16/07/2024
১৬/০৭/২০২৪ মধ্যরাত।
আমরা জাবি ভিসির সাথে সাক্ষাৎ এবং চলমান জটিলতা নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে জানতে পারি, ছাত্রলীগ এবং এদের বহিরাগত ভাড়াটে গুন্ডা নিয়ে আমাদের মারতে আসছে।
এমতাবস্থায় আমরা ভিসির বাসবভনে থাকার সিদ্ধান্ত নেই, যেহেতু শিক্ষকবৃন্দ বলেছেন আমাদের সাথে তারা থাকবেন।
কিন্তু ওই ছাত্রলীগের কর্মী এবং তাদের ভায়াটে গুন্ডারা শিক্ষকদের উপস্থিতিতেই আমাদের উপর পেট্রোল বোমা, কাচের বোতল এবং ইট ছুড়তে থাকে। শীক্ষকদের কাছে নিরাপত্তা চাইলে তারা শুধু এটাই বলে যে "আমরা তোমাদের সাথে দাঁড়ায় তো আছি " এছাড়া কি তারা আর কিছু করতে পারতো না?
আমরা শীক্ষকদের কাছে পুলিশ সহায়তা চাইলে অনেক সময় পর পুলিশ আসে। ভেবেছিলাম হয়তো ঘটনা আর বেগতিক হবে না। কিন্তু না আমরা তো ভুলেই গিয়েছিলাম এরাও যে দালাল।
শিক্ষকবৃন্দ এবং অস্ত্রধারী পুলিশের সমনে, সাথে দাঁড়িয়ে সেই ছাত্রলীগ ও তাদের ভাড়াটিয়া গুন্ডা আমাদের হামলা করে।
একপর্যায়ে তারা প্রধান দুই ফটক ভেঙ্গে ভিতরে চলে আসে এবং ধারালো অস্ত্র এলোপাথারি ছোড়তে থাকে।
তবে জবাব আমরাও দিয়েছি ইট পাটকেল এর সাথে।
কিন্তু ১০০+ জন অস্ত্রধারী গুন্ডাদের সামনে আর কতক্ষন লড়াই করা যায় বলুন। আমরা আহত হয়েছি অনেক, আমাদের বোনেরাও আহত হয়েছে।
এর জবাব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি দিবে?
তারা আমাদের চুপ হতে বলে,অথচো বাইরের কুকুরগুলোকে নয়।
পরিস্থিতি এতোটাই নিস্বংশতায় পৌছে যায় বলার মোতো নয়।জাবি প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন থাকার পরও আমাদের উপর চারিদিক থেকে হামলা হয়।
পরবর্তীতে আমাদের বিপদে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত সকল শীক্ষার্থীরা একসাথে,একজোটে ভিসির বাড়িতে চলো এলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
কিন্তু এই সময় এসে পুলিশ নামক জারজ গুলো আমাদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ছুড়তে থাকে, সাথে ফাকা গুলিও।
অবস্থার এমন দশা দেখে স্থান ত্যাগ করি আমরা।
যারা আমাদের খুন করতে এসেছে -রা@মদা,ছু@ড়ি,চা@পাতি, পেট্রোল বো@ম নিয়ে), পুলিশ প্রশাসন তাদের কিছুই বললো না। তাদের সামনে হামলা হচ্ছে, গেট ভেঙ্গে ভিতরেঢুকে অস্ত্র দেখাচ্ছে তখন তারা চুপ।
কিন্তু আমরা যখন স্বাভাবিক হলাম, একত্রিত সাহস দেখালাম তখন আমাদের দমাতে তারা টি@য়ার গ্যস ও রাবার বু@লেট ছূড়ে।
এর জবাব কে দিবে?
এতোকিছুর পরও কি মানুষের মনুষ্যত্ব,তার বিবেক জাগবে না? এরা কি এখনো সৈরাচার সমর্থ করবে, নির্বোধের মতো কাজ করে পালা কুত্তা প্রমাণ দিবে?