31/10/2024
ইসলাম ও কুফুর; বিপরীতমুখী দুটি শক্তি। এদের মধ্যে চলছে আজন্ম দ্বন্দ্ব ও সংঘাত। ইসলাম হলো— শুভশক্তি, কুফুর; অশুভ ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।
আদি পিতা হজরত আদম আলাইহিস সালামের সৃষ্টির পর থেকেই, ইবলিশ ক্রোধের বশে; আদমের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে। মহান আল্লাহ তায়ালার প্রিয় পাত্র, আদমকে আল্লাহর নিকট অপমানিত-অপদস্ত করার জন্য, নানা কৌশলের আশ্রয় নেয় সেই নীচ-হীন ইবলিশ।
সে তার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে সফল হলেও; তার উদ্দেশ্য সফল হয়নি। হজরত আদম আলাইহিস সালাম স্বীয় ভুল স্বীকার করে, মহান প্রভুর নিকট সম্মানিত হয়েছেন। বিপরীতে ইবলিশ হয়েছে অপমানিত ও লাঞ্ছিত।
আদম আলাইহিস সালাম ও ইবলিশ শয়তান, উভয়ে ঊর্ধ্বজগত থেকে পৃথিবীতে নেমে আসে। আদম ও তার সন্তানেরা, মহান আল্লাহর ইবাদত করে পুনরায়; বেহেশতে যাওয়ার জন্য নিজেদের যোগ্য করে তুলতে সদা তৎপর রয়েছে। বিপরীতে, ইবলিশ তার দলবল নিয়ে, হজরত আদম-সন্তানকে বিভ্রান্ত করার নানা ফন্দি-ফিকির অব্যাহত রাখে। কিয়ামত অবধি ইবলিশের এই ঘৃণ্য তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
ইবলিশ শয়তানের নানা মুখে তৎপরতা বাস্তবায়ন করতে—জিন জাতি তাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে, করে আসছে। অনেকেই এর বাস্তবতা না জেনে; তাদের এলিয়েন বা ভিনগ্রহের বাসিন্দা বলে বসে থাকে।
বিগত ১৫ শতাব্দী থেকে ইবলিশ শয়তানের চক্রান্তের এক বিশেষ দিক; ঐতিহাসিক ও গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সেটি হলো—সরাসরি এ গ্রহের একদল মানুষ ইবলিশের পূজা-অর্চনা শুরু করে।
তারা ইবলিশকে তাদের প্রভু হিসেবে জ্ঞান করতে থাকে। তাদের সহায়ক হিসেবে সেই এলিয়েন নামধারী জিন সম্প্রদায়ও তাদের নানা কর্মকৌশল দেখাতে থাকে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে সিক্রেট সোসাইটি; ইলু*মিনা*তি, লুসি*ফা*রের উপাসক, ইত্যাদি বিভিন্ন দল আত্মপ্রকাশ করতে থাকে।
তাদের নামের ভিন্নতা থাকলেও, মূলত তাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এক—পৃথিবীতে সচল ধর্মীয় কার্যকলাপের বিলোপ-সাধন এবং শয়তানকে প্রভু হিসেবে গ্রহণ করা।
বলা বাহুল্য যে, খোদ ইবলিশ শয়তান এবং তার অদৃশ্য বাহিনী—যাকে আমরা জিন বা এলিয়েন হিসাবেই জানি—সেই সিক্রেট সোসাইটিকে সাহায্য করছে নানাভাবে।
বিশ্বের শক্তিধর সকল রাষ্ট্রের পিছনে কলকাটি নাড়ছে এই দল। তাদের আঙ্গুলি-হেলনে; যুদ্ধ-বিগ্রহ, সরকার পরিবর্তন, সরকার গঠন, জাতি সংঘের কর্মকাণ্ড পরিচালনাসহ, সবই চলছে।
ক্রমেই তারা বিশ্ব ও বিশ্ববাসীকে চেপে ধরছে। বাস্তবায়ন করছে একের পর এক সব—শয়তানি এজেন্ডা।
শয়তানি এই সোসাইটিদের নিয়ে বিশ্বের বেশ কয়েকজন খ্যাতিমান গবেষক, গবেষণা-পত্র প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্যে রালফ এপারসন কর্তৃক রচিত The New World Order (দ্য নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার) বইটি বিশ্বব্যাপী তুমুল জনপ্রিয়।
বাংলাভাষাভাষী পাঠকদের কথা চিন্তা করেই, জনপ্রিয় এই গবেষণাধর্মী বইটি দুররানি প্রকাশন অনুবাদ করেছে। শুধুমাত্র প্রকাশের অপেক্ষায়...
মূল : রালফ এপারসন
অনুবাদ : এ. এ. এম. সালমান
বিষয় : ইসলামি গবেষণামূলক প্রবন্ধ
পৃষ্ঠা : ৩০৫ (আনুমানিক)
বাঁধাই : পেপারব্যাক
প্রকাশনা : দুররানি প্রকাশন
প্রচ্ছদ : Manjur Ashrafi