10/01/2025
গত সপ্তাহে একটা রিপোর্ট দেখলাম - ক্যান্সার রোগীদের ৬০% সরাসরি কৃষি কাজের সাথে যুক্ত ।
কেন চাষীদের ক্যান্সার হচ্ছে ?
কীটনাশক স্প্রে করতে গিয়ে ।
আমাদের দেশে কৃষির যে উন্নতি - এটা আসে ভারতের পাঞ্জাব থেকে । দুনিয়ায় কৃষি কাজে সবচে আধুনিক কাজগুলো হয় ইস**রাইলে ।
ভারতের সাথে তাদের খুবই অঙ্গরংঙ্গ সম্পর্কের কারনে দুনিয়ার যেকোন আধুনিক টেকনোলজি দ্রুত ভারতে আসে । ভারতের কৃষিতে পাঞ্জাবিরা সবচে আধুনিক, তারা দ্রুত এটা গ্রহন করে ।
বর্তমানে পাঞ্জাবের ভাটিন্ডা থেকে রাজস্থানে সপ্তাহে একটা ট্রেন যায় যার নাম ক্যান্সার ট্রেন - এই ট্রেন পাঞ্জাব থেকে রাজস্থানে যায় ক্যান্সার হসপিটালে । পাঞ্জাবকে ভারতের ক্যান্সারের রাজধানী বলা হয় ।
কারন কি ?
কীটনাশক, ফসলে যে কীটনাশক দেয়া হয় সেটার কারনে ।
পাঞ্জাবে যে টেকনোলজি আসে - সেটা বাংলাদেশে আসতে ১৫ বছর সময় লাগে, বর্তমানে ইন্টারনেট এর কল্যানে সেটা আরো দ্রুতই আসে ।
৫ বছর আগে আমাদের ক্যান্সার রোগীদের ৩৪% ছিল চাষীরা, ৫ বছরের মাঝে এটা অফিসিয়ালি ৬০% হয়ে গেছে ।
সব চাষী কি আর টের পায় যে সে ক্যান্সার এ আক্রান্ত ?
তাহলে আনঅফিসিয়ালি এটা কত % ?
//.\\
আমরা চকচকা সবজি, বেগুন এসব খুজি যেগুলো দেখতে সুন্দর ।
যদি পরিমান মাফিক দেয়া হত তাহলে হয়ত কম হত । চাষীরা সব্জিতে কীটনাশক স্প্রে করে পুরো জমিতে একটা বেগুন এ পোকা পেলেই ।
এখন সে জানে না বা জানার চেস্টা করেনা যে - এই কীটনাশক স্প্রে করার পর কতদিন জমিতে যাওয়া উচিত না ।
কতদিন পর্যন্ত কীটনাশক দেয়া সেই সবজি খাওয়ার উপযুক্ত হয়না ।
সে সকালে স্প্রে করে, বিকেলে বা পরদিন ভোরে সেই সবজি তুলে হাটে বিক্রি করে । যে জমিতে স্প্রে করার পরে ৩ দিন ঢোকাই নিষেধ, সেখানে সেই সবজি আমি আপনি খাচ্ছি ৩ দিনের মাথায় ।
কীটনাশক স্প্রে করা চাষী যদি ৬০% হয়ে থাকে - সেই সবজিই আমি আপনি ৩ দিনের মাথায় খেলে আমাদের কতদিন এর মাঝে ক্যান্সার হতে পারে ?
এখানে চাষীরা দেখে লাভ কোথায় ? হাটে সে কিভাবে বেশি দাম পাবে ?
তাহলে ভিলেন এখানে কে ? চাষীরা ?
নাকি চাষীদের কাছে কীটনাশক বিক্রি করা কীটনাশকের দোকানদাররা ?
নাকি আমাদের কৃষি বিভাগ যারা জানে সবকিছু কিন্তু ব্রিফকেসে আসা ইয়ের কাছে নতজানু ?
//.\\
হাইব্রিড সব্জির জয় জয়কার !
কারন উৎপাদন বেশি, টাকা পয়সা বেশি পাওয়া যাবে । ডাবল এক্সেল জাতের হাইব্রিড বড় সাইজ এর ফুলকপির এক কেজি ঈজের দাম সম্ভবত দেখলাম ২ লাখ ৩০০০০ টাকা !
এত দাম দিয়ে কেন বীজ কিনছে চাষীরা ? বেশি লাভের আশায় ।
এত দামের বীজ আসতেছে কোথায় থেকে ? লাভটা নিশ্চিতভাবে বীজ বিক্রি নিয়ে যাচ্ছে কারা ? চাষিরা ত এই বীজ কিনেছে টাকা দিয়ে এখন ১ টাকা কেজি বিক্রি করে খরচই ওঠে না তাদের ।
এখন, বীজ কোম্পানি এই বীজ এনেছে বড় কোম্পানির কাছে থেকে । তারা এটাকে ডিজাইন করেছে যেন সাইজে বড় হয়, এটা থেকে চাষীরা বীজ রেখে দিতে না পারে - ওয়ান পিস মেইড, কারিগর ডেইড টাইপ ব্যাপার আর কি।
এই অতি বর্ধনশীল ফুলকপিতে পানির পরিমান বেশি, সার একটু বেশি দিতে হয় । এই সার কে বিক্রি করে ? তার কি লস হয় ? সেটা আসে কোথায় থেকে ?
সার বেশি দিলেন মানে সেখানে দ্রুত গ্রোথ আসবে, অস্বাভাবিক গ্রোথ - সেই গ্রোথের সাথে আসবে পাতায় গ্লুকোজ - সেই গ্লুকোজ এর লোভে আসবে পোকা, সেই পোকাকে মারতে দেবেন কীটনাশক ।
উপকারি পোকা, অপকারি পোকা মরে সাফ ।
সেই ফসল খেলেন আপনি ৩ দিন পরে বিষসহ, অসুস্থ্য হলেন - গেলেন হসপিটালে । সেখানে যা চিকিৎসা নিলেন, সেইসব মেশিনারিজ এলো কোথা থেকে ? সেইসব মেডিসিন এর পেটেন্ট কাদের হাতে ?
এই এক বিরাট চক্র !
এই চক্রতে জড়িত আমাদের আমলারা, বীজ ব্যাবসায়ী, সার ব্যাবসায়ী, আমাদের চিকৎসা সিন্ডিকেট সহ সবাই - জেনে না বুঝে, ব্যাবসার লোভে টাকার লোভে ।
আমরা ফাদে পড়েই গেছি !
বের হবার উপায় নাই !
দেখেই যাব শুধু ? এটাকে ভাংগার জন্য কিছুই কি করার নাই ?
আমাদের প্লান আছে এটা নিয়ে কাজ করার, যদিও আমাদের ক্ষমতা খুবই সীমিত । আমরা তেমন বড় কিছু করতে পারব না এই বিশাল শক্তির বিরুদ্ধে ।
তবুও, হয়ত দুবছর পরে, ২০২৭ সাল থেকে আমরা কিছুটা শুরু করতে পারব ।