Farjana Kabir Ish*ta

Farjana Kabir Ish*ta Be Your Own Brand..

ভাঙা কাঁটার পঙক্তি ফারজানা কবির ঈশিতা ২০২৫ ইং কখনো একা হয়েছিলাম আকাশের নীলে,কখনো বা রোদ্দুরে পুড়ে ছাই হয়েছিলাম ভুলে..হাত...
18/09/2025

ভাঙা কাঁটার পঙক্তি
ফারজানা কবির ঈশিতা
২০২৫ ইং

কখনো একা হয়েছিলাম আকাশের নীলে,
কখনো বা রোদ্দুরে পুড়ে ছাই হয়েছিলাম ভুলে..
হাত বাড়ালেই চোখে পড়ে শূন্যতার দাগ,
কারো ফেলে যাওয়া হাসি জমে থাকে মেঘে মেঘে।
বেদনা আমার বুকে তার গেড়েছে বসত,
তার চোখে অনিদ্রা, হাতে কালো ক্ষত..
কাঁটার মতোন ফুটে থাকে স্মৃতিরা রাতের নির্জনতায়
রক্ত ঝরে, শুকোয় না, জমতে থাকে ধীরে ধীরে..!
তুমি কি কখনো থেমে দেখেছো নিজের ছায়াকে?
সেও তো কাঁদে, যখন তুমি ফিরে তাকাও না...
আমি হয়তো জন্ম নিয়েই ভুল করেছিলাম,
না হয় জন্ম নিয়েই শিখেছিলাম হারাতে।
ভালোবাসার অদৃশ্য ছুরি আমাকে কেবল ক্ষতের ক্ষরণই দিয়েছে
সময়ের গায়ে আমি লিখে যাই সে বেদনার কবিতা,
মৃত্যুও যেখানে হার মানে, শূন্যতা হয় আত্মহারা..
হাহাকারের সে রক্তাক্ত গাথা হারিয়ে যায়
ভাঙা হৃদয়ের নিঃশব্দ চিৎকারে..।

নিঃশব্দ বেদনা ফারজানা কবির ঈশিতা সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং আমার হৃদয় আজ এক ধ্বংসস্তূপ,যেখানে ঘুরে বেড়ায় মুখোশধারী মানুষ,কারো...
15/09/2025

নিঃশব্দ বেদনা
ফারজানা কবির ঈশিতা
সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং

আমার হৃদয় আজ এক ধ্বংসস্তূপ,
যেখানে ঘুরে বেড়ায় মুখোশধারী মানুষ,
কারো চোখে পরিচিত ছায়া, কারো হাতে রক্তের দাগ..
কেউ জানে না কে কাকে খুন করে প্রতিদিন...।
ব্যথা আমাকে শিখিয়েছে মৌন ভাষা,
যেখানে কান্না নিঃশব্দ.. চিৎকার হয় জমাট রক্ত..
আমি দেখি আয়নায় আমারই প্রতিচ্ছবি,
যে প্রতিবিম্ব প্রতিদিন মরে আবার প্রতিদিন জেগে ওঠে...
রাতের বুক চিরে তারা খসে পড়লে
আমার ভেতরটা শ্মশান হয়ে দাঁড়ায়..
সেখানে আমি শুনি মৃত্যুর অস্থির পদধ্বনি,
আমারই ছায়া কাঁদে তখন আমাকে ছেড়ে যাওয়ার শোকে..
ভালোবাসা নামের সেই মরীচিকা আজ ভাঙা কাঁচের মতো,
যার টুকরোয় কাটে হাত, রক্তে লেখে মিথ্যার ইতিহাস..
তুমি তো কখনো দেখোনি নিজের আত্মার মৃত্যতে
স্বপ্ন নিঃশেষ হয়ে শুরু হয় কেমন গহীন শূন্যতার তাণ্ডব..
আমি হয়তো সেই মৃত মানুষ যে বেঁচে আছে নিঃশ্বাসের কয়েদী হয়ে..
যার চোখে স্বপ্ন নেই, যার হাতে সময় নেই
শুধু অপেক্ষা...সেই শেষ হওয়ার জন্য,
কিংবা আরেকটি জন্মের জন্য যে জন্ম কখনো আসবে না...
এবার যদি আমি মরি, কেউ যেন না জানে,
শুধু এক টুকরো কাগজে লিখে যাক সময়...
সে বেঁচে থাকতেই মরেছিল প্রতিদিন একটু করে,
আর মৃত্যুর পরও হয়তো বেঁচে আছে কোনো গভীর বেদনায়...

একাকিত্বের মানচিত্র ফারজানা কবির ঈশিতা ২০২৫ ইং অদৃশ্য হওয়ার গর্ভে অঙ্কিত এক মহাকাশ..আমি লিখে গেলাম নিজেকে সময়ের শেকলবিহী...
13/09/2025

একাকিত্বের মানচিত্র
ফারজানা কবির ঈশিতা
২০২৫ ইং

অদৃশ্য হওয়ার গর্ভে অঙ্কিত এক মহাকাশ..
আমি লিখে গেলাম নিজেকে সময়ের শেকলবিহীন কারাগারে
এ পৃথিবীর চোখে পড়লো না অশ্রুর ভেলাডুবির ইতিহাস...
যে কষ্ট পাথর হয়ে জমে ছিলো রক্তের নদীতে
তা দিয়ে গড়া মূর্তির মুখে লাগালাম হাসির প্রলেপ..
পৃথিবী দেখলো উৎসবের আয়না, দেখলো না পিঠের দিকের ছায়াচিত্র..
লুকিয়ে ছিলো যেখানে পাথরের ফাটলে জমে থাকা চাঁদের কান্না...!
বেসুরো সুর এখনো জ্বলে যায় রাতের মগজে..
ঝরে পড়া তারা গোনে না কোনো নিয়ম মহাজাগতিক..!
আমিও তো একদিন নিঃশব্দে পড়ে গেছি অন্ধকারের পাতালে
কেউ চায়নি জানতে কোথায় মিলালাম আলোর গুচ্ছ...
মৃত্যু যেনবা শব্দের অভাবে অস্তিত্বের গায়ে জমে থাকা ধুলোর আস্তরণ..!
এ পৃথিবীর ক্যালেন্ডারে প্রতিদিনই এতো মৃত্যু
কোনোটাই বাড়ায় না শোকের পরিমাপ, কমায় না উৎসবের মাত্রা...
আমার আড়াল হওয়া শিখে গেছে বাতাসের গুঞ্জন
পাথরের ভাষা এখন বোঝে শ্মশানের পেঁচা
যে নক্ষত্র ঝরলো, সে তো মিলিয়েই গেল অনন্তের স্রোতে..!
আমার অব্যক্ত গান এখন শূন্যতার গায়ে অস্ফুট চিৎকার...
পৃথিবী তবু ঘুরছে, হাসির মার্বেল গড়িয়ে পড়ে মাটিতে।
কেউ কারো না, কেউ কেউ কেবলই নিজের ছায়ার গোলাম..!
আমি লিখে যাই এই নির্জনতার মহাকাব্য..
অদৃশ্য হওয়ার কালি দিয়ে আঁকি একা বেঁচে থাকার মানচিত্র...।

10/09/2025

তুষারের নিচে আগুন
ফারজানা কবির ঈশিতা
২০২৫ ইং

তুষারের নিচে জমা আগুন লেখে ইতিহাস..
জলন্ত চোখে জ্বলে অন্ধকারে আলোর বীজ
ফাঁসির মঞ্চে যে গোলাপ ফুটেছিল রক্তে,
সে তো ক্ষত থেকে জন্ম নেওয়া প্রথম পদ্য!
যে পদ্যের মৌনতায় ভেঙে পড়ে শাসকের পাথরের প্রাসাদ..
শেকল ভেঙ্গে গড়বো স্বপ্নের দেয়াল!
মাটির গভীরে শুয়ে থাকা মৃতদের হাসি উদয়াস্ত জেগে থাকে ইটের শিরায় শিরায়...
আমাদের পতাকা রক্তিম এক প্রভাত,
হাজার নামের নিঃশব্দ অহংকার..
বিদ্রোহের অগ্নিশপথে যারা হেসে গেছে মৃত্যুর মুখে,
নদীর জলে মিশিয়েছে সমুদ্রের লবণ!
রাত্রির স্তব্ধতায় মেঘেরা সেলাই করে বজ্রের ধারালো সূচ,
কৃষকের নাঙ্গল,শ্রমিকের হাতুড়ির ঝংকার,
ছাত্রের বইয়ের পাতায় জমে থাকে গুলির অবিনাশী প্রতিধ্বনি...
মুক্তির গান এখন পর্বতের শ্বাস প্রশ্বাসে,
অন্তঃসলিলা নদীর মতো বহমান!
আমরা মরবো বারবার,মৃত্যুই হবে আমাদের বীজ,
জন্ম নেবো ফের ঝড়ের গর্জনে ,ভূমির কাঁপনে,
অথবা অগ্নিপাহাড়ের উগ্র নি:শ্বাসে...
ভস্মস্তূপ থেকে জন্মাবো শঙ্খচিল হয়ে
অগ্নি ডানায় যার জ্বলবে নতুন সূর্যের জন্মগান!

নিজের মানুষদেরই হাজার করে বদনাম ছাড়া কিছুই জোটে না... আর পরের জন্য জীবন দিয়া দেবার চেষ্টা করলে ও বদনাম হবেই... নিজের লোক...
10/09/2025

নিজের মানুষদেরই হাজার করে বদনাম ছাড়া কিছুই জোটে না... আর পরের জন্য জীবন দিয়া দেবার চেষ্টা করলে ও বদনাম হবেই... নিজের লোকই আপন হয় না পর আর কি আপন হবে... সবাই যে যার স্বার্থ আগে দেখে কে মরলো আর বাঁচলো তাতে কি আর যায় আসে...!!

10/09/2025

অনালোকিত অধ্যায়
ফারজানা কবির ঈশিতা
২০২৫ ইং

পাথরের ঘড়ির কাঁটায় জমে থাকা ধূলোয়
লিখে রেখো আমাদের অদৃশ্য ইতিহাস...
যেখানে রোদের কাঁটাচামচে খুঁটে খুঁটে খাওয়া হয়
অন্ধকারের রেশমি সুতো।
নদীর গর্ভে লুকিয়ে থাকা চাঁদের আত্মহত্যার গল্পের
আলোয় ভাসে মাছেদের নিষিদ্ধ স্মৃতি...
প্রতিটি বুদবুদে ফুটে ওঠে জলের আয়নায়
অপূর্ণ প্রেমের মুখোশ পরা ছায়া।
মেঘের আস্তাবলে বন্দি ঘোড়ারা
খুঁজে ফেরে আকাশের উড়ন্ত খামার...
ঝড়ের হাঁটুতে ভেঙে পড়া গানগুলো
মিশে যায় অরণ্যের শেকড়ে শেকড়ে।
রাতের বুকে জমেছে আগুনের গুহার ভাষা,
জ্বলজ্বলে ছাইয়ের নিচে চোখ রাখো...
সেখানে লুকিয়ে আছে আমাদের ছিন্ন পৃষ্ঠাগুলো,
শেষ কথাটি যেখানে কখনো পায় না মুখ।
জীবন নামের নির্বাক নদীপথে ভেসে যায়
অর্ধেক চাঁদ, অর্ধেক সূর্য...
সবকটা তীরই যেন তার অনন্তের ডাকঘর,
যেখানে চিঠি আসে, ফেরে না কোন উত্তর...।

10/09/2025

ছায়ার আগুনে জমাট স্বপ্ন
ফারজানা কবির ঈশিতা
২০২৫ ইং

প্রতিশোধ আমার রক্তে জমাট বরফের সূচালো নিঃশ্বাস,
জ্বলন্ত উনুনে ফেলে দিই নিজেরই ছায়ার কঙ্কাল..
তুমি যেখানে দাঁড়িয়ে থাকো, সেখানেই গজায় বিষের গাছ,
তোমার শেকড়ে আমি ঢেলে দিই অশ্রুর লবণ।
আমার ক্ষতগুলো তোমার মুখোশের নিচে লুকিয়ে থাকে,
হৃদয়ের ফাটলে জন্ম নেয় আগুনের ফুলকি;
থেমে গিয়ে মাটির গহ্বরে গুনি নক্ষত্র,
মানুষের হাতে জমে থাকে অসুরেরই চেনাশোনা।
তোমার প্রেম ছিলো আয়নায় আটকে থাকা এক ঝলকানি,
আমি সেই আয়না ভেঙে বানিয়েছি খঞ্জরের ফলক..
যে খঞ্জর কাঁপে হৃদয়ের নীলে,
না লিখে তোমার নাম লিখি ধুলোর ইশারা।
আমার ক্রোধ এখন নদীর জলে মেশে প্রতিদিন,
তোমার ছবি ভাসে সেখানে বিষণ্ণ মাছের চোখে;
ফিরে এসে বাতাস আগুনের গান গেয়ে যায়,
আমি শুনি ছাইয়ের নিঃসঙ্গতা, তুমি শোনো উত্তাপের ছলনা।
সব রাত শেষে জন্ম নেয় এক নতুন সূর্য,
আমার অন্ধকারে জ্বলে তোমার অবিনাশী মুখ..
প্রতিশোধ যেখানে প্রেমেরই বিকৃত প্রতিধ্বনি,
আমি হাঁটি ছায়ার সাগরে, ডুব দিয়ে নীরবতার নোনাজলে।

10/09/2025

শ্রাবণ-পিপাসা
ফারজানা কবির ঈশিতা
২০২৫ ইং

এই শহুরে গোধূলিতে হঠাৎ শ্রাবণ নামুক,
রিক্ততার সমুদ্রে ডুবে যাক দু’নয়নের নোনাজল,
স্তব্ধ হোক পৃথিবী, শব্দ হারায়ে যাক পথের গতিতে..
শ্রাবণ স্পর্শে শিহরণ জাগুক শুষ্ক হৃদয়ে,
মরুভূমি সম এই প্রাণে হোক বৃষ্টির গান!
এই শহর, এই বিষাদ, এই ক্রান্তিকাল..
ধূসর দালানের আড়ালে লুকানো বেদনা
হঠাৎ উধাও হোক এক তৃষ্ণার্ত বিকেলে!
জলক্লান্ত চিলের ডানায় ভেসে যাক ভাঙা স্বপ্ন,
নিমফিয়ার রঙে রাঙা হোক অন্ধকার!
শ্রাবণ নামলে পথের ফাটলে ফুটে উঠুক জলহস্তের পদ্ম,
দেয়ালের গ্রাফিতি ধুয়ে যাক স্নিগ্ধ জলে,
রোদ্দুরে শুকনো পাতার গল্পগুলো
ভিজে মাটিতে মিশে যাক পলির গন্ধে!
হঠাৎ নামুক শ্রাবণ...
ফুটপাতের কফিহাউসে বসে থাকা একা মানুষটি খুলে দিক জানালা,উড়িয়ে দিক ডায়েরির পাতা..
গুমোট আকাশের যত লবণাক্ত ক্ষত ধুয়ে নিয়ে যাক শতধারে!
এই তৃষ্ণার্ত বিকেলেই ক্লান্তি ভেসে যাক নর্দমার জলে,
মেট্রোর গর্জন ডুবে যাক বৃষ্টির সুরে,
আকাশের উল্কাবৃষ্টি নামুক মাটির বুকে
শত শহরের শত বিষাদ হয়ে যাক পান্না-সবুজ এক হৃদয়!

10/09/2025

অগ্নিগর্ভে ছায়ার নৃত্য
ফারজানা কবির ঈশিতা
আগষ্ট ২০২৫ ইং

আমার প্রতিশোধ নিঃশ্বাস নেয় অঙ্গারে অঙ্গারে,
জ্বলন্ত চুল্লির গর্ভে তবুও ছাই হয়ে জমে থাকি
তোমার নামের শিখা যেন বিষাদে কাঁপে,
নর্দমার বিষাক্ত হাওয়ায় উড়িয়ে দিই স্বপ্নের চিতা।
আমার ক্ষতগুলি গণনার অঙ্ক হয়ে ফেরে,
রক্তবিন্দুতে বিন্দুতে লিখি প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস,
তবুও থামি মাটির গন্ধে মেশে হিংসার গন্ধ,
মানুষের চোখে জল আসে, অসুরের হাতে শেকল।
তুমি মোহের মায়াবী অক্ষরে লিখেছিলে প্রেমের গল্প,
আমি পড়েছিলাম শিকারের ডায়েরি
অসুরের প্রেম সেতো আয়নায় মানবমুখো ছায়া,
যে আয়না ভাঙলে পরে রক্তাক্ত চোখের কাঁচ।
আমার ক্রোধ এখন পথের ধুলোয় লুকিয়ে,
তোমার পায়ের নিচে ঘুরে বেড়ায় প্রতিশোধের স্ফুলিঙ্গ,
রৌদ্রে তবুও মিশে যাই..আমি তো ছাই, আমি তো মানুষ,
অসুরের গল্পে বারুদ ও অশ্রুর মিশেল।
সব জ্বলন শেষে জন্মায় এক টুকরো শীতলতা,
আমার ভস্মে লেগে থাকে তোমার নিষিদ্ধ গন্ধের দাগ..!
প্রেম যেখানে প্রতিশোধের ছদ্মনাম,
আমি সেখানে একা পথিক, আগুনের ভাষায় লিখি যাত্রাপথ।

10/09/2025

জড়পদার্থের দেশ
ফারজানা কবির ঈশিতা
২০২৫ ইং

এক নদী বিষ বয়ে যায়..কোনো সুর নেই তার জলে..
শুধু ছুরি নেচে বেড়ায় অন্ধকারের দিগ্বিদিকে।
গণধর্ষণের গর্ভে ভেসে যাওয়া শিশুর চিৎকারে
স্তব্ধ প্রকৃতির আকাশে বাতাসে লেগে আছে লজ্জার ছাই।
বিবস্ত্র নারী দেহে দেখে বিকৃত উল্লাসের চিত্র
স্তম্ভিত হয়ে ঈশ্বরও যেন বলেন মানুষ হতে কি কি লাগে
জানতেই পারিনি যেন মানুষ সৃষ্টির আগে..
মানুষ হতে সত্যিই কি লাগে এমন প্রশ্নে
আকাশ থেকে নামে উত্তর
সৃষ্টিকর্তা নিজেই তো হারিয়েছেন নিজের সৃষ্টির ছক...
এমন বিভৎস বর্বরতার অভয়ারণ্যে..!
এখানে মানুষ নেই..এখানে অসুরেরা নাচে রক্তমাখা পায়ে
আর আমরা..! আমরা কেবল
জড়পদার্থের সারি সারি ভয়ে জমাট পাথর,
নির্বিকার নিশ্চল প্রস্তরখণ্ড যাদের হৃদয়ে একদিন
জ্বলতো আলো, আজ সেখানে জমে আছে লজ্জার তুষার...
কোনো এক ভোরের প্রতীক্ষায় চোখ বুজে দাঁড়িয়ে প্রকৃতি
যেদিন এই পাথর গলে আবার মানুষ হবে উত্তাল নদী।

অসীমতার প্রতিধ্বনিফারজানা কবির ঈশিতা আগষ্ট ২০২৫ ইং তারারা মুখোশ পরে নিভে যায় অন্ধকারের থালেনি:শ্বাস নেয় মহাকাশের অনন্ত ন...
02/09/2025

অসীমতার প্রতিধ্বনি
ফারজানা কবির ঈশিতা
আগষ্ট ২০২৫ ইং

তারারা মুখোশ পরে নিভে যায় অন্ধকারের থালে
নি:শ্বাস নেয় মহাকাশের অনন্ত নীরবতা..।
আমার হৃদয়ে জমে থাকা নক্ষত্রের গুঁড়ো
বৃষ্টিতে গলে গলে জন্ম নেয় অদৃশ্য নদীর গদ্যে..।
ছায়ারা লিখে যায় দিনের পৃষ্ঠায় অদৃশ্য অক্ষর,
আলো আর অন্ধকারের যুদ্ধ যেখানে চিরন্তন।
পা ফেলি যেন ভাঙা আয়নার বুকে
নতুন চাঁদের জন্ম দেওয়া আত্মার প্রতিবিম্ব।
সময় নামের জালে আটকে আছে প্রজাপতির ডানা,
মৃত্যু ও জন্মের মাঝে ঝুলে থাকে রোদের ফাঁকি।
আমি শুধু গুনি মাটির গহ্বরে চুরি যাওয়া শব্দ
অস্তিত্বের ওজন মাপি অদৃশ্য পালকের তুলাদণ্ডে।
জলের গভীরে জেগে থাকে চোখের ভাষাহীন চিঠি,
মাছেদের কানে পৌঁছায় না নীরবতার শব্দ..!
অসীমতা যেন এক খোলা বই পাতা উল্টায় বাতাস,
আমরা হাত বাড়াই শব্দের সীমানা ছুঁতে।
জীবন কি শুধুই ধূলোর উপরে আঁকা এক ঝলক আলো
নাকি অন্ধকারের গায়ে লেগে থাকা জোনাকির রেশ..?
প্রশ্নরা যেখানে নিজের ছায়াকে জড়িয়ে ধরে,
উত্তর হারায় অনাদির খামে...
অক্ষরে অক্ষরে যার কেবলই শূন্যতার গান...!

নিঃসঙ্গ কফিন ফারজানা কবির ঈশিতা আগষ্ট ২০২৫ ইং শেষ পর্যন্ত জানা হলো...মানুষ তার নিজের থুতনির গভীরে এক অচেনা মহাদেশ,  যেখা...
29/08/2025

নিঃসঙ্গ কফিন
ফারজানা কবির ঈশিতা
আগষ্ট ২০২৫ ইং

শেষ পর্যন্ত জানা হলো...
মানুষ তার নিজের থুতনির গভীরে এক অচেনা মহাদেশ,
যেখানে জেগে ওঠে সমুদ্রের আদিম কঙ্কাল,
আঙুলের ডগায় লুকিয়ে থাকে অনাবৃষ্টির গোপন রোজনামচা..
চোখের কোণে জমে থাকা শিশির
লিখে যায় অদৃশ্য মহাকাব্য...শিরায় শিরায় একলা নদীর খোঁজ,
হাড়ে হাড় ভাঙা নক্ষত্রের ভাষ্য।
আমরা কেবল ভাসমান প্রহর
নিজেদেরই ছায়ার জলে ডুবে যাওয়া ডুবুরি...
রাতের টেবিলে রেখে যাই অসমাপ্ত চিঠি
অক্ষরে অক্ষরে যার পৃথিবীর সমস্ত মিথ্যে জমা হয়।
আয়নাগুলোর নীরব হাসিতে মুখোশ পরে নেয় আমাদেরই চোখ...
ভালোবাসা সে তো এক শূন্য টেলিস্কোপ
যোজন দূরের আলো স্পর্শ করেও
উত্তাপ তার কখনো আসে না হৃদয়ে।
আমরা জ্বালাই মোমবাতি নদীর জলে,
স্রোত শেখায় কিভাবে নিঃশব্দে নিজের নাম
ভেসে যায় কালের কফিনে...
সত্য নিঃসঙ্গ বসে থাকে রেলস্টেশনের বেঞ্চে
ট্রেন ছুটে যায়, ছুঁড়ে ফেলে ধোঁয়া আর স্টেশনের ঘড়ি।
জীবন নামক প্যাসেঞ্জার খুঁজে ফেরে নিজের টিকিটের গন্তব্য,
পৌঁছানোর আগেই যেখানে সমস্ত আলো
হয়ে যায় টুনেলের শ্বাসরুদ্ধকর কবিতা...
একা হওয়া নয় কোনো গল্পের শেষ
এ তো সেই আদিম সুর যা বাজে হাড়ের ফাঁক দিয়ে,
মাটির নিচে, নক্ষত্রের উপরে, আমাদের নামহীন সমাধিস্তম্ভে...

Address

Cumilla

Telephone

+8801955563669

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Farjana Kabir Ish*ta posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share