03/04/2024
কত বিশাল একটা মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত! এযে কতবড় আত্মত্যাগ!!অন্য কোনো দেশ হলে তাকে জাতীয় বীরের স্বীকৃতি দিতো, জাতীয় সংসদে তাকে দাড়িয়ে সম্মান জানাতো।রাস্ট্র তার পরিবারকে পুরস্কৃত করত, কিন্তু এখানে কিছুই হলোনা। মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়া এই খবরটাকে পাশ কাটিয়েই গেলো।গোপালগঞ্জের ছোট্ট কিশোর অবৈধভাবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বেস্টনী পেরিয়ে প্লেনে উঠলো এই নেগেটিভ খবর বিশাল কাভারেজ পায়। কিন্তু জুবায়ের পেলোনা।
ছবির ছেলেটির নাম জুবায়ের। গাইবান্ধা আদর্শ কলেজে উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র। তার কলেজ এর সামনের রেললাইনে সে তাকিয়ে দেখে এক কিশোরী মা তার শিশু সন্তানকে কোলে চলন্ত ট্রেনের সামনে দাড়িয়ে আছে।মুহুর্তে তার ভালোবাসায় ভরা হৃদয়ে কি এক বোধ সঞ্চারিত হলো। এদের বাঁচতে হবে,বাঁচাতে হবে।তিলবিলম্ব না করে সে চলন্ত ট্রেনের সামনে দাড়ানো মাকে সজোরে ধাক্কা দিলো। মাকে বাঁচাতে পারলোনা। কিন্তু শিশুটি ছিটকে পড়লো রেললাইন থেকে দুরে। মায়ের সাথে সাথে জুবায়েরের দেহটা লৌহদানব ট্রেনের চাকায় তিন টুকরো হয়ে গেলো। তার কলেজ ইউনিফর্মের শাদা শার্টটা রক্তে লাল হয়ে গেলো। আর মানুষের জন্য, সব সৃস্টির জন্য ভালোবাসায় ভরা তার বুকটা ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে রইলো রেললাইনের উপরে। তোর এ আত্মত্যাগে আমরা গর্বিত ভাই। তুই আমাদের নস্ট দেশের নস্ট খবরে অনেক দিন পড়ে এক আকাশ ভরা সুবাাতাস। তুই ওপারেও ভালো থাকবি। তোকে জানাই লাখো সালাম 🤎🖤
আল্লাহ তুমি জুবায়ের কে জান্নাতের উচু মাক্বাম দান করিও। আমীন।