
27/06/2025
‼️প্রতিটি মা-বাবা চান একটি সুস্থ, সুন্দর শিশুর মুখ। কিন্তু অনেক সময় জন্মের সময় দেখা যায় শিশুর ঠোঁট বা মুখের তালু ফাটা। এটি একধরনের জন্মগত সমস্যা, যাকে বলে Cleft Lip এবং Cleft Palate।
ভয়ের কিছু নেই — সময়মতো চিকিৎসায় এটি ঠিক করা যায়। তবে গর্ভাবস্থায় সচেতন হলে এর ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়।
❓ কেন ঠোঁট বা তালু ফাটা হয়?
🔹 গর্ভাবস্থার প্রথম ৬–১২ সপ্তাহে শিশুর মুখের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে জোড়া লাগে।
❌ যদি এই প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যা হয়, তখন ঠোঁট বা তালু ফাটা থেকে যায়।
🔸 এটি বংশগত হতে পারে, আবার গর্ভাবস্থার ভুল অভ্যাস, অপুষ্টি, বা পরিবেশগত কারণে হলেও হতে পারে।
🛡️ কী করলে ঠোঁট ও তালু ফাটার ঝুঁকি কমে?
✅ গর্ভাবস্থার আগেই ও শুরুর দিকে ফোলিক অ্যাসিড (Folic Acid) গ্রহণ করা
– প্রতিদিন অন্তত ৪০০–৬০০ মাইক্রোগ্রাম ফোলিক অ্যাসিড খাওয়া উচিত
– এটি ঠোঁট ও মস্তিষ্কজনিত জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে কার্যকর
✅ সুষম পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
– ভিটামিন A, B6, B12, C এবং আয়রনসমৃদ্ধ খাবার
– দুধ, ডিম, পালং শাক, কলা, বাদাম, মাংস, মাছ, ডাল ইত্যাদি
✅ ধূমপান, অ্যালকোহল ও ক্ষতিকর ওষুধ থেকে বিরত থাকা
– এগুলো গর্ভের শিশুর স্বাভাবিক গঠনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে
✅ রুবেলা বা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা নেওয়া
– গর্ভের আগেই MMR টিকা নেওয়া ভালো
✅ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত প্রেগনেন্সি চেকআপ
– যেকোনো ঝুঁকি আগেভাগে শনাক্ত করা যায়
🏥 যদি হয়েও যায়?
✅ ঠোঁট কাটার সার্জারি: ৩–৬ মাস বয়সে
✅ তালু কাটার সার্জারি: ৯–১২ মাস বয়সে
✅ স্পিচ থেরাপি, ফিডিং সহায়তা, ও কানে ইনফেকশন পরীক্ষা
💡 মনে রাখবেন:
একজন মায়ের সচেতনতা একজন শিশুর মুখে হাসি ফিরিয়ে দিতে পারে। ঠোঁট ও তালু ফাটা প্রতিরোধযোগ্য — শুধু দরকার আগেভাগে সচেতনতা ও যত্ন।
📢 আপনার পরিচিত গর্ভবতী মায়ের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করুন। হতে পারে তাদের জন্য একটি বড় আশীর্বাদ।
সংগৃহীত