12/08/2025
নাম ছিল বিল হাস্ট। মানুষ তাঁকে চিনত “স্নেক ম্যান” নামে। সারা জীবন বিষধর সাপ নিয়ে কাটিয়েছেন তিনি—তবে শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং এক বিস্ময়কর বিশ্বাস থেকে। তাঁর মতে, সাপের বিষেই লুকিয়ে আছে বহু রোগের ওষুধ, এমনকি সুস্থতার চাবিকাঠিও।
শুরুর গল্পটা একটু অন্যরকম। ১৯১৭ সালে, মাত্র সাত বছর বয়সে খেলতে খেলতে প্রথমবার সাপ ধরেন হাস্ট। তখন থেকেই শুরু হয় সাপের প্রতি এক অদ্ভুত টান। ধীরে ধীরে পড়াশোনার গণ্ডি ছেড়ে পা রাখেন সাপের জগতে। নিজেই একটা ভ্রাম্যমাণ সাপ প্রদর্শনী দল গড়ে তোলেন এবং দেশজুড়ে ঘুরে ঘুরে মানুষের সামনে বিষধর সাপ নিয়ে দেখাতে থাকেন নানা কৌশল।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। ১৯৪৭ সালে মিয়ামিতে গড়ে তোলেন “Miami Serpentarium”—একটা অভিনব সাপঘর, যেখানে প্রতিদিন দর্শকদের সামনে সাপের বিষ সংগ্রহ করতেন তিনি নিজে। আর তার পাশাপাশি শুরু করেন আরও এক অভূতপূর্ব কাজ—নিজের শরীরে অল্প মাত্রায় সাপের বিষ ইনজেকশন নেওয়া।
প্রথমে অল্প করে, পরে রীতিমতো নিয়ম করে নানা বিষধর সাপের বিষ নিতে শুরু করেন—কোবরা, মাম্বা, র্যাটল স্নেক, আরও কত কী! উদ্দেশ্য একটাই—শরীরে এমন প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা, যাতে সাপের কামড়েও প্রাণ না যায়।
এই অদ্ভুত পদ্ধতিই পরে তাঁকে অন্তত ২০ বার বাঁচিয়ে দিয়েছিল—যেখানে অন্য কেউ হলে নিশ্চিত মৃত্যু হতো। শুধু তাই নয়—তাঁর শরীরে গঠিত অ্যান্টিবডি কখনো কখনো অন্যের শরীরেও ব্যবহার করা হয়েছে। জানা যায়, এভাবে অন্তত ২১ জন মানুষের প্রাণ বাঁচানো গিয়েছে।
মজার বিষয়, তিনি ছিলেন না কোনো ডাক্তার কিংবা বৈজ্ঞানিক। তবুও অভিজ্ঞতা, সাহস আর নিষ্ঠার কারণে বহু চিকিৎসক ও গবেষক তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন। সাপের বিষ দিয়ে আর্থরাইটিস, এমনকি মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের চিকিৎসা নিয়েও তিনি নানা পরীক্ষা চালান।
আর অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি—এই ‘বিষ-পুরুষ’ বেঁচে ছিলেন একশো এক বছর। ২০১১ সালে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি বিশ্বাস করতেন, সাপের বিষই তাঁকে সুস্থ রেখেছে এত বছর।
।। সংগৃহীত।।
কপি- মোঃ জিয়াউর রহমান
゚viralfbreelsfypシ゚viral ゚