23/05/2025
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ যুদ্ধের ময়দান হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া৷
চীন তাইওয়ান সংঘর্ষ চূড়ান্ত রুপ নিলে মায়ানমারের উপর হস্তক্ষেপ করতে পারে কোয়াড।
কোয়াড হলো সামরিক জোট। সম্ভাব্য চীনের প্রভাব ধ্বংস করতে আমেরি'কা,ভারত,জাপান,অস্টেলিয়া যে সামরিক জোট গঠন করে তা হলো কোয়াড।
আমরা উপরে যতই চীন মার্কিন খেলা দেখি মূলত তা নয়। ভেতরে ভেতরে তা প্রক্সি ওয়ারে সীমাবদ্ধ নয়।
এই দক্ষিণ এশিয়ায় শুধু যুদ্ধের বিস্তার নয়। এটা সমগ্র এশিয়া কে আক্রান্ত করবে৷
পৃথিবী যত শেষের দিকে যাচ্ছে এশিয়া তত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
সিক্রেট সোসাইটির প্ল্যান হলো ইরা'ন কে ধ্বংস করে ফেইক মা'সীহের জন্য উন্মুক্ত করা। যার লক্ষ্যবস্তু সমগ্র আরবে যুদ্ধ ছড়িয়ে যাবে।
এটা মানেন আর না মানেন পৃথিবীর সমস্ত মিলিটারি পাওয়ার এশিয়ায় মিলিত হতে যাচ্ছে।
যার দুইটা বিশাল ঘাটি দুই প্রান্তে হবে।
এক সিরিয়া - ইজরায়ে:ল কেন্দ্রিক। আরেক হলো আফ-গান,ভারত,পাকিস্তান,বাংলাদেশ কেন্দ্রীক।
এই বহুমুখী সংঘাতে যে যার স্বার্থ নিয়ে এগিয়ে গেলেও দিনশেষে লাভবান হবে ভারত। ভারত তার উচ্চ বিলাসী অখন্ড ভারত গঠনের সুবর্ণ সুযোগ পাবে। এবং সে এই সুযোগে মরিয়া হয়ে উঠবে।
চীন কে ঠেকাতে মরিয়া আমেরিকা ভারত কে ব্যবহার করছে। আর ভারত উপরে সেই নীতির উপর নেই। সে তার নীতি হলো অখন্ড ভারত গঠনের মাধ্যমে বিশ্ব পরাশক্তি হওয়া৷
এগুলা জেনারেল মিলিটারির টুলস। এসব চ্যাপ্টার না বুঝার কিছু নেই। ভারত সবচেয়ে ভালো পজিশন পেয়েছে বাংলাদেশ কে৷ সে বিনা যুদ্ধেই বাংলাদেশের উপর দিয়ে ডিফেন্স স্টাইলে সড়কপথ ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছে।
সাথে দুটো বন্দর পর্যন্ত।
যারা মিলিটারি এনালিস্ট তারা কিন্তু জানে বাংলাদেশ ভারতের অঘোষিত সেইফ ক্যান্টনমেন্ট এ পরিণত হয়ে গেছে। কিন্তু ইচ্ছা করলেই তো আর মুখ খোলা যায় না।
পাহাড়ি এলাকা গুলা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবে বাংলাদেশ। যা ঠেকানোর ক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। অন্যদিকে ভারত আসামের NRC বাস্তবায়ন করবে। যা ঠেকানোর ক্ষমতাও বাংলাদেশের নেই।
ক্রমাগত ভবিষ্যৎ কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে একবার ভেবে দেখেছেন কী। আপনি ঘুমিয়ে থাকলেও ওরা ঘুমিয়ে নেই। আপনার চোখের সামনেই ৫০০ কিলো রাস্তা তৈরি হয়ে গেলো। সাথে দুটো বন্দর।
এটা যদি প্রক্সি ওয়ারে সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে আপনি আমি নিরাপদ হয়তো থাকতাম।
কিন্তু এটা তো অখন্ড ভারত গঠনের সুবর্ণ সুযোগ। যার মূল টার্গেট মুসলমান।
এতো ইনোসেন্ট সাজতে সাজতে আপনি যে কুমিরের পেটে গিয়েছেন সেটাও বুঝার উপায় নেই।
আজ প্রজন্ম এতোটাই ডেড বডি হয়ে গেছে যে তার আর অনুভূতি নেই। একদম ভোতা একটা প্রজন্ম। আর এই প্রজন্মের ভোতা শায়েখ, লেখক,বক্তারা আরো অনুভূতিশূন্য।
চোখের সামনে আমরা কুমিড়ের পেটে চলে গেলাম। একটা টু শব্দও নেই।