Sumon Mia

Sumon Mia man has no escape from death

07/08/2025

টিপস গুলো সবসময় লাগবেইঃ🥀

👉বমি বমি ভাব হচ্ছে?
চোখ বন্ধ করে,অন্ধকার রুমে শুয়ে থাকুন কিছুক্ষণ,কিছুটা লেবু খেতে পারেন।

👉প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করছে?
২.৫-৩ লিটার পানি খান।প্রস্রাব আটকে রাখবেন না।ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা চেক করুন।

👉হেঁচকি উঠেছে?
১-২ গ্লাস পানি খেয়ে ফেলুন কিংবা ২০-৩০ সেকেন্ড শ্বাস নেয়া বন্ধ রাখুন।

👉কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে?
২.৫-৩ লিটার পানি ও প্রচুর শাকসবজি খান,খাবারের পর ৩০-৪০ মিনিট হাঁটুন।

👉পা ফুলে গেছে?
রাতে ঘুমানোর সময় পায়ের নিচে বালিশ রেখে ঘুমান।তাতে পায়ের ফোলা কমবে।

👉ঘাড়ে ব্যথা?ঘাড় কামড়ায়?
নরম বালিশ ও নরম বিছানা পরিহার করুন।গরম পানির ব্যাগ দিয়ে সেক দিন।

👉হাটতে সমস্যা নেই,হাটতেও ভাল লাগে?
হাটুন,হোক সেটা ১-২ ঘন্টা কিংবা ৩০মিনিট।

👉গাড়ীতে চড়লে বমি হয়?
গাড়ী চড়ার সময় কোন লেখা পড়বেন না।মোবাইলে চ্যাট করবেন না যা আপনার মোশন সিকনেসকে উদ্রেক করবে।

👉হঠাৎ পায়ের গোড়ালি মচকে গেছে?
বরফের সেক দিন এবং পায়ের নিচে বালিশ রেখে সোজা হয়ে শুয়ে থাকুন।

👉করেন তো?

প্রাথমিকভাবে এসব করেও কাজ না হলে তাহলে ডাক্তার দেখান।

06/08/2025

তিনটে ক্ষুধার্ত তেলাপোকা এক কৃষকের কাছে এসে খাবার চাইল। তিনি স্বেচ্ছায় তাদের কিছু রুটি এবং কিছু চিজ দিলেন। তেলাপোকারা এগুলো তৃপ্তির সাথে খেলো এবং বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য কিছু খাবার রেখে দিল।

যাওয়ার আগে কৃষক তাদের বললেন,
"শুন তেলাপোকারা, খাবারের জন্য ভিক্ষা করার পরিবর্তে তোমরা আমার খামারে কাজ করতে পার, এতে করে তোমাদের ভাল বেতন, খাবার এবং সুরক্ষা দিতে পারি।"

তেলাপোকারা জিজ্ঞেস করল,
"আমাদের কি কাজ করতে হবে এবং আমরা কত বেতন পেতে পারি?"
কৃষক উত্তর দিল,

"আমার খামারে চারটি পদ খালি আছে, যার প্রত্যেকটির জন্য আলাদা আলাদা বেতন রয়েছে। তাদের মধ্যে তোমরা কে কোনটি পছন্দ কর তা বেছে নেওয়া তোমাদের উপর নির্ভর করে! যে শ্রমিকের কাজ হল আমার মুরগিকে জানানো যে খাবার তৈরি আছে তাকে প্রতি মাসে ৩,০০০ টাকা বেতন দেওয়া হবে। যার কাজ হল আমার রসুনের খোসা ছাড়ানো সে মাসিক ৫,০০০ টাকা পাবে, যার কাজ খামার থেকে বিরক্তিকর টিকটিকি তাড়ানো, সে প্রতি মাসে ৪,০০০ টাকা পায় এবং সবশেষে, যার কাজ আমার ছাগলের জন্য নাচ গান করা সে মাসিক ২৫০ টাকা পায়। তোমরা এখন নিজেদের পছন্দমত পদ বেছে নিতে পার।"

প্রথম তেলাপোকা চিৎকার করে বললো,
"আমি ৫,০০০ টাকার পদ নিতে চাই। আমি আপনার রসুনের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করতে চাই!"
দ্বিতীয় তেলাপোকা বলে উঠলো,
"আমি ৪,০০০ টাকার চাকরি চাই! আমাকে খামার থেকে বিরক্তিকর টিকটিকি তাড়াতে দাও!
তৃতীয় তেলাপোকা অনেকক্ষণ ভাবল, তারপর অবাক হয়ে বলল,

"আমি ২৫০ টাকার চাকরিই করব! আমি আপনার ছাগলের জন্য গান গাইতে এবং নাচতে চাই!"
কিছুক্ষণের জন্য, অন্য দুটি তেলাপোকা তার দিকে তাকালো এবং ভাবল সে খুব বোবা।
"কিভাবে সে ফার্মে সবচেয়ে কম বেতনের চাকরি বেছে নিতে পারে? সে কি এতটাই মূর্খ এবং অযৌক্তিক? " তারা নিজেদের মধ্যে চিন্তা করতে লাগলো।
পরের দিন সকালে, তিনটি তেলাপোকা তাদের প্রথম দিনের কাজের জন্য আসলো। যাইহোক, তারা তাদের দায়িত্ব শুরু করার সাথে সাথে প্রথম এবং দ্বিতীয় তেলাপোকা হঠাৎ মারা যায়।
কৌতূহলী কৃষক তখন তৃতীয় তেলাপোকাটিকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন,
"আমাকে বলতো, কেন তুমি সবচেয়ে কম বেতনের চাকরি বেছে নিলে?"

সে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে উত্তর দিল,
"প্রথমত, মুরগির প্রিয় খাবার হল তেলাপোকা- কেন আমি এমন একটি কাজ বেছে নেব যেখানে আমাকে মুরগির কাছাকাছি যেতে হবে? দ্বিতীয়ত, রসুনের তীব্র গন্ধ তেলাপোকাকে দ্রুত মেরে ফেলতে পারে- কেন আমি এমন একটি কাজ বেছে নেব যেখানে আমাকে রসুনের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করতে হবে? তৃতীয়ত, তেলাপোকা হলো টিকটিকির শিকার এবং প্রিয় খাদ্য , তাহলে কেন আমি খামার থেকে টিকটিকি তাড়ানোর চাকরি নিব?"

অর্থ এবং বস্তুগত প্রাপ্তির আশায় অন্ধ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এর সুদূর প্রসারি প্রভাব সাবধানে বিবেচনা করা উচিৎ।

নতুন নতুন গল্প পেতে পেইজটি ফলো করুন, এবং লাইক কমেন্ট শেয়ার করুন ধন্যবাদ।


#ফল্লওএরল

বাবার দেয়া জমিতে দুই ভাই বাড়ি করে পাশাপাশি থাকতেন।দু'জনই চাকরিজীবী।বড় ভাই শিক্ষক আর ছোটভাই একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর...
06/08/2025

বাবার দেয়া জমিতে দুই ভাই বাড়ি করে পাশাপাশি থাকতেন।দু'জনই চাকরিজীবী।বড় ভাই শিক্ষক আর ছোটভাই একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। বড় ভাই একদিন বাজার থেকে কিছু চারাগাছ এনে বাসার সামনে রোপণ করলেন। প্রতিদিন তিনি কিছু সময় চারাগাছগুলোর যত্ন নিতেন, সেগুলোতে ঠিকমত পানি দিতেন। এদিকে বড়ভাইকে দেখে ছোট ভাইয়েরও বাগান করার শখ হলো।তিনিও বাজার থেকে কিছু চারাগাছ এনে বাসার সামনে রোপণ করলেন।তার ইচ্ছা ছিল তার বাগানটি যেন তার বড় ভাইয়ের বাগানের চেয়ে বেশি সুন্দর হয়। তাই তিনি তার চারাগাছগুলোর বেশি বেশি যত্ন নিতেন, বেশি বেশি পানি দিতেন। এতবেশী যত্নে ছোট ভাইয়ের চারাগাছগুলো অল্পদিনেই তার বড় ভাইয়ের চারাগুলোর চেয়ে বড়, সবুজ ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে ।এ দৃশ্য দেখে, ছোটভাই একদিন কটাক্ষ করে বড়ভাইকে বললো, "ঠিকমত যত্ন নিতে না জানলে বাগান করার দরকার কি , এই দেখো তোমার পরে লাগিয়েও আমার চারাগুলো তোমার চারাগুলোর চেয়েও কতটা বড় হয়ে গেছে। " ছোটভাইয়ের মুখে এমন কথা শুনে বড়ভাই কিছুই বললেন না, শুধু মুচকি হাসলেন।তিনি স্বাভাবিকভাবেই তারা চারাগুলোর যত্ম নিতে থাকলেন। আর এদিকে ছোটভাই বারবার তার চারাগুলোতে পানি দিতে থাকলেন, ইনফ্যাক্ট অনেক বেশি পানি দিতে থাকলেন।

হঠাৎ একরাতে প্রচন্ড ঝড় হলো। সকালে উঠে ছোটভাই দেখলো তার চারাগুলো শেঁকড় থেকে উপড়ে লন্ড*ভন্ড হয়ে আছে। তিনি আরও অবাক হয়ে দেখলেন যে তার বড়ভাইয়ের চারাগুলো ঠিক আগের অবস্থাতেই আছে, ওগুলোর কিচ্ছু হয়নি।তিনি খুব অবাক হলেন।দৌড়ে বড়ভাইয়ের কাছে গিয়ে এমনটা হওয়ার কারণ জানতে চাইলেন। বড়ভাই বললো, "সবকিছুর একটা স্বাভাবিক মাত্রা আছে, কোনকিছুই অতিরিক্ত ভালোনা। তুমি তোমার চারাগাছগুলোতে এত বেশি পানি দিতে যে এদের কখনও বাড়তি পানির প্রয়োজন হয়নি।তাই ওরা কখনও মাটিতে শিকড় বিস্তৃত করে পানি সংগ্রহ করার চেষ্টাই করেনি। আর এদিকে আমি কখনো আমার চারাগুলোতে বেশি পানি দিতাম না।তাই মাটির নিচে শিকড় ছড়িয়ে ওরা ওদের বাড়তি পানির প্রয়োজন মেটাতো।ফলে ওদের ভিত্তিও হয়েছে মজবুত।" বড়ভাইয়ের মুখে সবকিছু শুনে ছোটভাই নিজের ভুল বুঝতে পারলেন এবং অনুতপ্ত হলেন।

আমাদের শিশু সন্তানেরাও এই চারাগাছগুলোর মত। এদের যত্ন ঠিকই নিতে হবে তবে অতিরিক্ত নয়।বাচ্চাকে এমনভাবে গড়তে হবে যাতে তারা আত্মনির্ভরশীল হয়। সবকিছুই রেডি পেয়ে গেলে বাচ্চারা কখনো স্বাবলম্বী হতে শেখেনা, এবং সামান্য ঝড়েই নুয়ে পড়ে -- ঠিক ছোটভাইয়ের চারাগাছগুলোর মত।

01/08/2025

একজন অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিচ্ছিলেন। ক্লাস শুরু হতেই এক ছাত্র শিস দিয়ে বসল।

অধ্যাপক থেমে গিয়ে বললেন:
— "কে শিস দিল?"

কেউ কোনো উত্তর দিল না।

তিনি আবার পাঠ দেওয়া শুরু করলেন। কিছুক্ষণ পর সেই ছাত্র আবার শিস দিল।
অধ্যাপক আবার থেমে জিজ্ঞেস করলেন:
— "কে শিস দিচ্ছে?"

তবুও কেউ উত্তর দিল না।

তিনি আবার ক্লাস শুরু করলেন। কিন্তু এবার যখন তৃতীয়বারের মতো শিস এল,
তিনি কলম বন্ধ করলেন এবং বই গুটিয়ে বললেন:
— "আজকের ক্লাস এখানেই শেষ। তবে আমি তোমাদের একটা গল্প শোনাব।"

ক্লাসে নেমে এলো নিস্তব্ধতা, সবাই মনোযোগ দিল।

অধ্যাপক বললেন:
"এক রাতে ঘুম আসছিল না, অস্থির হয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গাড়ি চালিয়ে কোথাও যাচ্ছিলাম। কোনো নির্দিষ্ট গন্তব্য ছিল না।

হঠাৎ দেখি এক বৃদ্ধা মহিলা, হাতে ভারী বোঝা নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন।
আমি গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, 'মা, কিছু সাহায্য লাগবে কি?'
তিনি খুশি হলেন, গাড়িতে উঠলেন।

চলতে চলতে বুঝলাম, তিনি আমাকে ভালোভাবেই চেনেন।
তিনি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বললেন:

— ‘ডক্টর সাহেব, আমার একটা অবৈধ সন্তান আছে, সে আপনার ইউনিভার্সিটিতেই পড়ে। আমি চাই আপনি তার পাশে থাকুন, তাকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন।’

আমি বললাম:
— 'নিশ্চয়ই মা, কিন্তু নামটা বললে তো আমি তাকে চিনতে পারব।'

তিনি হেসে বললেন:
— 'নাম বলার দরকার নেই। আপনি নিজেই তাকে চিনে ফেলবেন — সে খুব দুষ্ট, সব সময় ক্লাসে শিস দেয়।'"

এই কথা শুনে ক্লাসের সব ছাত্র ঘুরে তাকাল সেই শিস দেওয়া ছাত্রের দিকে!

অধ্যাপক তখন বললেন:
"এসো ছোট ভাই, তুমি কি ভাবছ আমি এই পিএইচডি সার্টিফিকেট গাধার হাট থেকে কিনেছি?"

31/07/2025

খুবই কর্মঠ, কাজ পাগলা চাইনিজরা শনি ও রবি দুইদিন ছুটি দেয়; দুপুরে লাঞ্চের পরে ঘুমানোর জন্য ১ ঘন্টা সময় দেয়। শুধু তাই নয়, সবাই যাতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারে তার জন্য বিশেষ ধরনের চেয়ার দেয়, পরিবেশ বানিয়ে দেয়।

কেন,,,,?

তারা কি বোঝেনা যে ৭ দিনে ৬ দিন ১০/১২ ঘন্টা করে কর্মী কে খাটালে আউটপুট বেশি পাওয়া যাবে?

এই প্রশ্নটি আমি এক চাইনিজ কে করেছিলাম; তিনি উত্তর দিয়েছিলেন ৭ দিনে ৬ দিন ১২/১৪ ঘন্টা খাটিয়ে তুমি শুধু গা-ধা পালবে; কোয়ালিটি পেতে চাইলে তোমাকে মানুষ পালতে হবে, যার ব্রেনকে তুমি যত বৈচিত্র দিতে পারবে, প্রয়োজনমত রেস্ট দিতে পারবে ; ক্রিয়েটিভ আউটপুট পাবে।

তোমার কোম্পানির কাজ যদি গা-ধার কাজ হয় ; মানে বুদ্ধিমত্তা দরকার নাই শুধুমাত্র মাল বহন করতে পারলেই হলো, তাহলে ৭ দিনে পারলে ৭ দিনই কাজ করাও; যখন আর মাল বহন করতে পারবেনা তখন একটিকে বাদ দিয়ে আরেকটিকে নিয়ে নাও।

কিন্তু যদি বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন হয়, তাহলে তাকে দুইদিন ছুটি, দুপুরে ঘুম, পেইড ভ্যাকেশন ইত্যাদি দিতে হবে।
(সংগৃহীত)

31/07/2025

"বাবা নিজের ছেলের সাথে দেখা করতে শহরে এল। গিয়ে দেখলো, তার ছেলের সাথে একটা খুব সুন্দরী মেয়েও থাকে..!😊
রাতে তিন জন যখন এক সাথে ডিনার টেবিলে বসলো, বাবা জিজ্ঞেস করলো-- তোর সাথে এই মেয়েটি কে রে ? 🤔

ছেলে বলল- বাবা, ও আমার রুম পার্টনার, আমার সাথে থাকে . . . তুমি এটা নিয়ে কী ভাবছ, সেটা আমি জানি। কিন্তু আমাদের দুজনের মধ্যে সে রকম কোন সম্পর্কই নেই। আমাদের দুজনের আলাদা আলাদা কামরা, আলাদা আলাদা বেড | আমরা দু'জন শুধু খুব ভাল বন্ধু।
বাপ বলল- ঠিক আছে..! 😇

পরের দিন বাপ নিজের গ্রামে চলে গেল..!
এক সপ্তাহ পর...!😊

মেয়েটি ছেলেটিকে বলল --শোনো, গত রবিবার তোমার বাবা যে প্লেটে ডিনার করেছিলেন, ওই প্লেটটা খুঁজে পাচ্ছি না, আমার সন্দেহ তোমার বাবাই এটা নিয়ে গেছেন।

ছেলেটি রেগে গিয়ে বলল-- শাট আপ.. . এসব কী কথা, তুমি কি আমার বাবাকে চোর বলছো ?

মেয়েটি বলল- তা না | কিন্তু, তুমি একবার তোমার বাবাকে জিজ্ঞেস করেই দেখো না, জিজ্ঞেস করতে আপত্তি কিসের?
ছেলেটি বলল- OK, আমি জিজ্ঞেস করব..!🙄

পরদিন ছেলে বাপকে একটা ই-মেল পাঠালো..তাতে লিখলো--আমি এটা বলছি না যে আপনি আমাদের প্লেটটা চুরি করে নিয়ে গেছেন, অথবা এটাও বলছি না যে আপনি প্লেটটা নিয়ে যাননি ... মানে, যদি ভুলবশতঃ আপনি প্লেটটা নিয়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে ওটা ফেরত দিয়ে দেবেন কারণ, ওটা ওই মেয়েটির খুব পছন্দের প্লেট।

ইতি,
আপনার ছেলে..! 😊

এক ঘন্টা পরই বাবার জবাব এলো-- আমি এটা বলছি না যে তোর্ রুম পার্টনার রাতে তোর্ সাথে ঘুমায় আবার এটাও বলছি না যে ওই মেয়েটি রাতে তোর্ সাথে ঘুমায় না। তবে ওই মেয়েটি যদি পুরো সপ্তাহের মধ্যে একবারও তার নিজের রুমে, নিজের বেডে শুতে যেত, তাহলে ওর বালিশের নিচেই সে তার প্লেটটা পেয়ে যেত, কারণ প্লেটটা আমি ওখানেই লুকিয়ে রেখে এসেছিলাম।

ইতি
তোর বাপ..!😂😢🙄

30/07/2025

✅ছেলেকে দেওয়া একজন আদর্শ বাবার উপদেশঃ
১. জুতা সেলাই বা রং করতে চাইলে মেরামতকারীর দোকানের সামনে পা বাড়িয়ে দিওনা, বরং জুতাটা খুলে নিজে একবার মুছে দিও।

২. কখনও কাউকে কামলা, কাজের লোক বা বুয়া বলে ডেকোনা। মনে রেখো তারাও কারো না কারো ভাই, বোন, মা, বাবা। তাদেরকে সম্মান দিয়ে ডেকো।

৩. বয়স, শিক্ষা, পদ বা পদবীর দিক দিয়ে কেউ ছোট হলেও কখনও কাউকে ছোট করে দেখোনা। নইলে তুমি ছোট হয়ে যাবে।

৪. পড়াশুনা করে জীবনে উন্নতি করো, কিন্তু কারো ঘাড়ে পা দিয়ে উপরে উঠার চেষ্টা করো না।

৫. কাউকে সাহায্য করে পিছনে ফিরে চেওনা, সে লজ্জা পেতে পারে।

৬. সব সময় পাওয়ার চেয়ে দেয়ার চেষ্টা করো বেশি । মনে রেখো, প্রদানকারির হাত সর্বদা উপরেই থাকে।

৭. এমন কিছু করোনা যার জন্য তোমার এবং তোমার পরিবারের উপর আঙুল ওঠে।

৮. ছেলে হয়ে জন্ম নিয়েছো, তাই দায়িত্ব এড়িয়ে যেওনা।

৯. তোমার কি আছে তোমার গায়ে লেখা নেই। কিন্তু তোমার ব্যবহারে দেখা যাবে তোমার পরিবার কোথায় আছে।

১০. কখনও মার কথা শুনে বউকে এবং বউয়ের কথা শুনে মাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিও না। কাউকে ফেলতে পারবে না।

১১. কারও বাসায় নিমন্ত্রন খেতে গেলে বাসায় দু-মুঠো ভাত খেয়ে যেও। অন্যের পাতিলের ভাতের আশায় থেকো না।

১২. কারো বাসার খাবার নিয়ে সমালোচনা করো না। কেউ খাবার ইচ্ছে করে অস্বাদ করার চেষ্টা করে না।

১৩. বড় হবার জন্য নয়, মানুষ হবার জন্য চেষ্টা করো।

১৪. শ্বশুর কিংবা শাশুড়িকে এতটা সম্মান দিও, যতটুকু সম্মান তোমার বাবা-মাকে দাও। এবং তাদের প্রতি এমন আচরন করো, যাতে করে তাদের মেয়েকে তোমার বাড়ি পাঠানোর জন্য উতলা থাকে।

১৫. সব সময় ভদ্র ও নম্রভাবে চলো এবং কথা বলো। কিন্তু অন্যায়ের সাথে আপোষ করোনা।

27/07/2025

📍📍ঈগলের পিঠে বসে একমাত্র পাখি যে সাহস করে, তা হলো কাক।…
এই কাক কখনো কখনো ঈগলের ঘাড়ে ঠোকর মেরে বিরক্ত করে। কিন্তু ঈগল কি প্রতিক্রিয়া দেখায়? না, ঈগল কখনো ঝগড়ায় জড়ায় না। সে তার গতি পরিবর্তন করে না, রাগ প্রকাশ করে না। সে শুধু করে একটি কাজ উঁচুতে উড়ে যায়।
এত উঁচুতে, যেখানে কাকের জন্য বেঁচে থাকা অসম্ভব, যেখানে বাতাস পাতলা, অক্সিজেন কম ফলে কাক নিজেই পড়ে যায়, ঈগলের কিছুই করতে হয় না।

এই দৃশ্য আমাদের জীবনের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

আমাদের চারপাশেও থাকে অনেক “কাক” স্বরূপ মানুষ যারা নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে চায় আপনার সাফল্যকে আঘাত করে। যারা নিজের আত্মবিশ্বাসের অভাব ঢাকে আপনার যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তারা কখনো হবে সহকর্মী, কখনো বন্ধু নামের মুখোশধারী, কখনো এমনকি আত্মীয় যারা আপনার স্বপ্নকে তুচ্ছ মনে করে, আপনার সাহসকে ধ্বংস করতে চায়।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, আপনি কি ঈগলের মতো হবেন, নাকি কাকের সাথে লড়াইয়ে সময় নষ্ট করবেন?

আপনি যদি প্রতিটি সমালোচনার উত্তর দিতে যান, প্রতিটি কটূক্তিতে প্রতিক্রিয়া দেখান তাহলে আপনি নিজের শক্তি ক্ষয় করবেন, নিজের লক্ষ্য থেকে সরে যাবেন। কিন্তু আপনি যদি উঁচুতে উঠেন নিজের উন্নতিতে, নিজের স্বপ্নে, নিজের অটলতায় তাহলে সেই “কাকেরা” আর কিছুই করতে পারবে না।

জীবনে উচ্চতা অর্জনের মানে শুধু অর্থ বা খ্যাতি নয়।

এই উচ্চতা মানে:

আপনার চরিত্রের দৃঢ়তা

আপনার ধৈর্য ও সহনশীলতা

আপনার নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা

এবং নিজের লক্ষ্য ও মূল্যবোধে অটল থাকার সাহস।

যখনই সমালোচনা আসবে, মনে রাখবেন ঈগল কখনো কাককে প্রতিক্রিয়া দেয় না, ঈগল শুধু আকাশে উড়ে যায়। আপনি যখন নিজের কর্মে সফল হবেন, যখন আপনি শব্দ না করে উপস্থিতি দিয়ে কথা বলবেন, তখন পুরো বিশ্ব বুঝবে, আপনি কী দিয়ে তৈরি।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়...

ঈগল কখনো দলবদ্ধ পাখি নয়। সে একা শিকার করে, একা উড়ে, একা নেতৃত্ব দেয়। একা চলা মানে দুর্বলতা নয় বরং আপনার আত্মবিশ্বাস, আপনার দৃষ্টিভঙ্গি, এবং নিজের উপর বিশ্বাসের চূড়ান্ত প্রকাশ।

শেষ কথায় বলি, যারা আপনার প্রতি ঈর্ষান্বিত, আপনার সাফল্যে অস্বস্তি বোধ করে তারা চায় আপনি থেমে যান। আপনার সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ হবে, আপনি থামবেন না বরং আরও ওপরে উঠবেন।

🦅 নিজেকে ঈগলের মতো তৈরি করুন যাতে কেউ আপনাকে নামাতে না পারে, কারণ আপনি তখন এমন এক উচ্চতায় থাকবেন, যেখানে কাকেরা শ্বাসও নিতে পারবে না।

এক রাজা একদিন দেখতে চাইলেনতার রাজ্যবাসীদের ঘরে কার হুকুম চলে?স্বামীর... নাকি স্ত্রীর।তিনি রাজ্যে ঘোষণা করলেন...যার ঘরে ব...
24/07/2025

এক রাজা একদিন দেখতে চাইলেন

তার রাজ্যবাসীদের ঘরে কার হুকুম চলে?

স্বামীর... নাকি স্ত্রীর।

তিনি রাজ্যে ঘোষণা করলেন...

যার ঘরে বউ এর কথা মানা হয় সে রাজপ্রাসাদে এসে একটা করে আপেল নিয়ে যাবে। আর যার ঘরে স্বামীর কথা চলে সে পাবে একটা ঘোড়া। পরের দিন সমস্ত রাজ্য বাসী হাজির, সবাই একটা করে আপেল নিয়ে ঘরে চলে যেতে লাগলো...

রাজা ভাবলেন সন্ধ্যে হয়ে গেল এখনো কি এমন একজন কেও পাওয়া যাবে না যার ঘরে স্বামীর কথা চলে!

এমন সময় একজন এলো লম্বা চওড়া স্বাস্থ্য, ইয়া বড় গোঁফ। সে এসে বললো,

"আমার ঘরে আমারই কথা চলে।"

রাজা বেজায় খুশি হলেন তিনি বললেন,

"যাও, আমার ঘোড়াশাল থেকে সব থেকে ভালো ওই কালো ঘোড়াটা তোমায় দিলাম।"

লোকটা ঘোড়া নিয়ে চলে গেলো।

রাজা খুশি মনে বললেন

"যাক অন্ততপক্ষে একজন তো পাওয়া গেলো"।

কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখা গেল সেই লোকটা ঘোড়া নিয়ে ফিরে এলো এবং বললো,

"রাজা মশাই আমাকে ঘোড়াটা পাল্টে দিন,

আমার বউ বললো যে কালো রং অশুভ,

সাদা শান্তির প্রতীক, তাই সাদা ঘোড়া দিন।"

রাজা রেগে গেলেন...

"তুই ঘোড়া রেখে একটা আপেল নিয়ে এখুনি আমার সামনে থেকে বিদায় হও।"

রাতের বেলা মন্ত্রী এলো, বললো

"রাজা মশাই, সবাই তো আপেলই নিলো! আপেলের বদলে আপনি যদি অন্তত পাঁচ কেজি করে চাল দিতেন তো আপনার প্রজাদের কিছু সাশ্রয় হত।"

রাজা বললেন,

"আমিও সেটাই ভেবেছিলাম কিন্তু বড় রানী বললো আপেলই ভালো হবে।"

মন্ত্রী শুধালো,

"রাজা মশাই আপনাকেও কি একটা আপেল কেটে দেবো?"

রাজা লজ্জিত হয়ে বললেন,

"সে কথা থাক, আগে বলো তুমি রাজসভায় এই মতামত না দিয়ে এখন কেন দিতে এসেছো এই রাতের বেলায়??"

মন্ত্রীর লাজুক উত্তর,

"আগামীকাল সকালেই বলতাম কিন্তু আমার বউ বললো এখনই যাও আর রাজামশাইকে বুদ্ধিটা এখনই দিয়ে এসো যাতে করে পরের বারে চাল দেওয়ার ঘোষণা দেন উনি।"

রাজা স্বস্তির হাসি হেসে বললেন,

"আপেলটা তুমি নিয়ে যাবে?

নাকি ঘরে পাঠিয়ে দেবো?"

23/07/2025

আপনি হানজালা (রাঃ) এর শাহাদাতের ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন। উহুদের যুদ্ধের এই ঘটনাটি খুবই হৃদয়স্পর্শী এবং শিক্ষণীয়। নিচে ঘটনাটি আরও সুন্দর করে লেখা হলো:
উহুদের ময়দানে এক বিরল শাহাদাত: হানজালা (রাঃ) এর অমর গাথা
উহুদের যুদ্ধ, মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসে এক রক্তক্ষয়ী অধ্যায়। এই যুদ্ধে সত্তর জন সাহাবী শাহাদাত বরণ করেন। যুদ্ধ শেষে যখন শহীদদের লাশ এক জায়গায় জড়ো করা হচ্ছিল, নবীজি (সাঃ) গুণে দেখলেন ৬৮টি লাশ রয়েছে, দুটি নেই। তাঁর মন তখন অস্থির, কারণ নিখোঁজ দুজন ছিলেন তাঁরই প্রিয় চাচা হামজা (রাঃ) এবং নববিবাহিত হানজালা (রাঃ)। নবীজি (সাঃ) তৎক্ষণাৎ সাহাবাদেরকে লাশ খুঁজে আনার জন্য চারিদিকে পাঠালেন।
এমন সময় বোরকা পরিহিত এক মহিলা নবীজি (সাঃ) এর সামনে এসে দাঁড়ালেন। নবীজি (সাঃ) প্রথমে তাকে চিনতে পারলেন না।
মহিলা বললেন, "ইয়া রাসুলুল্লাহ! আজ আপনার কি মনে আছে, আপনি একটি বিয়ে পড়িয়েছিলেন?"
নবীজি (সাঃ) বললেন, "হ্যাঁ, আমার মনে আছে। আমি তো হানজালার বিয়ে পড়িয়েছিলাম, যার বিয়ের খুশিতে আমি খুরমা খেজুর ছিটিয়েছিলাম।"
মহিলা তখন নিজের হাত দুটি তুলে ধরে বললেন, "ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার হাতটা দেখুন, হাতের মেহেদী এখনও শুকায়নি। গতকাল বিকেলে আমাদের বিয়ে হয়েছিল আর রাত ২টা বাজতেই হানজালা উহুদের যুদ্ধের জন্য বেরিয়ে গেছেন। বাসর রাতে উনার সাথে আমার ভালোভাবে পরিচয়ই হয়নি!"
তার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল। তিনি আরও বললেন, "যাওয়ার আগে তিনি শুধু এই কথাটিই বলে গেছেন – 'যদি দেখা হয়, তাহলে দেখা হবে দুনিয়ায়, আর যদি শহীদ হয়ে যাই, তাহলে দেখা হবে জান্নাতে'।"
মহিলা কিছুটা লজ্জার সাথে বললেন, "ইয়া রাসুলুল্লাহ, যাওয়ার আগে আমার কপালে তিনি একটি চুম্বন করে গেছেন। লজ্জায় বলতেও পারিনি আপনার জন্য গোসল ফরজ!"
নবীজি (সাঃ) এই কথা শুনে কেঁদে ফেললেন। মহিলা তখন নবীজি (সাঃ) কে অনুরোধ করে বললেন, "ইয়া রাসুলুল্লাহ, শহীদদের তো আপনি গোসল দেন না। আমার স্বামীকে আপনি একটু গোসল করিয়ে দেবেন?"
নবীজি (সাঃ) সম্মতি প্রকাশ করলেন। এমন সময় এক সাহাবী দ্রুত দৌড়ে এসে খবর দিলেন, "ইয়া রাসুলুল্লাহ! হানজালাকে পাওয়া গেছে!"
সবাই হানজালার কাছে গেলেন। গিয়ে দেখলেন, সাদা কাফনের কাপড়ে আচ্ছাদিত লাশের মাথায় পানি। নবীজি (সাঃ) হানজালার মাথা ছুঁয়ে দিলেন। ঠিক তখনই জিবরাঈল (আঃ) এসে বললেন, "ইয়া রাসুলুল্লাহ! হানজালার এই কোরবানিতে আল্লাহ পাক এতটাই খুশি হয়েছেন যে, তিনি আমার বাহিনীকে আদেশ করেছেন তাকে নিয়ে আসতে। ইয়া রাসুলুল্লাহ, আমরা ফেরেশতারা তাকে তৃতীয় আসমানে এনে জমজমের পানি দিয়ে গোসল করিয়েছি। আর তার শরীর থেকে যে সুগন্ধ পাচ্ছেন, এটা আল্লাহ পাকের বিশেষ খুশবু মিশক আম্বর আতরের ঘ্রাণ! আমরাই তাকে কাফনের কাপড়ে আচ্ছাদিত করেছি!"
সুবহানআল্লাহ! আল্লাহ তা'আলা তাঁর প্রিয় বান্দাদেরকে কতটা ভালোবাসেন এবং সম্মানিত করেন, তা আমাদের পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভব নয়। হানজালা (রাঃ) এর এই ঘটনা মুসলিম উম্মাহর জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত, যা শাহাদাতের মর্যাদা এবং আল্লাহ তা'আলার প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতিফলন।
হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে সফল মানুষদের পথের পথিক হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

22/07/2025

যতবার পড়েছি মুগ্ধ হয়েছি, বন্ধুত্বতো এমনি হয়!

মাইলস্টোনে দূ*র্ঘ'টনার পর বেঁচে যাওয়া একজন ছাত্র তার আ*হত বন্ধুকে ক্লাসরুম থেকে ফিরিয়ে আনতে গিয়েছিল।

ফা*য়া*র ব্রিগেডের অফিসার বাধা দিয়ে বললেন, "এর কোনো লাভ নেই! তোমার বন্ধু অবশ্যই মা* রা যাবে"।

কিন্তু ছাত্র'টি তখনও গিয়ে তার বন্ধুকে একা একা ফিরিয়ে আনল।

মৃ*তদে*হ দেখে ফা*য়া*র ব্রিগেডের অফিসার বলে, "আমি তোমাকে বলেছিলাম এর কোন মূল্য নেই। সে মা*রা গেছে"।

ছাত্র'টি উত্তর দেয়: 'না স্যার, এটা সত্যিই মূল্যবান ছিল। যখন আমি তার কাছে গেলাম, সে তখনও জীবিত ছিলো - আমার বন্ধু আমাকে দেখে, হাসল এবং তার শেষ কথাটা বলল:

"আমি জানতাম তুমি আসবে"!
💔💙🤲

22/07/2025

১১ বছর ধরে কেবল একটি সন্তানের জন্য পৃথিবীর কোথায় যাননি হাসান! শুধু একটি সন্তানের জন্য স্ত্রী রাবেয়াকে নিয়ে দুনিয়ার সবচেয়ে উন্নত হাসপাতালগুলোতে দৌড়েছেন। শত চেষ্টার পর অবশেষে টেস্টটিউবের মাধ্যমে রাবেয়ার গর্ভে আসে সন্তান। সেই আনন্দে আত্মহারা হাসান।

সন্তানের সুস্থ ডেলিভারির জন্যে স্ত্রীকে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, পৃথিবীর সব খ্যাতিমান ডাক্তারদের তত্বাবধানে রাখেন রাবেয়াকে। শুধুমাত্র একটি সন্তানের জন্য কতো চেষ্টা তাদের! কতো রকমের চেষ্টা!

হঠাৎ একদিন রাবেয়ার গর্ভের শিশুর হার্টবিট বেড়ে যায় এবং জরুরি সিজারের প্রয়োজন হয়। রাত ১১টার দিকে আকষ্মিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় রাবেয়ার, প্রায় অজ্ঞান হয়ে যান। ডাক্তাররা সিজারের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন, কারণ শিশুর হার্টবিট অনিয়মিত হয়ে পড়েছে।

হাসান কাতারে কর্মরত, টেলিফোনে জানতে পারেন অবস্থার গুরুতরতা—সে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন, রাবেয়ার জীবনের নিরাপত্তায় গভীর উদ্বেগ কাজ করে। এমন সময় হাসান শুনছেন, অজ্ঞানপ্রায় গর্ভবতী রাবেয়া চিৎকার করে বলছেন, “প্লিজ, বাঁচাও আমার বাচ্চাটিকে…”।

অবশেষে ১১ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটে তাদের। হাসান-রাবেয়া দেখতে পান এক নবজাত কন্যার মুখ। নাম রাখেন— রোজাবেল।

কিন্তু ভাগ্যের লিখন ক'জনই বা পাল্টাতে পারে? পৃথিবীর সকল হাসপাতাল জয় করে জন্ম নেওয়া রোজাবেল হার মানল মাইলস্টোন কলেজের কাছে। তখন সে মেহরিন ম্যামের ক্লাস করছিল মনোযোগ দিয়ে। হঠাৎ বিকট শব্দে থমকে গেলো পৃথিবী। বিমান এসে আছড়ে পড়লো স্কুলের উপর।

না, রোজাবেল নেই। হাসান-রাবেয়ার একমাত্র সন্তান পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন হাসান—কোলের ভিতর রোজাবেলের পোড়া দেহ।

'জন্মজয়' অবলম্বনে...

বিদ্র: এই গল্পে আংশিক সত্য আছে।

#রেদ্ওয়ান_আহমদ

Address

Dewanganj

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sumon Mia posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share