28/02/2022
বাড়ছে আত্মহননের মতো মারাত্মক ব্যাধী।
উল্লেখিত ব্যাধী যা মারাত্মক হুমকিতে ফেলবে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে।
রাউজানে এই দুই যুগল নিজেদের জীবনের আলো নিভিয়ে দিয়েছে।এর জন্য প্রথমেই দুই যুগলের প্রতি রইলো তিরস্কার। সাথে সমাজের বানানো নিয়মের প্রতি রইলো ক্ষোভ।
এরা জানে মৃত্যুর পর এদের নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হবে।কেউ আফসোস করবে, কেউবা তিরস্কার করবে।কেউবা বচন ছুড়বে ভালোবাসলেই এইভাবে বাসতেই হয়।
এইসব কথার কোনই যৌক্তিকতা আমি খুঁজে পাচ্ছিনা।জীবিত মানুষের সমাজে কোন মূল্য নেই, তা আমরা সকলেই জানি।তাই তারা দেহের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে নিজেদের ভালোবাসার জানান দিয়ে গেলো।যা তারা মনে করলেও আমি মনে করিনা।
যদিও একান্তই নিজ অভিমত ব্যাক্ত করা।
এদের দুইজনের কারণে অন্যরাও আত্মহনন কিংবা আত্মহত্যায় উৎসাহী হচ্ছে।পাশাপাশি তাদের দুটো পরিবারকে ছুড়ে দিলো জীবিত থেকে মৃত্যুর স্বাদ ভোগ করার যন্ত্রণা। এটা কোন সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন কাজ হতে পারেনা।
বর্তমানে সমাজ কিংবা পরিবার একটা সম্পর্কের কথা শুনলে সহযোগীতা নয় তিরস্কার করা শুরু করে।সম্পর্ক করা যেন বর্তমান আধুনিক প্রজন্মের জন্য পাপ নয় "মহাপাপ"....
সমাজ ও পরিবার থেকে করা তিরস্কার মানসিকভাবে প্রভাব ফেলে।অনেকে তা সইতে পারে।যারা সইতে পারে সমাজ তাদের ছ্যাকা কিংবা দেবদাসের উপাধিতে আখ্যায়িত করে।অন্যদিকে যারা সইতে পারেনা তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।তখন আমার মতো কিছু সংখ্যক মানুষ তিরস্কার ও করে।দিনশেষে কোন সম্পর্কের বেলায় আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়ে মানসিকভাবে সাপোর্ট করিনা।সাপোর্ট অনেকভাবেই হতে পারে।পছন্দ ভালো কিংবা খারাপ নির্ণয় করতেও সাপোর্ট করা যেতে পারে।পছন্দ ভালো হলে তাদের মিলিয়ে দেয়ার ও সাপোর্ট করা যেতে পারে।
জানি অনেকেই করেন।তবে তা তুলনামূলক খুবই কম।
যার পরিণতি আমার লিখায় নয়। উল্লেখিত ঘটনায় প্রমাণিত।
ওহে দোষ ধরা পটু জাতি।আসুন অন্যের ভুল ত্রুটি নিয়ে সমালোচনায় পরে না থেকে।নিজ দায়িত্ববোধ থেকে ভুল ত্রুটি মনে হলে সংশোধনের জন্য পাশে দাঁড়াই।
প্রতিটা পরিবার নিজেদের বাচ্চাদের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিন।আপনার বাচ্চাকে বন্ধু না বানালে সে আপনাকে ভয় পাবে।সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবে।সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে এইভাবেই ভুল সিদ্ধান্ত নিবে।
যা আপনার জন্য কিংবা সন্তানের জন্য সর্বপরি সমাজের জন্য ভালো হবেনা।