10/05/2025
পলাশ সাহার মৃত্যুটা খুবই জরুরি ছিল!! সত্যিই খুবই জরুরি ছিল! ভাবছেন কেন বললাম এই কথা??
এইদেশে খুবই নোংড়া প্রচলিত একটা কথা আছে- বৌ গেলে বৌ পাওয়া যাবে কিন্তু মা মরলে মা পাওয়া যাবে না,মা তো একটাই!!
এই এক কথার জন্য সকল মাদের সকল অপরাধ মাফ!! আপনার কলিজার টুকরা ছেলেকে যদি আপনি চোখেই হারাবেন তাহলে আর বিয়ে কেন দিলেন ,চাচী?
বিয়ের পর এসব টক্সিক মা গুলো ছেলে আর ছেলের বৌয়ের মাখামাখি সহ্য করতে পারে না,একান্ত সময় কাটাতে দেখলে বলে বসে -"কিরে বৌ এত মজা??? "
আরে,বৌ এত মজা দেখেই তো আদম আর হাওয়া এমন ভুল করে দুনিয়ায় আসলো!! দুনিয়ায় আসা প্রথম মানব আর মানবী ছিল আদম এবং হাওয়া!!
হাজবেন্ড এন্ড ওয়াইফ এর সম্পর্ক দুনিয়া শুরুর দিন থেকে তাহলে এটা মজা না হয়ে কি সাজা হবে গো,চাচী মা???
কিন্তু এই মা গুলো কে কারা প্রশয় দেয় জানেন?? কিছু মাথাভর্তি গোবরওয়ালা পরিবারের লোকজন!!।
এরা বলবে -কি ব্যাপার ,আপনার ছেলেতো আর আপনার খোজ নেয় না নাকি? খালি কি বৌ বুকে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়? নিশ্চিত বৌ খারাপ নয়তো বৌয়ের পরিবার খারাপ এজন্য ছেলেকে মা ছাড়া করছে!!
কেন বাপু?? তুমি তো পারতে মাকে বোঝাতে! আরে এখনই তো ঘুরবার বয়স তাদের,তারা এখন ঘুরবে না তো কখন ঘুরবে? একটু ছাড় দিন দেখবেন হাতেই থাকবে ,ঘুড়ির সুতো বেশি টাইট দিলে আবার ছিড়ে যেতে পারে!!
না সেই পরামর্শ না দিয়ে এসব মাথামোটা লোকজন উল্টা আরো কলহ তৈরী করে দেয় বৌ-শাশুড়ির মধ্যে! এতে করে শাশুড়ির কটু কথায় বৌও বিষিয়ে উঠে এবং সেই শাশুড়ীর সাথে একসাথে থাকতে নাড়াজ হয়ে যায়!!
আর বেচারা হাজবেন্ড শেষে হয় বৌকে নিয়ে আলাদা থাকে নয়তো হয় ডিভোর্স আর যদি তাও না পারে শেষে সেই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যা করে নয় পরকিয়া করে 🙂
এবার যদি এই সমাজে টনক নড়ে!!
তাহলে শুনুন এসবের মুল হোতা হচ্ছে সমাজ।
বাংলাদেশের সমাজ কাঠামোটাই এমন
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সমাজ ব্যবস্থাগুলো নিম্নরূপ হয়ে থাকে-
👉প্রথমত সন্তানদের উপর বাবা-মায়ের যত্ন নেওয়ার সামাজিক ও নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধে রক্ষিত।
👉দ্বিতীয়ত বাবা-মায়ের বয়স হলে সন্তানের সঙ্গে থাকা এবং সন্তানদের মাধ্যমে চিকিৎসা, খরচ, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি স্বাভাবিক ও প্রত্যাশিত বিষয়।
👉তৃতীয়ত সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত যে সন্তানকে তাদের বাবা-মায়ের শেষ বয়সে সেবা করতে হবে, নইলে তাকে সমাজে তিরস্কার করা হয়।
👉চতুর্থত বৃদ্ধাশ্রমে রাখা’ অনেকের কাছে অনৈতিক বা অবহেলার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
🇺🇸 ইউরোপ-আমেরিকার প্রেক্ষাপটে সমাজ ব্যবস্থা এমন-
👉প্রথমত স্বাধীনতা ও ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা -
বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকলেও একে অপরের জীবনে স্বাধীনতা ও গোপনীয়তা রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।
👉দ্বিতীয়ত আর্থিক ও আবাসিক আলাদা থাকা স্বাভাবিক:
সন্তানরা সাধারণত তরুণ বয়সেই আলাদা হয়ে যায়। বাবা-মা বৃদ্ধ হলে তারা প্রফেশনাল হোম কেয়ার বা নার্সিং হোমে চলে যেতে পারে, যেটা সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য।
👉তৃতীয়ত আইনগত কাঠামো ও পেনশন নির্ভরতা:
বৃদ্ধ বাবা-মার দেখাশোনার অনেকখানি দায় রাষ্ট্র (যেমনঃ সামাজিক নিরাপত্তা, পেনশন, হেলথ কেয়ার) গ্রহণ করে।
👉চতুর্থত স্বেচ্ছাপ্রণোদিত যত্ন:
অনেক সন্তান ভালোবাসা থেকে বাবা-মায়ের পাশে থাকে, তবে সেটিকে "দায়বদ্ধতা" হিসেবে সমাজ চাপিয়ে দেয় না।
বাংলাদেশে বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি সামাজিক ও নৈতিকভাবে বাধ্যতামূলক, যেখানে ইউরোপ-আমেরিকায় এটি ব্যক্তিগত পছন্দ ও পারিবারিক সম্পর্কের উপর নির্ভর করে, এবং রাষ্ট্রীয় সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।সমাজ ব্যবস্থা যদি পাল্টে দেওয়া যেত তাহলে হয়তো ডিভোর্স আর কিছু মানুষের প্রাণগুলো বেঁচে যেতো।