Hanafi Fiqah Bangladesh

Hanafi Fiqah Bangladesh Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Hanafi Fiqah Bangladesh, Media, Dhaka.

30/04/2025

🌿 মৃত ব্যক্তির তাকলীদ করা ও মাযহাব অনুসরণ করার দলিল-----

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ বলেন,

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ النَّضْرِ الْأَزْدِيُّ، ثنا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، ثنا زَائِدَةُ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: «لَا يُقَلِّدَنَّ أَحَدُكُمْ دِينَهُ رَجُلًا، فَإِنْ آمَنَ آمَنَ وَإِنْ كَفَرَ كَفَرَ، وَإِنْ كُنْتُمْ لَا بُدَّ مُقْتَدِينَ فَاقْتَدُوا بِالْمَيِّتِ، فَإِنَّ الْحَيَّ لَا يُؤْمَنُ عَلَيْهِ الْفِتْنَةُ».

‏তোমাদের কেউ যেন নিজ দ্বীনের ব্যাপারে কোন ব্যক্তির এমন অন্ধ অনুকরণ না করে যে, সে ঈমানের কাজ করলে সেও করবে, নচেৎ সে কুফরী করলে সেও করবে। বরং যদি তোমাদের অন্ধ অনুকরণ করা জরুরীই হয়, তাহলে তোমরা পরলোকগত মানুষের অনুকরণ কর। কারণ জীবিত ব্যক্তির ব্যাপারে ফিতনার নিরাপত্তা নেই।’
(মুজামুল কাবীর তাবারানী, হাদিস নাম্বার- ৮৭৬৪)।

🌿 এই হাদিসটি সম্পর্কে ইমাম হাইসামী রহঃ বলেন,

850 -

وعن عبد الله بن مسعود قال: لا يقلدن أحدكم دينه رجلا، فإن آمن آمن، وإن كفر كفر، وإن كنتم لا بد مقتدين فاقتدوا بالميت; فإن الحي لا يؤمن عليه الفتنة.

رواه الطبراني في الكبير، ورجاله رجال الصحيح.

হাদিসটি সহিহ।

(মাজমাউয যাওয়াহেদ, খন্ড - ১, পৃষ্ঠা - ১৮০)।

29/10/2021

আঙ্গুল নামক মাধ্যমে যিকির করা সুন্নাহ হলেও তাসবীহ দানা নামক মাধ্যমেও যিকির করা জায়েজ....

যেমনভাবে হেঁটে মসজিদে যাওয়া সুন্নাহ হলেও বাহনে মসজিদে যাওয়া জায়েজ বা হেঁটে/উটে/ঘোড়ায় হজ্জে যাওয়া সুন্নাহ হলেও বিমানের মাধ্যমেও হজ্জের উদ্দেশ্যে গমন করা জায়েজ...

🍀🌹🍀হাদীসি দলীলসমূহঃ

2009 - حَدَّثَنَاهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَحْمَدَ الْجُرْجَانِيُّ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ الْعَسْقَلَانِيُّ، ثنا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَنْبَأَ ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ خُزَيْمَةَ، حَدَّثَهُ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنْ أَبِيهَا، أَنَّهُ دَخَلَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى امْرَأَةٍ وَبَيْنَ يَدَيْهَا نَوًى أَوْ قَالَ حَصًى تُسَبِّحُ بِهِ فَقَالَ ‏ "‏ أَلاَ أُخْبِرُكِ بِمَا هُوَ أَيْسَرُ عَلَيْكِ مِنْ هَذَا أَوْ أَفْضَلُ سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا خَلَقَ فِي السَّمَاءِ وَسُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا خَلَقَ فِي الأَرْضِ وَسُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا بَيْنَ ذَلِكَ وَسُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا هُوَ خَالِقٌ وَاللَّهُ أَكْبَرُ مِثْلَ ذَلِكَ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ مِثْلَ ذَلِكَ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ مِثْلَ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ سَعْدٍ ‏.‏

আইশা বিনতু সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, তিনি রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে এক মহিলার ঘরে যান, যার সামনে ছিল খেজুরের অনেকগুলো বিচি অথবা নুড়ি পাথর, যার সাহায্যে সে তাস্বীহ পাঠ করত। রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি কি তোমাকে এর চেয়েও সহজ ও উত্তম পথ প্রসঙ্গে জানাবো না? “আল্লাহ মহাপবিত্র আকাশে তাঁর সৃষ্টি জীবের সমসংখ্যক, আল্লাহ মহাপবিত্র দুনিয়াতে তাঁর সৃষ্ট জীবের সমসংখ্যক, আল্লাহ তা’আলা মহাপবিত্র এতদুভয়ের মধ্যকার সৃষ্টির সমসংখ্যক, আল্লাহ তা’আলা মহাপবিত্র তিনি যেসকল প্রাণী সৃষ্টি করবেন তার সমসংখ্যক, অনুরূপ পরিমাণ আল্লাহ তা’আলা মহান, অনুরূপ পরিমাণ আল্লাহ্ তা’আলার প্রশংসা, অনুরূপ সংখ্যকবার আল্লাহ তা’আলা ছাড়া কল্যাণ করার বা ক্ষতিসাধনের আর কোন শক্তি নেই”।

আবু ঈসা তিরমিজী রহ. বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান এবং সা’দ (রাঃ)-এর হাদীস হিসেবে গারীব।

(শাওকানী নাইনুল আওতারঃ ২/৩৬৫, হা; ‍৮২০
মুসতাদরাকে হাকেম আলা সহিহাইন, হা/‍২০০৯)

ইবন নুজাইম আলহানাফি রহ. বলেন,

فلم ينهها عن ذلك وإنما أرشدها إلى هو أيسر وأفضل ولو كان مكروها لبين لها ذلك ، ثم هذا الحديث ونحوه مما يشهد بأنه لا بأس باتخاذ السبحة المعروفة لإحصاء عدد الأذكار

রাসূলুল্লাহ ﷺ উক্ত মহিলাকে নিষেধ করেন নি। তিনি কেবল এর চেয়ে উত্তম ও সহজটা বলে দিয়েছেন। যদি এটি নিষিদ্ধ হত তাহলে তিনি বলে দিতেন। অতপর এই হাদিস ও অনুরূপ আরো হাদিস একথার দলিল যে, জিকিরের গণনার জন্য প্রচলিত তাসবিহ-দানা ব্যবহারে কোনো অসুবিধা নেই।
(আল বাহরুর রায়িক ২/৩১)

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا هَاشِمٌ، وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنِي كِنَانَةُ، مَوْلَى صَفِيَّةَ قَالَ سَمِعْتُ صَفِيَّةَ، تَقُولُ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ يَدَىَّ أَرْبَعَةُ آلاَفِ نَوَاةٍ أُسَبِّحُ بِهَا فَقُلْتُ لَقَدْ سَبَّحْتُ بِهَذِهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ أَلاَ أُعَلِّمُكِ بِأَكْثَرَ مِمَّا سَبَّحْتِ بِهِ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ بَلَى عَلِّمْنِي ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ قُولِي سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ ‏"‏ ‏.‏
«هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ. وَلَهُ شَاهِدٌ مِنْ حَدِيثِ الْمِصْرِيِّينَ بِإِسْنَادٍ أَصَحَّ مِنْ هَذَا»

‏.

উম্মুল মুমিনীন সাফিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকটে এলেন, তখন আমার নিকট চার হাজার খেজুরের বিচি ছিল, যা দিয়ে আমি তাসবীহ পাঠ করে থাকি। তিনি বললেনঃ তুমি কি এগুলো দিয়ে তাসবীহ গণনা করেছ? আমি কি তোমাকে এমন তাসবীহ শিখাব না যা সাওয়াবের দিক হতে এর চেয়ে বেশি হবে? আমি বললাম, হ্যাঁ আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ তুমি বল, “আল্লাহ্‌ তা”আলা তাঁর সৃষ্টিকুলের সমপরিমাণ পবিত্র”।

(শাওকানী, নাইনুল আওতারঃ ২/৩৬৫, হা; ‍৮২১
মুস্তাদরাকে হাকেম আলা সহিহাইন, হা/‍২০০৮)

ইবনু তাইমিয়া রহ. বলেন,

عد التسبيح بالأصابع سنة كما قال النبي ﷺ للنساء: «واعقدن بالأصابع فإنهن مسئولات مستنطقات» وأما عده بالنوى والحصى ونحو ذلك، فحسن وكان من الصحابة – رضي الله عنهم – من يفعل ذلك، وقد رأي النبي ﷺ أم المؤمنين تسبح بالحصى وأقرها على ذلك وروى أن أبا هريرة كان يسبح به

আঙ্গুল দ্বারা তাসবিহ গণনা করা সুন্নাত। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ নারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘তোমরা আঙ্গুলে গুণে রাখবে। কেননা আঙ্গুলগুলোকে জিজ্ঞাসা করা হবে এবং এগুলোও সেদিন (কেয়ামতের দিন) কথা বলবে।’ তবে বিচি, কংকর ও অনুরূপ বস্তু দ্বারা গণনা করাও ভাল। কেননা সাহাবায়ে কেরামের অনেকে তা করতেন। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ ﷺ উম্মুল মুমিনীনকে কংকর দ্বারা গণনা করতে দেখেছেন এবং এর সমর্থন করেছেন। আর বর্ণিত আছে যে, আবু হুরায়রা রাযি.ও এরূপ করতেন। (মাজমুউল ফাতাওয়া ২২/৫০৬)

🍃🌹🍃 সাহাবীদের আমলঃ

وَأَخْرَجَ ابْنُ سَعْدٍ عَنْ حَكِيمِ بْنِ الدَّيْلَمِ أَنَّ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ كَانَ يُسَبِّحُ بِالْحَصَى وَقَالَ ابْنُ سَعْدٍ فِي الطَّبَقَاتِ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى أَخْبَرَنَا إسْرَائِيلُ عَنْ جَابِرٍ عَنْ امْرَأَةٍ خَدَمَتْهُ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهَا كَانَتْ تُسَبِّحُ بِخَيْطٍ مَعْقُودٍ فِيهِ.

وَأَخْرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ فِي زَوَائِدِ الزُّهْدِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ كَانَ لَهُ خَيْطٌ فِيهِ أَلْفُ عُقْدَةٍ فَلَا يَنَامُ حَتَّى يُسَبِّحَ.

وَأَخْرَجَ أَحْمَدُ فِي الزُّهْدِ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: كَانَ لِأَبِي الدَّرْدَاءِ نَوًى مِنْ الْعَجْوَةِ فِي كِيسٍ فَكَانَ إذَا صَلَّى الْغَدَاةَ أَخْرَجَهَا وَاحِدَةً وَاحِدَةً يُسَبِّحُ بِهِنَّ حَتَّى يُنْفِذَهُنَّ.

ইবনে সা’দ স্বীয় ‘তাবাকাত’-এ হযরত হাকীম বিন দাইলাই থেকে বর্ণনা করেনন, সাহাবী হযরত সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কাঁকর দিয়ে তাসবীহ তাহলীল ও যিকর্ করতেন।

ইবনে আবি শাইবাহ রহ. স্বীয় ‘মুসান্নাফ’-এ বর্ণনা করেন যে সাহাবী হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কাঁকর দিয়ে তাসবীহ-যিকির পাঠ করতেন।
ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কন্যা ফাতিমা গিঠ দেওয়া সুতা (তাসবীহের মতো) দ্বারা গণনা করে তাসবীহ তাহলীল করতেন। হযরত আবু হুরাইরা (রা)-এর ১০০০ টি গিরা দেওয়া একটি সুতা ছিল। তিনি এ সংখ্যক তাসবিহ-তাহলীল পাঠ না করে ঘুমাতেন না। এছাড়া তিনি কাঁকর জমা করে তা দিয়ে যিকির করতেন বলে বর্ণিত আছে।
হযরত আবু দারদা (রা) খেজুরের বীচি একটি থলের মধ্যে রাখতেন। ফজরের সালাতের পরে সেগুলো বাহির করে যিকিরের মাধ্যমে গণনা করে শেষ করতেন।

(শাওকানী. নাইনুল আওতারঃ ২/৩৬৬)

11/08/2021
13/04/2021
12/04/2021

প্রশ্ন আসসালামু আলাইকুম। আমি আব্দুল্লাহ, গাজীপুর থেকে। আমার প্রশ্নঃ সেক্সটয় বা সেক্সডল নিয়ে। মুহতারাম, বর্তমান ....

12/04/2021
07/01/2021

হানাফী মাযহাব মোতাবেক সকল উভচর প্রাণীকে হারাম বা মাকরূহ বলা হয় কেনো???
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

উভচর প্রাণীগুলো খাওয়া জায়েজ কীনা—সেই বিষয়ে ইখতিলাফ থাকলেও হানাফীরা কয়েকটি উসুলের ভিত্তিতে সকল উভচর প্রাণী খাওয়া কে হারাম বা মাকরূহ বলেছেন ৷৷

🎆উসুল নং ১ঃ—

সকল উভচর প্রাণী ই নোংড়া প্রকৃতির হয় ৷ আর নোংড়া প্রাণীদের বিষয়ে কুরআনে এসেছে:-

وَ یُحِلُّ لَہُمُ الطَّیِّبٰتِ وَ یُحَرِّمُ عَلَیۡہِمُ الۡخَبٰٓئِثَ
আর, যিনি পবিত্র বস্তু কে হালাল করেন। এবং নোংড়া কে হারাম করেন (⁷সুরা আরাফঃ ১৫৭)

🎆উসুল নং ২ঃ-

«كُلُّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ، فَأَكْلُهُ حَرَامٌ» رَوَاهُ مُسْلِمٌ

রাসুলুল্লাহ সঃ সকল প্রকার দাঁত ও নখরযুক্ত হিংস্র জন্তু খেতে হারাম/নিষেধ করেছেন ৷৷

(বুখারীঃ ৫৭৮০, মুসলিমঃ ১৯৩৩, আবূ দাউদঃ ৩৮০২,,তিরমিজীঃ১৪৭৪,,১৪৮৫,,দারেমীঃ২০২০)

আর, সর্বক্ষনিক পানিতে বসবাসকারী একমাত্র মাছ ব্যতিত সকল উভচর প্রাণী হয়তো নোংড়া হয়, নতুবা হিংস্র/বিষাক্ত প্রজাতীর হয় ৷৷

সূরা মায়িদাহ আয়াতঃ ৯৬ এর সমুদ্রের শিকার অথবা রাসূলুল্লাহর সঃ বলা সমূদ্রের মৃত প্রাণীও হালাল— মোতাবেক আল্লাহ তায়ালা “সর্বদাই সমুদ্রের মধ্যেই বসবাস করা শিকার” কে খাওয়া হালাল করেছেন ৷ অথচ,একমাত্র মাছ ব্যতিত সকল উভচর প্রাণী ই সর্বদাই সমুদ্রে বসবাসকারী শিকার নয়, বরং সমূদ্র এবং স্থল উভয়েই বসবাসকারী «শিকারী» ৷৷

যেমনভাবে হযরত উমর রাঃ বলেছেন:-
قَالَ عُمَرُ صَيْدُهُ مَا اصْطِيدَ، وَطَعَامُهُ مَا رَمَى بِهِ
সুরা মায়েদার ৯৬ নং আয়াতের صَيْدُه হলোঃ যা শিকার করা হয়, আর طَعَامُه হলোঃ সমুদ্র যাকে নিক্ষেপ করে।

সুতরাং সমূদ্রের সেই প্রাণীগুলোই হালাল হবে, যেটা সর্বদাই পানি বা সমূদ্রেই থাকে ৷ সমূদ্র বা স্থলভাগ উভয়তেই বসবাসকারী প্রাণী উক্ত হুকুমের আওতাভুক্ত নয় ৷৷

🎆উসুল নং ৩ঃ—
উভচর প্রাণী খাওয়া মাকরূহ—এ বিষয়ে হাদীস রয়েছে ৷

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثيِرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُثْمَانَ: أَنَّ طَبِيبًا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ضِفْدَعٍ يَجْعَلُهَا فِي دَوَاءٍ، فَنَهَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ قَتْلِهَا صحيح

আব্দুর রাহমান ইবনু উসমা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা এক ডাক্তার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ব্যাঙ দিয়ে ঔষধ তৈরী সম্পর্কে প্রশ্ন করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ব্যাঙ হত্যা করতে নিষেধ করলেন।

[আবু দাউদ, হা/৩৮৭১,,৫২৬৯,,নাসাঈ,হা/৪৩৫৬]


6360 - وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ , قَالُوا: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , قَالَ ثنا حَمَّادٌ وَهُوَ ابْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنِ الْأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُهْدِيَ لَهُ ضَبٌّ فَلَمْ يَأْكُلْهُ. فَقَامَ عَلَيْهِمْ سَائِلٌ فَأَرَادَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنْ تُعْطِيَهُ فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَتُعْطِينَهُ مَا لَا تَأْكُلِينَ؟»

হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার রাসূল সাঃ এর কাছে একটি গুইসাপ হাদিয়া স্বরূপ পাঠানো হল। নবীজী সাঃ সেটি খেলেন না। তখন একটি ভিক্ষুক আসে। হযরত আয়েশা রাঃ তখন সেটি ভিক্ষুককে দিয়ে দিতে চাইলেন। রাসূল সাঃ তখন বললেনঃ তুমি কি তাকে এমন জিনিস দিবে যা তুমি নিজে খাও না?

(তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৬৩৬০}


حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، أَنَّ الْحَكَمَ بْنَ نَافِعٍ، حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنَا ابْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ ضَمْضَمِ بْنِ زُرْعَةَ، عَنْ شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ أَبِي رَاشِدٍ الْحُبْرَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شِبْلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ أَكْلِ لَحْمِ الضَّبِّ ‏.‏

‘আবদুর রহমান ইবনু শিবল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গুইসাপের গোশত খেতে নিষেধ করেছেন।

(সুনানে আবু দাউদ, হা/ ৩৭৯৬,সিলসিলাহ সহীহাহ হা/২৩৯০ )

উল্লেখ্য, গুইসাপের এই নিষেধ বলতে হারাম উদ্দেশ্য নয়, বরং মাকরূহ উদ্দেশ্য ৷ কেননাঃ-

রাসুলুল্লাহ সঃ বলেছেন:—
لاَ آكُلُهُ وَلاَ أُحَرِّمُهُ
গুইসাপ আমি খাই না এবং তা (খাওয়া) হারামও বলি না। (সহীহ মুসলিমঃ ৪৯২১,, ৪৯২২,,৪৯২৩)

অন্যত্র এসেছেঃ- হযরত জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لَمْ يُحَرِّمِ الضَّبَّ وَلَكِنْ قَذِرَهُ وَإِنَّهُ لَطَعَامُ عَامَّةِ الرِّعَاءِ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গুইসাপ হারাম করেননি, কিন্তু তা অপছন্দ করেছেন।

(মুসনাদে আহমাদ, হা/ ১৪২৭৪)

সুতরাং বিভিন্ন যৌক্তিক এবং দালিলিক উসুলের আলোকেই হানাফীরা সকল উভচর প্রাণীকে হারাম বা মাকরূহ বলে থাকেন ৷

07/01/2021

নিষিদ্ধ তাবিজ হলো যা তা'মিমা। কিন্তু সব তাবিজ তামিমা না। বিস্তারিত জানতে হলে মনযোগ সহকারে পোস্টি পড়েন।
তাবিজ এবং তা'মিমা কী একই বস্তু❓❓
ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রহিমাহুল্লাহ) বুখারী শরীফের ব্যাখ্যগ্রন্থ ফাতহুল বারীতে লিখেন-
والتمائم جمع تميمة وهي خرز أو قلادة تعلق في الرأس كانوا في الجاهلية يعتقدون أن ذلك يدفع الآفات والتولة بكسر المثناة وفتح الواو واللام مخففا شيء كانت المرأة تجلب به محبة زوجها وهو ضرب من السحر وإنما كان ذلك من الشرك لأنهم أرادوا دفع المضار وجلب المنافع من عند غير الله ولا يدخل في ذلك ما كان بأسماء الله وكلامه
তামায়েম শব্দটি তামীমা শব্দের বহুবচন। যা পুঁতি বা মালা সাদৃশ্য। মাথায় লটকানো হয়। জাহেলী যুগে বিশ্বাস করা হতো যে, এর দ্বারা বিপদমুক্ত হওয়া যায়, মহিলারা এসব ব্যবহার করতো স্বামীর মোহাব্বত অর্জন করতে। এটি জাদুরই একটি প্রকার। এটি শিরকের অন্তুর্ভূক্ত। কেননা এর দ্বারা আল্লাহ ছাড়া অন্যের থেকে বিপদমুক্ত হওয়া ও উপকার অর্জন করা উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। কিন্তু এ শিরকের অন্তুর্ভূক্ত হবে না যেসব তাবীজ কবচে আল্লাহর নাম বা কালাম থাকে।
[ফাতহুল বারী-১/১৬৬, ঝাড়ফুক অধ্যায়]
🌻🍀🌻প্রথম কথা হলো:-
তাবীযের অর্থ আশ্রয় প্রার্থনা(আমরা যেই আউযুবিল্লাহ বলি এটাও এক প্রকার তাবীয)।
আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ—
আর আমি কুরআনে এমন কিছু আয়াত নাযিল করেছি যা মু’মিনদের জন্য শেফা এবং রহমত স্বরূপ।’
(সুরা বনী ইস্রাঈল: ৮২)
🌻🍀🌻দ্বিতীয় কথা হলো:—
আহলে সুন্নত ওয়া জামাতের ইজমা ভিত্তিক আক্বীদাহ হচ্ছেঃ
''যদি তাবীজে কুফরী বা নাজায়েজ কোন কিছু না থাকে, কোন অস্পষ্ট বা সাংকেতিক কালিমা না থাকে, এই তাবিযের উপর কেউ ভরসা না করে এবং এই তাবীয টি কুরআন-সুন্নাহর কোন আয়াত কিংবা দুয়া সম্বলিত হয় তাহলে তা সর্বসম্মতিক্রমে জায়েয।''
এই আক্বীদার সাথে একমত হয়েছেন সালফে সালেগীনগন। এমনকি যারা সকল প্রকার তাবীয কে ব্যাপক শিরক বলে তাদেরও মান্যবর,

☞ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ তার⇨মাজমূউল ফাতাওয়ায়,
☞ইমাম ইবনুল কাইয়্যুম তার ⇨আত ত্বীব্বে,
☞আল্লামা শাওক্বানী তার ⇨নাইলুল আওত্বারে,
☞নবাব সিদ্দীক হাসান খান ভুপালী তার⇨আত তাবীযাত কিতাবে সহ অন্যান্য আরো অনেক সালাফীই ওহীর শব্দ/বাক্য দ্বারা লিখিত তাবিজ কে জায়েজ বলেছেন।
🌺🌻🌺তাবিজের অনুমোদন রাসুলুল্লাহ সঃ থেকে কীভাবে এসেছে? ?
খেয়াল করুন—তামীমা শিরক এই হাদীসে ঝাাঁড়ফুক কেও শিরক বলা হয়েছেঃ—
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنَّ الرُّقَى، وَالتَّمَائِمَ، وَالتِّوَلَةَ شِرْكٌ
রাসুলুল্লাহ সঃ বলেন:— নিশ্চয়ই ঝাড়ফুঁক, তামীমা এবং যাদুটোনা শিরক ৷৷৷
قُلْتُ: لِمَ تَقُولُ هَذَا؟ وَاللَّهِ لَقَدْ كَانَتْ عَيْنِي تَقْذِفُ وَكُنْتُ أَخْتَلِفُ إِلَى فُلَانٍ الْيَهُودِيِّ يَرْقِينِي فَإِذَا رَقَانِي
سَكَنَتْ،
যাইনাব বলেন, আমি বললাম, আপনি এসব কি বলেন? আল্লাহর কসম! আমার চোখ থেকে পানি পড়তো, আমি অমুক ইয়াহুদী কর্তৃক «ঝাড়ফুঁক» করাতাম।
সে আমাকে «ঝাড়ফুঁক» করলে (চোখের) পানি পড়া বন্ধ হয়ে যেতো।
فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: إِنَّمَا ذَاكَ عَمَلُ الشَّيْطَانِ
আব্দুল্লাহ (রাঃ) বললেন, এগুলো শয়তানের কাজ।
(সুনানে আবু দাউদ, হা/ ৩৮৮৩)
এরপরে, পরবর্তীতে ঝাড়ফুক সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সঃ বললেনঃ—
فَقَالَ: اعْرِضُوا عَلَيَّ رُقَاكُمْ لَا بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ تَكُنْ شِرْكًا
তোমাদের ঝাড়ফুকের ব্যবস্থাগুলো আমার সামনে পেশ করো; তবে যেসব ঝাড়ফুঁক শির্কের পর্যায়ে পড়ে না, তাতে কোনো দোষ নেই।[আবু দাউদঃ ৩৮৮৬]
এটাই হচ্ছে তাবিজের ক্ষেত্রেও রাসুলুল্লাহর সঃ অনুমোদন যে—কুফরী কালামের ঝাড়ফুক যেমনভাবে শিরক এবং ওহীর কালামের ঝাড়ফুঁক যেমনভাবে জায়েজ, ঠিক তেমন ই কুফরী কালামের তামীমা শিরক এবং ওহীর কালামের যেসকল তাবীজের মধ্যে শিরকী কালাম নেই ,তাতে কোনো সমস্যাও নেই৷৷

🌺🍃🌺সাহাবী—তাবেঈদের দৃষ্টিতে তাবিজঃ—
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُعَلِّمُهُمْ مِنَ الْفَزَعِ كَلِمَاتٍ ‏ "‏ أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ ‏"‏ ‏.‏ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو يُعَلِّمُهُنَّ مَنْ عَقَلَ مِنْ بَنِيهِ وَمَنْ لَمْ يَعْقِلْ كَتَبَهُ فَأَعْلَقَهُ عَلَيْهِ ‏.‏
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের ভীতিকর পরিস্থিতিতে এ বাক্যগুলোর মাধ্যমে আশ্রয় প্রার্থনা করার শিক্ষা দিতেনঃ
“أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ ‏”
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) এ বাক্যগুলো তার বালেগ সন্তানদের শিখাতেন এবং নাবালেগদের জন্য লিখে তা তার গলায় ঝুলিয়ে দিতেন।
[আবু দাউদঃ ৩৮৯৩, তিরমিযীঃ৩৫২৮, ইবনে আবি শাইবাহঃ২৩৫৪৭, সহীহ আল জামেঃ৭০১, মিশকাতঃ২৪৭৭]
হাদীসটির স্তরঃ হাসান ৷
মুহাম্মদ বিন ইসহাক(৮০-১৫০হি) এবং আমর বিন শুয়াইব (মৃঃ ১১৮হি) সমসাময়িক ছিলেন ৷৷ এবং তারা উভয়েই সিকাহ/হাসানুল হাদীস ৷৷৷

19612 - أَخْبَرَنَا أَبُو زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ الْحَسَنِ قَالَا: ثنا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ، ثنا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ، ثنا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي نَافِعُ بْنُ يَزِيدَ، أَنَّهُ سَأَلَ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ عَنِ الرُّقَى وَتَعْلِيقِ الْكُتُبِ، فَقَالَ: كَانَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ يَأْمُرُ بِتَعْلِيقِ الْقُرْآنِ وَقَالَ: لَا بَأْسَ بِهِ
নাফে’ বলেন: আমি ইয়াইয়া বিন সাইদ রহঃ কে ঝাড়ফুঁক এবং তাবিজ লটকানো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: সাইদ ইবনুল মুসায়্যিব রাঃ কুরআন লিখে লটকানোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন:এতে কোন সমস্যা নেই।
[আস সুনানুল কুবরাـ১৯৬১২]
এই সনদটা সম্পূর্ণ সহীহ ৷৷৷ কোনো রাবীর উপরেই প্রখ্যাত মুহাদ্দিসদের কোনোই জরাহ নাই ৷৷

23549 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، «أَنَّهُ رَأَى فِي عَضُدِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ خَيْطًا»
আইয়ূব রহঃ বলেন:—আমি উবাইদুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ বিন আমর রাঃ এর গলায় লটকানো সুতা দেখেছি ৷ (ইবনে আবি শাইবাঃ ২৩৫৪৯ সনদ সহীহ)

23508 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: إِذَا عَسِرَ عَلَى الْمَرْأَةِ وَلَدُهَا، فَيَكْتُبُ هَاتَيْنِ الْآيَتَيْنِ وَالْكَلِمَاتِ فِي صَحْفَةٍ ثُمَّ تُغْسَلُ فَتُسْقَى مِنْهَا: «بِسْمِ اللَّهِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ، سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَرَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ» {كَأَنَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَهَا لَمْ يَلْبَثُوا إِلَّا عَشِيَّةً أَوْ ضُحَاهَا} [النازعات: 46] {كَأَنَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَ مَا يُوعَدُونَ لَمْ يَلْبَثُوا إِلَّا سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ، بَلَاغٌ فَهَلْ يُهْلَكُ إِلَّا الْقَوْمُ الْفَاسِقُونَ} [الأحقاف: 35]
ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন:— একজন মহিলা সন্তান প্রসব করলো ৷ সন্তানকে গোসল দেওয়ানোর পরে সে যখন সিক্ত হলো-আমি একটি কাগজে আয়াতদ্বয়ের শব্দগুলো লিখলামঃ........
(মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাঃ ২৩৫০৮)
হাদীসটির স্তরঃ হাসান লি গাইরিহী ৷ হাদীসটির সকলেই সিকাহ ৷ শুধুমাত্র ইবনে আবি লাইলা সম্পর্কে মুহাদ্দিসদের বিভিন্ন মতামত রয়েছে ৷ যেমনঃ-
قال أبو زرعة الرازي: «هو صالح، ليس بأقوى ما يكون»

وقال أبو حاتم: «محله الصدق، وكان سيئ الحفظ، شغل بالقضاء، فساء حفظه، لا يُتَهْم، إنما يُنكر عليه كثرة الخطأ، يُكتب حديثه»

وقال يحيى بن معين عنه: «ليس بذاك ، وقد روى له النسائي وابن ماجه وأبو داود والترمذي في سننهم »
(সিয়ারঃ ৬/৩১১,মিজানুল ই'তিদালঃ১০৮৩৪)
ইবনে তাইমিয়্যা রহঃ ইবনে আব্বাসের রাঃ তাবিজ লটকানোর আমলকে দলীল হিসেবে গ্রহন করেছেন ৷
(দেখুনঃ -মাজমুঊল ফাতওয়াঃ ১৯/৬৪)

23546 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ حَسَنٍ، عَنْ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِيهِ «أَنَّهُ كَانَ لَا يَرَى بَأْسًا أَنْ يَكْتُبَ الْقُرْآنَ فِي أَدِيمٍ ثُمَّ يُعَلِّقُهُ»
জাফর রহঃ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন: তার পিতা পাকা চামড়াতে কোরআনের লিখে শরীলে লটকানোতে কোন দোষনীয় মনে করতেন না ৷
[মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা.হাদীস নং.২৩৫৪৬]
এটা সহীহ হাদীস! !!!
23551 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ أَبَانَ بْنِ ثَعْلَبٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ خَبَّابٍ، قَالَ: سَأَلْتُ أَبَا جَعْفَرٍ عَنِ ”التَّعْوِيذِ“ يُعَلَّقُ عَلَى الصِّبْيَانِ، «فَرَخَّصَ فِيهِ»
ইউসুফ বিন খাব্বাব আবু জা'ফর রহঃ কে শিশুদের গলায় তা'বিজ লটকানো সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন৷ তিনি অনুমতি দিলেন ৷৷
(ইবনে আবি শাইবাঃ২৩৫৫১)
হাদীসটির স্তরঃ সহীহ লি-গাইরিহী ৷
ইউনুস বিন খাব্বার এর বর্ননাকে সিয়া সিত্তাহের ইমামগণেরা গ্রহন করেছেন এবং সহীহ
বলেছেন ৷ দেখুনঃ- বুখারী, আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৩১,,৭০৩ ৷ তিরমিজী, হা/২৩২৫,,ইবনে মাজাহ, হা/৩৩৩,,১৪৪৮ ইত্যাদি ৷৷
তার সম্পর্কে জরাহ আছে যে, তিনি উসমান রাঃ কে রাসুলুল্লাহর সঃ কন্যা হত্যাকারী ধারণা করে অভিশাপ করতেন ৷৷
সেই যুগের ফেৎনার কারণে হযরত উসমান রাঃ এবং আলী রাঃ কে গালি দেওয়ার দোষটা অনেক সাহাবীদের সম্পর্কেও পাওয়া যায় ৷৷ তাই বলে গালিদাতা ঐসকল সাহাবীরা সনদের মধ্যে থাকার কারণে হাদীসকেই জাল/বাতিল বলা যায় না ৷৷
উসমান রাঃ কে অভিশাপ করতেন জানার পরেও ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন রহঃসহ অনেক ইমাম ই তাকে সিকাহ/স্বদুক বলেছেন:—
وقال بن معين كان ثقة وكان يشتم عثمان
وقال بن شاهين في الثقات
قال عثمان بن أبي شيبة يونس بن خباب ثقة صدوق
[তাহযিবুত তাহযিব, রাবী নং ৮৪৮]
🌹🌺🌹সলফে সালেহীনদের দৃষ্টিতে তাবিজঃ—
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহঃ বলেনঃ-
وَيَجُوزُ أَنْ يَكْتُبَ لِلْمُصَابِ وَغَيْرِهِ مِنْ الْمَرْضَى شَيْئًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ وَذِكْرُهُ بِالْمِدَادِ الْمُبَاحِ وَيُغْسَلُ وَيُسْقَى كَمَا نَصَّ عَلَى ذَلِكَ أَحْمَد وَغَيْرُهُ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَد: قَرَأْت عَلَى أَبِي ثَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ؛ ثَنَا سُفْيَانُ؛ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ الْحَكَمِ؛ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ؛ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: إذَا عَسِرَ عَلَى الْمَرْأَةِ وِلَادَتُهَا فَلْيَكْتُبْ: بِسْمِ اللَّهِ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ....
বিপদগ্রস্ত বা অসুস্থ লোকদের জন্য কালি দ্বারা আল্লাহর কিতাব, আল্লাহর যিক্বর লিখে দেয়া এবং ধুয়ে পান করা জায়েজ। তারপর এ আলোচনার শেষদিকে তিনি তাবিজাত বৈধ হওয়ার পক্ষে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর একটি আছার পেশ করেন। ইবনে আব্বাস (রাঃ) কাগজের টুকরায় তাবিজ লিখে দিতেন,তা সন্তানসম্ভবা নারীদের বাহুতে বেঁধে দেয়া হতো। {মাজমাঊল ফাতওয়া -১৯/৬৪}
তবে,প্রধান শর্ত হচ্ছেঃ কোনো প্রকারের শির্কী-কুফরী কোনোকিছু তাবিজের মধ্যে থাকা যাবেনা ৷৷
কেউ কেউ সুরা বাকারাঃ ৪১ কে দলীল বানিয়ে শর্তারোপ করেছেন—তাবিজের বিনিময়ে টাকা পয়সার লেনদেন করা তথা ব্যবসা করা হারাম ৷৷কেননা,আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনের আয়াতের বিনিময়ে মূল্য গ্রহন করতে নিষেধ করেছেন ৷৷৷৷
তবে অনেকেই আবার বলেছেন যে, আবু দাউদঃ ৩৮৯৬ মোতাবেক যেহেতু আল্লাহর কালাম দিয়ে ঝাড়ফুক করে বিনিময় নেওয়া জায়েজ, সেহেতু আল্লাহর কালাম দিয়ে তৈরীকৃত তাবীজের বিনিময় নেওয়াও জায়েজ হবে ৷৷৷
☎যে ব্যক্তি "তামিমা" লটকালো,সে শির্ক করলো(মুসনাদে আহমদ)—এই সমস্ত সকল হাদীসগুলো সম্পর্কে
🌺আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ বুখারী শরীফের ব্যাখ্যগ্রন্থ ফাতহুল বারীতে লিখেন-
ﻭﺍﻟﺘﻤﺎﺋﻢ ﺟﻤﻊ ﺗﻤﻴﻤﺔ ﻭﻫﻲ ﺧﺮﺯ ﺃﻭ ﻗﻼﺩﺓ ﺗﻌﻠﻖ ﻓﻲ ﺍﻟﺮﺃﺱ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻓﻲ ﺍﻟﺠﺎﻫﻠﻴﺔ ﻳﻌﺘﻘﺪﻭﻥ ﺃﻥ ﺫﻟﻚ ﻳﺪﻓﻊ ﺍﻵﻓﺎﺕ ﻭﺍﻟﺘﻮﻟﺔ ﺑﻜﺴﺮ ﺍﻟﻤﺜﻨﺎﺓ ﻭﻓﺘﺢ ﺍﻟﻮﺍﻭ ﻭﺍﻟﻼﻡ ﻣﺨﻔﻔﺎ ﺷﻲﺀ ﻛﺎﻧﺖ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﺗﺠﻠﺐ ﺑﻪ ﻣﺤﺒﺔ ﺯﻭﺟﻬﺎ ﻭﻫﻮ ﺿﺮﺏ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﺤﺮ ﻭﺇﻧﻤﺎ ﻛﺎﻥ ﺫﻟﻚ ﻣﻦ ﺍﻟﺸﺮﻙ ﻷﻧﻬﻢ ﺃﺭﺍﺩﻭﺍ ﺩﻓﻊ ﺍﻟﻤﻀﺎﺭ ﻭﺟﻠﺐ ﺍﻟﻤﻨﺎﻓﻊ ﻣﻦ ﻋﻨﺪ ﻏﻴﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻻ ﻳﺪﺧﻞ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﺑﺄﺳﻤﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻛﻼﻣﻪ
তামায়েম শব্দটি তামীমা শব্দের বহুবচন। যা পুঁতি বা মালা সাদৃশ্য। মাথায় লটকানো হয়। জাহেলী যুগে বিশ্বাস করা হতো যে, এর দ্বারা বিপদমুক্ত হওয়া যায়, মহিলারা এসব ব্যবহার করতো স্বামীর মোহাব্বত অর্জন করতে। এটি জাদুরই একটি প্রকার। এটি শিরকের অন্তুর্ভূক্ত। কেননা এর দ্বারা আল্লাহ ছাড়া অন্যের থেকে বিপদমুক্ত হওয়া ও উপকার অর্জন করা উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। কিন্তু এ শিরকের অন্তুর্ভূক্ত হবে না যেসব তাবীজ কবচে আল্লাহর নাম বা কালাম থাকে। {ফাতহুল বারী-১/১৬৬, ঝারফুক অধ্যায়}
🌻আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহঃ উল্লেখ করেন- ﺇﻧﻤﺎ ﺗﻜﺮﻩ ﺍﻟﻌﻮﺫﺓ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻧﺖ ﺑﻐﻴﺮ ﻟﺴﺎﻥ ﺍﻟﻌﺮﺏ
، ﻭﻻ ﻳﺪﺭﻯ ﻣﺎ ﻫﻮ ﻭﻟﻌﻠﻪ ﻳﺪﺧﻠﻪ ﺳﺤﺮ ﺃﻭ ﻛﻔﺮ ﺃﻭ ﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ، ﻭﺃﻣﺎ ﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﻣﻦ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ
ﺃﻭ ﺷﻲﺀ ﻣﻦ ﺍﻟﺪﻋﻮﺍﺕ ﻓﻼ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ
নিশ্চয় নিষিদ্ধ তাবীজ হল যা আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় লিখা হয়, বুঝা যায় না তাতে কি আছে? অথবা যাতে জাদু, কুফরী ইত্যাদি কথা থাকে। আর যেসব তাবীজে কুরআন বা দুআ সম্বলিত হয় তা ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই। {ফাতওয়ায়ে শামী-৬/৩৬৩}
🌺মোল্লা আলী কারী রহঃ বলেন-
ﺇﺫﺍ ﻛﺘﺐ ﻟﻪ ﺍﻟﻨﺸﺮﺓ ﻭﻫﻲ ﻛﺎﻟﺘﻌﻮﻳﺬ ﻭﺍﻟﺮﻗﻴﺔ ﻭﺍﻟﻤﺮﺍﺩ ﺑﺎﻟﻀﻤﻴﺮ ﺍﻟﺒﺎﺭﺯ ﻓﻲ ﻗﻮﻟﻪ ﻓﻘﺎﻝ ﺃﻱ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﻫﻮ ﻣﻦ ﻋﻤﻞ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺍﻟﻨﻮﻉ ﺍﻟﺬﻱ ﻛﺎﻥ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺠﺎﻫﻠﻴﺔ ﻳﻌﺎﻟﺠﻮﻥ ﺑﻪ ﻭﻳﻌﺘﻘﺪﻭﻥ ﻓﻴﻪ ﻭﺃﻣﺎ ﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﻣﻦ ﺍﻵﻳﺎﺕ ﺍﻟﻘﺮﺁﻧﻴﺔ ﻭﺍﻷﺳﻤﺎﺀ ﻭﺍﻟﺼﻔﺎﺕ ﺍﻟﺮﺑﺎﻧﻴﺔ ﻭﺍﻟﺪﻋﻮﺍﺕ ﺍﻟﻤﺄﺛﻮﺭﺓ ﺍﻟﻨﺒﻮﻳﺔ ﻓﻼ ﺑﺄﺱ ﺑﻞ ﻳﺴﺘﺤﺐ ﺳﻮﺍﺀ ﻛﺎﻥ ﺗﻌﻮﻳﺬﺍ ﺃﻭ ﺭﻗﻴﺔ ﺃﻭ ﻧﺸﺮﺓ ﻭﺃﻣﺎ ﻋﻠﻰ ﻟﻐﺔ ﺍﻟﻌﺒﺮﺍﻧﻴﺔ ﻭﻧﺤﻮﻫﺎ ﻓﻴﻤﺘﻨﻊ ﻻﺣﺘﻤﺎﻝ ﺍﻟﺸﺮﻙ ﻓﻴﻬﺎ
যদি তাবীজের মত কাগজ লিখা হয়। রাসূল সাঃ এর বানী “এটি শয়তানী কর্ম” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল জাহেলী যুগে যদ্বারা চিকিৎসা করা হতো ও যার উপর নির্ভর করা হতো। আর যা কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম, আল্লাহর সিফাত সম্বলিত, দুআয়ে মাসুরা হয়, তাহলে কোন সমস্যা নেই। বরং এটি মুস্তাহাব। চাই সেটি তাবীজ হোক, বা ঝাঁড়ফুক হোক বা কাগজে লিখা হোক। আর যেসব ইবরানী ও অন্যান্য ভাষায় লিখা হয় তা নিষিদ্ধ। কারণ তাতে শিরকের সম্ভাবনা আছে। {মিরকাতুল মাফাতীহ-৮/৩২১}
সুতরাং সকল প্রকার তাবীযকে শিরিক বললে এসকল সাহাবী, তাবেয়ী ও উলামাদের ও মুশরিক বলতে হয়।(নাউযুবিল্লাহ)
তবে আমরা তাবিযের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করবোনা ৷ কেননা এতে ভালোর চেয়ে খারাপের সম্ভাবনাই বেশী। শরয়ী ঝাঁড়ফুক করব। কেননা এটিই স্পষ্ট ।
কিন্তু, ওহী দ্বারা লিখিত তাবিজ কে ঢালাওভাবে শিরক বললে—সাহাবী তাবেঈদের কে মুশরিক বলতে হবে, সলফে সালেহীনদের কে মুশরিক বলতে হবে ৷৷
আল্লাহ তায়ালা সবাইকে দ্বীনের সহিহ বুঝ দান করুক। আমিন

31/12/2020

তাশাহুদের বৈঠকে ডান পা খাড়া রেখে বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসা সুন্নতঃ—
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
أَخْبَرَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ بَكْرِ بْنِ مُضَرَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ يَحْيَى، أَنَّ الْقَاسِمَ حَدَّثَهُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «مِنْ سُنَّةِ الصَّلَاةِ أَنْ تَنْصِبَ الْقَدَمَ الْيُمْنَى، وَاسْتِقْبَالُهُ بِأَصَابِعِهَا الْقِبْلَةَ وَالْجُلُوسُ عَلَى الْيُسْرَى»

আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, সালাতের সুন্নতের মধ্যে এটাও যে,(তাশাহুদের বৈঠকে) ডান পা খাড়া রাখা আর তার আঙ্গুলসমূহ কিবলার দিকে রাখা এবং বাম পায়ের উপর বসা।


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১১৫৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD


1542 - بِمَا حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَرَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ قَالَا: حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ , عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ الْجَرْمِيِّ , عَنْ أَبِيهِ عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ الْحَضْرَمِيِّ , قَالَ: " صَلَّيْتُ خَلْفَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: لَأَحْفَظَنَّ صَلَاةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: §فَلَمَّا قَعَدَ لِلتَّشَهُّدِ فَرَشَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى ثُمَّ قَعَدَ عَلَيْهَا وَوَضَعَ كَفَّهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى وَوَضَعَ مِرْفَقَهُ الْأَيْمَنَ عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى , ثُمَّ عَقَدَ أَصَابِعَهُ وَجَعَلَ حَلْقَةَ الْإِبْهَامِ وَالْوُسْطَى ثُمَّ جَعَلَ يَدْعُو بِالْأُخْرَى "

হযরত ওয়ায়েল বিন হুজ্র রা. বলেন: আমি রসূলুল্লাহ স.-এর পেছনে নামায আদায় করলাম এবং সিদ্ধান্ত নিলাম যে, রসূলুল্লাহ স.-এর নামায সংরক্ষণ করব। তিনি বলেন: রসূলুল্লাহ স. যখন তাশাহুদের জন্য বসলেন তখন বাম পা বিছিয়ে তার ওপর বসলেন এবং বাম হাতের পাঞ্জা বাম উরুর ওপর এবং ডান কনুই ডান উরুর ওপর রাখলেন। অতঃপর আঙ্গুলসমূহ বন্ধ করলেন এবং বৃদ্ধা ও মধ্যমা আঙ্গুল দ্বারা বৃত্ত তৈরী করলেন এরপর অপর আঙ্গুল (শাহাদাত) দ্বারা দুআ করতে থাকলেন।
(মা'আনিল আছার ত্বহাবী শরীফ, হাদীস নং ১৪৩২ )

হাদীসটির স্তর : সহীহ। এ হাদীসের রাবীগণের মধ্যে ইমাম তহাবীর রহঃ দুইজন উস্তাদ সালেহ বিন আব্দুর রহমান محله الصدق “তিনি সত্যবাদিতার স্থানে অধিষ্ঠিত”। রওহ ইবনুল ফারাজ ثقة “নির্ভরযোগ্য”। (তাকরীব: ২১৪৯)
আর কুলাইব বিন শিহাব ثقة নির্ভরযোগ্য। (আল কাশেফ:৪৬৭১) এবং অবশিষ্ট রাবীগণ সবাই ই বুখারী-মুসলিমের রাবী। সুতরাং হাদীসটি সহীহ।

হযরত ওয়ায়েল বিন হুজ্র রা.-এর বর্ণনা দ্বারা স্পষ্ট হয়ে গেলো যে, নামাযে বৈঠকের পদ্ধতি হলো ডান পা খাড়া রাখা আর বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার ওপর বসা। হযরত ওয়ায়েল বিন হুজ্র রা. থেকে বর্ণিত এ পদ্ধতিকে শুধু প্রথম বৈঠকের জন্য নির্দিষ্ট করা ঠিক হবে না; বরং এটা শেষ বৈঠকেরই পদ্ধতি। ইমাম ত্বহাবী রহ. এ হাদীসের আলোচনায় বলেন: وَفِي قَوْلِ وَائِلٍ ، ثُمَّ عَقَدَ أَصَابِعَهُ يَدْعُو دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ كَانَ فِي آخِرِ الصَّلَاةِ “এ হাদীসে রসূলুল্লাহ স.-এর যে বৈঠকের কথা বলা হয়েছে এটা নামাযের শেষ বৈঠক। কারণ, তাশাহহুদের পরে দুআ করার কথা উল্লেখ রয়েছে যা প্রখম বৈঠকে হতে পারে না”।


حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، - يَعْنِي الأَحْمَرَ - عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ بُدَيْلِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ أَبِي الْجَوْزَاءِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتَفْتِحُ الصَّلاَةَ بِالتَّكْبِيرِ وَالْقِرَاءَةَ بِـ ‏{‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ‏}‏ وَكَانَ إِذَا رَكَعَ لَمْ يُشْخِصْ رَأْسَهُ وَلَمْ يُصَوِّبْهُ وَلِكَنْ بَيْنَ ذَلِكَ وَكَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ لَمْ يَسْجُدْ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَائِمًا وَكَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السَّجْدَةِ لَمْ يَسْجُدْ حَتَّى يَسْتَوِيَ جَالِسًا وَكَانَ يَقُولُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ التَّحِيَّةَ وَكَانَ يَفْرِشُ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَيَنْصِبُ رِجْلَهُ الْيُمْنَى وَكَانَ يَنْهَى عَنْ عُقْبَةِ الشَّيْطَانِ وَيَنْهَى أَنْ يَفْتَرِشَ الرَّجُلُ ذِرَاعَيْهِ افْتِرَاشَ السَّبُعِ وَكَانَ يَخْتِمُ الصَّلاَةَ بِالتَّسْلِيمِ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ نُمَيْرٍ عَنْ أَبِي خَالِدٍ وَكَانَ يَنْهَى عَنْ عَقِبِ الشَّيْطَانِ ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকবীর (আল্ল-হু আকবার) বলে সলাত শুরু করতেন এবং সূরাহ্‌ আল ফা-তিহাহ্‌ দিয়ে কিরাআত পাঠ শুরু করতেন। তিনি যখন রুকূ’ করতেন, ঘাড় থেকে মাথা নীচুও করতেন না, উপরেও উঁচু করে রাখতেন না বরং একই সমতলে রাখতেন। তিনি যখন রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন, সোজা হয়ে না দাঁড়িয়ে সাজদাহ্ করতেন না। তিনি (প্রথম) সাজদাহ্ থেকে মাথা তুলে সোজা হয়ে না বসা পর্যন্ত (দ্বিতীয়) সাজদায় যেতেন না। তিনি প্রতি দু’রাক’আত অন্তর “আত্তাহিয়্যাতু” পাঠ করতেন। তিনি বসার সময় বাম পা বিছিয়ে দিতেন এবং ডান পা দাঁড় করিয়ে রাখতেন। তিনি শয়তানের বসা থেকে নিষেধ করতেন। তিনি পুরুষ লোকেদেরকে হিংস্র জন্তুর ন্যায় দু’হাত মাটিতে ছড়িয়ে দিতে নিষেধ করতেন। তিনি সালামের মাধ্যমে সলাতের সমাপ্তি ঘোষণা করতেন।
ইবনু নুমায়র থেকে আবূ খালিদ-এর সূত্রে বর্ণিত আছে : তিনি শয়তানের মতো [১০৬] বসতে নিষেধ করতেন। (ই.ফা. ৯৯১, ই.সে. ১০০২)

ফুটনোটঃ
১০৬ - দু’হাঁটু দাঁড় করিয়ে দু’উরু বুকের সঙ্গে লাগলে পাছার উপর ভর দিয়ে উপবেশন করাকে শয়তানের বৈঠক বলা হয়। সলাত রত অবস্থায় তাশাহ্‌হুদ পাঠকালে এরূপ বসতে নিষেধ করা হয়।

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৯৯৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD


حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ الْجَرْمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ قُلْتُ لأَنْظُرَنَّ إِلَى صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا جَلَسَ - يَعْنِي - لِلتَّشَهُّدِ افْتَرَشَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى يَعْنِي عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى وَنَصَبَ رِجْلَهُ الْيُمْنَى ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ وَابْنِ الْمُبَارَكِ ‏.‏

ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, আমি মদীনায় আসলাম। আমি (মনে মনে) বললাম, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামায আদায় করা দেখব। তিনি যখন তাশাহ্‌হুদ পাঠ করতে বসলেন তখন বাম পা বিছিয়ে দিলেন, বাম হাত বাম ঊরুপ উপর রাখলেন এবং ডান পা খাড়া করে রাখলেন।

সহীহ। সহীহ্ আবূ দাঊদ-(৭১৬)।

ফুটনোটঃ
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ্। বেশিরভাগ বিদ্বান এ হাদীসের উপর আমর করেছেন। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারক ও কুফাবাসীগণও (আবূ হানীফা ও তাঁর অনুসারীগণ) এ মতই ব্যক্ত করেছেন।

জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৯২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD

হযরত ওয়াইল বিন হুজ্র, আব্দুল্লাহ বিন উমার, আলী বিন আবী তালিব ও কা’ব রা.সহ সাহাবায়ে কিরামের এক বড় জামাআত, ইবরাহীম নাখঈ, শা’বী ও ইয়যীদ বিন আব্দুল্লাহসহ বহু তাবিঈ এবং সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারকসহ অসংখ্য তাবে তাবিঈ এবং কুফাবাসীদের আমল এমনই ছিলো। (ইবনে আবী শাইবা: ২৯২৩—২৯২৯)

↓↓


🎆🌻🎆নিতম্বের উপরে বসার পদ্ধতি টা মূলতঃ অসুস্থ/অক্ষম এবং মহিলাদের জন্য প্রযোজ্যঃ-

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ كَانَ يَرَى عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ يَتَرَبَّعُ فِي الصَّلَاةِ إِذَا جَلَسَ قَالَ فَفَعَلْتُهُ وَأَنَا يَوْمَئِذٍ حَدِيثُ السِّنِّ فَنَهَانِي عَبْدُ اللهِ وَقَالَ إِنَّمَا سُنَّةُ الصَّلَاةِ أَنْ تَنْصِبَ رِجْلَكَ الْيُمْنَى وَتَثْنِيَ رِجْلَكَ الْيُسْرَى فَقُلْتُ لَهُ فَإِنَّكَ تَفْعَلُ ذَلِكَ فَقَالَ إِنَّ رِجْلَيَّ لَا تَحْمِلَانِي.

আবদুর রহমান ইবনু কাসিম (র) থেকে বর্ণিতঃ:

আবদুল্লাহ্ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উমার (র) তাঁর নিকট বর্ণনা করেন যে, তিনি আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ)-কে নামাযে বসাকালে পিঁড়িতে বসার মত (চার জানু) হয়ে বসতে দেখতেন। তিনি আরও বলেছেন, আমিও (তা দেখে) সেভাবে বসলাম। তখন আমি তরুণ। আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) আমাকে (এভাবে বসতে) নিষেধ করলেন এবং বললেন, নামাযের সুন্নত হচ্ছে ডান পা খাড়া রেখে বাম পা বিছিয়ে দেওয়া। আমি বলে উঠলাম আপনি যে এইরূপ করেন (পিঁড়িতে বসার মত বসেন?) তিনি বললেন আমার পা দুটো (বসবার সময়) আমার ভার বহন করতে অক্ষম। (সহীহ, বুখারী ৮২৭)


মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস নং ১৯৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD


حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، كَانَ يَرَى عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ يَتَرَبَّعُ فِي الصَّلاَةِ إِذَا جَلَسَ، فَفَعَلْتُهُ وَأَنَا يَوْمَئِذٍ حَدِيثُ السِّنِّ، فَنَهَانِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَقَالَ إِنَّمَا سُنَّةُ الصَّلاَةِ أَنْ تَنْصِبَ رِجْلَكَ الْيُمْنَى وَتَثْنِيَ الْيُسْرَى‏.‏ فَقُلْتُ إِنَّكَ تَفْعَلُ ذَلِكَ‏.‏ فَقَالَ إِنَّ رِجْلَىَّ لاَ تَحْمِلاَنِي‏.‏

‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি ‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু উমর (রাঃ)-কে সালাতে আসন পিঁড়ি করে বসতে দেখেছেন। ‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি সে সময় অল্প বয়স্ক ছিলাম। আমিও এমন করলাম। ‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু উমর (রাঃ) আমাকে নিষেধ করলেন এবং তিনি বললেন, সালাতে (বসার) সুন্নাত তরীকা হল তুমি ডান পা খাড়া রাখবে এবং বাঁ পা বিছিয়ে রাখবে। তখন আমি বললাম, আপনি এমন করেন? তিনি বললেন, আমার দু’পা আমার ভার বহন করতে পারে না।


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৮২৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD


2783 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ قَالَ: نا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ زُرْعَةَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ اللَّجْلَاجِ، قَالَ: «كُنَّ النِّسَاءُ يُؤْمَرْنَ أَنْ يَتَرَبَّعْنَ إِذَا جَلَسْنَ فِي الصَّلَاةِ، وَلَا يَجْلِسْنَ جُلُوسَ الرِّجَالِ عَلَى أَوْرَاكِهِنَّ، يُتَّقَى ذَلِكَ عَلَى الْمَرْأَةِ مَخَافَةَ أَنْ يَكُونَ مِنْهَا الشَّيْءُ»

হযরত খালিদ বিন লাজলাজ বলেন: নারীগণ যখন নামাযে বসে তখন তাদেরকে আসন গেড়ে বসার নির্দেশ দেয়া হতো এবং বলা হতো যে, তারা যেন পুরুষের ন্যায় উরুর ওপর না বসে। নারীদেরকে এ ধরণের বৈঠক থেকে বিরত রাখা হতো যেন তাদের থেকে লজ্জার কিছু প্রকাশ না পায়। (ইবনে আবী শাইবা: ২৭৮৩)


2784 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ قَالَ: نا أَبُو خَالِدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ، عَنْ نَافِعٍ، «أَنَّ صَفِيَّةَ، كَانَتْ تُصَلِّي وَهِيَ مُتَرَبِّعَةٌ»

হযরত ছফিয়া রা. নিতম্বের ওপর ভর করে আসন গেড়ে বসে নামায আদায় করতেন। (ইবনে আবী শাইবা: ২৭৮৪)

হাদীসটির স্তর : সহীহ, মাউকুফ। এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী/মুসলিমের রাবী।

2789 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ قَالَ: نا وَكِيعٌ، عَنِ الْعُمَرِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ: «كُنَّ نِسَاءُ ابْنِ عُمَرَ يَتَرَبَّعْنَ فِي الصَّلَاةِ»


হযরত নাফে’ বলেন: ইবনে উমার রা.-এর স্ত্রীগণ আসন গেড়ে বসে নামায আদায় করতেন। (ইবনে আবী শাইবা: ২৭৮৯)

হাদীসটির স্তর : সহীহ, মাউকুফ। এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী-মুসলিমের রাবী।

সুতরাং অধিকাংশ সাহাবী তাবেঈদের আমল কে বর্জন করে মহিলাদের আমল বা রাসূুলুল্লাহর সঃ বৃদ্ধকালের বা অসুস্থ্য/অক্ষমতার আমল কে সুস্থ্য সবলদের জন্য সুন্নত বানিয়ে নেওয়া সঠিক নয় ৷৷

আল্লাহ তা'য়ালা সবাইকে সহীহ বুঝ দান করুন, আমিন ৷

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hanafi Fiqah Bangladesh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category