25/09/2025
ঘুম থেকে উঠছি সকাল ৬টায় তারপর সাড়ে আটটায় বের হইসি এক্সাম ছিলো ৯টা বাজে এক্সাম দিলাম ১২ টা পর্যন্ত তারপর গেলাম ভার্সিটিতে।জুনিয়রদের সাথে প্রাকটিক্যাল কাজ করতে করতে কখন যে মাগরিবের আজান দিয়ে দিলো টেরই পাইলাম না বাসায় আসলাম সন্ধ্যা ৭টায় তারপর গোসল করলাম তারপর এক মিনিট বসার অপেক্ষা নাই আবার ছুটলাম কান্দিরপার। viva সামনে ফাইল রেডি করতে হবে তারপর বাড়িতেও (শ্বশুড়বাড়িতে) চলে যাবো হাতে একদমই সময় নাই সবকিছু রেডি করে রাখতে হবে।
বাসায় আসলাম ১০ টায়। আজকে বাবুর আকিকা ছিলো ব্যস্ততার জন্য আমার বাবুকেও দেখতে পারলাম না সারাদিন তাই দেরি না করে আবার ছুটলাম বাবুকে দেখতে।রাত ১১ টায় বাসায় আসলাম আর এখন মাত্র একটু শুয়ার সুযোগ হলো।
এতো কথা বলার কারণ কি জানেন?
এই যে আপনারা আমার প্রতি এতো বাজে ধারণা বহন করতেসেন আমি কেনো আমার বাবার বাড়িতে থাকি, শ্বশুড়বাড়িতে যাই না কেনো,আমাকে কেনো পড়ালেখা করাইতেসে,কেনো আমাকে আমার জামাই সব স্বাধীনতা দিতেসে।সারাক্ষণ আমার শ্বাশুড়ি আম্মুর কানের কাছে এইটা ঐটা বলতে থাকেন,খুঁচা মারতে থাকেন তো কি লাভ এইসব করে? উনি তো কানে তুলে না বরং এসে আমাকে সব বলে দেয়।আমি ২৪ ঘন্টা কি করি না করি আমার হাজবেন্ড এমনকি আমার শ্বশুড়বাড়ির প্রত্যেকটা মানুষ জানে এবং এইজন্যই ওরা আমাকে এতো বিশ্বাস করে।
হাজবেন্ড ছাড়া শ্বশুড়বাড়ির সবার সাথে ভালো ভাবে থাকা -বাবারবাড়ির দিকেও খেয়াল রাখা যেহেতু আমার আম্মু অসুস্থ -পড়ালেখাও ঠিকভাবে করা। সবদিক ম্যানেজ করে নিঃশ্বাস নেয়ার সময়টাও হয় না আর আপনারা আসেন মন্তব্য করতে।দূর থেকে মন্তব্য করা অনেক সহজ বুঝলেন কাছে এসে আমার জীবনটা পর্যবেক্ষণ করেন সবকিছু আউলা-ঝাউলা লাগবে।
মানুষের সুখ দেখলে যদি হিংসা হয় তাহলে দেইখেন না।কিন্তু এইভাবে কারোর নামে উঠতে বসতে অপবাদ দিবেন না।আমার হাজবেন্ড দেশে নাই এইটার জন্য দায়ি আমি না। সে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য দূরে আছে আমার থেকে। এইটায় যে আমার কষ্ট কম হচ্ছে ব্যাপারটা এমন না কিন্তু আমার সাপোর্ট সবচেয়ে বেশি দরকার ওর। আমি শুধু ওকে সাপোর্ট করতেসি আমার খারাপ লাগা গুলা সাইড করে, এতুটুকুই ।এখন অন্য কেউ খারাপ কাজ করতেসে এইজন্য আমিও করবো এমন কুরুচিপূর্ণ চিন্তা থেকে উঠে আসেন আর প্যাঁচ লাগানো খুঁচা মারা কথাও অফ করেন।
সারাক্ষণ আমি কি করি না করি সবই তো দেখেন এসে আমার আইডিতে আর পেইজে হয়তো এই পোস্টটাও দেখবেন তাই আজকে অনেক ভালো ভাবে বলতেসি এরপরের ব্যবহারটা আর ভালো হবে না হয়তো। সবারই সহ্য আর ধৈর্যের একটা লিমিট থাকে।😌