Alor Dipadhar - আলোর দীপাধার

Alor Dipadhar - আলোর দীপাধার
বল, নিশ্চয় আমার সালাত, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ জগৎ সমূহের প্রতি পালক আল্লাহর জন্যে|•°..
(2)

হতে চাই জান্নাতের সবুজ পাখি.....
كُلُّ نَفْسٍ ذَآىِٕقَةُ الْمَوْتِ
"প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে"
আমরা প্রায় সকলেই এই আয়াতটির সাথে পরিচিত এবং সকলে বিশ্বাসও করি আমাদেরকে অবশ্যই একদিন দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হবে। কিন্তু আমরা নিজেদের জন্য কেমন মৃত্যু কামনা করি? কোন অবস্থায় মৃত্যুর আকাঙ্খা রাখি?
বর্তমান সময়ে এক্ষেত্রে একেকজনের চিন্তাধারা একেক রকম "কেউ তাহাজ্জুদের সিজদায় মৃত্যু চায়, কেউ

কুরআন তিলাওয়াত-জিকির করা অবস্থায়, কেউ রমজানে রোজাদার অবস্থায়, কেউ হজে গিয়ে ইহরাম পরা অবস্থায়, কেউ চায় মদিনায় মরে জান্নাতুল বাকীতে দাফন হতে, কেউবা শাহীদ হতে চায়, ইত্যাদি।"
কিন্তু আপনি যদি সাহাবায়ে কেরাম রাঃ দের জামানার দিকে তাকান তাহলে দেখতে পাবেন উমার ইবনে খাত্তাব থেকে শুরু করে আমর ইবনে জামূহর মত বয়োবৃদ্ধ খোড়া সাহাবী পর্যন্ত সকলেই শাহাদাত কামনা করছেন! শাহাদাতের তালাশে বদর উহুদ খন্দকে ছোটাছুটি করছেন!
আর এমনটা হবেই'বা-না কেন? যেখানে স্বয়ং রাসুলুল্লাহ ﷺ নিজের অবস্থাই হচ্ছে-
وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ… لَوَدِدْتُ أَنِّي أُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ، ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ، ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ
ঐ সত্ত্বার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ! আমার বড় ইচ্ছে হয়, আমি আল্লাহর রাস্তায় নিহত হবো, আবার আমাকে জীবিত করা হবে, আবার আমি নিহত হবো, আবার আমাকে জীবিত করা হবে, পুনরায় আমি নিহত হবো, পুনরায় আমাকে জীবিত করা হবে এবং পুনরায় আমি আল্লাহর রাস্তায় নিহত হবো।[সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭২২৬]
-
একটু ভাবুন তো, ঐ মৃত্যুর চেয়ে উত্তম মৃত্যু আর কী হতে পারে, যেই মৃত্যু স্বয়ং রাসুলুল্লাহ ﷺ নিজের জন্য বারবার কামনা করছেন?
কী আছে এই মৃত্যুর ভিতরে?
হ্যা, এই মৃত্যুর ভিতরে আছে জীবন।
কি? বিশ্বাস হয়না?
দেখুননা, শাহাদাত ব্যাতিত অন্য যেকোনো ভাবে কেউ মারা গেলে আমরা বলি, "লোকটা মারা গেছে, লোকটার হায়াত ফুরিয়ে গেছে" এক্ষেত্রে কুরআন-হাদিসের কোথাও কোনো প্রতিবাদ প্রতিরোধ নেই। সবাই মেনে নিচ্ছে যে লোকটা আসলেই মারা গেছে।
কিন্তু কেউ যদি আল্লাহর জন্য জীবন বিলিয়ে দিয়ে শহীদ হয়। তখন যদি কেউ বলে, "লোকটা মারা গেছে, লোকটার হায়াত ফুরিয়ে গেছে" সাথেসাথে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা এর প্রতিবাদ করে বলছেন, খবরদার! এদেরকে মৃত বলবেনা!
وَلَا تَقُوۡلُوۡا لِمَنۡ یُّقۡتَلُ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ اَمۡوَاتٌ ؕ بَلۡ اَحۡیَآءٌ وَّلٰکِنۡ لَّا تَشۡعُرُوۡنَ
আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না। (আল বাকারা - ১৫৪)
وَلَا تَحۡسَبَنَّ الَّذِیۡنَ قُتِلُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ اَمۡوَاتًا ؕ بَلۡ اَحۡیَآءٌ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ یُرۡزَقُوۡنَ ۙ
আর যারা আল্লাহর রাহে নিহত হয়, তাদেরকে তুমি কখনো মৃত মনে করো না। বরং তারা নিজেদের পালনকর্তার নিকট জীবিত ও রিযিকপ্রাপ্ত। (আল ইমরান - ১৬৯)
-
শুধু কি তাই? যতবড় আল্লাহওয়ালা বুজুর্গই হোক মরণের যন্ত্রণা কিছুনা কিছু তাকে ভোগ করতেই হবে। এক্ষেত্রে শহীদরাই শুধু ব্যাতিক্রম। তাদের মৃত্যু যন্ত্রণা নামমাত্র কিংবা নেই বললেই চলে।
‏"ما يجد الشهيد من مس القتل إلا كما يجد أحدكم من مس القرصة ‏"‏ ‏.‏ قال أبو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب"‏
"শহীদ ব্যক্তি মৃত্যুর কষ্ট শুধু ততটুকুই অনুভব করে, তোমাদের কাউকে একবার চিমটি কাটলে সে যতটুকু কষ্ট অনুভব করে। (জামে' আত-তিরমিজি ১৬৬৮, ইবনু মা-জাহ ২৮০২, মান: সহিহ)
-
কি ভাবছেন, শহীদের কবরের কথা? ধুর! শহীদের কবরে আবার ঝামেলা করবে কে?
رَجُلًا قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا بَالُ الْمُؤْمِنِينَ يُفْتَنُونَ فِي قُبُورِهِمْ إِلَّا الشَّهِيدَ؟ قَالَ: «كَفَى بِبَارِقَةِ السُّيُوفِ عَلَى رَأْسِهِ فِتْنَةً»
এক সাহাবী জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! শহীদ ব্যতীত অন্যান্য মুমিনগণ কবরের পরীক্ষার বা ফিৎনার সম্মুখীন হবে, এর কারণ কি? (অর্থাৎ, শহীদ কেন কবরে পরীক্ষার সম্মুখীন হবেনা?) রাসুল ﷺ বললেন, তার(শহীদের) মাথার উপর উজ্জল তরবারি তাকে কবরের পরীক্ষা থেকে নিরাপদ রাখবে। (সুনানে আন-নাসায়ী ২০৫৩, মানঃ সহিহ)
-
শহীদের রুহ কোথায় থাকবে? তারা কি কবরে ঘুমিয়ে পড়ে থাকবে?
আরে নাহ্! আল্লাহ তায়ালা তাদের রুহকে সবুজ পাখির ভিতর ঢুকিয়ে দিয়ে বলবেন, যাও অন্য নেককারদের মত হাশরের ময়দান, হিসাব কিতাবের জন্য ওয়েট করা লাগবেনা, তোমরা এখন থেকেই জান্নাতে ঘুরেফিরে উপভোগ করতে থাকো!
‏"أرواحهم في جوف طير خضر لها قناديل معلقة بالعرش تسرح من الجنة حيث شاءت ثم تأوي إلى تلك القناديل فاطلع إليهم ربهم اطلاعة فقال هل تشتهون شيئا قالوا أى شىء نشتهي ونحن نسرح من الجنة حيث شئنا ففعل ذلك بهم ثلاث مرات فلما رأوا أنهم لن يتركوا من أن يسألوا قالوا يا رب نريد أن ترد أرواحنا في أجسادنا حتى نقتل في سبيلك مرة أخرى ‏.‏ فلما رأى أن ليس لهم حاجة تركوا"‏
"তাদের(শহীদদের) রূহসমূহ সবুজ পাখীর উদরে রক্ষিত থাকে, যা ‘আরশের সাথে ঝুলন্ত দীপাধারে বাস করে। জান্নাতের সর্বত্র তারা যেখানে চায় সেখানে বিচরণ করে। অবশেষে সে দীপাধারগুলোতে ফিরে আসে। একবার তাদের প্রভু তাদের দিকে পরিপূর্ণভাবে তাকালেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের কি কোন আকাঙ্ক্ষা আছে? জবাবে তারা বলল, আমাদের আর কি আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে, আমরা তো যেভাবে ইচ্ছা জান্নাতে ঘোরাফেরা করছি। আল্লাহ তা’আলা তাদের সাথে এরূপ তিন তিনবার করলেন। যখন তারা দেখলো জবাব না দিয়ে প্রশ্ন থেকে রেহাই পাচ্ছে না তখন তারা বলল, “হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের আকাঙ্ক্ষা হয় যদি আমাদের রূহগুলোকে আমাদের দেহসমূহে ফিরিয়ে দিতেন আর পুনরায় আমরা আপনারই পথে নিহত হতে পারতাম। অতঃপর মহান আল্লাহ যখন দেখলেন, তাদের আর কোন প্রয়োজনই নেই, তখন তদেরকে ছেড়ে দেয়া হলো (আর প্রশ্ন করা হলো না)। (সহিহ মুসলিম ৪৭৭৯, মুসলিম ১৮৮৭, তিরমিযী ৩০১১, দারেমী ২৮২২, সহীহাহ ২৬৩৩, ইবনে মাজাহ ২৮০১,মান: সহিহ)
-
আরে, শুধু তাই নয়! অন্যরা একবার মৃত্যুর স্বাদ ভোগ করে দ্বিতীয় বার আর মৃত্যুর নাম মুখেও আনবেনা। কিন্তু শহীদ? এরা জান্নাতে গিয়েও একই কথা বলবে, "আল্লাহ, আবারও যদি আমাদেরকে দুনিয়াতে পাঠাতেন! আপনার জন্য জীবন দেওয়ার মধ্যে যে উচ্চ মর্যাদা আর স্বাদ পেয়েছি সেটা আমরা বারবার পেতে চাই!"
ما أحد يدخل الجنة يحب أن يرجع إلى الدنيا وله ما على الأرض من شىء، إلا الشهيد، يتمنى أن يرجع إلى الدنيا فيقتل عشر مرات، لما يرى من الكرامة‏
"জান্নাতে প্রবেশের পর আর কেউ দুনিয়ায় ফিরে আসার আকাঙক্ষা করবে না, যদিও দুনিয়ার সকল জিনিস তাকে দেয়া হয়। একমাত্র শহীদ ব্যতীত; সে দুনিয়ায় ফিরে আসার আকাঙক্ষা করবে যেন দশবার শহীদ হয়। কেননা সে শাহাদাতের মর্যাদা দেখেছে।" (সহিহ বুখারী ২৮১৭, জামে' আত-তিরমিজি ১৬৬১, মান: সহিহ)
-
শহীদ যখন কিয়ামতের কঠিন দিনে উপস্থিত হবে-
عن أبي هريرة رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : «ما من مَكْلُومٍ يُكْلَمُ في سبيل الله، إلا جاء يومَ القيامة، وكَلْمُهُ يَدْمَى: اللَّونُ لَوْنُ الدَّمِ، والرِّيحُ رِيحُ المِسْكِ».
[صحيح] - [متفق عليه]
“আল্লাহর পথে কেউ আঘাত প্রাপ্ত হলে কিয়ামতের দিন এমতাবস্থায় আসবে যে, তার ক্ষতস্থান থেকে টকটকে লাল রক্ত ঝরছে: রঙ হবে রক্তের রঙ আর সুগন্ধি হবে মেশকের সুগন্ধি।”
সহীহ - মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।
-
শহীদ ব্যক্তি গুনাহগার হলে-
يُغْفَرُ لِلشَّهِيدِ كُلُّ ذَنْبٍ إِلَّا الدَّيْنَ
প্রদেয় ঋণ ব্যতীত শহীদ ব্যক্তির সমস্ত গুনাহ আল্লাহ তাআলা মাফ করে দেবেন। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮৮৬)
-
শহীদদের জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে দেওয়া স্পেশাল ৬টি গিফট-
للشهيد عند الله ست خصال يغفر له في أول دفعة ويرى مقعده من الجنة ويجار من عذاب القبر ويأمن من الفزع الأكبر ويوضع على رأسه تاج الوقار الياقوتة منها خير من الدنيا وما فيها ويزوج اثنتين وسبعين زوجة من الحور العين ويشفع في سبعين من أقاربه ‏"‏ ‏.‏ قال أبو عيسى هذا حديث صحيح غريب"‏
"শহীদের জন্য আল্লাহ্ তা’আলার নিকট ছয়টি পুরস্কার বা সুযোগ আছে।
১। তাঁর প্রথম রক্তবিন্দু পড়ার সাথে সাথে তাঁকে ক্ষমা করা হয়,
২। তাঁকে তাঁর জান্নাতের বাসস্থান দেখানো হয়,
৩। কবরের আযাব হতে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়,
৪। সে (কিয়ামতের ভয়ংকর) কঠিন ভীতি হতে নিরাপদ থাকবে,
৫। তাঁর মাথায় মর্মর পাথর খচিত মর্যাদার টুপি পরিয়ে দেওয়া হবে। এর এক একটি পাথর দুনিয়া ও তাঁর মধ্যকার সবকিছু হতে উত্তম। তার সাথে বাহাত্তরজন জান্নাতী হূরকে বিয়ে দেওয়া হবে এবং
৬। তাঁর সত্তরজন নিকটাত্মীয়ের জন্য তাঁর সুপারিশ ক্ববূল করা হবে।
(জামে' আত-তিরমিজি ১৬৬৩, তা’লীকুর রাগীব ২/১৯৪, সহীহা ৩২১৩, আহমাদ ১৬৭৩০, বায়হাকী ফিস সুনান ৯/১৬৪, বায়হাকী ফিশ শুআব ১০৮২৩, ১০৮২৪, আল-আহকাম ৩৬ নং পৃষ্ঠা, মিশকাত ৩৮৩৪, ইবনে মাজাহ ২৭৯৯, মান: সহিহ)
-
এখন কেউ বলতে পারেন, ভাই আমি তো অনেক আগে থেকেই শাহাদাত চাই।
আরে ভাই শুধু আপনি আমি কেন? এদেশের অনেক আলিম, খানকাহর পীর বুজুর্গরাও শাহাদাত চান।
কিন্তু আমাদেরকে যখন ডাকা হয় শাহাদাত প্রাপ্তির পথে কাজ করার জন্য, ব্যাপক দাওয়াহ-এ'দাদের মাধ্যমে সাধ্যমত প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য, তখন আমরা নিজেরা তো করিইনা অন্যকেউ এগুলো করতে চাইলে তাকে পিছ থেকে টেনে ধরি!
এক্ষেত্রে আমাদের শাহাদাত কামনার উদাহরণ হচ্ছে ঐ ব্যক্তির মত যে নেক সন্তান চায়, নেক সন্তান লাভের জন্য কাবার গিলাফ ধরে, তাহাজ্জুদের সিজদায় গিয়ে চোখের পানি ফেলে দোআ করে, কিন্তু বিয়ে করতে রাজি না!
অথচ আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন-
وَلَوۡ اَرَادُوا الۡخُرُوۡجَ لَاَعَدُّوۡا لَه عُدَّۃً
আর যদি তারা (আল্লাহর রাস্তায়) বের হবার সংকল্প নিত, তবে অবশ্যই কিছু সরঞ্জাম প্রস্তুত করতো। (আত তাওবাহ্ - ৪৬)
-
সর্বশেষ দোয়া চাই যেন আল্লাহ তায়ালা আমাকেও তার পথের জন্য যথাযথ প্রস্তুতির তাওফিক দান করেন। আল্লাহ তায়ালা এমনভাবে তার জন্য জীবন উৎসর্গ করার সুযোগ দেন যেন আমিও মৃত্যুর সময় বলে উঠতে পারি-
أَكْبَرُ فُزْتُ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ‏
"আল্লাহু আকবার! কাবার রবের শপথ! আমি সফল হয়েছি!"

📍আশুরার রোযা কবে ও কয়টি?১০ই মহররম = আশুরা (৬ জুলাই, শনিবার)।সুন্নাহ হলো আশুরার রোযা দুটি দিন রাখা:➡ ৯ ও ১০ মহররম (৫ ও ৬ ...
04/07/2025

📍আশুরার রোযা কবে ও কয়টি?
১০ই মহররম = আশুরা (৬ জুলাই, শনিবার)।
সুন্নাহ হলো আশুরার রোযা দুটি দিন রাখা:
➡ ৯ ও ১০ মহররম (৫ ও ৬ জুলাই)
অথবা
➡ ১০ ও ১১ মহররম (৬ ও ৭ জুলাই)

🍀 শুধুমাত্র ১০ তারিখে রোযা রাখলে ইহুদীদের অনুকরণ হয়, তাই বাড়তি একদিন রোযা রাখা উত্তম।

📜 রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন:
"তোমরা আশুরার রোযা রাখো এবং ইহুদীদের বিরোধিতা করো—এর আগের দিন বা পরের দিনও রোযা রাখো।"
[মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২১৫৪]

🍂আশুরার রোযার ফজিলত:
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন:
“আশুরার রোযা গত এক বছরের গুনাহ মোচন করে।”
[সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬২]

এই বরকতময় দিনে রোযা রেখে আল্লাহর নিকট ক্ষমা ও রহমত প্রার্থনা করি।
আল্লাহ আমাদের কবুল করুন। আমীন।🤲

‘Rag Day’ তে বেস্টফ্রেন্ড মনের খুশিতে ইচ্ছেমাফিক সব লেখতে পারে। হ্যা, আপনি এখানেও Rag Day এর একটা চিত্র দেখতে পাচ্ছেন—এক...
26/06/2025

‘Rag Day’ তে বেস্টফ্রেন্ড মনের খুশিতে ইচ্ছেমাফিক সব লেখতে পারে। হ্যা, আপনি এখানেও Rag Day এর একটা চিত্র দেখতে পাচ্ছেন—একজন মেয়ের বুকের ওপর লিখে দিচ্ছে ‘Small Milk’ মানে তোর স্ত* ছোট।

ইসলামে সহশি'ক্ষা স্পষ্ট হারা'ম। উচ্চশিক্ষা আর সহশিক্ষা দুইটায় পার্থক্য আছে। উচ্চশিক্ষার জন্য সহশিক্ষায় যাওয়া হারা'ম। দীন মেনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বাঁধা নেই, উৎসাহ আছে।

সহশিক্ষা হা'রাম না মানলে মানিক মিয়ারা সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারে। লিটনের ফ্ল্যাটে নাইট ডিউটিতে মেয়েরা সিরিয়াল ধরবে বৈ কী? নি*র্লজ্জ হয়ে গেলে তো ইমুতে ফ্রিলান্সার হবেই।

(এভাবে ফটো দেওয়া ও লেখার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। চাই—অন্ততঃ মানুষ বুঝুল, কেনো আমরা এরকম সহশিক্ষাকে হারা*ম বলি।)

সংগৃহীত

হে মহীয়সী নারীসমাজ! তোমরা বিলাসপ্রিয় হবে না, যা একান্ত প্রয়োজন তাই করো। অল্পে তুষ্ট থাকো। তোমার সন্তানকে নির্ভীক, দুর্জয়...
17/06/2025

হে মহীয়সী নারীসমাজ! তোমরা বিলাসপ্রিয় হবে না, যা একান্ত প্রয়োজন তাই করো। অল্পে তুষ্ট থাকো। তোমার সন্তানকে নির্ভীক, দুর্জয়, সাহসী মুজাহিদরূপে গড়ে তোলো। তোমার ঘর যেন হয় সিংহ-শাবকের লালনভূমি। তাকে ভীরু মুরগির চারণ ক্ষেত্রে পরিণত করবে না, যারা তাজা ও পুষ্ট হয় অন্য জীবের উদরপূর্তির জন্য। তোমার সন্তানের মাঝে সৃষ্টি করো জিহাদপ্রেম, তারুণ্যের তেজ ও দিগ্বিজয়ের দূরন্ত নেশা। মুসলমানের সমস্যা সম্পর্কে সজাগ থাকো, তোমার জীবনে সপ্তাহের একটি দিন অন্তত এমনভাবে কাটাও, যা মুহাজিরীন ও মুজাহিদীনের জীবনাচারের পরিচয় বহন করে। তাদের মতো শুকনো রুটি ও সামান্য তরকারি তুমি আহার করো। এভাবে ঘরে বসেও তুমি লালন করতে পারো জিহাদি চিন্তা, বিজয়ীর চেতনা।

-শহীদ শায়েখ ডক্টর আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিমাহুল্লাহ্

16/06/2025

“প্রত্যেক মানুষের অন্তরেই রয়েছে অস্থিরতা, যা কেবল আল্লাহর কাছে ফিরে গেলেই ঠিক করা সম্ভব।”
- ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ
(মাদারিজুস সালেকিন, ৩/১৫৬)

16/06/2025

"বান্দার প্রতি আল্লাহর একটি দয়া হলো, তিনি কখনো কখনো বান্দাকে এমন পরীক্ষায় ফেলেন, যা সে কাউকে বলতে পারে না কিংবা কাউকে বোঝাতে পারে না। এটা এজন্য যাতে বান্দার হৃদয় আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো দিকে ঝুঁকে না পড়ে, যার কাছে সে গিয়ে অভিযোগ করবে।"
— ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.)
[আল-ওয়াবিলুস সায়্যিব, পৃ: ৩৫]

: স্টোরিটা সুন্দর। - thanks vai: কতগুলো ভিউ হলো?- 455 ta vai: অভিনন্দন। গান/মিউজিক এড করায় কোন কষ্ট ছাড়াই আপনার আমলনামা...
10/06/2025

: স্টোরিটা সুন্দর।
- thanks vai
: কতগুলো ভিউ হলো?
- 455 ta vai

: অভিনন্দন। গান/মিউজিক এড করায় কোন কষ্ট ছাড়াই আপনার আমলনামায় এতগুলো মানুষকে গান শুনানোর গুনাহ যুক্ত হলো। একটা করে হলেও তাজা তাজা ৪৫৫ টা কবিরা গুনাহ।

হিসাবের দিন নিজের গুনাহের ভারেই তো মানুষ পিষে যাবে, আপনি সবারটা নিয়ে কি করে যাবেন।
আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই! আল্লাহ্ আমাদেরকে মাফ করুন!

— মাহদী ফয়সাল

#সীরাহ

ঈদ মোবারক।  তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়ামিনকুম। আমরা যেখানেই থাকি না কেন,  হোক সেটা পাহাড় বা বন্দর, জঙ্গল বা গুহা ; রবের ...
07/06/2025

ঈদ মোবারক। তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়ামিনকুম। আমরা যেখানেই থাকি না কেন, হোক সেটা পাহাড় বা বন্দর, জঙ্গল বা গুহা ; রবের বিধানের সামনে আমি মাথানত করি। আমি মিল্লাতে ইব্রাহিমীর আদর্শে উজ্জীবিত, আমি সুন্নাতে মুহাম্মাদিতে প্রাণবন্ত; আমি শত্রুর সামনে মৃত্যু দূতের মত!

ঈদ মোবারক। গরুর ছিন্ন মস্তক, রক্তের বন্যা, রক্তাক্ত ছবি ছড়িয়ে দিন ফেসবুকে, শত্রুর বুকে কাঁপুনি সৃষ্টি করুন। আপনার ছোট সন্তানকে জবাইয়ের সময় পাশে রাখুন। তাকে শেখান কিভাবে আল্লাহর আদেশের কাছে মাথানত করতে হয়। ভীরু কাপুরুষতার পরিবর্তে তাকে সাহসিকতায় ভরপুর করুন!

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী 'তাওয়াক্কুল কারমান'- কে হিজাব পরা সম্পর্কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি উত্তর দিলেন সুন্দরভাব...
06/06/2025

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী 'তাওয়াক্কুল কারমান'- কে হিজাব পরা সম্পর্কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি উত্তর দিলেন সুন্দরভাবে পরিষ্কার ভাষায়, যা পৃথিবীর সভ্য মানুষকে করেছে মুগ্ধ।

‎তাঁর উত্তরটা ছিল এরকম:
‎"আদিকালে মানুষ প্রায় নগ্ন ছিল এবং মানুষের বুদ্ধির বিকাশের সাথে সাথে সে পোশাক পরতে শুরু করে।

‎"আমি আজ যে অবস্থানে আছি এবং আমি যা পরেছি তা মানুষের উচ্চতর চিন্তা ও সভ্যতার প্রতিনিধিত্ব করে, যা মানুষ অনেক বছর সাধনা করে অর্জন করেছে। এটি পশ্চাদমুখিতা নয়; বরং পোশাকের অপসারণ করাই পশ্চাদমুখিতা এবং প্রাচীন যুগের অসভ্য আচরণে আবার ফিরে যাওয়া।"

‎সভ্যতা মানে শুধু আধুনিক পোশাক নয়, বরং মর্যাদা, আত্মসংযম আর নিজের বিশ্বাসকে সম্মানের সাথে ধারণ করা। নিজের শালীনতা রক্ষা করে এগিয়ে যাওয়া; আর উল্টোটা হলো পশ্চাৎপদতায় ফেরা।

‎তিনি হিজাব পরাকে কেবল একটি ব্যক্তিগত, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক চেতনার প্রকাশ হিসেবেই উপস্থাপন করেননি, বরং একটি মানুষ কতটা সভ্য ও চিন্তাশীল হতে পেরেছে—তার একটি প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন।

‎যারা পোশাকের স্বাধীনতার কথা বলে এবং সেই সাথে বলে পোশাকের স্বাধীনতা তাদের সভ্যতা ও আভিজাত্যের প্রতীক। তারা তাওয়াক্কুল কারমান এর বলা এই গুটিকয়েক শব্দ, বাক্য নিয়ে চিন্তা করলেই উত্তর পেয়ে যাবে যে, আসলে পোশাকের স্বাধীনতা তাদের সভ্য করছে নাকি সভ্যতার নামে আদিকালের সেই নগ্নতায় তাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে।।

কথা সংগৃহীত

06/06/2025

'আমি বান্দার সাথে তার ধারণা অনুযায়ী আচরণ করি'

উপরিউক্ত কথাটি আমরা কমবেশি সবাই শুনেছি। এটি হাদিসে কুদসির অংশ বিশেষ। ইমাম কুরতুবি রাহিমাহুল্লাহ এর চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এর চারটি অর্থ হতে পারে :

১. দুআ কবুল হওয়ার ব্যাপারে আমি বান্দার সাথে তার বিশ্বাস অনুপাতে আচরণ করি। যদি সে বিশ্বাস করে যে আমি তাকে ফিরিয়ে দেবো না, তবে সত্যিই তাকে ফিরিয়ে দেবো না।

২. তাওবা কবুল হওয়ার ক্ষেত্রে আমি তার বিশ্বাস অনুযায়ী আচরণ করি। যদি সে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী হয়, তাহলে তাকে ফিরিয়ে দিই না।

৩. ইস্তিগফারের ক্ষেত্রে আমি বান্দার সাথে তার ধারণা অনুযায়ী আচরণ করি। যদি সে ক্ষমা পাবে বলে বিশ্বাস করে তাহলে তাকে ক্ষমা করে দিই।

৪. ইবাদাত কবুল হওয়ার ব্যাপারেও আমি তার সাথে একই রকম আচরণ করি।
-সহিহ বুখারি : ৭৪০৫; ফাতহুল বারি : ১৫/২৭০

06/06/2025

হজের মৌসুম। লাখো মানুষ আরাফার ময়দানে হাজির। সবাই আল্লাহর দিকে ফিরে ফিরে দোয়া করছে। আর সবার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে এক তরুণ। মাথা নিচু, চোখ ভেজা। সে কিছু না বলে শুধু কাঁদছে।

হঠাৎ এক বুযুর্গ ব্যক্তি এগিয়ে এলেন। তিনি ছিলেন বিখ্যাত মুফাসসির ও আলিম—ইমাম আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক (রহ.)।

তিনি বললেন—

“হে তরুণ! আমি আজ এমন কাউকে খুঁজছিলাম, যার দোয়ার উসিলায় আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করে নেবেন। আমি দেখছি, তুমি অনেক গভীরভাবে কাঁদছো। কী দোয়া করছো?”

তরুণ কাঁদতে কাঁদতে বলল—

“আমার মা ১০ বছর ধরে অন্ধ। আমি আজ শুধু আল্লাহকে বলছি,"হে আমার রব! যদি ফেরাউন তাওবা করত, তুমিও মাফ করতে‌…আমার মা তো তাওবা করে তোমার কাছে ফিরে এসেছে।
তুমি তাঁর চোখ ফিরিয়ে দাও।’

তরুণ আর কিছু বলেনি। ধীরে ধীরে তাঁবুর দিকে ফিরে গেল।

এবং তখনই সেই অলৌকিক মুহূর্ত।

তাঁর মা হঠাৎ চিৎকার করে উঠলেন—
“হে আমার ছেলে, আমি দেখতে পাচ্ছি!”

তাঁর দোয়া তাৎক্ষণিক কবুল হয়ে গিয়েছিল।

ইমাম ইবনে মুবারক (রহ.) নিজেই বলেন—

“আমি জীবনে বহু দোয়া কবুল হতে দেখেছি,
কিন্তু আরাফার দিনের মতো এত দ্রুত কখনো না।”

(সূত্র: সিয়ার আ’লাম আন-নুবালা – খণ্ড ৮, পৃষ্ঠা ৪১৯)
---------------------------
আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে কায়মনোবাক্যে দোয়া করতে থাকবেন।

ইয়া রব!
আপনি সবার জন্য কল্যাণকর দোয়া গুলো কবুল করুন,আমীন।

তাকবীরে তাশরীক এর ফজিলত?তাকবীর (تكبير) অর্থ হলো- বড়ত্ব ঘোষণা করা। আর তাশরীক (التشريق) অর্থ হলো- সূর্যের তাপে গোশত শুকানো...
05/06/2025

তাকবীরে তাশরীক এর ফজিলত?
তাকবীর (تكبير) অর্থ হলো- বড়ত্ব ঘোষণা করা। আর তাশরীক (التشريق) অর্থ হলো- সূর্যের তাপে গোশত শুকানো।

তাকবীরে তাশরীক تكبير التشريق এর অর্থ -সূর্যের তাপে গোশত শুকানোর বড়ত্ব ঘোষণা করা। আরবগণ তাদের কুরবানীর গোশত ঈদের তিনদিন পর পর্যন্ত রোদে শুকাতো, এজন্য এ দিনগুলো আইয়ামে তাশরীক বলা হয়।

তাকবীরে তাশরীক -
اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْد
‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ’- বাক্য বলা।

আইয়ামে তাশরীক কেনো গুরুত্বপূর্ন?
মুসলমানগণ প্রতি বছর আইয়ামে তাশরীকের ০৫ দিন (৯ জিলহজ তারিখের ফজরের নামাজ থেকে শুরু করে ১৩ জিলহজ সালাতুল আসর পর্যন্ত) ইবরাহীম আ. এর বরকতময় স্মৃতিচারণ করে থাকে তাকবীরে তাশরীক পাঠের মাধ্যমে। তাকবীরে তাশরীক পাঠের মাধ্যমে মুসলমানদের মাঝে সেই চেতনা কাজ করে। অতএব ইবরাহীম আ. ও তাঁর পুত্র ইসমাঈল আ. এর স্মৃতিবিজড়িত ‘তাকবীরে তাশরীক’ ইসলামে শরীয়তে বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার।

তাকবীরে তাশরীক হলো তাকবীর, তাহলীল, তাহমীদের সমন্বিত রূপ
তাকবীরে তাশরীক হলো কয়েকটি বিশেষ বাক্যের সমন্বিত রূপ। এতে রয়েছে ০৪ বার তাকবীর, ০১ বার তাহলীল এবং ০১ বার তাহমীদ। তাকবীরে তাশরীকের এ উপাদানগুলো অত্যন্ত ফযিলতের। নিম্নে এর উপাদান গুলোর ফযিলত তুলে ধরা হলো-

৯ই জিলহজ (শুক্রবার) থেকে ১৩ই জিলহজ (মঙ্গলবার) আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পাঠ করা ওয়াজিব। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন—
وَٱذۡكُرُوا۟ ٱللَّهَ فِیۤ أَیَّامࣲ مَّعۡدُودَ ٰ⁠تࣲۚ
‘‘এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর যিকর কোরো।’’ [সুরা বাকারা, আয়াত: ২০৩]
প্রখ্যাত সাহাবি আলি (রা.) আরাফার দিন (৯ই জিলহজ) ফজরের নামাজ থেকে তাকবির দিতেন এবং আইয়ামুত তাশরিকের শেষ দিন (জিলহজের ১৩ তারিখ) আসরের নামাজ পর্যন্ত তাকবির দিতেন। [ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান, আল আসার: ২০৮; বর্ণনাটির সনদ সহিহ]
এছাড়া ইবনু উমার (রা.), ইবনু আব্বাস (রা.) ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকেও বর্ণিত হয়েছে যে, তাঁরা উচ্চস্বরে তাকবির দিতেন। এমনকি বাজারে যেতেও তাকবির পাঠ করতেন।
একটি সুন্নাহসম্মত তাকবির:
اَللّٰهُ أَكْبَرْ اَللّٰهُ أَكْبَرْ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَاللّٰهُ أَكْبَرْ اَللّٰهُ أَكْبَرْ وَلِلّٰهِ الْحَمْد
আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার; লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার; ওয়া লিল্লা-হিল ‘হামদ।
(অর্থ : আল্লাহ সবচেয়ে বড়; আল্লাহ সবচেয়ে বড়; আল্লাহ ছাড়া কোনও উপাস্য নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়; আল্লাহই সবচেয়ে বড়; আর আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা।)
এটি ফকিহ সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) ও অন্যান্য পূর্বসূরিদের থেকে প্রমাণিত। [ইমাম দারা কুতনি, আস-সুনান: ১৭৫৬; শায়খ আলবানি, ইরওয়াউল গালিল: ৬৫৪; বর্ণনাটির সনদ সহিহ]
আরেকটি সহিহ সনদের সহজ তাকবির : (এটি পড়লেও ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে)
প্রখ্যাত সাহাবি সালমান আল ফারসি (রা.) বলেন, ‘তোমরা তাকবির দাও (এভাবে)—
اَللّٰهُ أَكْبَرْ اَللّٰهُ أَكْبَرْ اَللّٰهُ أَكْبَرْ كَبٍيْرًا
আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার কাবি-রা
(আল্লাহ সবচেয়ে বড়; আল্লাহ সবচেয়ে বড়; আল্লাহ সবচেয়ে বড়; তিনিই মহান)।’
[ইমাম বাইহাকি, ফাদ্বাইলুল আওক্বাত: ২২৭; ইমাম ইবনু হাজার, ফাতহুল বারি: ২/৪৬২; বর্ণনাটির সনদ সহিহ]
এছাড়াও আরও মাসনুন তাকবির বর্ণিত হয়েছে। তবে, এ দুটোই উত্তম ও প্রসিদ্ধ।
জিলহজের ৯ তারিখ (শুক্রবার) ফজর থেকে শুরু করে ১৩ তারিখ (মঙ্গলবার) আসর পর্যন্ত (মোট ২৩ ওয়াক্ত) প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরপর একাকী বা জামাতে নামাজ আদায়কারী, নারী অথবা পুরুষ—প্রত্যেকের জন্য একবার তাকবিরে তাশরিক (উপরে বর্ণিত যেকোনো একটি তাকবির) পাঠ করা ওয়াজিব। পুরুষদের উচ্চ আওয়াজে বলতে হবে এবং নারীরা নিচু আওয়াজে (শুধু নিজে শুনতে পেলেই হবে)। [ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ, মাজমু‘উ ফাতাওয়া: ২৪/২২০; ইমাম ইবনুল কায়্যিম, যাদুল মা‘আদ: ২/৩৬০; ইমাম শামি, রাদ্দুল মুহতার: ৩/৬১; আল্লামা উসমানি, ইলাউস সুনান: ৮/১৫৬]
◉ প্রত্যেক ফরজ নামাজের সালামের পরপর কোনো কথাবার্তা বলা বা নামাজ পরিপন্থী কোনো কাজ করার আগেই তাকবিরে তাশরিক অন্তত একবার পড়তে হবে।
◉ শুধু পাঁচ ওয়াক্ত ফরজের পর পড়তে হবে। বিতরের কিংবা অন্য কোনো সুন্নাত বা নফলের পরে পড়ার প্রয়োজন নেই। তবে, কোনো কোনো পূর্বসূরি নফল নামাজ শেষেও পড়তেন। তাই, কেউ চাইলে পড়তে পারেন।
◉ তাকবিরে তাশরিক পড়তে ভুলে গেলে খুব বেশি দেরি না হলে স্মরণ হওয়া মাত্র পড়ে নিতে হবে। আর, একদম মিস হয়ে গেলে বা নামাজের পর বেশি দেরি হয়ে গেলে ইস্তিগফার করবেন।
◉ ঈদের দিনে ঈদগাহে যেতে এটি পড়া উত্তম।
◉ পিরিয়ডে থাকা নারীদের জন্য এই তাকবির পাঠ করা জরুরি নয়। কারণ এটি ফরজ নামাজের পর পাঠ করতে হয়। তবে, তাঁরা যেকোনো সময় এটি পড়তে পারেন, পড়লে নেকি পাবেন।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে তাকবীরে তাশরীক যথাযথভাবে পাঠ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

এক বছর আগে, আরাফার ঠিক দুই দিন আগে আমার সুপারমার্কেটে আগুন লাগে। প্রায় $১৫,০০০ মূল্যের পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঈদুল আযহার...
05/06/2025

এক বছর আগে, আরাফার ঠিক দুই দিন আগে আমার সুপারমার্কেটে আগুন লাগে। প্রায় $১৫,০০০ মূল্যের পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঈদুল আযহার আগ মুহূর্তে আমি সর্বস্বান্ত—নতুন বিয়ে করেছি, দোকান ধ্বংস, হাতে নেই কিছুই, শুধুই ঋণ আর দুশ্চিন্তা।

বন্ধুবান্ধবদের কাছে গেলাম, কেউ সাহায্য করতে পারলো না। সর্বোচ্চ $৮০০ জোগাড় হল—তাও নিতান্ত তুচ্ছ। হতোদ্যম হয়ে বাসায় ফিরছিলাম, তখন পাশের বাসার এক ভাই বললো, “ভাই, কাল যেন আরাফার রোজা রাখো!”

রোজা? আমি তো সব ভুলে গেছি।
স্ত্রী বললো, “আল্লাহ আমাদের দেখছেন।
রোজা রাখো, দোয়া করো।”
আমি বললাম দোয়া করলেই কি আকাশ থেকে $15000 ডলার পড়বে?
স্ত্রী বললো, যেই আল্লাহ আকাশ সৃষ্টি করছেন সে চাইলে আকাশ থেকেও দিতে পারেন।
আমি রোজা রাখলাম, দোয়া করলাম…
শুধু বললাম, “হে আল্লাহ, আমাকে আবার দাঁড়াতে সাহায্য করুন!”

সেদিন মাগরিবের পর এক বন্ধু ডাকলো—বললো, “একজন বিনিয়োগ করতে চায়। তোমার কথাই মনে হয়েছে।”

অল্প সময়েই সে এল। $৩০,০০০ বিনিয়োগ করলো। আমি দোকান আবার খুললাম!

আর সেদিনই আমার মায়ের ক্যান্সারের রিপোর্ট এলো—নেগেটিভ! মা সুস্থ!
আর স্ত্রীর কাছ থেকে ফোন এলো—সে গর্ভবতী!

আল্লাহু আকবার! কী এক আশীর্বাদের ধারা!

কয়েক মাস পর টাকা ফেরত দিতে গেলে সে বললো, “এই টাকা এক ব্যক্তি দিয়েছেন, যার স্ত্রী ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়েছেন। তিনি আল্লাহর জন্য কাউকে উপহার দিতে চেয়েছিলেন—তুমি সেই সৌভাগ্যবান।”

আমি রুমে গিয়ে শিশুর মতো কাঁদলাম।হৃদয়ভরা চোখে কেবল বললাম:
“হে আল্লাহ, আপনি কতটা দয়ালু!”

সেদিন আমি বুঝেছি, আরাফার দিনের রোজা, দোয়া আর তাওয়াক্কুল—কীভাবে এক রাতেই জীবন বদলে দিতে পারে।

এই গল্প সবার জন্য—যারা হতাশ।
একটি রোজা, একটি খাঁটি দোয়া… হয়তো বদলে দেবে পুরো জীবন!

-সংগৃহীত

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Alor Dipadhar - আলোর দীপাধার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share