
13/06/2025
ঘটনাটি ২০০৮ সালের কথা। বরিশালের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে, কুলসিন্দুর। সেই গ্রামে সুমাইয়া নামের এক ষোড়শী মেয়ের বাস। গ্রামের একেবারে প্রান্তে তাদের পুরনো টিনের ছাউনি দেয়া ছোট একতলা বাড়ি। মা, বাবা, আর ছোট এক ভাই নিয়ে তাদের সংসার। সুমাইয়া তখন দশম শ্রেণিতে পড়ে, শান্ত স্বভাবের, কিন্তু খুব কৌতূহলী।
ঘটনাটি শুরু হয় এক বর্ষার রাতে। মেঘে আকাশ কালো হয়ে আছে। বিদ্যুৎ চলে গেছে, মোমবাতির আলোয় সুমাইয়া তখন পড়ছিল। মা রান্নাঘরে, আর ভাই ঘরের এক কোণে ঘুমিয়ে। এমন সময় সে জানালার ফাঁক দিয়ে দেখে, একটা অচেনা মেয়েলি অবয়ব রাস্তার ধারে একটা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে। তার পরনে সাদা শাড়ি, মাথার চুলগুলো হাঁটুর নিচে পর্যন্ত ঝুলে আছে। মুখ দেখা যাচ্ছে না, শুধু স্থির দাঁড়িয়ে থাকা। কেউ হয়তো খেয়ালই করত না, যদি না ঠিক তখন সেই নারী হঠাৎ ঘাড় ঘুরিয়ে সুমাইয়ার দিকে মুখ ফেরাতো।
চোখাচোখি হতেই মেয়েটি অদৃশ্য হয়ে যায়।
সুমাইয়া ভয়ে জানালা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু মনে মনে ভাবে, হয়তো চোখের ভুল। রাতে ঘুমাতে যায়। হঠাৎ ঘুমের মধ্যে সে অনুভব করে তার শরীর একদম চলাচলের বাইরে। চিৎ হয়ে পড়ে আছে, কিন্তু নড়াচড়া করতে পারছে না। সে দেখতে পায়, টিনের চালের কোণ থেকে ঝুলে ঝুলে একটানা নিচে নামছে সেই একই নারী অবয়ব। এবার মুখ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। চামড়া পচা, চোখের জায়গায় ফাঁকা গর্ত, আর জিভ টেনে নামিয়ে রেখেছে ঘাড় অবধি। মুখের কোণ থেকে অদ্ভুত এক গন্ধ আসছে।
সে চিৎকার করতে চায়, পারে না। বুকের ওপর ভীষণ ভার অনুভব করে, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে তার ছোট ভাই পাশ ফিরে ঘুমের ঘোরে হাত বাড়ায়, আর সাথে সাথেই সুমাইয়া শরীর ঠিক হউ। ভয়ে সে চিৎকার দেয়, ঘেমে উঠেছে, মনে হয় দম বন্ধ হয়ে আসছে। মা এসে জিজ্ঞেস করেন, কী হয়েছে। সুমাইয়া বলে কিছু না, শুধু বলে খারাপ স্বপ্ন দেখেছে।
পরের রাতেও একই ঘটনা ঘটে। এবার সে স্বপ্নে দেখে, সে একটা পুরনো ঘরের মধ্যে বন্দি। ঘরের দেয়ালে একেকটা ছায়া সরে বেড়াচ্ছে, আর মাঝখানে সেই নারী আবার দাঁড়িয়ে আছে। এবার সে বলে,
“তুই আমাকে চেয়েছিলি, না? আমি তো এলাম... এখন পালেতে চাস কেন”
পরদিন সকালে তার শরীরে আঘাতের দাগ পাওয়া যায়, যেন কেউ আঁচড়ে দিয়েছে। দাগগুলো ঠিক স্বপ্নে যেখানে সে ধরা পড়েছিল সেখানেই।
এই ঘটনার কথা সে তার বান্ধবী কিরণকে জানায়। কিরণ বলে, তাদের গ্রামের এক বৃদ্ধা আছেন, পারুল দাদি, যিনি নাকি একসময় “ভূত প্রেত” নিয়ে কাজ করতেন। মানে, অপদেবতা তাড়ানোর শক্তি ছিল তার।
তাদের দেখা হয় পারুল দাদির সঙ্গে। পারুল দাদি সুমাইয়ার হাত ধরে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন। তারপর চোখ মেলে বলেন,
“তুই ওকে নিজে ডেকেছিলি, এখন ওকে ফেরানো সহজ না।
চলবে?
বাকী অংশ কমেন্ট এ
গল্প: কালো পরী
লেখক: ভূতের গল্প লেখক সান
দ্রষ্টব্য: গল্পের লেখায় ছোটখাটো ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। যদি সম্ভব হয়, মেসেজের মাধ্যমে জানাবেন। সবশেষে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না, আজকের গল্পটি আপনার কেমন লেগেছে।
Note: This AI-generated image portrays a fictional scenario designed for creative and storytelling purposes. It may include elements that could be unsettling to some viewers. Please exercise discretion when viewing. The content aims to delve into themes of suspense and mystery and does not endorse or encourage any form of violence.
#ভূতেরগল্প #ভৌতিক