Uchsash Tousif

Uchsash Tousif আমি বিখ্যাত কেউ নই। মূলত বই পড়তে পছন্দ করি।

বেঁচে আছি গল্পগুলি বলবো বলে
----------------------------------------------
বই পড়তে অসম্ভব পছন্দ করি। গল্প, কল্প-বিজ্ঞান, বিজ্ঞান, ইতিহাস এবং পুরাণের গল্প। সেই সঙ্গে লিখতে পছন্দ করি। উদ্দেশ্যটা সহজ, সবাই যেন এই ব্যাপারগুলো জানতে পারে। এই চাওয়াটুকুই মানুষকে এতোদূর নিয়ে এসেছে।

বেশ কয়েক জায়গায় লেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। বিজ্ঞানচিন্তা এবং রোর বাংলা তার মধ্যে অন্যতম। মূলত নন-ফিকশন, ইতিহাস এবং বিজ্ঞান এখ

ানে মূল উপজীব্য হিসেবে এসেছে। এছাড়াও টুকটাক গল্প লিখেছি। ঘুরতে গেলে, ফিরে এসে লিখেছি ট্রাভেলগ।

২০১৯ সালের অমর একুশে বই মেলায় প্রথমবারের মতো একটি বিজ্ঞানের বই অনুবাদ করেছি। ঝটপট জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান। নীল ডিগ্র্যাস টাইসনের 'অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ফর পিপল ইন অ্যা হারি' বইটার অনুবাদ। ২০২০ সালে আমার অনুবাদে প্রকাশিত হয়েছে রিচার্ড ফাইনম্যানের 'সিক্স ইজি পিসেস' এবং স্টিফেন কিংয়ের 'দ্য ব্রিদিং মেথড ও ডোলানস ক্যাডিলাক' এবং 'দ্য বডি'। সামনের দিনগুলোতে অনুবাদের পাশাপাশি কিছু মৌলিক কাজও করার ইচ্ছে আছে।

পার্সোনাল ব্লগ খোলার কথা ভাবছি অনেকদিন ধরেই। তার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা লেখাগুলোর খোঁজ পাওয়া যাবে পেইজে। আর, ব্লগ খোলার পরে পেইজটা পাঠকের সঙ্গে ব্লগের যোগসূত্র হিসাবে কাজ করবে।

কোথায় কী লিখছি, কী বই পড়ছি বা মুভি-টিভি সিরিজ দেখছি কিংবা কী ভাবছি, এই সব কিছুর-ই ট্র্যাক থাকবে এই পেইজে। যদি কেউ আগ্রহী হয়ে থাকেন, আমার আপন ভুবনে আপনাকে স্বাগতম।

[মার্কেজের একটি বইয়ের নাম ঘেঁষে এই লেখার নাম দেওয়া হয়েছে। জীবনের অদ্ভুত আঁকবাঁকের গল্পের প্রকাশ জাদু-বাস্তবতার সঙ্গে কখনো কখনো এক সুতোয় মিলে যায়। সেই শ্রদ্ধা থেকেই এই নাম। কৃতজ্ঞতা, মার্কেজ।]

18/04/2025

বিজ্ঞানবিশের খসড়া খাতা বিজ্ঞানী ডট অর্গে। শুনুন বিস্তারিত।

বিজ্ঞানবিশের খসড়া খাতায় কী থাকতে পারে, সেটা গুছিয়ে লিখে রেখেছিলাম। আউটলাইনের সময় ভেবেছিলাম, বিজ্ঞান কীভাবে কাজ করে, অর্থ...
23/03/2025

বিজ্ঞানবিশের খসড়া খাতায় কী থাকতে পারে, সেটা গুছিয়ে লিখে রেখেছিলাম। আউটলাইনের সময় ভেবেছিলাম, বিজ্ঞান কীভাবে কাজ করে, অর্থাৎ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নিয়ে একটা লেখা থাকবে শুরুতেই। তারপর অ্যাস্ট্রোফিজিকস যেটা- মহাবিশ্বের সূচনা, মহাবিশ্বটাকে আমরা কতটা জানি : দৃশ্যমান মহাবিশ্ব, মহাবিশ্বের কেন্দ্র আছে কি না বা সুষমতা, কীভাবে জানি : পটভূমি বিকিরণসহ অন্যান্য বিষয়গুলো, অজানা : ডার্ক ম্যাটার, ডার্ক এনার্জি ইত্যাদি থাকবে। থাকবে মহাবিশ্বের ভাষা গণিতের কথা, বিভিন্ন মাত্রার কথা।

এরপর একটু নিচে নেমে এসে গ্যালাক্সি লেভেলে : আমাদের গ্যালাক্সিটা কেমন, এর নানা বিষয় আমরা কতটা-কীভাবে জানলাম, গ্যালাক্সিগুলোর ফাঁকে ফাঁকে কী আছে, এসব থাকবে। থাকবে নক্ষত্রগুলোর শ্রেণি-পরিচয়, তাদের মৃত্যুর নানা প্রক্রিয়া : নিউট্রন স্টার, ব্ল্যাকহোল, হোয়াইট হোল ইত্যাদি।

এরপর সৌরজগৎ লেভেলের আলোচনা। তারপর পৃথিবী নিয়ে বিস্তারিত : কতটা জানি, কীভাবে এর ভর, ওজন, আকার ইত্যাদি জানা গেল। কীভাবে এখানে ঋতুবৈচিত্র হয়। বায়ুমণ্ডল ছাড়িয়ে মাটিতে নামলে, মাটির নিচে কী আছে, তেল-গ্যাস কীভাবে হয়, ফসিলে লেখা ইতিহাস, ড্রাগন থেকে ডাইনোসর, আবহাওয়া, জলবায়ু, ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া থাকবে।

মানুষের আলোচনার শুধু থাকবে চেতনার বিজ্ঞান, আর থাকবে আমাদের মহাজাগতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিজ্ঞানচর্চা কেন করছি আমরা, সেসব।

একটা বই পড়ে আমার মতো নবিশেরা যেন বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়ে ওঠেন, সে জন্যই বিজ্ঞানবিশের খসড়া খাতা।
---
মাঝেমধ্যে আমার একটু দুষ্টামি করতে ইচ্ছা করে। এই ডিজাইন সেরকম দুষ্টামি।
রকমারির লিঙ্ক তো থাকছেই, পাবেন আরও অনেকগুলো বুকশপে। কমেন্টে লিঙ্ক থাকছে।

লেখকঃ উচ্ছ্বাস তৌসিফ, ক্যাটাগরিঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মূল্যঃ 375, লিংকঃ https://www.rokomari.com/book/454512/বিজ্ঞানবিশের-খসড়া-খাতা , সার স....

24/02/2025

সময় কেন শুধু সামনে এগোয়? কোয়ান্টাম মেকানিকসের দুনিয়াটা কেমন? কীভাবে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন নতুন সূত্র? দ্য ক্যারেক্টার অব ফিজিক্যাল ল-র ৫, ৬ ও ৭- এই তিনটা অধ্যায়ে আছে সবার বহুল জিজ্ঞাসিত এই প্রশ্নগুলোর জবাব।

পাঠ্যবইয়ে পড়া ফিজিকসের সূত্রগুলোর গভীরে ঢুকতে চাইলে এই বই পড়া আবশ্যক।

16/02/2025

কী আছে বিজ্ঞানবিশের খসড়া খাতায়? দেখে নিন একনজরে।

ফিজিক্স বইয়ের সূত্রগুলো আরও গভীরভাবে জানতে চাও? নোবেলজয়ী পদার্থবিদ রিচার্ড ফাইনম্যানের এ বইতে পাবে তোমাদের অনেক প্রশ্নের...
31/01/2025

ফিজিক্স বইয়ের সূত্রগুলো আরও গভীরভাবে জানতে চাও? নোবেলজয়ী পদার্থবিদ রিচার্ড ফাইনম্যানের এ বইতে পাবে তোমাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর।

SHOP NOW বাটনে ক্লিক করে ২৫% ছাড়ে, মাত্র ৩৩৮ টাকায় আজই নিয়ে নাও বইটি।

লেখকঃ রিচার্ড ফাইনম্যান, ক্যাটাগরিঃ পদার্থবিজ্ঞান, মূল্যঃ 338.0, লিংকঃ www.rokomari.com/book/442713 , সার সংক্ষেপঃ প্রকৃতি কোন ভাষায় ক.....

আমাদের মহাবিশ্বটা মাথা খারাপ করা। কথাটা সম্ভবত নীল ডিগ্র‍্যাস টাইসনের। নাও হতে পারে। তবে ‘অ্যাস্ট্রোফিজিকস ইন আ হারি’ বই...
26/01/2025

আমাদের মহাবিশ্বটা মাথা খারাপ করা। কথাটা সম্ভবত নীল ডিগ্র‍্যাস টাইসনের। নাও হতে পারে। তবে ‘অ্যাস্ট্রোফিজিকস ইন আ হারি’ বইয়ের শুরুতেই তার একটা কথা আছে। আপনার কাছে বোধগম্য হিসেবে ধরা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা মহাবিশ্বের নাই।

মানুষের কী সাহস এবং কী প্রচণ্ড বুদ্ধি- পৃথিবীতে বসে, খাতা-কলমে আঁকিবুঁকি করে, কম্পিউটারের কি-বোর্ড চেপে সে বলে দিতে পারতেছে, মহাবিশ্বটা কীরকম আচরণ করবে। এই যে মহাবিশ্বের আচরণ আমরা পড়তে পারি, বুঝতে পারি কিছুটা- এই জন্য আমাদের (মানে আমার মতো সলিমুদ্দি না, বিজ্ঞানীদের) প্রকৃতির ভাষা বুঝতে হয়। এই ভাষারই আরেক নাম ‘ফিজিক্যাল ল’। মানে, ভৌত সূত্র।

এই ভৌত সূত্রগুলা কেমন? কেন প্রকৃতি একসেট সূত্র মেনে কথা বলে? কীভাবে বিজ্ঞানীরা এগুলো বুঝলেন? এই বিষয়গুলো নিয়ে রিচার্ড ফাইনম্যান ৭টা লেকচার দেন ১৯৬৪ সালে। এই লেকচার সিরিজের নাম ‘মেসেঞ্জার লেকচার’।

ফাইনম্যান বিস্তারিত আলাপ দেন, সেই আলাপের জন্য প্রথমেই বলেন মহাকর্ষ সূত্রের কথা। এটা প্রকৃতির ভাষার একটা উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন তিনি। এসব আপনিও জানেন, প্রায় সবাই জানে। এরপরেই ফাইনম্যান ধুম করে চলে যান সংরক্ষণশীলতায়, এর সূত্র ধরে তিনি আপেক্ষিকতার কথাও বলেন। তারপর সময় কেন শুধু একদিকে চলে, বিশৃঙ্খলা, কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান ইত্যাদি উঠে আসে। একদম ৭ নম্বরে লেকচারে ফাইনম্যান সবিস্তারে দেখান, একটা নতুন সূত্র কীভাবে বানাইতে হয়। কীভাবে আসলে বিজ্ঞানীরা প্রকৃতির ভাষাটা পড়েন।

একদম নতুন যে পাঠক, সেও মহাকর্ষের আলাপ দিয়ে ঢুকে পড়তে পারবেন। ধীরে ধীরে জানবেন মহাবিশ্বের আজব কাজকর্ম কীভাবে বুঝতে হয়। মাথাটা খারাপ না করে কীভাবে ঠান্ডা রেখে সত্যিটা জানতে হয়। বিশ শতকের অন্যতম, তর্কসাপেক্ষে শ্রেষ্ঠ পদার্থবিদ্যার শিক্ষকের ক্লাসরুমের দরজা আপনার সামনে খোলা। মূল লেকচারের কিউআর কোডও আছে প্রতি চ্যাপ্টারের শেষে, চাইলে সেগুলোও শুনতে পারবেন।

বইটা প্রকাশিত হইছে গেল ডিসেম্বরে। তখন পোস্ট করিনি, এখন তাই একটু বিস্তারিত জানাচ্ছি। আগ্রহীরা বইটা রকমারি, প্রথমাসহ আরও অনেক জায়গাতেই পাবেন।

রিচার্ড ফাইনম্যানের সিক্স ইজি পিসেস যাঁদের মুগ্ধ করেছে, এই বই তাঁদের ভালো লাগবে নিঃসন্দেহে।

লেখকঃ রিচার্ড ফাইনম্যান, ক্যাটাগরিঃ পদার্থবিজ্ঞান, মূল্যঃ 403.0, লিংকঃ www.rokomari.com/book/442713 , সার সংক্ষেপঃ প্রকৃতি কোন ভাষায় ক.....

কাজী আকাশ আমার বইয়ের কড়া সমালোচনা করেছেন। ভালো-মন্দ- দুটোই জানা যাবে এই রিভিউ থেকে।এই বইটা অনেকে কিনেছেন, এমনটা বলা হয়তো...
03/03/2024

কাজী আকাশ আমার বইয়ের কড়া সমালোচনা করেছেন। ভালো-মন্দ- দুটোই জানা যাবে এই রিভিউ থেকে।

এই বইটা অনেকে কিনেছেন, এমনটা বলা হয়তো আমার উচিত না। কারণ, বই অনেকে কিনলে তো ১৮ কোটির দেশে ১৮ লাখ কপি অন্তত বিক্রি হতো। তবু যাঁরা কিনেছেন, আপনারা যদি পড়েন- কোনো ভুল-ভ্রান্তি পান, আমাকে জানাবেন, প্লিজ। পাবলিকলি লিখতে পারেন, সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিংবা রকমারি বা গুডরিডসেও জানাতে পারেন। বই পড়ার সুযোগ পেলে কষ্ট করে লিখবেন, ভালো-মন্দ যাই হোক, এটাই অনুরোধ।

এবার এই রিভিউ নিয়ে এক-দুই লাইন বলি। আকাশ ভাই বই পড়ে লেখাটায় বিস্তারিত লিখেছেন, এটা পড়ে আমি আসলেই খুশি। আমার বিশ্বাস, যাঁরা ভিন্ন ধাঁচের থ্রিলার, সাইফাই এবং চিন্তা করার মতো বই পড়তে চান, এই বই তাঁদের ভালো লাগবে।

সবশেষে- শুধু আমার বই না, যে বই-ই পড়েন, ভালো লাগলে দুই লাইন লিখুন অন্তত। দুই কথা বলুন। ভালো বইগুলো ছড়িয়ে যাক।

এটি ক্লাসিক ও বিদ্রূপাত্মক ঘরনার বই। গল্পের পাশাপাশি উঠে এসেছে আঠারো শতকের ব্রিটিশ সমাজের চিত্র। ১৪০ বছর আগে লেখ...

আলোচনা সাপেক্ষে পৃথিবীর অন্যতম সেরা ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্স ফিকশন 'ফ্ল্যাটল্যান্ড' এখন বাজারে!---------------------------...
16/02/2024

আলোচনা সাপেক্ষে পৃথিবীর অন্যতম সেরা ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্স ফিকশন 'ফ্ল্যাটল্যান্ড' এখন বাজারে!
----------------------------
স্ট্রিং থিওরির নাম শুনেছেন? এই থিওরি বলে, মহাবিশ্বটা ৩-৪ নয়, ১০, ১১ বা ২৬ মাত্রার। এরকম একটা মহাবিশ্ব কেমন হবে?

আইনস্টাইন বলেছেন, জ্ঞানের চেয়ে কল্পনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এরকম একটা মহাবিশ্বকে বুঝতে তাই আমাদের কল্পজগতে ডানা মেলতে হবে।

ঠিক এরকম একটি কল্পজগতের কথা তুলে ধরা হয়ে এই সায়েন্স ফিকশনে। দ্বিমাত্রিক বিশ্বের এক বর্গের গল্প এটা। এই বিশ্বে নারীরা সরলরেখা, সমাজ চালায় বৃত্তেরা, আর বাহুর সংখ্যার ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় পুরুষদের শ্রেণি।

এই বর্গের সঙ্গে ত্রিমাত্রিক বিশ্বের, আমাদের জগতের এক গোলকের দেখা। তারপর এলোমেলো হয়ে যায় সব। ভয়ংকর এক বিপদে জড়িয়ে পড়ে বর্গ, অধিক কৌতূহলে যেমন বিড়াল মারা যায়, পিঁপড়ার পাখা যেমন গজায় মরার জন্য, এই বর্গেরও তেমনি কৌতূহল ডেকে আনে মৃত্যু। বর্গ কি এই বিপদ থেকে বাঁচতে পারবে?

গত ১০০ বছর ধরে যে গল্প লাখো পাঠককে মুগ্ধ করেছে, স্টিফেন হকিংয়ের মতো বিজ্ঞানীর লেখাউ এসেছে যে গল্প, দ্য বিগ ব্যাং থিওরি সিরিজে শেলডন কুপার যে ফ্ল্যাটল্যান্ডে ঘুরে বেড়ায় কল্পনায়- সেই বহুমাত্রিক অভিযানে আপনাকে স্বাগতম।

১৩৬ পৃষ্ঠার এই বইটা সংগ্রহ করতে পারেন আফসার ব্রাদার্সের ৫৩০-৫৩৩ নম্বর স্টল থেকে। দাম মাত্র ২০৬ টাকা (২৫% ছাড়ে)।

লেখকঃ এডুইন এ অ্যাবট, ক্যাটাগরিঃ অনুবাদ সায়েন্স ফিকশন, মূল্যঃ 206.0, লিংকঃ www.rokomari.com/book/376987 , সার সংক্ষেপঃ ফ্ল্যাটল্যান্ড দ....

বর্গের লেখা, সমবাহু ত্রিভুজ দ্বারা অনুদিত; আলোচনা সাপেক্ষে এই ত্রিমাত্রিক জগতে লেখা সর্বশ্রেষ্ঠ ম্যাথম্যাটিকাল সাইফাই “ফ...
15/02/2024

বর্গের লেখা, সমবাহু ত্রিভুজ দ্বারা অনুদিত; আলোচনা সাপেক্ষে এই ত্রিমাত্রিক জগতে লেখা সর্বশ্রেষ্ঠ ম্যাথম্যাটিকাল সাইফাই “ফ্ল্যাটল্যান্ড” পাওয়া যাচ্ছে বইমেলায় ও রকমারি ডটকমে।

ফ্ল্যাটল্যান্ড দ্বিমাত্রিক বিশ্বের এক বর্গের গল্প। যে বিশ্বে নারীরা সরলরেখা, সমাজ পরিচালনা করে বৃত্তেরা; আর বাহুর সংখ্যার ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় পুরুষদের শ্রেণি। গল্পকার বর্গ সে বিশ্বের এক গণিতবিদ। একদিন তার দেখা হয় ত্রিমাত্রিক বিশ্ব থেকে আসা অদ্ভুত এক আকৃতির সঙ্গে। তার কাছে দ্বিমাত্রিক বর্গ নতুন এক মাত্রার কথা জানতে পারে। বদলে যায় তার পুরো জগৎ। একমাত্রিক রেখাবিশ্বে অভিযানে যায় সে, মাত্রাহীন বিন্দুবিশ্বেও ঘুরে আসে। ত্রিমাত্রিক বিশ্বে ঘুরতে গিয়ে সে খুঁজে ফেরে চতুর্মাত্রিক বিশ্ব।

এই বহুমাত্রিক অভিযান আপনাকে ভাবাবে, সামাজিক অসঙ্গতি দেখিয়ে দেবে চোখে আঙ্গুল দিয়ে। আর প্রশ্ন করবে, আপনি যে বিশ্বে আছেন, যে মাত্রায় আছেন, তা-ই কি আসলে সব? গত ১০০ বছর ধরে যে গল্প লাখো পাঠককে মুগ্ধ করেছে, সেই বহুমাত্রিক অভিযানে আপনাকে স্বাগতম।

--------------------------
ফ্ল্যাটল্যান্ড
লেখক : বর্গ (এডুইন এ অ্যাবট)
অনুবাদ : সমবাহু ত্রিভুজ (উচ্ছ্বাস তৌসিফ)
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৩৬
দাম : ২৭৫ টাকা (২৫% ছাড়ে ২০৬ টাকা)

আজই সংগ্রহ করুন!

লেখকঃ এডুইন এ অ্যাবট, ক্যাটাগরিঃ অনুবাদ সায়েন্স ফিকশন, মূল্যঃ 206.0, লিংকঃ www.rokomari.com/book/376987 , সার সংক্ষেপঃ ফ্ল্যাটল্যান্ড দ....

বছরে কয়টা বই পড়তে হবে, এ নিয়ে সত্যি বলতে আমার অত মাথাব্যথা নাই। ৬০টা ধরে নিয়েছি শুধু একটা সংখ্যা হিসাবে। ও জিনিস পূর্ণ হ...
07/01/2024

বছরে কয়টা বই পড়তে হবে, এ নিয়ে সত্যি বলতে আমার অত মাথাব্যথা নাই। ৬০টা ধরে নিয়েছি শুধু একটা সংখ্যা হিসাবে। ও জিনিস পূর্ণ হলেও যা, না হলেও তাই। মাথাব্যথা এতটুকুই- কিছু ভালো বই পড়ার ইচ্ছাটা পূর্ণ করা। ২০২৩-এ সেটা হয়েছে মোটামুটি, ২০২৪-এ আরেকটু ভালো হোক, এইটাই চাই। বিশেষ করে বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন সংস্কৃতির বই চেখে দেখার ইচ্ছে আছে। 'বিভিন্ন ভাষার' বলছি না, কারণ পড়া হবে ইংরেজি বা বাংলাতেই; তাতে সংস্কৃতি ধরা পড়লেও মূল ভাষার শব্দের কারিকুরিটা চাখার সুযোগ থাকছে না।

এই ট্র‍্যাকারটা আমি শুধু এক্সপেরিমেন্টালি করেছি বোঝার জন্য। সারা বছর চালিয়ে যাওয়ার মতো একটিভ মানুষ আমি না। কুঁড়ের কুঁড়ে যাকে বলে। হিসেব রাখার জন্য গুডরিডস বেশ ভালো বটে, তাতে এত কষ্টও নাই; তবে বাংলা বই পাওয়া যায় না ঠিকঠাক। যুক্ত করা যায় চাইলে, কিন্তু ইচ্ছাও হয় না সব সময়, আলসেমী লাগে।

তো, আমি দেখলাম- এই মুহূর্তে আমার পড়ার তালিকায় একসাথে নয়টা বই আছে। এইটাকে কেউ কেউ 'আটার ম্যাডনেস' বা 'বুলশিট'ও বলতে পারেন। শো-অফ বলেও মনে হতে পারে। সত্যি বলতে, এগুলা ছাড়াও বই পড়া হচ্ছে। কোনোটা গত বছর শুরু করেছি, এ বছর শেষ করলাম- এখানে নাই; কোনোটা নিজে অনুবাদ করছি, কোনোটা এডিট করছি, এরকম। তবে এগুলো আমার প্রাইমারি রিডিং আপাতত।

এইটা থেকে আমি বুঝতেছি, বই নিয়ে আমি আসলে খুব রিল্যাক্সড থাকি। একটা বই শুরু করলেই শেষ করার জেদ এখন আর কাজ করে না। ভালো লাগছে, পড়ে যাচ্ছি- এরকম। ভালো না লাগলে বাদ দিলাম, এমনও হতে পারে। আবার গত নভেম্বরে শুরু করা 'ছবির দেশে কবিতার দেশে' শেষ করলাম আজ; এরকমও হয়, ধীরে ধীরে আয়েশ করে পড়া।

আবার, আমি একসাথে ফিকশন ও নন-ফিকশন পড়তে থাকি। এটা আমার জন্য রিডিং এক্সপেরিয়েন্সটা আনন্দদায়ক করে। বিষয় বৈচিত্র্যও দরকার, নাহয় একঘেয়ে হয়ে যেতে পারে। সারাদিন লেখা নিয়ে থাকা, নিজে না লিখলেও এডিট করা পেশাগত কারণে- সে জন্য পড়ার এই বিষয়টা ধরে রাখাকে আমি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। তা ছাড়া, বই পড়ে শেখার কাজ আর ইন-জেনারেল পড়ে যাওয়া, আনন্দ পাওয়া- এই দুটো আলাদা বিষয়। আমার কাছে শেখার চেয়ে আনন্দটাই গুরুত্বপূর্ণ বেশি।

আপনাদের জন্য পড়ার এক্সপেরিয়েন্সটা কেমন? বই পড়া কেমন চলছে? চাইলে কমেন্ট করতে পারেন।

শুভ সকাল!

Address

Cumilla

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Uchsash Tousif posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Uchsash Tousif:

Share

বেঁচে আছি গল্পগুলি বলবো বলে

বই পড়তে অসম্ভব পছন্দ করি। গল্প, কল্প-বিজ্ঞান, বিজ্ঞান, ইতিহাস এবং পুরাণের গল্প। সেই সঙ্গে লিখতে পছন্দ করি। উদ্দেশ্যটা সহজ, সবাই যেন এই ব্যাপারগুলো জানতে পারে। এই চাওয়াটুকুই মানুষকে এতোদূর নিয়ে এসেছে। বেশ কয়েক জায়গায় লেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। বিজ্ঞানচিন্তা এবং রোর বাংলা তার মধ্যে অন্যতম। মূলত নন-ফিকশন, ইতিহাস এবং বিজ্ঞান এখানে মূল উপজীব্য হিসেবে এসেছে। এছাড়াও টুকটাক গল্প লিখেছি। ঘুরতে গেলে, ফিরে এসে লিখেছি ট্রাভেলগ। এবারের অমর একুশে বই মেলায় প্রথমবারের মতো একটি বিজ্ঞানের বই অনুবাদ করেছি। ঝটপট জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান। নীল ডিগ্র্যাস টাইসনের অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ফর পিপল ইন অ্যা হারি বইটার অনুবাদ। সামনের দিনগুলোতে বিজ্ঞানের পাশাপাশি বেশ কিছু ফিকশন এবং নন-ফিকশন বই নিয়েও কাজ করার ইচ্ছে আছে।

আমার বিভিন্ন লেখা নানা জায়গায় ছড়িয়ে গেছে। সবকিছুকে মোটামুটি এক জায়গায় জড়ো করতেই এই পেইজ।

পার্সোনাল ব্লগ খোলার কথা ভেবেছিলাম। তবে, সাজিয়ে-গুছিয়ে প্রফেশনাল ব্লগ করার মতো অবস্থা আপাতত নেই। আর, ব্লগ করলে সেটা ঠিক করেই করতে চাই ভবিষ্যতে। সেজন্যেই, আপাতত এই পেইজেই সব এক করে রাখবো যথা সম্ভব।

কোথায় কী লেখছি, কী বই পড়ছি বা মুভি-টিভি সিরিজ দেখছি কিংবা কী ভাবছি, এই সব কিছুর-ই ট্র্যাক থাকবে এই পেইজে। যদি কেউ আগ্রহী হয়ে থাকেন, আমার আপন ভুবনে আপনাকে স্বাগতম।