
07/03/2025
Awareness......
" কথায়-কথায় টেস্ট, চিকিৎসা নিয়ে ক্ষুব্ধ রোগীরা। যন্ত্রেই যদি রোগ শনাক্ত হয়, তাহলে ডাক্তারের কাজ কি?"
সম্প্রতি একটি চ্যানেলে এরকম একটি নেতিবাচক খবর প্রচারিত হয়।
এ প্রসঙ্গে একটু বলি-
বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। দিনে দিনে প্রযুক্তি আরো উন্নত হচ্ছে। আর চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উন্নয়নটা আরো এক ধাপ এগিয়ে। মানুষ এখন অনেক বেশী স্বাস্থ্য সচেতন। প্রত্যেকটা ঔষধেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাহলে রোগীর যদি সামর্থ্য থাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েই চিকিৎসা শুরু করা উচিত।
আর পরীক্ষা একাই যে একশ ভাগ রোগ নির্ণয় করে তা না। পরীক্ষার পাশাপাশি প্রখর নলেজ ও প্রজ্ঞা রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করে। আর রোগ নির্ণয়ের পরে যথার্থ চিকিৎসা দেওয়াটা ও অনেক নলেজ ও প্রজ্ঞার কাজ। রোগ নির্ণয়ের পরে ও যে কেউ চাইলেই যথার্থ চিকিৎসা দিতে পারেন না।
ধরেন, পরীক্ষা না করে সম্পূর্ণ অনুমান/নলেজের উপর ভিত্তি করে একজন ডাক্তার চিকিৎসা শুরু করলেন, এতে যদি রোগ ভাল না হয়ে উল্টো রোগীর ক্ষতি হয়, তখন এর দায়ভার কে নিবে? মনে রাখবেন- একজন রোগীর মৃত্যু অনেকের কাছে একটি সংখ্যা মাত্র, কিন্তু তার পরিবারের কাছে সকল কিছুর মৃত্যু।
আমি তো জানি উন্নত বিশ্বে স্বল্প কয়েকটা ঔষধ বাদে টেস্ট ছাড়া কোন চিকিৎসাই হয় না।
তবে আমাদের দেশের মানুষ গরীব। তাই কিছু রোগ বাদে টেস্টের সুবিধা-অসুবিধা সব জানিয়ে টেস্ট করা কিংবা না করা রোগীর উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। রোগী যদি টেস্ট না করে তারপর ও চিকিৎসা শুরু করতে হবে। আর পরীক্ষা যদি করতে চায় রোগী যেখান খুশি সেখান থেকে পরীক্ষা করবে। এতে চিকিৎসক ক্ষিপ্ত হতে পারবে না, ভদ্রভাবে যথার্থ চিকিৎসা রোগীকে দিতেই হবে। কারন শরীরটা যার তার উপর কিছু দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত। সে যদি তার ন্যূনতম ভাল না বুঝে, সেখানে বোঝাতে যাওয়া চিকিৎসকের বোকামি ছাড়া অন্য কিছু নয়। তবে প্রত্যেক চিকিৎসকের উচিত ভাল ল্যাব থেকে টেস্ট করানোর পরামর্শ দেওয়া। কারণ বেশীরভাগ রোগীই জানে না ভাল টেস্ট কোথায় হয়।
আর কিছু কিছু রোগ আছে যে রোগগুলোতে চিকিৎসক জোর করে পরীক্ষা করাবে, করানো উচিত। নইলে রোগীর জীবন শংঙ্কার মধ্যে পড়বে।
মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের সংবিধান স্বাস্থ্যসেবাকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই ধনী-গরিব সকলেরই স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।