ইসলামের আলো

ইসলামের  আলো ইসলমের পথে

11/04/2025

পিতা-মাতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহ্ সন্তুষ্ট আর পিতা- মাতার অসন্তুষ্টে আল্লাহ্ অসন্তুষ্ট। (তিরমিযী, সনদ হাসান, মিশকাত হা/৪৭১০)

31/03/2025
29/03/2025
26/03/2025

রমজানের বিশেষ দোয়া ⤵️

রমজান মাসে আল্লাহ তাআলা বান্দাদের জন্য অশেষ দয়া ও ক্ষমার দরজা খুলে দেন। তাই রমজানে আমাদের উচিত বেশি করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের জন্য একটি বিশেষ দোয়া শিখিয়েছেন, যা লাইলাতুল কদরের রাতসহ পুরো রমজানে বেশি বেশি পড়া উচিত।

বিশেষ দোয়া -

اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু আন্নি।

অর্থ: "হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করাকে ভালোবাসো, তাই আমাকে ক্ষমা করে দাও।"

হাদিসের বর্ণনা -

উম্মুল মুমিনীন আয়িশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) বর্ণনা করেন,

"আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমি জানতে পারি কোন রাত লাইলাতুল কদর, তাহলে আমি কোন দোয়া পড়বো? তিনি বললেন, তুমি এই দোয়া পড়বে—"

"اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي"

- (তিরমিজি: ৩৫১৩, ইবনে মাজাহ: ৩৮৫০)

দোয়াটির গুরুত্ব -

১. আল্লাহর ক্ষমা পাওয়ার সহজ উপায় – এই দোয়ায় আল্লাহর নাম "আফুউন" (ক্ষমাশীল) উল্লেখ রয়েছে, যা তাঁর অগণিত দয়ার প্রকাশ।

২. লাইলাতুল কদরের জন্য সর্বোত্তম দোয়া – লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এই রাতে আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়ার জন্য এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দোয়া।

৩. দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ – আল্লাহ যাকে ক্ষমা করেন, তিনি তার গুনাহ মুছে দেন এবং জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।

৪. সংক্ষিপ্ত – সহজ ও ছোট দোয়া হওয়ায় এটি মুখস্থ রাখা ও বারবার পড়া সহজ।

আমাদের করণীয় -

রমজান মাস জুড়ে, বিশেষ করে শেষ দশকে এবং লাইলাতুল কদরের সন্ধানে এই দোয়াটি বারবার পড়া উচিত। শুধু রমজান নয়, বরং সারা বছর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য এটি আমাদের জিহ্বায় রাখা উচিত।

আসুন, আমরা এই বরকতময় মাসে নিজেদের গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই এবং তাঁর অফুরন্ত দয়ার ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন ও জান্নাতের উপযুক্ত বানান, আমিন!

23/03/2025

রাসুলুল্লাহ সা: ফরজ সালাত শেষে যেসব দোয়া পড়তেন

প্রতি ওয়াক্ত ফরজ সালাত শেষ করে নবি মুহাম্মাদুর রাসুল্লাহ সাল্লালাহু আইহি ওয়াসাল্লাম ১৩টি দোয়া পড়তেন। আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য যেকোনো মুসলিম সুন্নত এ আমলটি করতে পারেন। তাহলে জেনে নেয়া যাক রাসুল কোন দোয়াগুলো পড়তেন নামাজ শেষে-

১. আল্লাহু আকবার একবার ও ‘আসতাগফিরুল্লাহ’ তিনবার।(ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪ) অর্থ : আল্লাহ মহান। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

২. ‘আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবা-রাকতা ইয়া যাল-জালালি ওয়াল ইকরাম’ -১ বার। ‎ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﻭَﻣِﻨْﻚَ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﺗَﺒَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻳَﺎ ﺫَﺍ ﺍﻟْﺠَﻼَﻝِ ﻭَﺍﻟْﺈِﻛْﺮَﺍﻡِ

অর্থ : হে আল্লাহ্! তুমি শান্তিময়, তোমার কাছ থেকেই শান্তি অবতীর্ণ হয়। তুমি বরকতময়, হে পরাক্রমশালী ও মর্যাদা প্রদানকারী।

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন “রাসুল (সাঃ) যখন সালাম ফেরাতেন তখন তিনি তিনবার ইস্তেগফার পড়তে্ন অর্থাত ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলতেন। তারপর বলতেনঃ “আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারাকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম”। -মুসলিম ১/২১৮, আবু দাউদ ১/২২১
৩. ‎لاَ إِلهَ إِلاَّ الله وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ উচ্চারণ:- লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু অহ্‌দাহু লা শারীকা লাহ্‌, লাহুল মুলকু অলাহুলহামদু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। একবার। অর্থ:- আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই, তাঁরই জন্য সমস্ত রাজত্ব, তাঁরই সমস্ত প্রশংসা এবং তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।

৪. ‎اَللّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِىَ لِمَا مَنَعْتَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الَجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা লা মা-নিয়া লিমা আ’ত্বাইতা, অলা মু’তিয়া লিমা মানা’তা অলা য়্যানফাউ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু। একবার। অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি যা দান কর তা রোধ করার এবং যা রোধ কর তা দান করার সাধ্য কারো নেই। আর ধনবানের ধন তোমার আযাব থেকে মুক্তি পেতে কোন উপকারে আসবে না। (বুখারী, মুসলিম, সহীহ , মিশকাত ৯৬২ নং)

৫. ‎لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِالله উচ্চারণ:- লা-হাউলা অলা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ্‌। একবার। অর্থ:- আল্লাহর প্রেরণা দান ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার শক্তি নেই।(মুসলিম, সহীহ , মিশকাত ৯৬৩ নং)

৬. একবার ‎لآ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَلاَ نَعْبُدُ إِلاَّ إِيَّاهُ لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ، لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُوْنَ উচ্চারণ:- লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অলা না’বুদু ইল্লা ইয়্যা-হু লাহুন্নি’মাতু অলাহুল ফায্বলু অলাহুস সানা-উল হাসান, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুখলিস্বিনা লাহুদ্দ্বীনা অলাউকারিহাল কা-ফিরুন। অর্থ- আল্লাহ ব্যতীত কেউসত্য উপাস্য নেই। তাঁর ছাড়া আমরা আর কারো ইবাদত করি না, তাঁরই যাবতীয় সম্পদ, তাঁরই যাবতীয় অনুগ্রহ, এবং তাঁরই যাবতীয় সুপ্রশংসা, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। আমরা বিশুদ্ধ চিত্তে তাঁরই উপাসনা করি, যদিও কাফেরদল তা অপছন্দ করে। (মুসলিম, সহীহ , মিশকাত ৯৬৩ নং)

৭. আয়াতুল কুরসী (সুরা বাক্বারা আয়াত : ২৫৫) ১ বার। আবু উমামা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর ‘আয়াতুল কুরসি পাঠ করে, মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে পারবে ন ‘। (নাসায়ী, হাদিস সহীহ, সিলসিলাহ সহিহাহ-হাদিস ৯৭২)

৮. আবু হুরাইরা রা: রাসুলুল্লাহ সা: থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের পর ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ ৩৩ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ৩৩ বার ‘আল্লাহু আকবার’ পড়ে এবং ১০০ বার পূর্ণ করার জন্য একবার “লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ দাহু লা-শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর” পড়ে, তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। যদিও তা সাগরের ফেনাপুঞ্জের সমতুল্য হয়। (মুসলিম-১২২৮)।

৯. সুরা ইখলাস, ফালাক্ব ও নাস ১ বার করে। (আবু দাঊদ২/৮৬, সহীহ তিরমিযী ১/৮, নাসাঈ ৩/৬৮)

১০. একবার ‘আল্লাহুম্মা আ ই’ন্নি আ’লা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হু’সনি ইবাদাতিকা’ ‎ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻋِﻨِّﻲ ﻋَﻠَﻰ ﺫِﻛْﺮِﻙَ، ﻭَﺷُﻜْﺮِﻙَ، ﻭَﺣُﺴْﻦِ ﻋِﺒﺎﺩَﺗِﻚَ অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার স্মরণ, তোমার কৃতজ্ঞতা এবং তোমার সুন্দর ইবাদত করার ব্যাপারে আমাকে সাহায্য কর”। -আবু দাউদ ১/২১৩

১১. একবার اَللّهُمَّ قِنِيْ عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ক্বিনী আযা-বাকা ইয়াওমা তাবআসু ইবা-দাক। অর্থ:- হে আল্লাহ! যেদিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে পুনরুত্থিত করবে সেদিনকার আযাব থেকে আমাকে রক্ষা করো। (মুসলিম)

১২. হজরত আব্দুর রহমান বিন গানম রা: হতে বর্ণিত নবী সা: বলেন, যে ব্যক্তি মাগরিব ও ফজরের নামাজ থেকে ফিরে বসা ও পা মুড়ার পূর্বে (অর্থাৎ যেভাবে বসে নামাজ শেষ করেছে সেভাবে বসেই, এদিক অদিক ঘুরা বা অন্য রকম করে বসার পূর্বেই) নিম্নোক্ত দোয়াটি ১০ বার পাঠ করবে, ‎«لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ» (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হাম্‌দু ইয়ুহ্‌য়ী ওয়াইয়ূমীতু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।

অর্থা:- একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই। তাঁর কোনো শরিক নেই। রাজত্ব তারই এবং সকল প্রশংসা তাঁর। তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

আল্লাহ্‌ তার আমলনামায় প্রত্যেকবারের বিনিময়ে ১০টি নেকি লিপিবদ্ধ করেন, ১০টি গোনাহ মোচন করে দেন, তাকে ১০টি মর্যাদায় উন্নীত করেন, প্রত্যেক অপ্রীতিকর বিষয় এবং বিতাড়িত শয়তান থেকে (ঐ যিকির) রক্ষামন্ত্র হয়, নিশ্চিতভাবে শির্ক ব্যতীত তার অন্যান্য পাপ ক্ষমার্হ হয়। আর সে হয় আমল করার দিক থেকে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, তবে সেই ব্যক্তি তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ হতে পারে যে তার থেকেও উত্তম যিকির পাঠ করবে। (আহমাদ,সহীহ তারগীব-হাদিস ৪৭২)

১৩. ফজরের সলাতের পর একবার اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْماً نَّافِعاً وَّرِزْقاً طَيِّباً وَّعَمَلاً مُّتَقَبَّلاً উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইলমান না-ফিআ, ওয়া রিযক্বান ত্বাইয়িবা, ওয়া আমালান মুতাক্বাব্বালা। অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট ফলদায়ক শিক্ষা, হালাল জীবিকা এবং গ্রহণযোগ্য আমল প্রার্থনা করছি। ফজরের নামাযের পর এটি পঠনীয়। (ইবনে মাজাহ্‌, সুনান১/১৫২, ত্বাবারানী সাগীর, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১০/১১১)

দ্রষ্টব্য- এখানে সিরিয়ালি যেভাবে দেওয়া হয়েছে এভাবেই করতে হবে এমন নয়। এভাবে করতে পারেন কিংবা সিরিয়াল আগ পাছ হলেও সমস্যা নেই। প্রত্যেক ফরজ সলাতের পর সবগুলো দোয়া জিকিরই করার চেষ্টা করবেন। হয়তো ৭-৮ মিনিট লাগতে পারে। তবে সময় সল্প থাকলে সেই ওয়াক্তে বেশি গুরুত্বপূর্ণগুলোও করতে পারেন। মুলকথা, রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে এগুলো দোয়া জিকির করতেন। আমাদেরও সাধ্যমত এগুলোর অনুসরণ করা উচিত।

Address

Dhaka
GHORASHAL

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ইসলামের আলো posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category