21/01/2024
اَلسَّلاَمْ عَلَيْــــــــــــــــــــكُمْ وَ رَحْمَةُ اللَّهِ وَ بَرَكَاتُهُ
ইসলামে কেন গান শুনা হারাম?: প্রথমত জানা উচিত,ইসলামে সব গান শোনাই হারাম নয়।একটা গান তখনই হারাম হবে,যখন ওই গানে (১)বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার থাকবে।কেননা,রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন,”আমার উম্মতের মধ্যে একদল লোক থাকবে যারা যেনা,রেশম,মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল মনে করবে'”(সহীহ বুখারী,৫৫৯০)।২)যখন এতে শরীয়ত বিরোধী বা শিরকী কোনো কথা থাকবে।আজকাল বেশিরভাগ গানের বিষয়বস্তুই হলো হারাম রিলেশনশিপ আর হারাম ভালোবাসা।
একজন পুরুষ একজন নন মাহরাম মেয়েকে কি পরিমাণ ভালোবাসে,তা সে গানের মাধ্যমে প্রকাশ করে।বিশেষ করে হিন্দি গান তো এক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে।যেমন একটা হিন্দি গানের উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন।এই গানটার লিরিক্স হলো,”তুঝমে রব দিখতা হ্যায়,ইয়ারা মে কেয়া কারু,সাজদে সার ঝুকতা হ্যায়,ইয়ারা ম্যায় কেয়া কারু” এর অর্থ হলো,তোর মধ্যে রবকে দেখতে পায়,প্রিয়,আমি কি করবো?তোর সামনে সিজদায় মাথা ঝুকে আসে,বন্ধু আমি কি করবো?।
নাউজুবিল্লাহ। চিন্তা করে দেখেছেন?আর আপনি হয়তো এমনই কোনো শিরকি গান সারাদিন গুনগুন করে গাইছেন।হয়তো এরকম গান শুনতে শুনতেই আপনার একদিন মৃত্যু হলো।তাহলে কি আপনি শিরকের ওপরই মারা যাবেন না?আর আপনি কি একজন মুসলিম হিসেবে চান,মুশরিক হয়ে মারা যেতে?।এখন আসা যাক কেন হারাম ওইটা নিয়ে।পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন,
“মানুষের মধ্যে কেউ কেউ অজ্ঞ লোকদের আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করার জন্য অসার বাক্য ক্রয় করে[১] এবং আল্লাহর প্রদর্শিত পথ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে।[২] ওদেরই জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।” (সূরা লোক্মান আয়াত: ৬)।
এখানে আল্লাহ সরাসরি গানের কথা না বললেও আজকে গানের যে সংগা আমরা দেখতে পাচ্ছি তাতে নিঃসন্দেহে বলা যায় আজকালকার গানের কথাগুলো অসার বাক্য ছাড়া আর কিছুই নয়।
এছাড়া ইবনু আব্বাস (র.) হতে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন,নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা মদ,জুয়া ও সব ধরনের বাদ্যযন্ত্রকে হারাম করেছেন।”(বায়হাক্বী, হাদীছ ছহীহ, মিশকাত হা/৪৫০৩; বাংলা মিশকাত ৮ম খণ্ড হা/৪৩০৪)। ঊপদেশ, হাদিস নং ৯৬)
আবু ওমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমরা গায়িকা নর্তকীদের বিক্রয় কর না, তাদের ক্রয় কর না, তাদের গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র শিখিয়ে দিয়ো না, তাদের উপার্জন হারাম’ (ইবনে মাজাহ, মিশকাত হা/ ২৭৮০, ঊপদেশ, হাদিস নং