ব্যবস্থা নিশ্চিত?

**গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:**
* **ধৈর্য ধরুন:** বাড়ি নির্মাণ জটিল প্রক্রিয়া। তাড়াহুড়া করবেন না।
* **লিখিতভাবে রাখুন:** সব আলোচনা, চুক্তি, বিল, রিসিট লিখিতভাবে রাখুন।
* **গুণমানের উপর আপোস করবেন না:** বিশেষ করে ফাউন্ডেশন, কংক্রিট ও স্টিলের কাজে।
* **নিয়মিত তদারকি করুন:** নিজে নিয়মিত সাইট পরিদর্শন করুন।
* **ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ মেনে চলুন:** প্রযুক্তিগত সিদ্ধান্তে তাঁর মতামত প্রাধান্য দিন।

এই প্রস্তুতিগুলো সম্পন্ন করলে আপনি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস ও সুরক্ষার সাথে আপনার বাড়ির কাজ শুরু করতে পারবেন। শুভকামনা!

গ্রেড বিম এর কাজ নিয়ে বিস্তারিত =========================টাইমলাইনে রেখে দিতে পারেনফুটিং এবং শর্ট কলাম এর কাজ শেষ হওয়ার প...
12/05/2025

গ্রেড বিম এর কাজ নিয়ে বিস্তারিত
=========================
টাইমলাইনে রেখে দিতে পারেন

ফুটিং এবং শর্ট কলাম এর কাজ শেষ হওয়ার পর গ্রেড বীমের কাজ শুর হয়। গ্রেড বিম এর কাজের ক্ষেত্রে কিছু ধাপ ও সতর্কতা মেনে কাজ করতে হয়।
#কাজের_বিবরণঃ

১। প্রথমে ফুটিং এবং শর্ট কলামের মধ্যবর্তী ফাকা জায়গা বালি দিয়ে ফিলাপ করতে হবে এবং ভালো ভাবে কম্প্যাক্ট করুতে হবে ।

২। এবার শর্ট কলামের ঢালাইকৃত টপ থেকে ৩ ফিট পর্যন্ত কলামের রিং লাগাতে হবে।
(কেননা আগে আপনি কলামের রিং না বাধলে গ্রেড বীমের রড বাধার পর আর আপনি গ্রেড বীমের গভীরতার গ্যাপে রিং বাধতে পারবেন না)

৩। এবার গ্রেড বীমের লাইন বরাবর স্যান্ড ফিলিং করে উত্তম ভাবে ব্রিক ফ্ল্যাট সোলিং করুন এবং সিমেন্ট বালির মশলা দিয়ে ইটের জয়েন্ট বন্ধ করে দিন। (সোলিং অবশ্যই ওয়াটার লেভেল মেইনটেইন করে করুন)।

৪। এবার ড্রয়িং অনুযায়ী রড বাধতে হবে এবং পরবর্তীতে ঢালাই এর আগে চেক করতে হবে।

৫। মেইন রডের প্রান্তে অবশ্যই মাটাম ব্যাবহার করুন। এক্সট্রা টপে মাটাম দিতে পারলে ভাল না দিলেও খুব একটা সমস্যা নেই।

৬। গ্রেড বীমের টপ লেয়ারের রডে 30D অনুসরন করে ল্যাপিং দিন। টপ লেয়ারের ল্যাপিং L/4 এর মধ্যে যেন না আসে। টপ লেয়ারের ল্যাপিং মাঝে ফেলার চেষ্টা করবেন।

৭। গ্রেড বীমের বটম লেয়ারের লেপিং 40D অনুসারে দিন। বটম লেয়ারে ল্যাপিং L/4 এর মধ্যে রাখেন এবং বটম লেয়ারের ল্যাপিং মাঝে রাখবেন না।

৮। এবার গ্রেড বীমে স্টিরাপ সঠিক দূর পর পর সোজাভাবে বাঁধুন। স্টিরাপের হুক দেওয়া মাথা গ্রেড বীমের উপরের লেয়ারে রাখুন এবং হুক অল্টারনেট করে বাঁধুন।

৯। এবার সাটারিং শুরু করুন।

১০। কাঠের সাটার ব্যাবহার করলে সাটারে পাতলা পলিথিন লাগান এতে ঢালাই ভাল হবে।তবে স্টিল সাটারিং করতে পারলে সবচেয়ে ভালো। সাটারিং এর পর লিকেজ ভালো ভাবে চেক করতে হবে।

১১। সুন্দর করে সাটারিং করার পর ২ থেকে ২.৫ ফিট পর পর বাটাম দিয়ে মুখ টানা দিতে হবে। এবং ২" * ২" ডাসা দিয়ে সাটার ভালভাবে ঠেলা দিতে হবে ভাইব্রেটিং করলে সাটার ফেটে গিয়ে ঢালাই না বের হয়ে যায়।

১২। সাটার গ্রেড বীমের গভীরতা থেকে অবস্যই ২" বেশি করবেন যাতে ঢালাইয়ের সুবিধা হয়।

১৩। গ্রেড বীমে ২.৫" সিসি ব্লক ব্যাবহার করুন।

১৪। এবার গ্রেড বীম পরিষ্কার করে ঢালাই শুরু করুন।

১৫। গ্রেড বীমের ঢালাইয়ে জয়েন্ট দিতে চাইলে অবশ্যই কলাম থেকে L/4 এর মধ্যে যেন না পড়ে, অথবা কলাম থেকে সামান্য দূরে জয়েন্ট রাখবেন। জয়েন্ট কখনো বীমের মাঝে রাখবেন না।

১৬। ঢালাই সঠিক রেশিও তে করুন।

১৭। ঢালাইয়ের আগে সোলিং ভালভাবে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন যাতে ইট ঢালাই থেকে কোন পানি শোষণ করতে না পারে।

১৮। ঢালাই শেষ হবার ২৪ ঘন্টা পর গ্রেড বীমের উপর পানি দিয়ে কিউরিং করুন এবং ৪৮ ঘন্টা পর গ্রেড বীমের সাইড সাটার খুলে চট পেঁচিয়ে ১৪ দিন কিউরিং করুন।
বিভিন্ন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং তথ্য পেতে পেজ এ লাইক দিয়ে সাথে থাকুন।

একজন দক্ষ সাইট ইঞ্জিনিয়ার এর কাজ কি কি আমাদের সবার জানা থাকা প্রয়োজন।একজন দক্ষ Site Engineer (সাইট ইঞ্জিনিয়ার) নির্মাণ ...
07/05/2025

একজন দক্ষ সাইট ইঞ্জিনিয়ার এর কাজ কি কি আমাদের সবার জানা থাকা প্রয়োজন।

একজন দক্ষ Site Engineer (সাইট ইঞ্জিনিয়ার) নির্মাণ প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তার কাজগুলো মূলত নির্মাণ সাইটে কাজ তদারকি, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং টেকনিক্যাল সমস্যার সমাধান করার সাথে জড়িত। নিচে একজন দক্ষ সাইট ইঞ্জিনিয়ারের কাজের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:
একজন দক্ষ Site Engineer-এর প্রধান দায়িত্বসমূহ:

1. প্রকল্প বাস্তবায়ন তদারকি (Project Supervision):

নির্মাণ কাজ নির্ধারিত নকশা, ড্রইং ও স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা।

দৈনন্দিন কাজের অগ্রগতি মনিটর করা।

2. টেকনিক্যাল দায়িত্ব:

AutoCAD, Civil 3D, অথবা অন্যান্য ডিজাইন সফটওয়্যার ব্যবহার করে কাজ বোঝা ও প্রয়োগে সহায়তা করা।

নির্মাণ চলাকালে টেকনিক্যাল সমস্যার সমাধান দেওয়া।

3. গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ (Quality Control):

নির্মাণ উপকরণ যাচাই করা (সিমেন্ট, রড, ইট ইত্যাদি)।

সাইটে কাজের মান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত পরীক্ষা ও নিরীক্ষা করা।
4. সময় ও বাজেট ব্যবস্থাপনা:

কাজ নির্ধারিত সময় ও বাজেটের মধ্যে শেষ করতে পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন।

নির্মাণ পরিকল্পনার সাথে বাস্তবতার মিল রেখে সমন্বয় সাধন।

5. টিম ম্যানেজমেন্ট ও যোগাযোগ:

মেসন, লেবার ও সাব-কন্ট্রাক্টরদের কার্যকরভাবে পরিচালনা করা।

ক্লায়েন্ট, আর্কিটেক্ট, কন্ট্রাক্টর এবং ম্যানেজমেন্টের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা।

6. সাইট ডকুমেন্টেশন ও রিপোর্টিং:

দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক কাজের রিপোর্ট তৈরি করা।

নির্মাণ অগ্রগতি সংক্রান্ত ফটো, ভিডিও এবং রিপোর্ট সংরক্ষণ করা।

দক্ষ Site Engineer হওয়ার জন্য যোগ্যতা ও দক্ষতা:

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা বা স্নাতক ডিগ্রি।
AutoCAD, MS Project, Excel, ইত্যাদির দক্ষতা।

প্র্যাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা।

সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা ও নেতৃত্বের গুণাবলি।

সময় ব্যবস্থাপনা এবং চাপের মধ্যে কাজ করার দক্ষতা।


29/04/2025


🤝 আলহামদুলিল্লাহ! 🏢 একতলা আবাসিক ভবনের ডিজাইন।🚔প্রজেক্ট লোকেশন: বাবুচি,আমজাদ নগর,চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা।🧑‍💼ক্লায়েন্ট: শহিদ...
14/04/2025

🤝 আলহামদুলিল্লাহ!

🏢 একতলা আবাসিক ভবনের ডিজাইন।

🚔প্রজেক্ট লোকেশন: বাবুচি,আমজাদ নগর,চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা।

🧑‍💼ক্লায়েন্ট: শহিদুল হক (সৌদি প্রবাসী)

স্ট্রাকচার এইড ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্সি ফার্ম থেকে গ্রাহকের জন্য হস্তান্তর করা হলো এই অত্যাধুনিক ও নান্দনিক একতলা আবাসিক ভবনের ডিজাইন। আধুনিক স্থাপত্যশৈলী, কার্যকরী বিন্যাস এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই বাড়িটি ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে বাসিন্দারা পান স্বাচ্ছন্দ্য ও শান্তির আবাস।

ডিজাইনের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য:

➡️ওপেন ছাদ ও বসার স্পেস!

➡️প্রশস্ত বারান্দা ও বড় জানালার মাধ্যমে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস!

➡️বাড়ির চারপাশে সবুজ ল্যান্ডস্কেপিং ও ফুলের বাগান!

➡️স্টাইলিশ এক্সটেরিয়র ফিনিশিং এবং ফ্রন্ট এলিভেশন!

🔘 প্রকৌশল দক্ষতা ও নান্দনিক চিন্তার সমন্বয়ে আমাদের টিম কাজ করে গ্রাহকের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আপনার স্বপ্নের বাড়ির ডিজাইন অথবা নির্মাণে পরামর্শ পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

✅আমাদের সেবা সমূহ:

১.আর্কিটাকচারাল এবং স্ট্রাকচারাল ডিজাইন।
২. ইন্টেরিয়র এবং এক্সটেরিয়র (2D & 3D)
৩. সাইট সুপারভিশন
৪. ইলেকট্রিক্যাল এবং প্লাম্বিং ডিজাইন
৫. সয়েল টেস্ট
৬. ভূমি জরিপ/ ডিজিটাল সার্ভে
৭. সিভিল কন্সট্রাকশন
৮. সিটি কর্পোরেশন/রাজউক/ পৌরসভা প্ল্যান শীট

𝐒𝐭𝐫𝐮𝐜𝐭𝐮𝐫𝐞 𝐀𝐢𝐝 𝐄𝐧𝐠𝐢𝐧𝐞𝐞𝐫𝐢𝐧𝐠

লক্ষীপুর চৌমুহনী, সদর দক্ষিণ,কুমিল্লা।

📲01647-597260

01631-736548

🏢১০ তলা রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিং! (প্রজেক্ট লে আউট এবং সুপারভিশন)🚔প্রজেক্ট লোকেশন:ভাসানটেক,ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা।🧑‍💼ক্লা...
11/04/2025

🏢১০ তলা রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিং!
(প্রজেক্ট লে আউট এবং সুপারভিশন)

🚔প্রজেক্ট লোকেশন:ভাসানটেক,ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা।

🧑‍💼ক্লায়েন্ট:মুহাম্মদ উল্লাহ - গং

🏘️ বাড়ি অথবা যেকোনো ভবন নির্মাণের ডিজাইন এবং পরামর্শের জন্য আজই যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।

✅ আমাদের সেবা সমূহ:

১.আর্কিটাকচারাল এবং স্ট্রাকচারাল ডিজাইন।
২. ইন্টেরিয়র এবং এক্সটেরিয়র (2D & 3D)
৩. সাইট সুপারভিশন
৪. ইলেকট্রিক্যাল এবং প্লাম্বিং ডিজাইন
৫. সয়েল টেস্ট
৬. ভূমি জরিপ/ ডিজিটাল সার্ভে
৭. সিভিল কন্সট্রাকশন
৮. সিটি কর্পোরেশন/রাজউক/ পৌরসভা প্ল্যান শীট

𝐒𝐭𝐫𝐮𝐜𝐭𝐮𝐫𝐞 𝐀𝐢𝐝 𝐄𝐧𝐠𝐢𝐧𝐞𝐞𝐫𝐢𝐧𝐠

লক্ষীপুর চৌমুহনী, সদর দক্ষিণ,কুমিল্লা।

📲01647-597260
01631-736548

🤝 আলহামদুলিল্লাহ! 🏢 ডুপ্লেক্স বাড়ির চলমান প্রজেক্ট। 🚔প্রজেক্ট লোকেশন: মধ্যমরাজাপুর, বালুরচর, সদর দক্ষিণ, কুমিল্লা।🧑‍💼ক্ল...
09/04/2025

🤝 আলহামদুলিল্লাহ!

🏢 ডুপ্লেক্স বাড়ির চলমান প্রজেক্ট।

🚔প্রজেক্ট লোকেশন: মধ্যমরাজাপুর, বালুরচর, সদর দক্ষিণ, কুমিল্লা।

🧑‍💼ক্লায়েন্ট: পারভেজ আহমেদ রনি(কুয়েত প্রবাসী)

🏘️ বাড়ি অথবা যেকোনো ভবন নির্মাণের ডিজাইন এবং পরামর্শের জন্য আজই যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।

✅ আমাদের সেবা সমূহ:

১.আর্কিটাকচারাল এবং স্ট্রাকচারাল ডিজাইন।
২. ইন্টেরিয়র এবং এক্সটেরিয়র (2D & 3D)
৩. সাইট সুপারভিশন
৪. ইলেকট্রিক্যাল এবং প্লাম্বিং ডিজাইন
৫. সয়েল টেস্ট
৬. ভূমি জরিপ/ ডিজিটাল সার্ভে
৭. সিভিল কন্সট্রাকশন
৮. সিটি কর্পোরেশন/রাজউক/ পৌরসভা প্ল্যান শীট

𝐒𝐭𝐫𝐮𝐜𝐭𝐮𝐫𝐞 𝐀𝐢𝐝 𝐄𝐧𝐠𝐢𝐧𝐞𝐞𝐫𝐢𝐧𝐠

লক্ষীপুর চৌমুহনী, সদর দক্ষিণ,কুমিল্লা।

📲01647-597260

01631-736548

❌মিস্ত্রি নয়, ✅আস্থা রাখুন প্রকৌশলীর উপর। আমার জানা মতে , ✅কেউ কারো নিজের বাড়ি অথবা কোন প্রতিষ্ঠান বানাতে খারাপ কোয়ালিটি...
10/02/2025

❌মিস্ত্রি নয়,
✅আস্থা রাখুন প্রকৌশলীর উপর।

আমার জানা মতে , ✅
কেউ কারো নিজের বাড়ি অথবা কোন প্রতিষ্ঠান বানাতে খারাপ কোয়ালিটির মালামাল ব্যবহার করে না।
অথচ আপনি আপনার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদাসীন,ডিপেন্ড করেন একজন মিস্ত্রির উপর।

মিস্ত্রি নয়, আস্থা রাখুন প্রকৌশলীর উপর।
একজন স্থপতি তার মেধা এবং শিক্ষার আলোকে আপনার স্বপ্নের বাড়ি অথবা প্রতিষ্ঠানকে কিভাবে সল্প খরছে, সর্বোচ্চ কোয়ালিটি এনশিউর করা যায় সেটা নিয়ে পরামর্শ দিবে।
প্রকৌশলীর পেছনে কিছু টাকা খরচ করুন,
নিজে নিরাপদ থাকুন এবং আপনার পরিবারকে নিরাপদে রাখুন ।

Address

Cumilla
3500

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Structure Aid Engineering posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share