
13/07/2025
➤ আজকের বিষয়ঃ ইট(Bricks)
☞ স্বল্প খরচে সুদৃঢ় দীর্ঘস্থায়ী নির্মাণকাজের জন্য নির্মাণ উপকরণ সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা একজন স্থপতি, ইঞ্জিনিয়ার,কাঠামো নির্মাতা এবং নির্মাণকাজে সংশিষ্ট সকলের জানা একান্ত প্রয়োজন। বর্তমানে আমাদের দেশে
নির্মাণকাজে দেশীয় নির্মাণ উপকরণের সাথে সাথে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত অনেক উপকরণও ব্যবহৃত হচ্ছে।
সুতরাং নিয়মিতভাবেই নিজেকে নানা উপায়ে বিভিন্ন নির্মাণ উপকরণ সম্বন্ধে ধারণা সমৃদ্ধ করতে হবে। আজকে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ইট সম্বন্ধে আলোচনা করা হলো।
◑ ইট
☞ বাংলাদেশে ইট একটি বহুল ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রী। একই আকারের আয়তাকার বকের ছাচে কাদামাটি ঢালাই (moulding) দেয়ার পর রোদে শুকিয়ে এবং আগুনে পুড়িয়ে যে পাথরসদৃশ্য ঘন বস্তু পাওয়া যায় তাকে ইট বলে। যেহেতু ইটগুলো একই আকারের হয়, তাই এগুলো সঠিকভাবে সাজানো যায়, ওজনে হালকা হয় ফলে
ইট পাথরের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
◑ ইটের জন্য ভালো মাটিতে নিম্নলিখিত উপাদান থাকেঃ
ক. এলুমিনা (Alumina) - শতকরা ২০-৩০ ভাগ।
খ. সিলিকা (Silica)- শতকরা ৫০-৬০ ভাগ।
গ. লাইম ( Lime)
ঘ. আয়রন অক্সাইড (Oxide of iron)- শতকরা ৫-৬ ভাগ।
ঙ. ম্যাগনেসিয়া (Magnesia )
◑ ইট তৈরিতে নিম্নলিখিত পর্যায়গুলো বিদ্যমানঃ
১. মাটি প্রস্তুতকরণ (Preparation of clay)
২. ছাচে ঢালাই দেয়া (Moulding)
৩. রোদে শুকানো (Drying)
৪. পোড়ানো (Burning)
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
◑ ইটের শ্রেণিবিন্যাসঃ
> ইটকে সাধারণভাবে দুইভাগে ভাগ করা যেতে পারে; যথাঃ-
(i) কাঁচা ইট বা পোড়ানোবিহীন বা রোদে শুকানো ইট।
(ii) পাকা ইট বা পোড়ানো ইট।
✪ পোড়ানোবিহীন বা রোদে শুকানো ইটঃ
মোল্ডিং প্রক্রিয়ার পর সূর্য হতে প্রাপ্ত তাপে পোড়ানোবিহীন বা রোদে শুকানো ইট তৈরি হয়। অস্থায়ী এবং কম দামি কাঠামোর নির্মাণে এ ধরনের ইট ব্যবহার করা যেতে পারে। যে জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত ঘটে সেখানে এ ধরনের ইট ব্যবহার করা উচিত নয়।
✪ পোড়ানো ইটঃ
এ ধরনের ইট নির্মাণকাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এদেরকে নিম্নলিখিত চার ভাগে ভাগ করা হয়।
(ক) প্রথম শ্রেণির ইট ( First class bricks):
এ ধরনের ইট টেবিল মোল্ডেড (table moulded) এবং আদর্শ আকৃতির হয়। এর তল এবং কোণা তীক্ষ্ণ, বর্গাকার, মসৃণ এবং সোজা হয়ে থাকে। এই ধরনের ইটে আদর্শ ইটের সকল গুণাগুণ বিদ্যমান থাকে এবং তুলনামূলক স্থায়ী প্রকৃতির উত্তম (superior) কাজে এ ধরনের ইট ব্যবহৃত হয়।
(খ) দ্বিতীয় শ্রেণির ইট (Second class bricks):
এ ধরনের ইট গ্রাউন্ড মোল্ডেড এবং এগুলো ইটের ভাটায় পোড়ান হয়। এর তল কিছুটা অমসৃণ এবং আকৃতি অসম হয়ে থাকে। এই ধরনের ইট সাধারণত যেখানে ইটের কাজের উপর প্লাস্টার ব্যবহার করা হয় সেখানে ব্যবহৃত হয়।
(গ) তৃতীয় শ্রেণির ইট (Third class bricks):
এ ধরনের ইট গ্রাউন্ড মোল্ডেড এবং এগুলো ইটের ক্লাম্পে পোড়ানো হয়। এর তল অসম মসৃণ এবং কোণা ভাঙা হয়ে থাকে। এ ধরনের ইট যদি
এক সাথে আঘাত করা হয় তাহলে ক্ষীণ শব্দ হয়। এই ইট সাধারণত কম গুরুত্বপূর্ণ এবং অস্থায়ী কাঠামোগুলোতে এবং যেখানে ভারী বৃষ্টিপাত ঘটে সেখানে এ ধরনের ইট ব্যবহৃত হয়। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
(ঘ) চতুর্থ শ্রেণির ইট (Fourth class bricks):
এ ধরনের ইট বেশি পুড়ে যায়। এই ইট অসম আকৃতির এবং কালো রঙের হয়ে থাকে। এ ধরনের ইট যদি এক সাথে আঘাত করা হয় তাহলে ক্ষীণ শব্দ হয়। এই ইট সাধারণত এগ্রিগেট হিসেবে কংক্রিটের ভিত্তি, ফ্লোর, রাস্তা ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়। কেননা এই ইটের কাঠামো অনেক ঘন বিন্যস্ত থাকে, ফলে কখনও এগুলো প্রথম শ্রেণির ইটের চেয়েও বেশি শক্তিশালী হয়।
◑ ইটের পরিমাপঃ
> বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্স BDS 208 : 2009 Specification for Common Building clay bricks (Thirdrevision) এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর (পিডবিউডি) স্পেসিফিকেশন ( specification) অনুযায়ী প্রতিটি ইটের
পরিমাণ হবে ৯.৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য, ৪.৫ ইঞ্চি প্রস্থ এবং ২.৪৫ ইঞ্চি উচ্চতা (এফপিএস এককে ২৪০ মিমি x ১২০মিমি x ৭০ মিমি মেট্রিক এককে) এবং পাস্টারসহ ১০ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য, ৫ ইঞ্চি প্রস্থ এবং ৩ ইঞ্চি উচ্চতা বিশিষ্ট হয়ে থাকে। অন্যান্য মাপের ইটও রয়েছে কিন্তু এই মাপটি বিভিন্ন সাইজের ইটের দেয়াল নির্মাণে
অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে লাভজনক।
◑ বিভিন্ন প্রকার ইটের গুণাগুণঃ
✪ প্রথম শ্রেণির ইটের গুণাগুণঃ
⊕ উত্তমরুপে পোড়ানো, যার রং ও আকার সুষম ।
⊕ আঘাত করলে বাজনার বা ধাতব পদার্থের মতো শব্দ হবে।
⊕ গঠন উত্তম, ধার বা কিনারাগুলো ধারালো ও পৃষ্ঠদেশ সমতল কিন্তু মসৃণ নয় ।
⊕ কোনো ফাটল বা বিকৃতি থাকবে না।
⊕ আঁচড় কাটলে কোনো দাগ পড়বে না।
⊕ ৫ বা ৬ ফুট উপর হতে ফেললে ভাঙে না।
⊕ ২৪ ঘণ্টা পানিতে ডুবিয়ে রাখলে নিজ শুষ্ক ওজনের ২০% এর বেশি পানি শোষণ করে না।
⊕ ঘনত্ব বা একক ওজন ২০০০ কেজি/মি.৩
N ক্রাশিং স্ট্রেন্থ ১৭০ কেজি / সেমি. ২ (গড়), কিন্তু প্রতিটি ১৪০ কেজি/ সেমি. ২ এর চেয়ে কম হতে পারবে না।
✪ দ্বিতীয় শ্রেণির ইটের গুণাগুণঃ
⊕ এ ধরনের ইট গ্রাউন্ড মোল্ডেড (ground moulded) এবং এগুলো ইটের ভাটায় পোড়ান হয়।
⊕ এর পৃষ্ঠদেশ কিছুটা অসমৃণ এবং আকৃতি অসম হয়ে থাকে। প্রথম শ্রেণির ইটের মতই শক্ত।
⊕ রং কিছুটা সিঁদুরে কালচে লালের মতো।
⊕ পানি শোষণক্ষমতা প্রায় শতকরা ২২ ভাগ।
⊕ এই ধরনের ইট সাধারণত যেখানে ইটের কাজের উপর প্লাস্টার ব্যবহার করা হয় সেখানে ব্যবহৃত হয়।
✪ তৃতীয় শ্রেণির ইটের গুণাগুণঃ
⊕ এ ধরনের ইট গ্রাউন্ড মোল্ডেড (ground moulded) এবং এগুলো ইটের ক্লাম্পে পোড়ানো হয়।
⊕ এর তল অসম অমসৃণ ও কোণা ভাঙা হয়ে থাকে এবং নরম। এক সাথে আঘাত করলে ক্ষীণ শব্দ হয়।
⊕ হালকা হলুদ রঙের মতো এবং জলীয় বাষ্প গ্রহণের ফলে এ ধরনের ইটে লবণাক্ততা দেখা যায়।
⊕ কম গুরুত্বপূর্ণ এবং অস্থায়ী কাঠামোগুলোতে এবং যেখানে ভারী বৃষ্টিপাত ঘটে সেখানে ব্যবহৃত হয়।
✪ পিকেড/ঝামাঃ
⊕ সঠিকভাবে পোড়ানো, আকার আকৃতির সাম্যতাহীন ও গাঢ় রঙের হয়ে থাকে।
⊕ পোড়ানোর সময় অতিরিক্ত তাপের ফলে গলে বড় এবং এবড়ো থেবড়ো হয়।
⊕ ২৪ ঘণ্টা পানিতে ডুবিয়ে রাখলে নিজ শুষ্ক ওজনের ১৫% এর বেশি পানি শোষণ করে না।
⊕ ক্রাশিং স্ট্রেস্থ ২৪০ কেজি/সেমি ২ (গড়), কিন্তু প্রতিটি ১৭০ কেজি/সেমি. ২ এর চেয়ে কম হতে পারবে না।
✪ ঝামা ইটঃ
⊕ ভালোভাবে পোড়ানো থাকে ।
⊕ উচ্চ তাপমাত্রায় গলে ফোঁকর (ছিদ্র) অবস্থার সৃষ্টি হয়।
⊕ এই ইট কালো বর্ণের হয়ে থাকে।
⊕ আকার-আকৃতি সুষম থাকে না।
◑ ভালো ইটের বা প্রথম শ্রেণির ইটের বৈশিষ্ট্য বা গুণাগুণঃ
১। ভালো ইট টেবিল মোল্ডেড, ইট ভাটায় ভালোরূপে পোড়ানো, কপার রঙের, ফাটলবিহীন এবং তীক্ষ্ণ বর্গাকৃতির কোণা বিশিষ্ট হবে।
২। ইট সুষম আকৃতির এবং আদর্শ মাপের হবে।
৩। যখন দুটো ইট পরস্পরে আঘাত করা হবে তখন পরিষ্কার রিং-এর মতো শব্দ শোনা যাবে।
৪। এই ইট ভাঙা হলে একটি উজ্জ্বল সমগোত্রীয় এবং কোনো শূন্যস্থান (void) মুক্ত কাঠামো দৃষ্টিগোচর
হবে।
৫। ২৪ ঘণ্টা পানিতে ডুবিয়ে রাখলে প্রথম শ্রেণির ইট তার নিজের ওজনের শতকরা ২০ ভাগের বেশি, দ্বিতীয় শ্রেণির ইট শতকরা ২২ ভাগের বেশি পানি শোষণ করবে না।
৬। ইট যথেষ্ট পরিমাণ শক্ত হবে যাতে নখ দিয়ে আঁচড় কাটলে কোনো দাগ পড়ে না ।
৭। ভালো ইটের তাপ পরিবহন ক্ষমতা কম হবে এবং শব্দ নিরোধক হবে।
৮। যখন শক্ত কোনো মেঝেতে এক মিটার উঁচু হতে সোজা করে ফেলা হবে তা ভেঙে যাবে না । ইঞ্জিনিয়ার সাহেব
৯। ২৪ ঘণ্টা পানিতে ডুবিয়ে রাখার পর ছায়াতে শুকানো হলে কোনো সাদা লবণ জমা হওয়া দেখা যাবে না।
১০। এই ধরনের কোনো ইটের ক্রাশিং স্ট্রেন্থ ১৪০ কেজি/ সেমি২ এর চেয়ে কম হবে না।
◑ ইটের মাঠ পরীক্ষা বা ফিল্ড টেস্টঃ
> কোনো ইট নির্মাণকাজে উপযুক্ত কিনা তা বোঝার জন্য নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলো সম্পাদন করতে হয়। যথাঃ-
১। পানি শোষণ (Absorption):
একটি ভালো ইট তার শুষ্ক অবস্থার ওজনের চেয়ে শতকরা ২০ ভাগের বেশি পানি শোষণ করবে না।
২। ক্রাশিং স্ট্রেন্থ বা কমপ্রেসিভ স্ট্রেন্থ (Crushing strength or compressive strength) :
যদিও এগুলো জানার জন্য ল্যাবরেটরিতে কম্প্রেসন টেস্টিং মেশিনের সাহায্যের প্রয়োজন হয় তবে মাঠ পর্যায়ে বোঝার জন্য দুটো ইটকে ইংরেজি অক্ষর "T" এর মতো করে এক মিটার উঁচু হতে ফেলতে হবে, যদি না ভাঙে তাহলে বোঝা যাবে এটি ভাল ইট।
৩। কাঠিন্যতা (Hardness) : একটি ভালো ইটের গায়ে নখ দিয়ে আঁচড় কাটলে দাগ না পড়ে তাহলে বুঝতে হবে ইট যথেষ্ট শক্ত।
৪। দ্রবীভূত লবণের উপস্থিতি (Presence soluble salts):
পানিতে ২৪ ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখলে কোনো ধূসর
বা সাদা লবন দেখা যাবে না।
৫। আকার-আকৃতি এবং মাপ (Shape and size) :
ইট আদর্শ মাপের এবং এর কিনারাগুলো খুব তীক্ষ্ণ হবে।
৬। শব্দ (Sound) :
যখন দুটো ইটকে পরস্পর আঘাত করা হবে তখন পরিষ্কার বাজনার মতো বা ধাতব শব্দ
শোনা যাবে।
৭। গঠন (Structure):
ইটের গঠন সমগোত্রীয় (homogeneous), সুদৃঢ় এবং খুঁতবিহীন হলে ভালো ইট।
৮। রং (Colour):
ইট ভেঙে টুকরা করলে টুকরাগুলোর রং দেখতে একই রকম হলে তাহলে এটি ভালো
ইট। এম.আর কন্সট্রাকশন
◑ ইটের ওজনঃ
> কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে কোনো রকম বা কি ওজনের ইট ব্যবহার করতে হবে। যেমনঃ বহুতলা ভবন।
নির্মাণে কম ওজন বিশিষ্ট ইট বেশি উপযোগী।
⊕ সাধারণ প্রচলিত ইটের ওজনঃ
একটি ৯.৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য, ৪.৫ ইঞ্চি প্রস্থ এবং ২.৭৫ ইঞ্চি উচ্চতার ( ২৩ সেমি×১২ সেমি x ৩সেমি) ইটের ওজন প্রায় চার (৪) কেজি।
⊕ মডুলার ইটঃ
২০ সেমি x ১০ সেমি x ১০ সেমি (মসলাসহ) মডুলার ইটের ওজন প্রায় ৩.৫ কেজি।
◑ ইটের ব্যবহারঃ
⊕ প্রথম শ্রেণির ইটঃ
সকল প্রকার স্থায়ী ও উত্তম কাজে ইমারত, সেতু, রাস্তা-ঘাট, বাঁধ, উইয়ার বা লাইনের কাজে। সৌন্দর্য, কারুকার্যময় কাজে এবং ফেসিং ব্রিক হিসেবে। কংক্রিটের খোয়া তৈরীতে ব্যাবহার করা হয়।
⊕ দ্বিতীয় শ্রেণির ইটঃ
গাঁথুনির কাজে, তবে অসমৃণ তল থেকে দেওয়ার জন্য প্লাষ্টার ব্যবহার করতে হবে।
রাস্তা বা কংক্রিটের খোয়াতে। অভ্যন্তরীণ দেয়াল যার উপর কোনো লোড পড়ে না।
⊕ তৃতীয় শ্রেণির ইটঃ
সোলিং-এর কাজে। সুরকি তৈরির কাজে। ওয়াটার বন্ডিড ম্যাকাডাম সড়কে।
⊕পিকেড/ঝামাঃ
রাস্তার খোয়া তৈরিতে। গাঁথুনির কাজে। কংক্রিটের খোয়া তৈরির কাজে ব্যাবহৃত হয়।
⊕ ঝামা ইটঃ
খোয়া তৈরির কাজে। ব্যাটস্ তৈরির কাজে।
⊕ ঝাঁঝরা ইটঃ
ছোট ইমারতে ভার বহনকারী দেয়াল (load bearing walls) হিসেবে, বহুতলা ভবনে অভ্যন্তরীণ দেয়াল (partition walls) বা প্যানেল দেয়াল (panel walls) হিসেবে ব্যবহৃত হয় যা কাঠামোর মোট ওজন কমিয়ে আনে।
⊕ ফোকর বিশিষ্ট ইটঃ
বহুতল ভবনের ভার বহনকারী দেয়াল, অভ্যন্তরীণ দেয়াল, প্যানেল দেয়াল হিসেবে তাপ বা ঠাণ্ডার প্রতিবন্ধক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
⊕ ছক আঁকা ইটঃ
অলংকারমূলক কাজে ব্যবহৃত হয়। পিছ ইট দেয়ালের উপরিভাগে ছেড়ার এবং ফ্রেচার পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়। জ্যাম্ব ইট দেয়ালের কোণায় অলংকারমূলক কাজে ও জানালার জ্যাম্ব তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
⊕ বুলনোজ ইটঃ
দেয়ালে কোণায় অলংকারমূলক কাজে ব্যবহৃত হয়। কপিং ইট কম্পাউন্ড ওয়াল বা প্যারাপেটের কপিং-এর কাজে ব্যবহৃত হয়।
⊕ স্ট্রিং কোর্স ইটঃ
স্ট্রিং কোর্সে ব্যাবহৃত হয়।
⊕ কার্নিশ ইটঃ
কার্নিশের কাজে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়।
⊕ গাটার ইটঃ
ড্রেনেজ কাজে ঢালু ছাদের পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহৃত হয়।