24/11/2025
কেউ আল্লাহ-রসুলকে নিয়ে কটুক্তি করলে এবং তার ফলে কেউ বাদী হয়ে মামলা করলে সেটা আইনী কাঠামোতে বিচার হবে। সেই ব্যক্তি বাউল নাকি কবি নাকি গীতিকার নাকি আল্লামা সাহেব— সেই পরিচয় ওখানে মুখ্য হবে না। কিন্তু বাউল শিল্পী আবুল সরকারকে গ্রেফতারের পর অন্য বাউলরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদেরকে ধরে ধরে পেটানো হচ্ছে এবং স্লোগান দেয়া হচ্ছে— একটা একটা বাউল ধর/ধইরা ধইরা জ*by কর। এতে বোঝা যায় কটুক্তিকারীর বিচার চাওয়া তাদের আসল উদ্দেশ্য নয়। আসল উদ্দেশ্য হলো বাউলপন্থীদের নির্মূল করা।
আপনারা দাড়ি টুপি জোব্বা পরা লোকেরা যদি এভাবে ভিন্নমত নির্মূলের অভিযানে নেমে পড়েন— তাহলে মানুষ বিরক্ত হয়ে আপনাদেরকেই বয়কট করবে। সরকার আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে যাবে। প্রশাসন শক্ত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। সেটা আপনাদের পছন্দ হবে না।
বাউল নিয়া, মাজার নিয়া, কাদিয়ানী নিয়া, গানের আসর নিয়া, মেলা নিয়া, উৎসব নিয়া, ভিন্নমতের ফেরকা নিয়া আপনারা দীর্ঘদিন যাবৎ হুলুস্থুল করছেন, অথচ রাষ্ট্র চলছে ব্রিটিশ আইনে, অর্থনীতি চলছে সুদের ভিত্তিতে, রাজনীতি চলছে কুফরি ব্যবস্থায়— সেটা নিয়া কোনো মাথাব্যথা নাই। এর-ওর পেছনে না লেগে আপনাদের তো উচিত ছিল সবার আগে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগ নেওয়া। মানবরচিত ব্যবস্থার অসারতা তুলে ধরা ও আল্লাহর দেয়া ব্যবস্থার পক্ষে ব্যাপক ক্যাম্পেইন করা। জনমত গড়ে তোলা।
আমি বুঝি না আপনাদেরকে কারা চালায় বা কারা পরামর্শ দেয়? যারাই পরামর্শ দিচ্ছে তারা আপনাদেরকে কৌশলে ভিলেন বানিয়ে ফেলছে অথচ আপনারা বুঝতেই পারছেন না। তারা সুপরিকল্পিতভাবে আরেকটা শাপলা হ*ত্যাকা*ণ্ডের দিকে আপনাদেরকে নিয়ে যাচ্ছে। ইসলামবিদ্বেষকে চাঙ্গা করার জন্য পরোক্ষভাবে ইন্ধন যোগাচ্ছে। আর আপনারা কত সহজেই না ব্যবহৃত হচ্ছেন। তওহীদী জনতা শব্দটাও সম্ভবত তাদেরই পরিকল্পিত আবিষ্কার। সুকৌশলে ইসলামের মূলমন্ত্র তওহীদকে তারা উগ্রবাদের সঙ্গে জড়িত করে দিতে চাইছে, যেভাবে জেহাদ শব্দটাকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে লাগিয়ে দিয়েছে। আসলে আপনাদের মতো অনুসারী থাকলে ইসলামের আর শত্রুর দরকার নেই। দোয়া করি— আল্লাহ যেন আপনাদেরকে সামান্য পরিমাণ মগজ ব্যবহারের সামর্থ্য দান করেন।