Kunjo

Kunjo বর্ণমালার খেলায় যে শব্দ তৈরি হয় তা অদৃশ্যের মধ্যে দৃশ্যমান সঙ্গী,সে বাঁচতে শেখায়, হাসতে শেখায়

পথ ভুলে আসিনি, ভালোবেসেই এসেছিলাম--  রেখে গেলে,  তবে শুভ কামনা সব সময় ❤️
26/07/2025

পথ ভুলে আসিনি, ভালোবেসেই এসেছিলাম--
রেখে গেলে, তবে শুভ কামনা সব সময় ❤️

মাঝে মাঝে ভাবি তোমার আমার কাব্য আর গল্প লেখা হয়েছে এক বৈশাখে,তারপর জৈষ্ঠ্যের দুপুরে আমাদের প্রেম জমেছে রঙিন  জামে!আষাঢ়ের...
26/07/2025

মাঝে মাঝে ভাবি তোমার আমার কাব্য আর গল্প লেখা হয়েছে এক বৈশাখে,
তারপর জৈষ্ঠ্যের দুপুরে আমাদের প্রেম জমেছে রঙিন জামে!

আষাঢ়ের প্রথম কদম যেদিন দিলে হাত ভরিয়ে,
সেদিন ভালোবাসা উপচেয়ে পড়ে আকাশ থেকে যেনো আষাঢ়ের বৃষ্টি হয়ে!

আর শ্রাবণের মেঘগুলো ভালোবাসা হয়ে যেনো পাড়ায় পাড়ায় বেড়িয়ে তা জানান দিতে থাকে,
যেমন করে ভাদ্রের তালের পিঠার ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে!

আশ্বিনের শেষ আলোয় আমাদের দেখা হালকা কুয়াশা মাখা ধানের ক্ষেতের আলে,
আমরা সেদিন কিছু বলিনি
তবুও সেদিনের চুপ থাকা যেনো হয়ে উঠেছিলো এক চিরন্তন প্রতিশ্রুতি!

কার্তিকের মেলায় তোমায় হারিয়ে ফেললাম ভিড়ে,
আমি খুঁজতে খুঁজতে বুঝলাম ভালোবাসা মানে ফিরে পাওয়ার জন্য না থামা,
আর তোমায় ফিরে পাওয়ার পর মনে হয়েছিলো সেই মেলাই আমার জীবনের উৎসব।

অঘ্রাণে রাতে তুমি আমার কাঁধে মাথা রেখে বলেছিলে এই নীরবতা তোমার ভালো লাগে,
আমি মুখে এক চিলতে হাসি রেখে চুপ করে ছিলাম।

পৌষ-মাঘের শীতে তোমার হাতের আঙ্গুল জড়িয়ে ছিলো আমায়,
যা কাঁপতে থাকা আঙুল সাহস জোগায়।

ফাল্গুন এলে পলাশে আগুন জ্বলে,
তোমার কন্ঠে শুনেছিলাম
"তুমি আমার শেষ চিঠি "
আমি চোখের জলে সেই চিঠির প্রতিটি অক্ষর গোপনে লিখেছিলাম হদয়ে।

আর চৈত্রের পাতা ঝরা গাছের নিচে তুমি বলেছিলে -
"আদিম সভ্যতার অজস্র উদাহরণ হয়ে তুমি পাশে থাকবে, বারো মাস, প্রতিটি ঋতুতে—প্রেমের পদচিহ্ন এঁকে!!

সেই কথা যেন প্রতিটি মুহূর্তে নিউরনে নিউরনে বাজে , একটানা, নির্বিচারে —
" তোমার নামে"।

বিধবার লাল টিপের সাহসমেঘলার জীবন থেমে গেছে তিন বছর আগে, কিন্তু পৃথিবী থামে না।স্বামীর মৃত্যু কেবল একজন মানুষের প্রস্থান ...
26/07/2025

বিধবার লাল টিপের সাহস

মেঘলার জীবন থেমে গেছে তিন বছর আগে, কিন্তু পৃথিবী থামে না।
স্বামীর মৃত্যু কেবল একজন মানুষের প্রস্থান ছিল না, সমাজের চোখে সেটা ছিল মেঘলার জীবনের শেষ প্রহর।

তার বয়স পঁইত্রিশের কাছাকাছি—তবে সমাজের হিসাবমতো সে এখন বৃদ্ধ, নির্বাক, নিষ্প্রাণ।
একদিন সে ছিল রঙিন— সিঁথি ছিলো সিঁদুরে লাল রাঙা, কপালে ছিলো
লাল সূর্য , লাল শাড়ি, নাক ফুল, হেসে উঠত মৃদু বাতাসে; আর এখন সমাজ তাকে বেঁধে দিয়েছে সাদা শাড়ির শোকের শিকলে।

দিনগুলো কেটেছে নিঃশব্দে। আয়নার সামনে দাঁড়ালে চোখ সরিয়ে নেয় সে নিজেই।
হাসতে গেলেও মনে পড়ে, "তুমি তো বিধবা, তুমি কি হাসতে পারো?"

কিন্তু আজ সকালটা একটু আলাদা ছিল।

ঘরের এক কোণে ধুলো ঢাকা নীল শাড়িটা হাতে নিল মেঘলা।
এই শাড়িতে একদিন তার স্বামী তাকে বলেছিল, “তুমি নীল পরলে আমার আকাশ মনে হয়।”

আস্তে আস্তে সে চোখে টানল কাজল, ঠোঁটে ছোঁয়াল সামান্য লিপস্টিক, আর কপালে রাখল লাল টিপ—একটা ছোট্ট বিন্দু, তবু যেন আগুন জ্বালায় সমাজের চোখে।

জানালার ওপাশে তখন কুৎসার বাতাস বইছে—
—“টিপ পরে কেন?”
—“স্বামী মরেছে, এখনো সাজে?”
—“বিধবা হয়েও এই রকম!”

মেঘলা কিছুই বলল না। জানালার কপাট টেনে দিল ধীরে। আয়নার সামনে বসে রইল কিছুক্ষণ।
সে জানে, সাজ তার পাপ নয়—সাজ তার বেঁচে থাকার প্রমাণ।

সন্ধ্যায় বের হলো সে। মাথা উঁচু করে,
পা ফেলে ধীরে, সম্মানে।
লোকজন তাকাল, কেউ কটাক্ষ করল, কেউ চোখ ঘোরাল।

তবুও মেঘলা জানে—
এই হাঁটা কেবল হাঁটা নয়,
এ এক বিদ্রোহ,
এ এক বেঁচে থাকার সাহস।

টিপটা লাল, তবু সমাজ দেখে আগুন,
কাজলের রেখা—তার চোখে দুঃখের গুণ।
নীল শাড়ি জড়ানো এক মেয়ে হেঁটে যায়—
বুকের ভেতর যুদ্ধ, মুখে কোন কথা নাই।

সে জানে না হয়, হাসিতে অপরাধ খোঁজে লোক,
তবুও হাসে, কেননা সে আজো জীবিত, চোখে শোক।
তাকে ভাবো না কেবল কারো ছায়া কিংবা ক্ষয়,
সে নিজেই নিজের এক আকাশ—

তাসলিমা মুক্তা

আমি জানি তুমি কে —তুমি সেই পথিক, যে ভালোবাসে নিঃস্বকেই,যার চোখে ধ্বংসেও থাকে একরকম দীপ্তি।আমার প্রশ্ন —কেন এতো ভালোবাসোএ...
23/07/2025

আমি জানি তুমি কে —
তুমি সেই পথিক, যে ভালোবাসে নিঃস্বকেই,
যার চোখে ধ্বংসেও থাকে একরকম দীপ্তি।

আমার প্রশ্ন —
কেন এতো ভালোবাসো
এক মরা গাছকে?

সেই গাছে নেই কোনো পাতার ছায়া,
না ফুটবে তাতে কোনো ফুল,
ফল দেবে না কারো ক্ষুধার পাশে।
অক্সিজেনও নয়, আর ঢেউ তোলে না বাতাসে।

তবু তুমি চেয়ে থাকো,
যেন সে এখনো জীবন্ত —
তোমার চোখে তার শেকড়ে আছে স্মৃতি,
তার বাকলে লেখা কোনো পুরোনো গান।

তুমি ভালোবাসো
কারণ সে ছিলো একদিন—
তুমিও জানো, সবকিছু টিকে থাকে না,
তবুও থেকে যায় কিছু অদেখা প্রেমে।

এটাই তোমার ভালোবাসা —
যা চায় না কিছুই ফিরে,
শুধু দেয়—নিঃশব্দে, নিঃস্বার্থে—
একটি মরা গাছকেও বাঁচিয়ে রাখে স্মরণে।

08/07/2025

২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৭২ লাখ ১৮ হাজার (৬৭.১৮ মিলিয়ন), যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৭.৫%।

এতো মানুষের ভীড়ে কোনটা আপনি, বুঝবেন কি করে?

08/07/2025
08/07/2025

চিঠি: মেঘ বালিকা থেকে মেঘ বালকের কাছে
বৃষ্টি ভেজা শহর, কদম ফুলের গন্ধে ভরা

প্রিয় মেঘ বালক,
কেমন আছো তুমি?
আজ আবার বৃষ্টি নেমেছে আমাদের সেই চেনা শহরে। জানো, প্রতিটি ফোঁটার শব্দে যেন তোমার পায়ের আওয়াজ শুনি—যেমনটা সেদিন, যখন আমরা হেঁটেছিলাম পাশাপাশি, হাত ধরাধরি করে। মনে পড়ে? আমার কাঁধ ছুঁয়ে ছুঁয়ে বয়ে যাচ্ছিল মেঘের হাওয়া, আর তুমি হাসতে হাসতে এগিয়ে দিয়েছিলে এক গুচ্ছ কদম ফুল—আমার প্রিয় ফুলটা।

তুমি বলেছিলে, "এই ফুল ঠিক তোমার মতো—ভিজে আছে ভালোবাসায়।"
আমি হেসেছিলাম তখন, কিন্তু জানো, সেই হাসির পেছনে এক চিরন্তন বিশ্বাস ছিল যে তুমি ফিরে আসবে... ঠিক বৃষ্টির মতো।

আজ কদম গাছটার নিচে দাঁড়িয়ে থাকলাম অনেকক্ষণ।
হয়তো ভেবেছিলাম, হঠাৎ তুমি এসে বলবে,
"এই মেঘ বালিকা, বৃষ্টি থামুক বা না থামুক, আমি ফিরেছি।"

তুমি কি শুনতে পাও আমার চুপচাপ কথাগুলো?
তুমি কি এখনো মেঘের আড়ালে আমায় খুঁজে ফেরো?
তুমি কি এখনো কদম ফুল হাতে ঘুরে বেড়াও সেই পুরনো বটতলায়?

আমার আকাশ এখনো ধূসর,
তবু আশা রয়ে গেছে—
তুমি একদিন ফিরে আসবে,
আমার আকাশে মেঘ হয়ে, বৃষ্টি হয়ে, ভালোবাসা হয়ে।

অপেক্ষায়,
তোমার মেঘবালিকা
🌧️💌🌸

07/07/2025

কথা ছিলো এক তরীতে কেবল তুমি আমি
যাবো ভেসে কেবল ভেসে
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নীলা প্রতিদিন বিকেল বেলা বারান্দায় বসে থাকে, এক কাপ চায়ের পাশে ছোট্ট চিঠির আশায়। যেন প্রতিটি দিন তার জীবনের অপেক্ষার দিন...
04/07/2025

নীলা প্রতিদিন বিকেল বেলা বারান্দায় বসে থাকে, এক কাপ চায়ের পাশে ছোট্ট চিঠির আশায়। যেন প্রতিটি দিন তার জীবনের অপেক্ষার দিন। সময় চলে যায়, সূর্য ডুবে যায়, পাখিরা ঘরে ফেরে—কিন্তু ডাকপিয়ন যেন কখনো তেমন তাড়া নিয়ে আসে না। তবু নীলা অপেক্ষা করে।

একদিন, হঠাৎ একটি চিঠি আসে। প্রেরকের নাম — নীল। ঠিক যেন নীলার নামের প্রতিধ্বনি। চিঠির খামে কোনো পরিচয় নেই, শুধু লেখা — “নীলার জন্য”।

নীলা চিঠি খুলে দেখে সেখানে তার নিজেরই দিনলিপি লেখা। আজ সে কখন ঘুম থেকে উঠেছে, কী নাস্তা করেছে, দুপুরে কার সঙ্গে দেখা হয়েছে, সন্ধ্যায় কোন গান শুনেছে—সব কিছু। যেন কেউ সারাদিন তাকে ছায়ার মতো অনুসরণ করেছে।

প্রথম দিন সে অবাক হয়, দ্বিতীয় দিনে কৌতূহলী, আর তৃতীয় দিন থেকে অভ্যস্ত। এখন চিঠির জন্য তার মন ছটফট করে।

নীলা ধীরে ধীরে চিঠি পড়ে, যেনো দ্রুত চিঠিটা শেষ না হয়। শব্দগুলো পড়তে পড়তে তার মনে হয়, যেন নীল তার সামনে বসে আছে, কথা বলছে। মাঝে মাঝে সে হেসে ফেলে, মাঝে মাঝে চোখ ভিজে ওঠে।

নীল কে? কোথায় থাকে? কীভাবে জানে এত কিছু?—সে সব প্রশ্ন আসলেও, নীলা আর উত্তর খোঁজে না। এখন তার জীবন আর একা নয়। নীলের চিঠিই যেন তার নিত্যসঙ্গী, নিঃশব্দ ভালোবাসা।

শুধু একটি প্রশ্ন থেকে যায়, যা নীলা কখনো উচ্চারণ করে না —
"নীল, তুমি কি আমি?"

Address

Dhaka

Telephone

+8801936962341

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Kunjo posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share