17/04/2025
ডেসটিনি নতুন রাজনৈতিক পার্টি নিয়ে আসতেছে। নতুন রাজনৈতিক দল যে কেউ নিবন্ধন নিতেই পারেন, এটা রাজনৈতিক অধিকার। কিন্তু রফিকুল আমিন এমএলএম এর নামে তরুন যুবকদের পথভ্রষ্ট করে রয়্যালিটি ইনকামের যে রোডম্যাপ দেখিয়েছিলেন, তাতে যুবকরা নিজের পেশায় দক্ষ না হয়ে, মেধা শূণ্যতা নিয়ে বড় হয়ে, আজকেও সেই সব যুবকরা নিজের পেশায় মনোযোগী হতে পারেননি।
ধরুন, দেশের সবাই যদি ডেসনিটিতে যোগ দিতেন এবং রয়েলিটি ইনকাম মানে কোন কাজ নেই বসে বসে টাকা ঢুকবে এ্যাকাউন্টে, তখন কর্ম পেশায় কে থাকতেন? তাহলে দেশটা কি সচল থাকতো? আসলে সবাই যখন ডেসনিটিতে ঢুকতো তখন ডেসটিনির সেই পিরামিড স্কিম কলাপস হয়ে যেতো। এটা সম্ভব না অর্থনৈতিক সাইকোলেশনের ফর্মুলায়।
আসলে ডেসটিনির লক্ষ্য ছিলো ফান্ড কালেকশন। এখন যদি কেউ ১০ লক্ষ টাকা জমা করে ১২ বছর পরে এই টাকা দ্বারা কোননা কোন শিল্প করে গ্রাহকের টাকা দ্বিগুন রিটার্ণ দেয়াই যেতো। এজন্য তারা কাল্পনিক গাছ বিক্রির প্যাকেজও করেছিলেন। অর্থ্যাৎ, আপনার বিনিয়োগ গাছে হলেও হয়তো টাকাটা গিয়েছে কোন ফ্যাক্টরী নির্মানে। হয়তো উদ্দেশ্য ভালো, যে মাঠ থেকে একটা সিস্টেমে টাকা টেনে, দেশে শিল্পের বিপ্লব ঘটাবে। কিন্তু আদৌ কি সেটা সম্ভব হয়েছিল। তারা কেন টাকা পাচার করেছিল? কালোজিরা ২০০ টাকার তেল ৫০০০ টাকায় বিক্রি হতো, ১০০০ টাকার কয়েকটা বই বিক্রি হতো ৬০০০ টাকায়। আর অতিরিক্ত দামের সেই টাকাটা সবাইকে ভাগ করে দেয়া হতো। পাবলিক এতে ছিলো প্রচন্ড খুশি, লাভ আর লাভ। এই অন্ধকার ধারনার নামই হলো বাংলাদেশ।
মূলত, আমাদের দেশের অভাবী বেকার যুবকদের নিয়ে সবাই খেলতে ভালোবাসে। কখনও খেলে রাজনীতিবিদেরা ১ কোটি কর্মসংস্থান হবে বলে, কখনও খেলে ডেসটিনির মতো এমএলএম কোম্পানী যারা ১ কোটি লোককে কোটিপটি করে মার্সিটিজ দিবে বলে।
এখন ডেসটিনি যদি রাজনৈতিক দল করেন, তবে তা যে জনগনের সার্ভিস বাদ দিয়ে শতভাগ ব্যবসায়িক চিন্তা থেকে করবে এটা নিশ্চিত বলা যায়।
Ahmed Sayed