Mr Rubel

05/06/2025

22/05/2025

🤣🤣🤣🤣

05/05/2025

অবশ্যই, আপনার জন্য আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদিস শোনাচ্ছি:
১. মুসলিমের পারস্পরিক সম্পর্ক (The Relationship Between Muslims):
> "মুমিনরা একে অপরের জন্য একটি কাঠামোর মতো, যার এক অংশ অন্য অংশকে শক্তিশালী করে।"
> (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৪৪৬)
>
এই হাদিসটি মুসলিমদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সংহতির গুরুত্ব তুলে ধরে।
২. আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও ভয় (Love and Fear of Allah):
> "যদি তোমরা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় করতে, তবে তিনি তোমাদেরকে রিযিক দান করতেন যেমন তিনি পাখিদের রিযিক দান করেন; তারা সকালে খালি পেটে বের হয় এবং সন্ধ্যায় ভরা পেটে ফিরে আসে।"
> (সুনানে আত-তিরমিযী, হাদীস নং ২৩৪৪)
>
এই হাদিসটি আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল (ভরসা) এবং তাকওয়ার (আল্লাহভীতি) গুরুত্বের কথা বলে।
৩. সৃষ্টির প্রতি দয়া (Kindness to Creation):
> "দয়াকারীদের উপর দয়াময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা পৃথিবীর প্রাণীদের প্রতি দয়া করো, তাহলে আকাশের সত্তা তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।"
> (সুনানে আত-তিরমিযী, হাদীস নং ১৯২৪)
>
এই হাদিসটি আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি দয়া ও সহানুভূতি দেখানোর গুরুত্বের কথা বলে।
৪. জিহ্বার হেফাজত (Guarding the Tongue):
> "যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের উপর ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা নীরব থাকে।"
> (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬০১৮)
>
এই হাদিসটি কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার এবং খারাপ কথা পরিহার করার গুরুত্ব তুলে ধরে।
৫. ধৈর্য ও প্রতিদান (Patience and Reward):
> "মুমিনের বিষয়টি কতই না চমৎকার! তার প্রতিটি কাজই তার জন্য কল্যাণকর। যদি সে সুখ লাভ করে, তবে সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, যা তার জন্য কল্যাণকর। আর যদি সে কষ্টের সম্মুখীন হয়, তবে সে ধৈর্য ধারণ করে, যা তার জন্য কল্যাণকর।"
> (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯৯৯)
>
এই হাদিসটি সুখ ও দুঃখ উভয় পরিস্থিতিতেই মুমিনের ইতিবাচক মনোভাবের কথা বলে।
৬. ক্ষমা ও উদারতা (Forgiveness and Generosity):
> "যে ব্যক্তি ক্ষমা করে এবং আপোষ মীমাংসা করে, আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।"
> (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৮৮)
>
এই হাদিসটি ক্ষমা ও উদারতার গুরুত্বের কথা বলে।
৭. হালাল উপার্জন (Lawful Earning):
> "নিশ্চয় আল্লাহ পবিত্র এবং তিনি কেবল পবিত্র জিনিসই গ্রহণ করেন।"
> (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০১৫)
>
এই হাদিসটি হালাল উপার্জনের গুরুত্ব এবং হারাম উপার্জন থেকে বেঁচে থাকার কথা বলে।
আশা করি এই হাদিসগুলো আপনার ভালো লেগেছে এবং আপনার জীবনে দিকনির্দেশনা দেবে। আপনার যদি আরও কোনো বিষয়ে হাদিস জানার আগ্রহ থাকে, তবে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
💐

05/05/2025

অবশ্যই, ইসলাম সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদিস নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. নিয়তের গুরুত্ব (The Importance of Intention):
> "সকল কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আর প্রত্যেক ব্যক্তি তাই পাবে যা সে নিয়ত করেছে। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করেছে, তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্যই গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়াবী স্বার্থ অথবা কোনো নারীকে বিবাহের উদ্দেশ্যে হিজরত করেছে, তার হিজরত সেই উদ্দেশ্যেই গণ্য হবে।"
> (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১)
>
এই হাদিসটি যেকোনো ইবাদত বা কাজের শুরুতে বিশুদ্ধ নিয়তের গুরুত্ব তুলে ধরে।
২. ইসলামের ভিত্তি (The Foundations of Islam):
> "ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি স্তম্ভের উপর স্থাপিত: এই সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল; সালাত প্রতিষ্ঠা করা; যাকাত প্রদান করা; রমজান মাসে রোজা রাখা এবং সামর্থ্য থাকলে বাইতুল্লাহর হজ করা।"
> (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮)
>
এই হাদিসটি ইসলামের পাঁচটি মৌলিক স্তম্ভের কথা উল্লেখ করে।
৩. উত্তম চরিত্র (Good Character):
> "তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে চরিত্রের দিক থেকে সবচেয়ে ভালো।"
> (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৫৫৯)
>
এই হাদিসটি একজন মুসলিমের জীবনে উত্তম চরিত্রের গুরুত্বের কথা বলে।
৪. জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব (The Importance of Seeking Knowledge):
> "জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ (আবশ্যক)।"
> (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ২২৪)
>
এই হাদিসটি প্রত্যেক মুসলিমের জন্য জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরে।
৫. প্রতিবেশীর অধিকার (The Rights of a Neighbor):
> "জিবরীল আলাইহিস সালাম আমাকে প্রতিবেশীর অধিকার সম্পর্কে এত বেশি উপদেশ দিয়েছেন যে আমার মনে হচ্ছিল যেন তিনি তাকে আমার উত্তরাধিকারী বানিয়ে দেবেন।"
> (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬০১৪)
>
এই হাদিসটি ইসলামে প্রতিবেশীর অধিকারের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে।
৬. দানশীলতা (Charity):
> "তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচো, যদিও খেজুরের একটি অংশ দান করার মাধ্যমেও হয়।"
> (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৪১৭)
>
এই হাদিসটি সামান্য হলেও দান করার গুরুত্বের কথা বলে।
৭. মিথ্যা পরিহার (Avoiding Lies):
> "তোমরা মিথ্যা থেকে বেঁচে থাকো, কেননা মিথ্যা পাপাচারের দিকে ধাবিত করে, আর পাপাচার জাহান্নামের দিকে ধাবিত করে।"
> (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬০৯৪)
>
এই হাদিসটি মিথ্যা বলা থেকে বেঁচে থাকার গুরুত্বের কথা বলে।
৮. ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ (Controlling Anger):
> "সে শক্তিশালী নয় যে কুস্তি লড়ে মানুষকে ধরাশায়ী করে, বরং সে শক্তিশালী যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।"
> (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬১১৪)
>
এই হাদিসটি ক্রোধ নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বের কথা বলে।
এগুলো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিসের উদাহরণ মাত্র। হাদিসের বিশাল ভাণ্ডারে আরও অসংখ্য মূল্যবান শিক্ষা ও দিকনির্দেশনা রয়েছে। আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে হাদিস জানার আগ্রহ থাকে, তবে আপনি জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

05/05/2025

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সুন্নত রাকাতের সংখ্যা নিচে উল্লেখ করা হলো:
| নামাজের নাম | সুন্নত (মুয়াক্কাদা) রাকাত | সুন্নত (গাইরে মুয়াক্কাদা/নফল) রাকাত |
|---|---|---|
| ফজর | ২ রাকাত (ফরজের আগে) | নেই |
| যোহর | ৪ রাকাত (ফরজের আগে) ও ২ রাকাত (ফরজের পরে) | ২ রাকাত (ফরজের পরে - ঐচ্ছিক) |
| আসর | ৪ রাকাত (ফরজের আগে - গাইরে মুয়াক্কাদা) | নেই |
| মাগরিব | ২ রাকাত (ফরজের পরে) | ২ রাকাত (ফরজের আগে - গাইরে মুয়াক্কাদা) |
| এশা | ২ রাকাত (ফরজের পরে) | ৪ রাকাত (ফরজের আগে - গাইরে মুয়াক্কাদা) ও ২ রাকাত (বিতরের পরে - ঐচ্ছিক) |
মোট সুন্নতে মুয়াক্কাদা রাকাত: ২ (ফজর) + ৪ (যোহর আগে) + ২ (যোহর পরে) + ২ (মাগরিব পরে) + ২ (এশা পরে) = ১২ রাকাত
মোট সুন্নতে গাইরে মুয়াক্কাদা/নফল রাকাত (ঐচ্ছিক): ৪ (আসর আগে) + ২ (মাগরিব আগে) + ৪ (এশা আগে) + ২ (এশা পরে বিতরের পর) = ১২ রাকাত
উল্লেখ্য, সুন্নতে মুয়াক্কাদা হলো সেই সুন্নতগুলো যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণত নিয়মিত আদায় করতেন এবং যা ত্যাগ করা অনুচিত। অন্যদিকে, সুন্নতে গাইরে মুয়াক্কাদা বা নফল সুন্নতগুলো তিনি মাঝে মাঝে আদায় করতেন এবং এগুলো ত্যাগ করলে গুনাহ হয় না, তবে আদায় করলে সাওয়াব পাওয়া যায়। বিতরের নামাজ ওয়াজিব।

05/05/2025

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানব ইতিহাসের এক মহান ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন শেষ নবী এবং ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর জীবন ছিল সততা, ন্যায়পরায়ণতা, দয়া ও সহানুভূতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তাঁর জীবনের কিছু উল্লেখযোগ্য দিক:
* জন্ম ও বংশ: তিনি ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কা নগরীতে কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল আব্দুল্লাহ এবং মাতার নাম আমিনা।
* নবুয়ত লাভ: ৪০ বছর বয়সে হেরা গুহায় ধ্যানরত অবস্থায় তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রথম ওহী লাভ করেন এবং নবুয়তের দায়িত্ব পান।
* ইসলাম প্রচার: মক্কায় তিনি একত্ববাদের বাণী প্রচার শুরু করলে বিরোধিতার সম্মুখীন হন।
* মদিনায় হিজরত: আল্লাহর নির্দেশে তিনি ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন, যা ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
* মদিনা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা: মদিনায় তিনি একটি সুশৃঙ্খল সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে সকল ধর্মের মানুষের অধিকার সুরক্ষিত ছিল।
* মক্কা বিজয়: দীর্ঘ संघर्षের পর ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে তিনি মক্কা বিজয় করেন এবং কাবা শরীফে স্থাপিত মূর্তিগুলো অপসারণ করে একত্ববাদের প্রতিষ্ঠা করেন।
* বিদায় হজ: ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে তিনি তাঁর জীবনের শেষ হজ পালন করেন এবং আরাফাতের ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন, যা বিদায় হজের ভাষণ নামে পরিচিত। এই ভাষণে তিনি ইসলামের মূলনীতি ও মানবজাতির কল্যাণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন।
* মৃত্যু: ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে মদিনায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
তাঁর চরিত্রের কিছু বৈশিষ্ট্য:
* সততা ও বিশ্বস্ততা: তিনি "আল-আমিন" (বিশ্বস্ত) নামে পরিচিত ছিলেন।
* ন্যায়পরায়ণতা: তিনি সকলের সাথে ন্যায়বিচার করতেন, এমনকি শত্রুদের সাথেও।
* দয়া ও সহানুভূতি: তিনি ছিলেন অত্যন্ত দয়ালু ও সহানুভূতিশীল, বিশেষ করে দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি।
* ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা: তিনি কঠিন পরিস্থিতিতেও ধৈর্য ধারণ করতেন এবং আল্লাহর উপর ভরসা রাখতেন।
* পরোপকার: তিনি সর্বদা অন্যের উপকারে নিয়োজিত থাকতেন।
* সাধারণ জীবনযাপন: তিনি অত্যন্ত সাদাসিধা জীবনযাপন করতেন এবং জাগতিক লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে ছিলেন।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জীবন ও শিক্ষা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। তাঁর দেখানো পথে শান্তি, ন্যায়বিচার ও মানবতা প্রতিষ্ঠার মধ্যেই প্রকৃত কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে তাঁর আদর্শ অনুসরণ করার তাওফিক দান করুন। (আমিন)

19/04/2025

আসসালামু আলাইকুম কুয়েতের বাড়িতে যারা আছেন আমার কাছে একটা চাকরির সন্ধান আছে বেতন ১৮০ টাকা হাউস ড্রাইভার থাকা খাওয়া মালিকেরকেউ যদি থেকে থাকেন তাহলে আমাকে নক করুন❤️