MT Islamic Video

MT Islamic Video بسم الله الرحمن الرحيم
ইসলামিক ভিডিও পেতে MT Islamic video পেইজটি ফলো করে রাখুন।🖤🤍

যদিও ইনশাআল্লাহ মেয়েকে আদর করবো বেশি, কিন্তু ছেলেকে নিয়ে আলাদা স্বপ্ন আছে। আমি স্বপ্ন দেখি, ছেলেকে নিয়ে একদিন পার্কে হাঁ...
20/08/2025

যদিও ইনশাআল্লাহ মেয়েকে আদর করবো বেশি, কিন্তু ছেলেকে নিয়ে আলাদা স্বপ্ন আছে।

আমি স্বপ্ন দেখি, ছেলেকে নিয়ে একদিন পার্কে হাঁটতে যাবো।

আমার ছেলে হয়তো আমার কাছে কিছু চেয়ে বসবে। আমি দিতে পারবো না। দেওয়া হয়তো উচিতও না। এজন্য আমার ছেলে হয়তো আমার উপরে অভিমান করে থাকবে।

পার্কের বেঞ্চে বসিয়ে ওকে আরেক ছেলের কথা শোনাবো।

যে ছেলে চাইলেই সব পেতো। কিছুই কমতি ছিলো না। বলতে বাকি, হাজির হতে দেরি নেই।

চাকর-বাকর, বিলাস বহুল বাড়ি-গাড়ি- কিসের অভাব ছিলো?

যখন সে দেশের রাজার প্লেন ছিলো না, তখন তাদের প্রাইভেট প্লেন ছিলো।

কিন্তু সেই ছেলে কেমন ছিলো?

সে কি অনেক কিছু কিনতো? জীবনকে ভোগ করতো ইচ্ছেমত?

নাহ!

ছেলেটা ছিলো ভীষণ চুপচাপ।

তাঁর ভাইরা যখন বাইরে খেলতো, চুপচাপ সে আলিমদের কাছে বসে তাদের কথা শুনতো।

পুরো বিশ্ব থেকে আলিমরা আসতো তাদের বাসায়। সে সবার থেকে শিখতো।

সে ভালো করে পড়াশোনা করতো। মার্শাল আর্ট শিখতো।

আযান দিলেই সব কাজ ফেলে সে দৌড়াতো। মানুষকে অনেক অনেক দান করতো।

বাবার ব্যবসায়ে যোগ দেওয়ার পর সে শ্রমিকদের সাথে কাজ করতো।

শ্রমিকদের সাথেই বসে খেতো সে।

সবাই তাঁকে খুব খুব ভালোবাসতো।

একদিন আফগ।নে আক্রমণ করে বসে সোভিয়েত ইউনিয়ন।

ছেলেটি সহ্য করতে পারে না।

মুসলিমদেরকে এভাবে হত্যা করা হবে, আর সে আরামে বসে থাকবে? এটাও সম্ভব?

সে ঘরসংসার ফেলে, আরামের জীবন ফেলে সৌদি থেকে পাহাড়-পর্বত রুক্ষ মাটির আফগ/নে চলে যায় সে।

সেখানে গিয়ে আরবের আরেক মহান মানুষের ছাত্র হয় সে।

নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে সে সেখানে যুদ্ধ করে।

নিজের সব দিয়ে দেয়। বোনের কাছে আবদার করে মিলিয়ন ডলার এনে যুদ্ধে দেয়।

যুদ্ধ শেষ হয়। সোভিয়েত বিদায় হয়। বীরের বেশে ফিরে আসে সেই আরব যুবক।

ফুলের মালা দিয়ে তাঁকে দেশে বরণ করা হয়।

কিছুদিন পরে সে লক্ষ্য করলো সোভিয়েত ভেঙে গেছে সত্য, কিন্তু এসেছে নতুন শত্রু।

আগে অনেক দূরে আফগ/নে আক্রমণ হয়েছে, এখন অনুপ্রবেশ ঘটছে তাঁর ঘরেই!

মক্কা-মদীনার মাটিতে ইতিহাসের প্রথমবারের মত ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করে আমেরিকা।

পবিত্র ভূমির এ কি অসম্মান!

সে বুঝতে পারলো, আমেরিকা যদি একবার ঢুকে যায়, মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস করার আগে তারা ফিরে যাবে না।

এই আমেরিকাই ইসরায়েলকে অস্ত্র দেয়, অর্থ দেয়, কূটনৈতিক সমর্থন দেয়।

এরাই লিবিয়া, কাশ্মীরসহ বিশ্বজুড়ে মুসলিম হত্যায় মদদ দিচ্ছে।

সে পাগলের মত সৌদির শাসক, আলিমদের কাছে যায়।

কিন্তু…

সবাই বিক্রি হয়ে গেছে।

যারা বিক্রি হয় নি, তারা জেলে।

সে বললো, সাদ্দামের হাত থেকে রক্ষা করতে আপনাকে আমি দশ লক্ষ যুদ্ধে পরীক্ষিত মুসলিম যোদ্ধা দেবো। তাও প্লিজ, আমেরিকাকে দেশে এসে ঘাঁটি করতে দেবেন না।

তাঁর কথাকে উড়িয়ে দেওয়া হলো।

প্রবল কষ্ট বুকে নিয়ে, তিনি আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন।

যে দেশ সোভিয়েত আগ্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তাঁকে ফুলের মালা দিয়েছে, তারাই আমেরিকান আগ্রাসীদের বিরুদ্ধে বলার কারণে তাঁকে দেশ থেকে বের করে দিলো।

বিলাসবহুল জীবন, ভালোবাসার পরিবার, নিজের জন্মভূমিকে আল্লাহর দ্বীনের জন্য স্থায়ীভাবে ছেড়ে দিলেন তিনি।

এরপর তিনি যান সুদানে।

সুদান সরকার ওয়াদা করে যে তারা শরীআহ দিয়ে শাসন করবে।

তাই তিনি ইচ্ছামত টাকা ঢেলে রাস্তা থেকে নিয়ে অনেক স্থাপনার কাজ নিজ খরচে করে দিলেন।

কিন্তু আমেরিকার চাপের কাছে তারাও নতি স্বীকার করে।

সুদানে যাওয়ার পর তাঁকে আহ্বান জানালো যুগের আরেক মহান যোদ্ধা। যেন তিনি আফগ/নে এসে থাকেন।

সেখানে গিয়ে তিনি যে বাসায় উঠলেন, সেখানে বিশুদ্ধ পানি ছিলো না। ইলেক্ট্রিসিটি ছিলো না।

সাংবাদিক গিয়ে দেখেন, তিনি ছিলেন তাবুর মধ্যে। সুপ খাচ্ছেন বালি মিশ্রিত। কোনো ভালো ওয়াশরুম নেই।

আহ! কী জীবন থেকে কী জীবনে এসে পড়লেন তিনি!

তিনি সেই সাংবাদিককে নিজেই বলেন, ধনী বাবার ছেলে আমি। চাইলে ধনাঢ্য সৌদি নাগরিকের মত আমিও ইউরোপ কিংবা আমিরিকায় বিলাসী জীবন কাটাতে পারতাম। আমি তা করিনি।

হাতে তুলে নিয়েছি অস্ত্র, চলে এসেছি আফগ/নের পাহাড়ে। শুধু কি ব্যক্তিগত লাভের আশায়?

আমার প্রতিটি মুহুর্ত কাটছে মৃত্যুকে সঙ্গী করে।

মুসলমানদের উপর যারা আঘাত করে চলেছ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার দ্বীনি দায়িত্ব থেকেই শুধু এ পথে এসেছি।

এ করতে গিয়ে মৃত্যু অনিবার্য হলেও তার আমি পরওয়া করি না।”

মাটির ঘরে বসে আরবের শাহজাদা আমেরিকার বিরুদ্ধে ডাক দিলেন যুদ্ধের!

আরব, মিশরীয়, আফগ/নদের নিয়ে।

হ্যাংলা দেখতে, নরমভাষী, শান্ত চেহারার এ যুবকের হুংকারে কেঁপে উঠেছিলো ওয়াশিংটন, লন্ডন, পুরো পশ্চিম!

আমেরিকার গ্লোবাল ডোমিনেন্স চিরতরে ধ্বংসের পরিকল্পনা করেন।
তিনি যা বলেন, তা করেন।

তিনি বলেন, যতক্ষণ ফিলিস্তিন নিরাপদ না হবে, আমেরিকাও নিরাপদ হবে না।

ক্রমাগত আক্রমণে তিনি ঘুম হারাম করে দেন আমেরিকানদের।

ফিলিস্তিনের জন্য…
মক্কা-মদীনার জন্য…
ইরাকের জন্য…

২০০১ সালে করে বসে ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া হামলা। আমেরিকার বুকের ভেতরে গিয়ে।

তাঁর ফাঁদে পা দেয় আমেরিকা। আক্রমণ করে বসে আফগ/নে, ইরাকে।

২০ বছরের দীর্ঘ যুদ্ধে আটকে যায়।

ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে থাকে তাদের কর্তৃত্ব।

মৃত্যু পর্যন্ত পাহাড়ে, গুহায়, কঠিন ভূমিতে লড়াই করতে থাকেন তিনি।

পাগলের মত হন্যে হয়ে তাঁকে খুঁজতে থাকে শত্রুরা।

তিনি তো বলেই দিয়েছেন, “আমেরিকা আমাকে জীবিত ধরতে পারবে না”।

১০ বছর পরে অবশেষে তাঁকে খুঁজে পায়।

পুরো জীবন ধরে যা খুঁজে বেরিয়েছেন, সে শাহাদাত আল্লাহ তাঁকে মিলিয়ে দিলেন।

তাঁকে মেরে দাফন করতেও তারা ভয় পায়। যদি তাঁর কবর হয়ে ওঠে প্রতিরোধের দূর্গ?

৯/১১ এর পরে কী হয়েছে তা তো তাদের মনে আছে।

“উত্তর নাইজেরিয়ায় হামলার পরের মাসে জন্মগ্রহণকৃত শতকরা ৭০ ভাগ শিশুর নামকরণ করা হয়েছিল তাঁর নামানুসারে।

নামটি মালি, পাকিস্তান, সেনেগাল, ফিলিস্তিন, দক্ষিণ ফিলিপাইন এবং থাইল্যান্ডেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

তাঁর ছবি সম্বলিত টি-শার্ট বর্তমানে কেবল মুসলিমবিশ্বেই জনপ্রিয় নয় বরং মধ্য আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকাতেও এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।"

তাই তাঁকে তারা সমুদ্রে সমাধি দেয়।

“মুমিনদের মধ্যে কিছু লোক আল্লাহর সঙ্গে কৃত তাদের ওয়াদা সত্যে পরিণত করেছে।

তাদের কেউ কেউ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে (শাহাদাত বরণ) করেছে।

কেউ কেউ অপেক্ষায় আছে।

তারা তাদের সংকল্প কখনো তিল পরিমাণ পরিবর্তন করেনি।” (৩৩:২৩)

তিনি শহীদ হয়েছেন, কিন্তু তাঁর লড়াই শেষ হয় নি।

এখনও পূর্ব থেকে পশ্চিমে মুসলিম যোদ্ধারা নিজেদেরকে তাঁর সৈন্য বলে ঘোষণা দেয়।

যে লড়াই তিনি শুরু করেছিলেন, তা শেষ হচ্ছে আফগ/ন, সুরিয়া, সোমালিয়ায়।

তিনি শহীদ হয়েছেন। কিন্তু উম্মাহ তাঁকে ভুলতে পারে নি।

সংসদ থেকে চায়ের আড্ডা- তিনি ফিরে আসেন বারবার।

তাঁর রক্ত শুকিয়ে যায় নি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের ধমনীতে তা বয়ে যাচ্ছে।

আমার ছেলেকে বলবো, বাবা ঠিক এই মানুষটার মত হতে চেয়েছিলাম। হতে পারিনি।

তুমি অবশ্যই হবে। হবে না?
সংগৃহীত

14/08/2025

এই দ্বীন কাপুরুষ ও অক্ষমদের জন্য নাযিল হয়নি। এটা নফসের ও দুনিয়ার গোলামদের জন্য নাযিল হয়নি। এই শরিয়াহ!বাতাসের প্রবাহে উড়ে বেড়ানো কিংবা পানির স্রোতে ভেসে বেড়ানো অথবা প্রতিটি রঙে নিজেদের রাঙ্গিয়ে ফেলা মানুষদের জন্য নাযিল হয়নি।

এই শরিয়াহ এসেছে সেই সাহসী সিংহদের জন্য যারা বাতাসের দিক পরিবর্তনের সংকল্প রাখে, যারা নদীর প্রবাহের সঙ্গে লড়াই করার এবং তার গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়ার সাহস রাখে। যারা “সিব্ঘাতুল্লাহ” (আল্লাহর রঙ)–কে পৃথিবীর সব রঙের চেয়ে অধিক প্রিয় মনে করে এবং সেই রঙেই গোটা দুনিয়াকে রাঙানোর সাহস রাখে।

যে নিজেকে মুসলিম বলে পরিচয় দেয়,তাকে কখনোই যামানার সাথে তাল মিলিয়ে ভেসে যাওয়ার জন্য সৃষ্টি করা হয়নি। বরং তার সৃষ্টির উদ্দেশ্যই হলো দুনিয়াকে সেই পথে প্রবাহিত করা, যা তার ঈমান ও বিশ্বাস অনুযায়ী সঠিক পথ — সিরাতুল মুস্তাকিম।

আর যদি সে যামানার সাথে তাল মিলিয়ে তার গতিপথ পরিবর্তন করে ফেলে,তাওহীদকে ছেড়ে দিয়ে কুফর শিরকে আঁকড়ে ধরে,তবে সে ইসলামের দাবিতে মিথ্যাবাদী।

প্রকৃত মুসলিম সেই, যে সমাজের প্রচলিত জাহিলিয়াত,কুফর-শিরক ও তাদের সময়ের নমরুদ-ফিরাউনদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করবে।জাহিলিয়াত ও তাগুতদের উৎখাত করতে নিজের সমস্ত শক্তি ব্যয় করবে।সফলতা বা ব্যর্থতা তার কাছে কোনো বিষয় নয়। সে সেই সমস্ত ক্ষতি মেনে নেবে, যা এই সংগ্রামে হতে পারে বা হবে। এমনকি এই সংগ্রামে লড়তে গিয়ে যদি তার শরীরকে দ্বিখন্ডিত করে দেওয়া হয় বা তাকে হত্যা করে তার লাশ সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়া হয় কিংবা তাকে গুম করা হয়, তবুও তার আত্মা কখনো হার মানবে না।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ❝হে ঈমানদারগণ, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার দীন থেকে ফিরে যাবে তাহলে অচিরেই আল্লাহ এমন কওমকে আনবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারাও তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুমিনদের উপর বিনম্র এবং কাফিরদের উপর কঠোর হবে। আল্লাহর রাস্তায় তারা জিহাদ করবে এবং কোন কটাক্ষকারীর কটাক্ষকে ভয় করবে না।❞
(সুরা মায়েদা—৫:৫৪)

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন, "কিয়ামত পর্যন্ত আমার উম্মতের একদল সত্য দীনের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে বাতিলের বিরুদ্ধে লড়তে থাকবে।" (সহিহ মুসলিম - কিতাবুল ইমান :২৮৬)

~ ©

ᩣシ

14/08/2025

ভালোবাসা কোন পোশাক নয়! যা রোজ বদলানো যাবে...

07/08/2025

“আল্লাহ আমার হৃদয়ে যেই স্বপ্ন দিয়েছেন,
নিশ্চয়ই তিনি তা পূরণের পথও রেখে দিয়েছেন ।📿
ইনশা-আল্লাহ ☝️❤️‍🩹

সপ্নের ভূমি__খোরাসান... 🔥❤️‍🩹
07/08/2025

সপ্নের ভূমি__খোরাসান... 🔥❤️‍🩹

আপনি কি গুরাবাহ?
31/07/2025

আপনি কি গুরাবাহ?

18/07/2025

যে পাপ করলে একজন ঈমানের দাবিদার মুসলিমও কাফের বা মুশরিক হতে পারে তার কিছু তুলে ধরা হলো।

**ঈমান ভঙ্গকারী বিষয় সমূহ :

ঈমান ভঙ্গকারী কিছু পাপ কাজ আছে, যদি কোন মুসলিম এগুলোর কোন একটি পাপও করে ফেলে তবে সে শির্ক বা কুফুরী করে ফেলল। যার পরিণতিতে তার সমস্ত নেক আমল বরবাদ হয়ে যায়। এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে সে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে। তবে জীবদ্দশায় তাওবাহ করে ফিরে এলে আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করে দিতে পারেন।

নিচে এ জাতীয় পাপকাজের একটি তালিকা তুলে ধরা হলো :

[১] আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নিকট দু‘আ করা। যেমন নবী বা মৃত আওলিয়াদের নিকট কিছু চাওয়া। অথবা কোন ওলি আওলিয়ার অনুপস্থিতিতে দূর থেকে তার কাছে সাহায্য চাওয়া। অথবা ঐ পীর বুজুর্গের উপস্থিতিতে তার কাছে এমন কিছু চাওয়া যা দেয়ার ক্ষমতা তার নেই।
এ সম্বন্ধে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَلَا تَدۡعُ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَنفَعُكَ وَلَا يَضُرُّكَۖ فَإِن فَعَلۡتَ فَإِنَّكَ إِذٗا مِّنَ ٱلظَّٰلِمِينَ ١٠٦ ﴾ [يونس: ١٠٦]
‘‘আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কাউকে ডেকো না, যে না করতে পারে তোমার কোন উপকার, আর না করতে পারে তোমার ক্ষতি। আর যদি তা করেই ফেল, তবে অবশ্যই তুমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’’ (অর্থাৎ তুমি মুশরিক হয়ে যাবে।’’) (ইউনুস : ১০৬)
এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
(مَنْ مَاتَ وَهُوَ يَدْعُو مِنْ دُوْنِ اللهِ نِدًّا دَخَلَ النَّارَ)
অর্থাৎ যে, ব্যক্তি এ অবস্থায় মারা যায় যে, সে আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে সমকক্ষ দাঁড় করিয়ে তার কাছে সাহায্য চায়, তাহলে সে জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করবে। (বুখারী : ৪২২)
[২] তাওহীদের কথা শুনে যাদের মনে বিতৃষ্ণা আসে এবং বিপদে আপদে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া থেকে দূরে থাকে। আর অন্তরে মুহাববতের সাথে ডাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এবং মৃত ওলি আওলিয়া ও জীবিত (অনুপস্থিত), পীর মাশায়েখদেরকে এবং সাহায্য চায় তাদেরই কাছে। এ বিষয়ে মুশরিকদের উদাহরণ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَإِذَا ذُكِرَ ٱللَّهُ وَحۡدَهُ ٱشۡمَأَزَّتۡ قُلُوبُ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡأٓخِرَةِۖ وَإِذَا ذُكِرَ ٱلَّذِينَ مِن دُونِهِۦٓ إِذَا هُمۡ يَسۡتَبۡشِرُونَ ٤٥ ﴾ [الزمر: ٤٥]
‘‘যখন আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন আখিরাতের উপর বেঈমান লোকদের অন্তর বিতৃষ্ণায় ভরে যায়। আর যখন আল্লাহ ছাড়া অন্য উপাস্য (পীর বুজুর্গের) নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন তাদের মনে আনন্দ লাগে। (যুমার : ৪৫)
[৩] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অথবা কোন ওলির নাম নিয়ে পশু যবাই করা। এটা নিষেধ করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَٱنۡحَرۡ ٢ ﴾ [الكوثر: ٢]
‘‘সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং তাঁরই জন্য যবেহ কর।’’ (কাওসার : ২)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
لَعَنَ اللهُ مَنْ ذَبَحَ لِغَيْرِ اللهِ
যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উদ্দেশ্যে যবাই কার্য করে আল্লাহ তা‘আলা প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করেন। (মুসলিম : ১৯৭৮)
উল্লেখ্য যে, যবাইয়ের সময় কেউ যদি বলে, ‘‘খাজা বাবা জিন্দাবাদ’’ তাহলে এটা তার ঈমান ভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
[৪] কোন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে মান্নত করা, যেমন কবরে মাযারে মান্নত করা (শিরনী দেয়া) অত্যন্ত গর্হিত কাজ ও ঈমান বিনষ্টকারী শির্ক ও কবীরা গুনাহ। কারণ, মান্নত একমাত্র আল্লাহর জন্যই হতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿ ... رَبِّ إِنِّي نَذَرۡتُ لَكَ مَا فِي بَطۡنِي مُحَرَّرٗا ...٣٥ ﴾ [ال عمران: ٣٥]
‘‘হে পালনকর্তা! আমার গর্ভে যে সন্তান রয়েছে আমি তাকে তোমার উদ্দেশ্যে মান্নত করলাম।’’ (আলে-ইমরান : ৩৫)
[৫] নৈকট্য লাভ ও ইবাদতের নিয়তে কোন কবরের চতুষ্পার্শে প্রদক্ষিণ বা তাওয়াফ করা
আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿ ثُمَّ لۡيَقۡضُواْ تَفَثَهُمۡ وَلۡيُوفُواْ نُذُورَهُمۡ وَلۡيَطَّوَّفُواْ بِٱلۡبَيۡتِ ٱلۡعَتِيقِ ٢٩ ﴾ [الحج: ٢٩]
‘‘অতঃপর তারা যেন তাদের দৈহিক অপরিচ্ছন্নতা দূর করে, তাদের মান্নত পূর্ণ করে, আর তারা যেন বেশি বেশি এ প্রাচীনতম (কাবা) ঘরের তাওয়াফ করে। (হাজ্জ : ২৯)
[৬] আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উপর তাওয়াক্কুল বা ভরসা করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন
﴿ ... فَعَلَيۡهِ تَوَكَّلُوٓاْ إِن كُنتُم مُّسۡلِمِينَ ٨٤ ﴾ [يونس: ٨٤]
‘‘একমাত্র আল্লাহর উপরই ভরসা কর যদি তোমরা মুসলিম হয়ে থাক।’’ (ইউনুস : ৮৪)
[৭] জেনে বুঝে কোন রাজা, বাদশা বা সম্মানিত কোন পীর বুজুর্গ জীবিত বা মৃত ব্যক্তিকে ইবাদতের নিয়তে রুকু বা সিজদা করা। কেননা রুকু বা সিজদা একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত ইবাদত।
[৮] ইসলামের রুকনসমূহ হতে কোন একটি রুকন বা ভিত্তিকে অস্বীকার করা। যথা : সালাত, সওম, হজ্জ ও যাকাত। অথবা ঈমানের ভিত্তিসমূহের কোন একটি ভিত্তিকে অস্বীকার করা। আর সেগুলো হলো আল্লাহ, তাঁর রাসূলগণ, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাকদীরের ভালমন্দ আল্লাহর পক্ষ হতে এবং আখেরাতের প্রতি ঈমান আনা। এছাড়াও দীনের অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় কার্যসমূহ যা দীনের অন্তর্ভুক্ত বলে সর্বজন বিদিত। এসবগুলোর উপর ঈমান আনতেই হবে। এর কোন একটিকে অস্বীকার করলেও ঈমান বিনষ্ট হয়ে যায়।
[৯] ইসলামী জীবন বিধান বা এর অংশ বিশেষকে ঘৃণা করা। এর কোন কোন বিধান পুরাতন ও অকেজো হয়ে গেছে মনে করা। আলেমগণ একমত হয়েছে এমন কোন ইবাদতের ক্ষেত্রে বা বৈষয়িক লেনদেন কিংবা অর্থনৈতিক কর্মকান্ড অথবা চারিত্রিক বিষয়ে ইসলামের উপদেশাবলীকে ঘৃণার চোখে দেখা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿ وَٱلَّذِينَ كَفَرُواْ فَتَعۡسٗا لَّهُمۡ وَأَضَلَّ أَعۡمَٰلَهُمۡ ٨ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ كَرِهُواْ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأَحۡبَطَ أَعۡمَٰلَهُمۡ ٩ ﴾ [محمد: ٨، ٩]
‘‘আর যারা কুফুরী করেছে তাদের জন্য রয়েছে নিশ্চিত ধ্বংস। আর তাদের কর্মফল বরবাদ করে দেয়া হবে। ঐ কারণে যে, আল্লাহর নাযিল করা (কুরআন বা তার অংশ বিশেষকে) তারা অপছন্দের দৃষ্টিতে দেখে। ফলে আল্লাহ তাদের সকল নেক আমল বরবাদ করে দিবেন। (মুহাম্মাদ : ৯)
[১০] কুরআন কারীম বা সহীহ হাদীসের কোন বিষয় নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপ করা। কিংবা ইসলামের কোন হুকুম আহকাম নিয়ে তামাশা করা।
এ বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿ ... قُلۡ أَبِٱللَّهِ وَءَايَٰتِهِۦ وَرَسُولِهِۦ كُنتُمۡ تَسۡتَهۡزِءُونَ ٦٥ لَا تَعۡتَذِرُواْ قَدۡ كَفَرۡتُم بَعۡدَ إِيمَٰنِكُمۡۚ ... ٦٦ ﴾ [التوبة: ٦٥، ٦٦]
‘‘বল, তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপ করেছিলে? (কাজেই আজ আমার সামনে) তোমরা কোন ওজর আপত্তি পেশ করার চেষ্টা করোনা। ঈমান আনার পরও (সে বিদ্রূপের কারণে) পুনরায় অবশ্যই তোমরা কুফুরী করেছ।’’ (তাওবাহ : ৬৫-৬৬)
[১১] জেনে শুনে ইচ্ছাকৃতভাবে কুরআন কারীমের কিংবা বিশুদ্ধ হাদীসের কোন অংশ বা কথা অস্বীকার করলে ইসলাম থেকে একেবারেই বহিস্কার হয়ে যায়। যদিও তা কোন ক্ষুদ্র বিষয়ে হোক।
[১২] মহান রবকে গালি দেয়া, দ্বীন ইসলামকে অভিশাপ দেয়া, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গালি দেয়া বা তাঁর কোন অবস্থা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপ করা, তার প্রদর্শিত জীবন বিধানের সমালোচনা করা। এ জাতীয় কর্মকান্ডের কোন একটি কাজ করলেও সে কাফির হয়ে যাবে।
[১৩] আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ অথবা তাঁর গুণাবলীর কোন একটিকেও অস্বীকার করা অথবা কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আল্লাহর কোন কার্যাবলী অস্বীকার করা বা এগুলোর অপব্যাখ্যা করা।
[১৪] রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাস না করা, বা সবাইকে বিশ্বাস করলেও কোন একজন নবীকে অবিশ্বাস করা। অথবা নবী রাসূলদের কাউকে তুচ্ছ ধারণা করা বা তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখা।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿ ... لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ ... ٢٨٥ ﴾ [البقرة: ٢٨٥]
‘‘আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কারো ব্যাপারে তারতম্য করি না।’’ (বাকারা : ২৮৫)
[১৫] আল্লাহ প্রদত্ত বিধান বাদ দিয়ে (মানব রচিত আইন দিয়ে) বিচার ফায়সালা করা- এ ধারণা করে যে, এ যুগে ইসলামের আইন কানুন আর চলবে না। কারণ এ আইন অনেক পুরাতন। অথবা আল্লাহ প্রদত্ত আইনের বিপরীতে মানব রচিত আইনকে জায়েয মনে করা এবং আল্লাহর আইনের উপর মানুষের তৈরী আইনকে প্রাধান্য দেয়া। ঈমান ভঙ্গের কারণ হিসেবে এটি একটি ধ্বংসাত্মক আকীদা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿ ... وَمَن لَّمۡ يَحۡكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡكَٰفِرُونَ ٤٤ ﴾ [المائ‍دة: ٤٤]
‘‘আর যারা আল্লাহর অবতীর্ণ বিধান অনুযায়ী শাসন কার্য পরিচালনা করে না, তারা কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।’’ (আল-মায়িদা : ৪৪)
[১৬] ইসলামী বিচারে সন্তুষ্ট না হওয়া। ইসলামী বিচারে অন্তরে সংকোচ বোধ করা ও কষ্ট পাওয়া। বরং ইসলাম বহির্ভুত আইনের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে স্বস্তি বোধ করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿ فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤۡمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيۡنَهُمۡ ثُمَّ لَا يَجِدُواْ فِيٓ أَنفُسِهِمۡ حَرَجٗا مِّمَّا قَضَيۡتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسۡلِيمٗا ٦٥ ﴾ [النساء: ٦٥]
‘‘কিন্তু না, (হে মুহাম্মদ!) তোমার রবের শপথ। তারা ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের নিজেদের বিবাদ-বিসম্ববাদের মীমাংসার ভার তোমার উপর ন্যস্ত না করে, অতঃপর তোমার ফায়সালার ব্যাপারে তাদের মনে কোন দ্বিধা না থাকে, আর তারা সর্বান্তকরণে তার সামনে নিজেদেরকে পূর্ণরূপে সমর্পণ করে।’’ (নিসা : ৬৫)
[১৭] আল্লাহর আইনের সাথে সাংঘর্ষিক এমন ধরনের আইন প্রণয়নের জন্য কোন মানুষকে ক্ষমতা প্রদান করা বা তা সমর্থন করা। অথবা ইসলামী আইনের সাথে সাংঘর্ষিক এমন ধরনের কোন আইনকে সঠিক বলে মেনে নেয়া। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿ أَمۡ لَهُمۡ شُرَكَٰٓؤُاْ شَرَعُواْ لَهُم مِّنَ ٱلدِّينِ مَا لَمۡ يَأۡذَنۢ بِهِ ٱللَّهُۚ ... ٢١ ﴾ [الشورا: ٢١]
‘‘তাদের কি এমন অংশীদার আছে যারা তাদের জন্য এমন কোন জীবন বিধান প্রণয়ন (ও আইন কানুন তৈরী) করে নিয়েছে যার অনুমতি আল্লাহ তাদেরকে দেননি। (শূরা : ২১)
[১৮] আল্লাহ কর্তৃক বৈধকৃত কাজকে অবৈধ করে নেয়া এবং অবৈধ কাজকে বৈধ করে ফেলা। যেমন সুদকে বৈধ বা হালাল কাজ বলা কিংবা হালাল মনে করা ইত্যাদি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿... وَأَحَلَّ ٱللَّهُ ٱلۡبَيۡعَ وَحَرَّمَ ٱلرِّبَوٰاْۚ ... ﴾ [البقرة: ٢٧٥]
‘‘আর আল্লাহ ব্যবসাকে বৈধ করেছেন আর সুদকে করেছেন হারাম।’’ (আল-বাকারা : ১৭৫)
[১৯] আকীদা ধ্বংসাত্মক মতবাদের উপর ঈমান আনা। যেমন নাস্তিক্যবাদ, মাসুনিয়া, মার্কসবাদ, সমাজতন্ত্র, ধর্মমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা বা ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ, বা এমন জাতীয়তাবাদ যা আরবের অমুসলিমদেরকে অনাবর (আজমী) মুসলিমদের উপর প্রাধান্য দেয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿ وَمَن يَبۡتَغِ غَيۡرَ ٱلۡإِسۡلَٰمِ دِينٗا فَلَن يُقۡبَلَ مِنۡهُ وَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٨٥ ﴾ [ال عمران: ٨٥]
‘‘আর যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কিছুকে দীন হিসেবে (অর্থাৎ জীবন বিধান হিসেবে) গ্রহণ করতে চাইবে, (আল্লাহর সমীপে) কক্ষনো তা কবূল করা হবে না। বরং সে ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (আলে ইমরান : ৮৫)
[২০] দ্বীনের বিধি বিধান পরিবর্তন করা, এবং ইসলাম ছেড়ে অন্য কোন ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করা অর্থাৎ মুরতাদ হয়ে যাওয়া। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿ وَمَن يَرۡتَدِدۡ مِنكُمۡ عَن دِينِهِۦ فَيَمُتۡ وَهُوَ كَافِرٞ فَأُوْلَٰٓئِكَ حَبِطَتۡ أَعۡمَٰلُهُمۡ فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِۖ وَأُوْلَٰٓئِكَ أَصۡحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمۡ فِيهَا خَٰلِدُونَ ٢١٧ ﴾ [البقرة: ٢١٧]
‘‘আর তোমাদের যে কেউ নিজের দ্বীন (ইসলাম) থেকে (অন্য ধর্মে) ফিরে যায়, অতঃপর সে ব্যক্তি কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তবে ঐ ধরনের লোকের (সমস্ত নেক) আমল, ইহকাল ও পরকাল উভয়জাহানেই বাতিল হয়ে যাবে। ফলে তারা হয়ে যাবে আগুনের বাসিন্দা। সেখানে (জাহান্নামে) তারা স্থায়ী হবে চিরকাল। (বাকারা : ২১৭)
[২১] মুসলমানদের বিরুদ্ধে অমুসলিমদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿ لَّا يَتَّخِذِ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ٱلۡكَٰفِرِينَ أَوۡلِيَآءَ مِن دُونِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَۖ وَمَن يَفۡعَلۡ ذَٰلِكَ فَلَيۡسَ مِنَ ٱللَّهِ فِي شَيۡءٍ إِلَّآ أَن تَتَّقُواْ مِنۡهُمۡ تُقَىٰةٗۗ... ﴾ [ال عمران: ٢٨]
‘‘মুমিনগণ যেন মুমিন লোক ছাড়া কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব না করে। যদি কেউ এমন কাজ করে তবে আল্লাহর সাথে তার আর কোন সম্পর্ক থাকবে না। তবে ব্যতিক্রম হলো যদি তোমরা তাদের যুল্ম হতে আত্মরক্ষার জন্য সতর্কতা অবলম্বন কর। (আলে ইমরান : ২৮)
[২২] অমুসলিমদেরকে অমুসলিম না বলা। কেননা আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে তাদেরকে কাফির বলে আখ্যা দিয়েছেন। অতঃপর বলেছেন :
﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِنۡ أَهۡلِ ٱلۡكِتَٰبِ وَٱلۡمُشۡرِكِينَ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَٰلِدِينَ فِيهَآۚ أُوْلَٰٓئِكَ هُمۡ شَرُّ ٱلۡبَرِيَّةِ ٦ ﴾ [البينة: ٦]
‘‘নিশ্চয় কিতাবীদের মধ্যে যারা কুফুরী করেছে, আর যারা মুশরিক তারা জাহান্নামের আগুনে চিরস্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই হল সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম।’’ (আর বাইয়্যেনা : ৬)
[২৩] এ আকীদা পোষণ করা যে, সবকিছুর মধ্যেই আল্লাহ রয়েছে। এমনকি কুকুর শুকরের মধ্যেও। গীর্জার পাদ্রীর মধ্যেও আল্লাহ রয়েছেন। আল্লাহই পাদ্রী। আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এ আকীদাকে অহদাতুল উজূদ বলা হয়। এটা শির্কী চিন্তাধারা। এতে ঈমান ভঙ্গ হয়ে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হয়ে যায়।
[২৪] দীনকে রাষ্ট্রীয় বিষয় হতে পৃথক করা। আর একথা বলা যে, ইসলামে রাজনীতি নেই। এরূপ ধারণা ও মন্তব্যও রাসূলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবনাদর্শকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে।
[২৫] কিছু কিছু বিভ্রান্ত সুফীরা বলে যে, আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়া পরিচালনার চাবি কুতব নামধারী কয়েকজন আওলিয়ার হাতে অর্পণ করেছেন। তাদের এ ধারণা আল্লাহর কার্যাবলীর সাথে শিরক বলে পরিগণিত হয়। এ আকীদা আল্লাহর বাণীর বিপক্ষে চলে যায়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿ لَّهُۥ مَقَالِيدُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۗ ﴾ [الزمر: ٦٣]
‘‘আসমান ও যমীনের কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার চাবি শুধুমাত্র আল্লাহরই হাতে। (যুমার : ৬৩)
উপরে বর্ণিত বিষয়গুলো অযূ ভঙ্গের কারণসমূহের মতই ঈমান ভঙ্গকারী বিপজ্জনক উপাদান। এর কোন একটি আকীদা বা আমল কেউ যদি করে তাহলে সে লোকটি মুসলিম থেকে বহিষ্কার হয়ে যায়। ফলে তার সালাত, সাওম ইবাদত কবূলতো হবেই না। বরং অমুসলমান হয়ে আখিরাতে কাফিরদের সাথে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হয়ে যাবে। (নাউযুবিল্লাহ)

প্রশ্ন : জেনে না জেনে বা ভুলে উপরে বর্ণিত কোন এক বা একাধিক পাপ যদি কেউ করে ফেলে তাহলে এ থেকে শুধরানোর উপায় কি?
উ: তাকে আবার নতুন করে ইসলাম গ্রহণ করতে হবে। তাওবা করতে হবে খালেছ দিলে, অনুশোচনা করা ও অনুতপ্ত হতে হবে। ভবিষ্যতে এমন পাপের ধারে কাছেও আর যাবেনা, এরূপ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে। তার এ তাওবা হতে হবে মৃত্যুর পূর্বে। এতে ইনশাআল্লাহ তা‘আলা তাওবা কবুল হবে এবং আল্লাহ তাকে মাফ করে দেবেন। আল্লাহর নামতো তওয়াব এবং তিনি গাফুরুর রাহীম।

18/07/2025

Need this type one...
Gangster Wifey 💥☠️

18/07/2025

Need this type one...

Gangster Wifey 💥☠️

13/07/2025

আপনি যদি মুসলিম হোন,আপনাকে শরীয়াহ চাইতে হবে🔥

13/07/2025

শরীয়াহ ছাড়া সমাধান নাই। শরীয়াহ শাসনে আতঙ্কিত হবে চোর, ডা*কাত, ছি*নতাইকারী, খু*নী, ধ*র্ষক, চা়ঁদাবাজ।

🎙️ আহমেদ রফিক (হাফি.)

হাসিনা ১৫ বছর ধরে পশ্চিমাদের কাছে এটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করতো যে, বাংলাদেশে জঙ্গি আছে। এরপর জঙ্গি নাটক করে নিরপরাধ মানু...
02/07/2025

হাসিনা ১৫ বছর ধরে পশ্চিমাদের কাছে এটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করতো যে, বাংলাদেশে জঙ্গি আছে। এরপর জঙ্গি নাটক করে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করতো। যাতে পশ্চিমারা তাকে ক্ষমতায় থাকতে হেল্প করে।

Address

Bangladesh
Dhaka
8420

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MT Islamic Video posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to MT Islamic Video:

Share

Category