Saiful Islam Sun

Saiful Islam Sun Join SunStrike Warrior Fitness for fitness, karate, wrestling, and vlogs.

ঘটনাটি ২০০৮ সালের কথা। বরিশালের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে, কুলসিন্দুর। সেই গ্রামে সুমাইয়া নামের এক ষোড়শী মেয়ের বাস। গ্রাম...
13/06/2025

ঘটনাটি ২০০৮ সালের কথা। বরিশালের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে, কুলসিন্দুর। সেই গ্রামে সুমাইয়া নামের এক ষোড়শী মেয়ের বাস। গ্রামের একেবারে প্রান্তে তাদের পুরনো টিনের ছাউনি দেয়া ছোট একতলা বাড়ি। মা, বাবা, আর ছোট এক ভাই নিয়ে তাদের সংসার। সুমাইয়া তখন দশম শ্রেণিতে পড়ে, শান্ত স্বভাবের, কিন্তু খুব কৌতূহলী।

ঘটনাটি শুরু হয় এক বর্ষার রাতে। মেঘে আকাশ কালো হয়ে আছে। বিদ্যুৎ চলে গেছে, মোমবাতির আলোয় সুমাইয়া তখন পড়ছিল। মা রান্নাঘরে, আর ভাই ঘরের এক কোণে ঘুমিয়ে। এমন সময় সে জানালার ফাঁক দিয়ে দেখে, একটা অচেনা মেয়েলি অবয়ব রাস্তার ধারে একটা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে। তার পরনে সাদা শাড়ি, মাথার চুলগুলো হাঁটুর নিচে পর্যন্ত ঝুলে আছে। মুখ দেখা যাচ্ছে না, শুধু স্থির দাঁড়িয়ে থাকা। কেউ হয়তো খেয়ালই করত না, যদি না ঠিক তখন সেই নারী হঠাৎ ঘাড় ঘুরিয়ে সুমাইয়ার দিকে মুখ ফেরাতো।
চোখাচোখি হতেই মেয়েটি অদৃশ্য হয়ে যায়।

সুমাইয়া ভয়ে জানালা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু মনে মনে ভাবে, হয়তো চোখের ভুল। রাতে ঘুমাতে যায়। হঠাৎ ঘুমের মধ্যে সে অনুভব করে তার শরীর একদম চলাচলের বাইরে। চিৎ হয়ে পড়ে আছে, কিন্তু নড়াচড়া করতে পারছে না। সে দেখতে পায়, টিনের চালের কোণ থেকে ঝুলে ঝুলে একটানা নিচে নামছে সেই একই নারী অবয়ব। এবার মুখ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। চামড়া পচা, চোখের জায়গায় ফাঁকা গর্ত, আর জিভ টেনে নামিয়ে রেখেছে ঘাড় অবধি। মুখের কোণ থেকে অদ্ভুত এক গন্ধ আসছে।

সে চিৎকার করতে চায়, পারে না। বুকের ওপর ভীষণ ভার অনুভব করে, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে তার ছোট ভাই পাশ ফিরে ঘুমের ঘোরে হাত বাড়ায়, আর সাথে সাথেই সুমাইয়া শরীর ঠিক হউ। ভয়ে সে চিৎকার দেয়, ঘেমে উঠেছে, মনে হয় দম বন্ধ হয়ে আসছে। মা এসে জিজ্ঞেস করেন, কী হয়েছে। সুমাইয়া বলে কিছু না, শুধু বলে খারাপ স্বপ্ন দেখেছে।

পরের রাতেও একই ঘটনা ঘটে। এবার সে স্বপ্নে দেখে, সে একটা পুরনো ঘরের মধ্যে বন্দি। ঘরের দেয়ালে একেকটা ছায়া সরে বেড়াচ্ছে, আর মাঝখানে সেই নারী আবার দাঁড়িয়ে আছে। এবার সে বলে,
“তুই আমাকে চেয়েছিলি, না? আমি তো এলাম... এখন পালেতে চাস কেন”

পরদিন সকালে তার শরীরে আঘাতের দাগ পাওয়া যায়, যেন কেউ আঁচড়ে দিয়েছে। দাগগুলো ঠিক স্বপ্নে যেখানে সে ধরা পড়েছিল সেখানেই।

এই ঘটনার কথা সে তার বান্ধবী কিরণকে জানায়। কিরণ বলে, তাদের গ্রামের এক বৃদ্ধা আছেন, পারুল দাদি, যিনি নাকি একসময় “ভূত প্রেত” নিয়ে কাজ করতেন। মানে, অপদেবতা তাড়ানোর শক্তি ছিল তার।

তাদের দেখা হয় পারুল দাদির সঙ্গে। পারুল দাদি সুমাইয়ার হাত ধরে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন। তারপর চোখ মেলে বলেন,
“তুই ওকে নিজে ডেকেছিলি, এখন ওকে ফেরানো সহজ না।

চলবে?

বাকী অংশ কমেন্ট এ

গল্প: কালো পরী
লেখক: ভূতের গল্প লেখক সান

দ্রষ্টব্য: গল্পের লেখায় ছোটখাটো ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। যদি সম্ভব হয়, মেসেজের মাধ্যমে জানাবেন। সবশেষে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না, আজকের গল্পটি আপনার কেমন লেগেছে।

Note: This AI-generated image portrays a fictional scenario designed for creative and storytelling purposes. It may include elements that could be unsettling to some viewers. Please exercise discretion when viewing. The content aims to delve into themes of suspense and mystery and does not endorse or encourage any form of violence.

#ভূতেরগল্প #ভৌতিক

ঘটনাটা ঘটেছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে, যেখানে আমার পুরনো বন্ধু সাব্বিরের নানাবাড়ি। গ...
08/06/2025

ঘটনাটা ঘটেছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে, যেখানে আমার পুরনো বন্ধু সাব্বিরের নানাবাড়ি। গত বছরের ফেব্রুয়ারির এক সন্ধ্যায় আমরা সেখানে গিয়েছিলাম তার মামাতো ভাই রাব্বির বিয়েতে। সারা দিন গান, বাজনা, আর অতিথি আপ্যায়নে মেতে ছিলাম আমরা। সব মিলিয়ে একটা জমজমাট পরিবেশ। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষে রাত নেমে এলে অদ্ভুত এক স্তব্ধতা নামলো গোটা গ্রামে।

সেই রাতে আমি ও সাব্বির গ্রামেই থাকার কথা ছিল, কিন্তু পরদিন সকালে আমার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারভিউ ছিল ঢাকায়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম রাতেই রওনা হবো। সমস্যা একটাই—সেই এলাকায় শহরে ফেরার একমাত্র ভরসা ছিল হাইওয়ে ধরে চলা নৈশ বাস।

রাত তখন সাড়ে এগারোটা। আমি ব্যাগ গোছাতে শুরু করতেই সাব্বির বললো, “তুই একা যাবি? অন্তত আমি তোকে রাস্তার মুখ পর্যন্ত দিয়ে আসি।” আমি বললাম, “থাক, গ্রামে তো রাত হলে জঙ্গলের মত নিরবতা নামে, তুই বাড়ির লোক ছেড়ে আর একা আসিস না।” কিন্তু সে নাছোড়বান্দা।

শেষমেশ আমি আর সাব্বির পায়ে হেঁটে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের মূল সড়কের দিকে রওনা হলাম। চাঁদের আলো মেঘে ঢাকা, মাঝে মাঝে ঝিরঝির করে বাতাস বইছে। চারদিকে শুধু কুকুরের ডাক আর ঝোপঝাড়ের পাতার খসখস শব্দ।

হঠাৎ রাস্তার পাশে একটা বড় পুরনো কাঁঠাল গাছের নিচে একটা মানুষকে বসে থাকতে দেখি। প্রথমে মনে হলো হয়তো কেউ পান খেতে খেতে বিশ্রাম নিচ্ছে। কিন্তু একটু কাছে যেতেই ঠাণ্ডা একটা স্রোত বয়ে গেল পিঠ বেয়ে—লোকটা একটি ছোট্ট কুয়াশাচ্ছন্ন হারিকেন নিয়ে বসে আছে, আর আপন মনে ফিসফিস করে কিছু বলছে। গায়ে তার ছেঁড়া পাঞ্জাবি, চোখ দুটো যেন একদম ফাঁকা, যেন গভীর শূন্যতায় তাকিয়ে আছে।

আমরা একটু থমকে দাঁড়ালাম। লোকটা হঠাৎ বলে উঠলো, “বাবা… একটুখানি সাহায্য করো, কিছু খেতে চাই। পঞ্চাশ টাকা দাও।” আমি পকেটে হাত দিলাম, দেখলাম মোটে ৮০ টাকা আছে। ঢাকায় ফেরার জন্য কমপক্ষে ৭০ টাকা লাগবে।

আমি কিছুটা সংকোচে বললাম, “চাচা, দশ টাকা দিতে পারি, আপনার চলবে?”
লোকটা মাথা নাড়লো, “পঞ্চাশ এর নিচে হলে ক্ষুধা মেটে না রে বাবা। এই রাতটা বড় অন্ধকার...”

সাব্বির ফিসফিস করে বললো, “দে না রে, ভাগ্য তোদের পাশে থাকুক।”
আমি নিঃশব্দে ৫০ টাকা দিয়ে সামনে হাঁটা শুরু করলাম।

পেছন থেকে সেই লোকটা আবার বললো, “আজ তুই একটা অভিশাপ থেকে বেঁচে গেলি, বাবা। খোদা তোকে রক্ষা করুক।”

আমি আর সাব্বির একে অপরের দিকে তাকালাম, কিন্তু কিছু বললাম না। শুধু মনে হলো বাতাসটা হঠাৎ ঠাণ্ডা হয়ে এসেছে।

রাস্তার মোড় ঘুরতেই একটা ছোট চায়ের দোকান চোখে পড়লো। আমরা একটু বসে গরম চা খেতে লাগলাম। সাব্বির বললো, “তোর ভাড়া তো কম পড়ে গেল।” আমি হাসতে হাসতে বললাম, “একটু দে না, পরদিন দিয়ে দেবো।”
সে একশো টাকার একটা নোট দিলো।

পাঁচ মিনিট পর প্রথম একটা বাস এসে দাঁড়ালো। বাসটা প্রায় ফাঁকা, চালকও কিছুটা অদ্ভুত। চোখজোড়া লালচে, আর এক হাতে সি'গারেট জ্বলছিল। সাব্বির বললো, “রাত এগারোটার পর এমন ফাঁকা বাসে ওঠাটা ঠিক না, একটু অপেক্ষা কর।”
আমি চিন্তা করে বললাম, “ঠিক বলছিস, দেখি পরেরটা কেমন হয়।”

প্রায় সাত মিনিট পর আরেকটা বাস এসে দাঁড়ালো, এবার সেটিতে অনেক যাত্রী ছিল। আমি তাড়াতাড়ি উঠে পড়লাম, সাব্বিরকে বিদায় জানিয়ে ঢাকায় রওনা হলাম।

কিন্তু যাত্রা শুরুর দশ মিনিট পরই হঠাৎ দেখি সামনে প্রচণ্ড ভিড়। লোকজন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করছে, কেউ মোবাইলে ভিডিও করছে, কেউ রক্ত মুছছে। বাসের জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখি—সেই প্রথম ফাঁকা বাসটা, যেটিতে আমি উঠতে যাচ্ছিলাম—সেটি রাস্তার পাশের খাদে উল্টে আছে। কাচের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে, মানুষের শরীর রক্তে ভিজে আছে।

আমার গলা শুকিয়ে গেল। চোখে ঝাপসা দেখছি। আমি কাঁপতে কাঁপতে পকেট থেকে মোবাইল বের করলাম, সাব্বিরকে কল দিলাম।

ওর গলা শুনেই কান্না চলে এলো। আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম, “তুই জানিস, আমি উঠতে যাচ্ছিলাম সেই বাসে! আর সেটা এক মুহূর্তেই ধ্বংস হয়ে গেছে…”

সাব্বির অনেকক্ষণ চুপ থেকে শুধু বললো, “তাহলে বুঝতে পারছিস তো... সেই বৃদ্ধ লোকটা মানুষ ছিল না।”

আমার মাথা ঘুরে গেল, “মানে?”
সে বললো, “এই গ্রামে একটা পুরনো কাহিনী আছে। অনেকে বলে, এই কাঁঠাল গাছটার নিচে এক বৃদ্ধ সন্ন্যাসী আ*ত্ম'হ'ত্যা করেছিলেন প্রায় ৩০ বছর আগে। সেই থেকে কেউ রাত এগারোটা পার করে ওই রাস্তা দিয়ে গেলে, তিনি দেখা দেন। কিন্তু সব সময় নয়—শুধু যখন কারও মৃত্যু লেখা থাকে আর কেউ যদি তাকে সাহায্য করে, তাহলে সে মৃত্যুর পরোয়া না করে লোকটিকে বাঁচিয়ে দেন। তবে তার একটা শর্ত—ঠিক পঞ্চাশ টাকা।”

চলবে?

গল্প: পঞ্চাশ টাকা
লেখক: ভূতের গল্প লেখক সান

দ্রষ্টব্য: গল্পের লেখায় ছোটখাটো ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। যদি সম্ভব হয়, মেসেজের মাধ্যমে জানাবেন। সবশেষে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না, আজকের গল্পটি আপনার কেমন লেগেছে।

Note: This AI-generated image portrays a fictional scenario designed for creative and storytelling purposes. It may include elements that could be unsettling to some viewers. Please exercise discretion when viewing. The content aims to delve into themes of suspense and mystery and does not endorse or encourage any form of violence.

#ভূতেরগল্প

সন্ধ্যা নামছিল ধীরে ধীরে। কালো মেঘে ঢাকা আকাশ থেকে টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছিল। পুকুরপাড়ের রাস্তাটা কাদায় ভিজে একাকার। চা...
06/06/2025

সন্ধ্যা নামছিল ধীরে ধীরে। কালো মেঘে ঢাকা আকাশ থেকে টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছিল। পুকুরপাড়ের রাস্তাটা কাদায় ভিজে একাকার। চারদিকে কেবল ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক আর বৃষ্টির শব্দ। পুকুরের পানি আজ আরও গাঢ় কালো দেখাচ্ছিল, যেন তলায় লুকিয়ে আছে কোনও ভয়ানক রহস্য। রাত যত গভীর হচ্ছিল, পুকুরপাড়ের নির্জনতা ততই অস্বস্তিকর হয়ে উঠছিল।

রহিম ধীরে ধীরে পুকুরপাড় দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। তার হাতে একটা পুরনো লন্ঠন, আলোটা মিটমিট করছে। হঠাৎ তার কানে এলো একটা আওয়াজ—কেউ যেন পানি ছুঁড়ে মারছে। রহিম থমকে দাঁড়ালো। লন্ঠনের আলো ফেলে দেখল, পুকুরের ধারে একটা কালো ছায়া নড়ছে।

"কে ওটা?" রহিমের গলা কাঁপছিল।

ছায়াটা ধীরে ধীরে ঘুরে তাকালো। রহিমের শিরদাঁড়া দিয়ে ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে গেল। ওর মুখে চোখ নেই—শুধু গভীর গর্ত। একটা বিকট চিৎকার করে ছায়াটা রহিমের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ল!

পরদিন সকালে গ্রামবাসীরা রহিমের লন্ঠনটা পুকুরপাড়ে পড়ে থাকতে দেখল। কিন্তু রহিমের কোন চিহ্ন নেই।

দুই দিন পর। বৃষ্টি থেমে গিয়েছিল, কিন্তু আকাশ এখনও মেঘলা। শহর থেকে ফিরে এল শফিক। রাত হয়ে গিয়েছিল, তাই সে পুকুরপাড় দিয়ে হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিল। হঠাৎ তার ছোট বোন মায়ার কণ্ঠ শুনতে পেল—

"দাদা, এদিকে আসো!"

মায়া তালগাছের নিচে দাঁড়িয়ে হাসছিল। শফিকের বুকে একটা চাপ লাগল। মায়া তো তিন বছর আগেই মারা গেছে!

মায়া হাত নেড়ে ডাকল, "দাদা, পানিতে এসো, দেখো কত সুন্দর!"

শফিকের পা নিজে থেকেই এগিয়ে গেল। পুকুরের কালো জলে তার প্রতিবিম্বের পাশে ভেসে উঠল আরেকটা মুখ—ভয়ঙ্কর, বিকৃত। শফিক চিৎকার করতে চাইল, কিন্তু গলা থেকে আওয়াজ বের হল না।

পরদিন সকালে শফিকের দেহ পাওয়া গেল পুকুরে। চোখ দুটো উল্টো করে তাকানো, গালে গভীর দাঁতের দাগ।

গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। পুকুরটার নাম হয়ে গেল "অশুভ পুকুর"।

এক সপ্তাহ পর। বৃষ্টি আবার শুরু হয়েছে। দীপু, গ্রামের সবচেয়ে লাজুক ছেলে, চান মিয়া এক দরবেশ বাবার কুটিরে গেল।

"বাবা, এ পুকুরের রহস্য কী?"

দরবেশ বললেন, "একটা দুষ্ট জ্বীন এখানে আটকা পড়েছে। তুমি যদি সাহস করো, আজ রাতে পুকুরের তলায় একটা বিশেষ পাথর এনে ফেলতে হবে এই তাবিজে। কিন্তু সাবধান, পিছনে ফিরে তাকাবে না, নইলে..."

চান মিয়া মাথা নাড়ল। "আমি করব।"

রাত। বৃষ্টি আরও জোরালো হয়েছে। চান মিয়া পুকুরের ধারে দাঁড়িয়ে। তাবিজটা গলায় ঝুলিয়ে সে পানিতে নামল। ঠাণ্ডা জল তার শ্বাস আটকে দিল। তলায় একটা নীল আলো জ্বলছিল।

হঠাৎ পিছনে কে যেন ডাকল, চান মিয়া!"

সে চমকে উঠল, কিন্তু ফিরে তাকাল না। আলোর দিকে এগিয়ে গেল। তখনই একটা শীতল হাত তার গলা চেপে ধরল!

চান মিয়া তাবিজটা ছুঁড়ে মারল আলোর দিকে। বিকট চিৎকারে পুকুরের পানি ফুটতে লাগল!

সকালে গ্রামবাসীরা দেখল, পুকুরের জল স্বচ্ছ হয়েছে। চান মিয়া কাদায় অজ্ঞান পড়ে আছে।

সেই দিন থেকে অশুভ পুকুরের ভয় কেটে গেল। কিন্তু গ্রামবাসীরা এখনও বলে, বৃষ্টির রাতে কেউ যদি পুকুরপাড়ে যায়, সে একটা মেয়ের কান্না শুনতে পায়...

(সমাপ্ত)

বিঃদ্রঃ গল্পটি সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা অবলম্বনে। সম্পূর্ণ গল্প একসাথে দিলাম কেমন লাগলো জানাবেন। ধন্যবাদ

গল্প: চান মিয়ার ঘটনা
লেখক: ভূতের গল্প লেখক সান

দ্রষ্টব্য: গল্পের লেখায় ছোটখাটো ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। যদি সম্ভব হয়, মেসেজের মাধ্যমে জানাবেন। সবশেষে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না, আজকের গল্পটি আপনার কেমন লেগেছে।

Note: This AI-generated image portrays a fictional scenario designed for creative and storytelling purposes. It may include elements that could be unsettling to some viewers. Please exercise discretion when viewing. The content aims to delve into themes of suspense and mystery and does not endorse or encourage any form of violence.

#ভূতেরগল্প

ঘটনাটি ২০০৩ সালের শেষদিকে, কোরবানির ঈদের দিন। আমি তখন সবে কলেজে উঠেছি। ঈদের ছুটিতে মা, ছোট ভাই শুভ এবং আমি গিয়েছিলাম মায়...
05/06/2025

ঘটনাটি ২০০৩ সালের শেষদিকে, কোরবানির ঈদের দিন। আমি তখন সবে কলেজে উঠেছি। ঈদের ছুটিতে মা, ছোট ভাই শুভ এবং আমি গিয়েছিলাম মায়ের ছোটবেলার গ্রাম, ছনবাড়ি, ময়মনসিংহের অজস্র জলাভূমি আর খালি মাঠে ঘেরা একটি নির্জন অঞ্চল।

গ্রামে বিদ্যুৎ নতুন এসেছে, তাই রাত হলে পুরো এলাকা একেবারে অন্ধকার হয়ে যেত। একমাত্র কিছু বাড়িতে হ্যারিকেন বা ব্যাটারিচালিত লাইট দেখা যেত। গ্রামটা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে, এবং ঈদের রাতে অনেকটাই শুনশান।

ঈদের দিন সন্ধ্যায় মামাতো ভাই রিয়াজ ভাইয়া আমাকে বললেন, “চল, কালিপুর বাজারে একটা মেলা বসেছে, একটু দেখে আসি।” ওর একটা পুরোনো মোবাইল সেট ছিল, যার ছোট্ট টর্চই ছিল আমাদের একমাত্র ভরসা।

বাজার থেকে ফিরতে ফিরতে প্রায় রাত ১২টা বেজে যায়। তখন আমরা shortcut ধরে পাথরদীঘি মাঠ পেরিয়ে ফিরছিলাম। সাধারণভাবে রাস্তাঘাট ব্যবহার করলেও, shortcut নিলে প্রায় ২০ মিনিট সময় বাঁচে। তবে সেই মাঠটা ছিল একটা পুরনো গুজবের কেন্দ্রবিন্দু।

লোকেরা বলত, সেই মাঠের এক কোণায় একটা পুরোনো কাঠের ঘর ছিল, যেখানে এককালে একটা পরিবার খু'*ন হয়। সেই বাড়িতে নাকি মাঝে মাঝে এক মহিলা কাঁদতে কাঁদতে ঘোরে। অবশ্য এসব কথায় আমরা ততটা বিশ্বাস করতাম না।

হঠাৎ রিয়াজ ভাইয়ার ফোনের আলো নিভে গেল।

“ব্যাটারি শেষ,” ভাইয়া বলল গম্ভীর গলায়।

আমার গলা শুকিয়ে এল। পুরো মাঠ ঘুটঘুটে অন্ধকার। দূরে কোথাও কুয়াশায় মোড়া গাছের ফাঁকে একটি টিমটিমে আগুনের মতো কিছু দেখা যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল কেউ একটা জ্বলন্ত কাঠি গাছের ডালে উপুড় করে ধরে রেখেছে। ওটা দেখে আমি দাঁড়িয়ে পড়লাম।

“ভাইয়া, ওটা কী?”

রিয়াজ ভাইয়া কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল। তারপর বলল, “আহা, কেউ হয়তো বাদুড় তাড়াতে আগুন দিয়েছে। গ্রামে এসব হয়।”

কিন্তু তার গলার টান শুনে বোঝা যাচ্ছিল, ও নিজেই ভয় পাচ্ছে।

আমরা ধীরে ধীরে হেঁটে চললাম, আগুনটার পাশ দিয়ে। হঠাৎ, মাঠের মাঝখানে থাকা এক বিশাল পুরনো জামগাছের নিচে একজন ঘোমটা পড়া মহিলা বসে কাঁদতে লাগল। সে মুখ লুকিয়ে একটানা কাঁদছিল। কুয়াশা আর আলো-আঁধারির মাঝে মুখ দেখা যাচ্ছিল না, শুধু কাঁধ কাঁপা আর কান্নার আওয়াজ।

রিয়াজ ভাইয়া থেমে গেল। আমি পেছন থেকে বললাম, “চলেন ভাইয়া, ওই মেয়ে হয়তো বিপদে আছে।”

ভাইয়া বলল, “না... দাঁড়া, কিছু একটা ঠিক ঠাক লাগছে না।”

তবুও, আমি এগিয়ে যেতে লাগলাম। ভাইয়া আমার হাত ধরে পেছনে টানতে চেষ্টা করল, কিন্তু আমি বললাম, “ভাইয়া, যদি কারো সত্যি অসুবিধা হয়?”

আমরা দু’জনে মিলে মেয়েটার দিকে এগোতে থাকলাম।

কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার, যতই আমরা এগোচ্ছি, মেয়ে যেন ততই দূরে সরে যাচ্ছে। একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব যেন কোনোভাবে বজায় থাকছে, কিন্তু তার কান্না আগের থেকেও জোরে হচ্ছে। একসময় দেখি, সে সেই পুরনো কুঁড়েঘরের দিকে হাঁটছে—যেটা গ্রামের ভয়ঙ্কর গুজবের কেন্দ্র।

আমরা থমকে গেলাম।

ঘরটার দরজায় পৌঁছেই মেয়েটা হঠাৎ পেছনে তাকাল।

আর তখনই আমি প্রথমবার ওর মুখটা দেখতে পেলাম—চোখ ছিল না, গর্তের মতো কালো শূন্যতা। ঠোঁট ছিল ফাটলধরা, আর মুখটা রক্তে রাঙা। সে আমার চোখে চোখ রাখল এক সেকেন্ডের জন্য, তারপর হঠাৎ ঘরের ভেতরে ঢুকে মিলিয়ে গেল। ঠিক তখনই ঘরের জানালায় এক চমকদার ঝলকানি উঠল, যেন বাজ পড়ে বিদ্যুতের আলো জ্বলে উঠেছে!

ভাইয়া আমার হাত চেপে ধরে দৌড় শুরু করল। আমি ওর কোলে উঠে পড়লাম। মনে হচ্ছিল পেছন থেকে কেউ দৌড়ে আসছে, শ্বাস ফেলার শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। ঝোপঝাড়ে কিছু একটা লাফাচ্ছে, গাছের পাতায় হাওয়ার সাথে সাথে কেমন যেন কণ্ঠস্বর মিশে আছে।

প্রায় ১৫ মিনিট দৌড়ে আমরা বাড়ি পৌঁছালাম।

দাদু দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি আগে থেকেই খোঁজে বের হয়েছিলেন আমাদের। আমাদের দেখে তিনি থমকে গেলেন।

ভাইয়ার শরীর জ্বরে পুড়ে উঠছিল। কপাল ছুঁয়ে দেখে দাদু বললেন, “তুই তো পুড়তেছিস রে!”

আমরা ভেতরে গিয়ে বসতেই দাদি গরম পানি আর লবণ এনে দিলেন। ভাইয়াকে তাতে গোসল করানো হল। পরে গ্রাম্য এক কবিরাজ এসে ঝাড়ফুঁক শুরু করলেন।

কবিরাজ থেমে বললেন, “তোমরা ওই মেয়েটাকে দেখছো? সে মরে গেছে ২৫ বছর আগে। খু*'ন করেছিল ওর স্বামী। ও ঘরেই। মাঝ রাতে সে ওই ঘরে ফিরে আসে।”

আমার শরীর কেঁপে উঠল।

**

বছর ঘুরে গেছে। এখন আমি শহরে থাকি। গত সপ্তাহে ছুটি কাটাতে আবার ছনবাড়ি গেলাম। রিয়াজ ভাইয়া আগের মতো নেই। খুব চুপচাপ হয়ে গেছে। কারো সাথে কথা বলে না, হঠাৎ হঠাৎ একা হাঁটে, মাঝে মাঝে বলে—“তুমি দেখছিলা? ওর মুখ?”

আমি ওকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে সব ভুলে যেতে হবে। কিন্তু তার চোখের মধ্যে আজও সেই রাতে দেখা শূন্য চোখদুটোই ঘোরে।

আর আমি?

আমি এখনো রাতে কখনো কল্পনায় শুনি... সেই কাঁপা কাঁপা কান্নার শব্দ... যেন জামগাছের নিচে বসে কোনো ঘোমটা পড়া মেয়ে, অন্ধকারে তার হারানো জীবন ফিরে পেতে চায়।

গল্প:ঈদের ঘটনা
লেখক: ভূতের গল্প লেখক সান

দ্রষ্টব্য: গল্পের লেখায় ছোটখাটো ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। যদি সম্ভব হয়, মেসেজের মাধ্যমে জানাবেন। সবশেষে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না, আজকের গল্পটি আপনার কেমন লেগেছে।

Note: This AI-generated image portrays a fictional scenario designed for creative and storytelling purposes. It may include elements that could be unsettling to some viewers. Please exercise discretion when viewing. The content aims to delve into themes of suspense and mystery and does not endorse or encourage any form of violence.

#ভূতেরগল্প #ভৌতিক

আমি, জারা রহমান, পেশায় ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট। নানা রহস্যময় ঘটনার খোঁজে ঘুরি। সম্প্রতি এক অদ্ভুত তথ্য পেয়েছি—এই শহরে এক...
05/06/2025

আমি, জারা রহমান, পেশায় ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট। নানা রহস্যময় ঘটনার খোঁজে ঘুরি। সম্প্রতি এক অদ্ভুত তথ্য পেয়েছি—এই শহরে এক ধরণের অজানা বিষের খোঁজ মিলেছে, যা দিয়ে নাকি নিঃশব্দে হ'ত্যা করা যায়। কোনো প্রমাণ থাকে না। আর এ বিষ নাকি আসে এক নারীর হাত ধরে, যাকে সবাই ডাকে "অরণ্যবালা" নামে। এই নামটাই আমাকে এখানে টেনেছে।

বছরের শেষ ভাগ। অক্টোবরের শেষ দিকে বরফ পড়া শুরু হয়েছে ইতালির উত্তরের এক পাহাড়ি গ্রামে—মন্তে স্যাভিয়ানো। জনসংখ্যা মাত্র কয়েকশো। আশেপাশে সুউচ্চ পাইন বন, মাঝে মাঝে চোখে পড়ে গোলাপি-লাল রঙের অদ্ভুত এক ফুল, যা স্থানীয়রা "রোজা ডি মরতে" বলে—মৃত্যুর গোলাপ। বলা হয়, এই ফুলের গন্ধে জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে মানুষ।

রিসর্টে ঢুকে যখন ব্যাগ নামালাম, তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে। কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসে পাইন গাছগুলো একেকটা যেন ছায়ামূর্তির মতো দুলছে। লোকজন এক রকম আতঙ্কে দিন গুজরান করে—এমন ভঙ্গিতে কথা বলছে। অনেকেই বলে, অরণ্যবালা নাকি এখনো বনে ঘোরে।

রাতের খাবারের জন্য রিসর্টের কাঠের তৈরি ছোট রেস্তোরাঁয় গেলাম। কোণের টেবিলে বসে গরম স্যুপ আর এক গ্লাস রেড ওয়াইন অর্ডার করলাম। হঠাৎ দরজা ঠেলে ঢুকল এক বয়স্ক নারী। পরনে লাল-মেরুন শাল, মাথা ঢাকা, চোখদুটো একেবারে ফাঁকা—কোনো আবেগ নেই। বয়স আন্দাজ করা মুশকিল। সে সোজা আমার টেবিলের দিকে এগিয়ে এল।

— "তুমি জারা?"
আমি অবাক হলাম।
— "হ্যাঁ, আপনি কে?"
— "আমি আনা। এখানকার গাইড। তুমি বিষ আর অরণ্যবালার গল্পে আগ্রহী, তাই তো?"

আমি সম্মতি জানাতেই সে বসে পড়ল। গলায় খুব হালকা গন্ধ, ফুলের মত। কিন্তু চোখে এক ধরনের স্থিরতা, যা অস্বস্তিকর।

আনা বলতে লাগল—
"অনেক বছর আগে এই শহরে এসেছিল এক তরুণী। নাম ছিল রেবেকা। বিদেশ থেকে এসেছিল, বিজ্ঞানী ছিল সে। সে আবিষ্কার করেছিল একধরনের ফুল, যেটার নির্যাস দিয়ে তৈরি হয় এক বিশেষ বিষ। সেই বিষ শরীরে গেলে মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে… আর কখনো জাগে না।"

আমি অবাক হয়ে তাকালাম আনার দিকে।
— "আর তারপর?"
— "তারপর, শহরের কিছু প্রভাবশালী পুরুষ তাকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল সেই বিষের জন্য। সে রাজি হয়নি। তারা তাকে ধ*র্ষ'ণ করে হ*ত্যা করে। গলার কাছে বিষের গন্ধ পাওয়া গিয়েছিল। তারপর থেকেই সেই রেবেকা ফিরে এসেছে। অরণ্যবালা হয়ে। সে প্রতিশোধ নিচ্ছে। একে একে শহরের সেই মানুষগুলো হারিয়ে গেছে। কেউ বলেছে আত্মহত্যা করেছে, কেউ বলেছে নিখোঁজ। কিন্তু শহরের মানুষ জানে—অরণ্যবালা ফিরেছে।"

আমার গা শিরশির করে উঠল।

— "এই ‘রোজা ডি মরতে’ কি সেই বিষের উৎস?"
আনা হেসে বলল—
— "তুমি কি সেই ফুলের গন্ধ নিতে চাও?"

আমি একটু ঘাবড়ে গেলাম, তারপর বললাম—
— "আমি একজন সাংবাদিক। সত্য জানতেই এসেছি।"

সে বলল,
— "তবে চল। কাল ভোরে বনে নিয়ে যাব তোমায়।"

পরদিন ভোর। পাইন বনের কুয়াশা ঢেকে রেখেছে পথ। আনা আমাকে নিয়ে গেল গভীর বনের ভেতরে। এক জায়গায় থামল। সেখানে দেখা গেল, এক ঝাঁক অদ্ভুত রঙের ফুল ফুটে আছে। লাল আর বেগুনির মাঝামাঝি, যেন রক্ত আর বিষের সংমিশ্রণ।

আনা হঠাৎ বলল—
— "তুমি জানো জারা, এই বিষ কাকে দেবে?"

আমি হতভম্ব হয়ে তাকালাম।

— "মানে?"
— "তোমার স্বামী, রায়হান হক। তার খবর আমি জানি। সে ঢাকায় বসে নতুন এক মেয়েকে ঠিক করেছে তোমার মত কাজে লাগানোর জন্য। তুমি ছিলে তার পুতুল। এখন পুরনো হয়ে গেছো।"

আমি ধাক্কা খেয়ে পেছনে সরে গেলাম।
— "তুমি এসব জানলে কীভাবে?"

আনা ধীরে ধীরে তার শাল সরাল। দেখলাম, তার গলায় গা ছমছমে কাটা দাগ। আর মুখটা যেন ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে। ঠোঁট নীলচে। চোখে লালচে রেখা। সে বলল—

— "আমি রেবেকা। আমি মরিনি। আমি ফিরে এসেছি। তুমি যদি চাও, আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি। রায়হানকে শেষ করতে। তার শরীরে বিষ ঢুকিয়ে দিতে, ঠিক যেমন তারা আমার শরীরে দিয়েছিল।"

আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। মাথা ঘুরতে লাগল।
সত্যিই কি আমি এই কাজ করতে পারি?

রাতের ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরলাম। হাতে একটা কাঁচের ছোট শিশি। ভিতরে রক্তবর্ণ তরল। আগুনের মত পোড়ে চোখে।

রায়হান আমার আগমনে অবাক হল। তবে কিছু জিজ্ঞেস করল না।
রাতে ডিনার করতে বসে বললাম,
— "আজ আমার তৈরি স্পেশাল হারবাল চা খাবে?"

সে হাসল।
আমি শিশি থেকে কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে দিলাম কাপটিতে।
সে এক চুমুক খেতেই চোখ কপালে তুলে বলল,
— "এই চা এত তেতো কেন?"
আমি বললাম,
— "এটা ভালো ঘুম হয় এমন চা।"

সে ঘুমিয়ে পড়ল খুব তাড়াতাড়ি।

ভোরের আলোয় আমি রায়হানের নিথর দেহের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। শরীর থেকে গায়ে গায়ে সেই চেনা গন্ধ—রোজা ডি মরতে।

আর আমি?
আমি কি খু'নী?
নাকি একজন অভিশপ্ত নারীর প্রতিভূ?

সত্যি বলতে কী, জানি না।
শুধু জানি, আনা বা রেবেকা আমাকে বলেছিল—"বিষ বেছে নেয় নিজেই, কার শরীরে যাবে। তুমি শুধু বাহক।"

এখন মাঝে মাঝে আয়নায় নিজের মুখ দেখে মনে হয়, আমি কি জারা?
নাকি আমি-ই এখন নতুন অরণ্যবালা?

চলবে?

গল্প: অরণ্যবালা
লেখক: ভূতের গল্প লেখক সান

দ্রষ্টব্য: গল্পের লেখায় ছোটখাটো ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। যদি সম্ভব হয়, মেসেজের মাধ্যমে জানাবেন। সবশেষে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না, আজকের গল্পটি আপনার কেমন লেগেছে।

Note: This AI-generated image portrays a fictional scenario designed for creative and storytelling purposes. It may include elements that could be unsettling to some viewers. Please exercise discretion when viewing. The content aims to delve into themes of suspense and mystery and does not endorse or encourage any form of violence.

#ভূতেরগল্প #ভৌতিক

২য় অংশইদ্রিস"**মামা কিছুটা অবাক হলেও চিঠির লেখার হাত চিনে ফেলেন — স্যারের হাতের লেখা সহজেই চেনা যায়। তাই বেশি না ভেবেই ল...
04/06/2025

২য় অংশ

ইদ্রিস"**

মামা কিছুটা অবাক হলেও চিঠির লেখার হাত চিনে ফেলেন — স্যারের হাতের লেখা সহজেই চেনা যায়। তাই বেশি না ভেবেই লোকটিকে ভেতরে ডাকেন। লোকটির নাম জাহিদ — কথা বলায় নরম সুর, চোখে একটা অদ্ভুত স্থিরতা।

দুজন একসাথে রাতের খাবার খায় — ডাল, ভুনা গরুর মাংস আর ভাত। খাওয়া শেষে লোকটি বলে, “একটা ছবি তুলবেন ভাই? অনেকদিন পর এত সুন্দর রাত কাটাচ্ছি।”

মামার একটা DSLR ছিল, ছবি তুলে দেন। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায় — পুরো বাসা অন্ধকার। সেই অন্ধকারেই লোকটা হালকা হাসি দিয়ে বলে,
“আপনি কখনও ছায়া দেখেছেন? এমন ছায়া, যেটা ছায়া না হয়ে শরীর হয়ে ওঠে?”

মামা হেসে উত্তর দেয়, “ভূতের গল্পে তো শুনেছি, কিন্তু নিজের চোখে দেখিনি।”

লোকটা এবার ঠাণ্ডা গলায় বলে,
“আজ দেখবেন... কারণ আমি ছায়া।”

মামা ভাবলেন, লোকটা হয়তো মজা করছে। গল্প চলতে থাকে, সময় গড়িয়ে রাত একটা। মামা পাশের রুমে জাহিদের থাকার ব্যবস্থা করেন। এরপর নিজের রুমে এসে ঘুমানোর চেষ্টা করছিলেন, হঠাৎ রাত তিনটার দিকে কড়া শব্দে ঘুম ভেঙে যায়।

দরজা খুলেই মামা যা দেখলেন, তা বিশ্বাস করা কঠিন। তার রুম থেকে পাশের রুম পর্যন্ত লালচে, জ্যামি মতন কিছু একটার ছোপ! রক্ত!

তিনি দৌড়ে গিয়ে জাহিদের ঘরের দরজায় টোকা দেন। দরজা ধীরে ধীরে খোলে। সামনে পড়ে থাকা কাটা একটা মাথা, আর ভেতরে বিছানার ওপর একটা ছটফট করতে থাকা শরীর — মাথাহীন!

ঘটনা এতটাই অবিশ্বাস্য যে মামা প্রথমে ভেবেছিলেন কেউ হয়তো খু'*ন করে গেছে। কিন্তু তখনই টের পেলেন — বাহিরের দরজা বন্ধ, ভেতর থেকে নয় — বাইরে থেকে তালা লাগানো।

মামা চিৎকার করতে চাইছিলেন, হঠাৎ তার চোখ পড়ে টেবিলের ওপর — সেই কাটা মাথাটা টেবিলের ওপর হাসছে! হ্যাঁ, হাসছে!

এই দৃশ্য দেখেই মামা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

পরদিন সকাল
মামা ঘুম থেকে জেগে দেখেন — সব স্বাভাবিক। কাটা মাথা নেই, রক্তের দাগ নেই, এমনকি সেই জাহিদও নেই। এমনকি সেই চিঠিটাও উধাও!

তবে দেয়ালে বড় করে লেখা একটি বাক্য:
“এখনো সময় আছে, চলে যাও...”

মামা ধাঁধায় পড়ে যান। কাল রাতে যা কিছু ঘটেছে, তা কি স্বপ্ন? কিন্তু পরক্ষণেই খেয়াল করেন, ডাইনিং টেবিলে রাখা আছে দুইজনের খাবারের প্লেট, যেমনটা কাল রাতে খেয়েছিলেন তারা।

মামা বাইরে গিয়ে প্রতিবেশীদের বলেন, “গতরাতে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল, তাই এমনটা হয়েছে।” কিন্তু আশেপাশের সবাই বলেন,
“না ভাই, গতরাতে তো কোন কারেন্ট যায়নি!”

মামার শরীর ঠাণ্ডা হয়ে আসে।

তিনি ঘটনাটা বাড়িওয়ালাকে বললে বাড়িওয়ালা বলেন,
“এই রুমটা আগে দুইজন বন্ধু ভাড়া নিয়েছিল। এক রাতে একজন আরেকজনকে গলা কেটে মেরে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশও লাশ খুঁজে পায়নি, খালি রক্তাক্ত কক্ষ। তারপর থেকে এই ঘরে নানা ঘটনা ঘটে...”

সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপারটা তখনই ঘটে, যখন মামা সেই রাতে তোলা ছবিটা স্টুডিওতে প্রিন্ট করতে দেন। ছবিটা হাতে পাওয়ার পর রীতিমত ঘাম ছুটে যায়।

ছবিতে জাহিদ নেই — শুধু মামা একা দাঁড়িয়ে আছেন। আর পাশে একটা ধোঁয়ার মত সাদা ছায়া, অস্পষ্ট মুখ, ফাঁকা চোখ — যেন তাকিয়ে আছে ক্যামেরার দিকে।

মামা ছবিটা ফ্রেমে বাঁধিয়ে ফেলার কথা ভাবলেন, কিন্তু তার আগেই...

পরদিন সন্ধ্যা:

আবার দরজায় টোকা।

মামা দরজা খুলতেই চমকে ওঠেন — একই চেহারার এক লোক, হাতে আবার একটি খাম।

চিঠিটাতে লেখা:
**"রাশেদ,
আমার এক আত্মীয় ঢাকায় এসেছে। ওকে এক রাত তোমার কাছে থাকতে দাও।

ইদ্রিস"**

মামা এবার ভয় পেয়ে যান। লোকটি বলে,
“ভাই, আমি কাল রওনা দিয়েছিলাম, কিন্তু বাসার ঠিকানা হারিয়ে ফেলি। অনেক কষ্টে আজকে সন্ধ্যায় খুঁজে পেয়েছি।”
লেখক : ভূতের গল্প লেখক সান
চিঠিটাতে লেখা:
**"রাশেদ,
আমার এক আত্মীয় ঢাকায় এসেছে। ওকে এক রাত তোমার কাছে থাকতে দাও।

ইদ্রিস"**

মামা এবার ভয় পেয়ে যান। লোকটি বলে,
“ভাই, আমি কাল রওনা দিয়েছিলাম, কিন্তু বাসার ঠিকানা হারিয়ে ফেলি। অনেক কষ্টে আজকে সন্ধ্যায় খুঁজে পেয়েছি।”

মামা কোনো কথা না বলে দরজা বন্ধ করেন। সে রাতেই বাসা ছেড়ে চলে যান।

শেষ কথা:
এরপর মামা কখনো একা বাসা নেননি। সবসময় চেষ্টা করেন কারো সাথে থাকতে। আর সেই ছবিটা?
তিনি তা পুড়িয়ে ফেলেন, কিন্তু ছবির ছায়াটা এখনো তাঁর ঘুমের মধ্যে আসে।

লেখক: ভূতের গল্প লেখক সান

কুদ্দুস মিয়া ছোটবেলা থেকেই মাছ ধরে। নদী, খাল, বিল—জল আছে যেখানে, সেখানেই কুদ্দুসের জাল পড়ে। মানুষ ভাবে, যারা মাছ ধরে, তা...
04/06/2025

কুদ্দুস মিয়া ছোটবেলা থেকেই মাছ ধরে। নদী, খাল, বিল—জল আছে যেখানে, সেখানেই কুদ্দুসের জাল পড়ে। মানুষ ভাবে, যারা মাছ ধরে, তারা অনেক কিছু দেখে। ভয়-টয় এদের কিছুই হয় না। কুদ্দুস মিয়ারও ভয় বলে কিছু নেই।

তালতলার খাল নিয়ে অনেক কাহিনি শুনেছে কুদ্দুস। বলে, রাতের বেলা সেখানে কেউ যায় না। গেলেই আর ফেরে না। নাকি এক সময় এক নতুন বউ এর লাশ সেই খালে ফেলা হয়েছিল। তারপর থেকে মাঝেমধ্যে সাদা শাড়ি পরা একটা মেয়ে খালের ধারে ঘোরে। কেউ দেখে না, শুধু টের পায়—জলে ছলছল শব্দ হয়, অথচ আশেপাশে কেউ নেই।

কিন্তু কুদ্দুস মিয়া এসব কথা বিশ্বাস করে না। বলে, “ভূত-টুত সব গুজব। মাছ যেখানে আছে, সেখানেই যাবো। দিনের বেলা মাছ কম মেলে, রাতে বেশি। কাজেই আমি যাবো।”

কুদ্দুসের বউ লাইলি অনেক বুঝায়, “ও খালে অনেক অপঘাত হয়েছে, প্লিজ তুমি যেও না।”
কুদ্দুস হেসে বলে, “তুই ভয় পাস, আমি না। আমি ভয় খাই না।”
তবুও লাইলি কেঁদে পড়ে, বলে, “তাহলে কাউকে সাথে নে।”

কুদ্দুস রাজি হয়, ভাবে কাউকে নিয়ে যাবে। কিন্তু যার কাছেই যায়, সবাই এক কথা বলে, “তালতলার খালে রাতের বেলা? ভাই ভুলেও যাইও না!”

একসময় কুদ্দুস মিয়া রাগ করে যায়, “এইবার তো যেতেই হবে। দেখবো, ভূত নামে কিছু আছে কি না!”

রাত দশটার সময় চুপচাপ জাল আর বৈঠা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। গ্রাম তখন ঘুমে। চারদিকে থমথমে নিরবতা। কুদ্দুস মিয়া নদীর ধারে এসে তার ছোট নৌকাটায় উঠে বসে। বৈঠা বেয়ে তালতলার খালের দিকে রওনা দেয়।

নদী গিয়ে দুইদিকে ভাগ হয়েছে—ডানে বড় হাট, আর বাঁদিকে তালতলার খাল। মানুষ সাধারণত ডান দিক দিয়ে যায়, বামদিক শুনশান। কুদ্দুস মিয়া বাঁদিকে ঢুকে পড়ে।

বাঁকের কাছে আসতেই দেখে, হঠাৎ করে একটা নৌকা ডান দিক থেকে বাঁ দিকে তালতলার খালের পথ ধরে যাচ্ছে। অবাক হয়ে ভাবে, এত রাতে আরেকজন কোথায় যাচ্ছে?

সে চিৎকার করে বলে, “ঐ মাঝি ভাই, কোথায় যান?”
ওপাশ থেকে ভাঙা গলায় উত্তর আসে, “মাছ ধরতে যাচ্ছি তালতলার খালে।”

কুদ্দুস খুশি হয়, ভাবে, ভালোই হলো। কেউ অন্তত যাচ্ছে।
সে বলে, “চলেন একসাথে যাই।”
কিন্তু মাঝি কিছু না বলে চুপচাপ বৈঠা চালায়। কুদ্দুসও পাত্তা না দিয়ে তার পেছনে পেছনে চলে।

খালের গভীরে ঢুকে পড়ে কুদ্দুস মিয়া। ঘুটঘুটে অন্ধকার, শুধু মাঝে মাঝে ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ। জোছনা একটু একটু পড়ছে পানিতে। খালের একটা জায়গায় মাঝির নৌকাটা দাঁড়িয়ে আছে দেখে কুদ্দুস মিয়াও তার নৌকা থামায়।

দেখে, মাঝি মাথায় সাদা কাপড় জড়ানো, পুরো শরীরও ঢেকে রেখেছে। এমন গরমেও লোকটা কেন এমন পোশাক পরেছে, বুঝে না কুদ্দুস।

সে আর দেরি না করে জাল পানিতে ফেলে দেয়। একটু পর টান টান অনুভব করে। বড় মাছ বুঝে দারুণ খুশি হয়।

মাঝিকে ডাকার জন্য পিছনে তাকায়—দেখে মাঝি ঠিক তার পেছনে দাঁড়িয়ে।
একটু কেঁপে উঠে কুদ্দুস মিয়া। ভাবে, “আমি তো ডাকলাম না। তাহলে লোকটা কি করে বুঝলো আমি ডাকতে যাচ্ছি?”

কুদ্দুস কিছু না বলে বলে, “ভাই, একটুও হাত লাগান তো, জাল তুলতে পারতেছি না।”
মাঝি একটানে জাল তুলে নেয়। কুদ্দুসের চোখ কপালে উঠে যায়। সে যেখানে পারছিল না, সেখানে মাঝি এত সহজে তুলল কীভাবে?

মাঝি কিছু না বলে চুপচাপ বসে পড়ে। কুদ্দুস এবার জালের দিকে তাকায়। তার বুক ধক করে উঠে। জালের ভেতর মাছ নেই, বরং একটা লম্বা কাপড়ে মোড়ানো কিছু! দেখতে অনেকটা লাশের মতো।

হাত কাঁপতে থাকে কুদ্দুস মিয়ার। ভাবে, “এটা কি আসলেই লাশ?”
সাহস করে কাপড়টা একটু একটু করে খুলে। হঠাৎ পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মাঝির দিকে চোখ পড়ে। দেখে, মাঝি এখন চাদর সরিয়ে ফেলেছে। তার মুখে অদ্ভুত হাসি।

কুদ্দুস একটু রেগে গিয়ে চোখ ফিরিয়ে নেয়। আবার কাপড়ের দিকে তাকায়। হঠাৎ লাশের চোখদুটি খুলে যায়!

দুইটা বড় বড় হলুদ চোখ তার দিকে চেয়ে আছে।

বাকী অংশ কমেন্ট এ

গল্প: "তালতলার খালে কুদ্দুস মিয়ার শেষ রাত!
লেখক: ভূতের গল্প লেখক সান

দ্রষ্টব্য: গল্পের লেখায় ছোটখাটো ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। যদি সম্ভব হয়, মেসেজের মাধ্যমে জানাবেন। সবশেষে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না, আজকের গল্পটি আপনার কেমন লেগেছে।

Note: This AI-generated image portrays a fictional scenario designed for creative and storytelling purposes. It may include elements that could be unsettling to some viewers. Please exercise discretion when viewing. The content aims to delve into themes of suspense and mystery and does not endorse or encourage any form of violence.

#ভূতেরগল্প

ঘটনাটা আজ থেকে দেড় বছর আগের। আমার মামা, নাম তার রাশেদ, ছিলেন একা — ব্যাচেলর, কিছুটা উদাসীন প্রকৃতির। চাকরির সূত্রে তিনি ...
03/06/2025

ঘটনাটা আজ থেকে দেড় বছর আগের। আমার মামা, নাম তার রাশেদ, ছিলেন একা — ব্যাচেলর, কিছুটা উদাসীন প্রকৃতির। চাকরির সূত্রে তিনি তখন সদ্য নরসিংদী শহরে এক নতুন বাসায় উঠেছেন। বাসাটা ছিল পুরনো, তিন তলার একতলায় — ভাড়া কম, তাই মামা আর বেশি না ভেবেই বাসাটা নিয়ে ফেলেন।

তিনদিনও হয়নি মামা সেখানে উঠেছেন। এক সন্ধ্যায়, প্রায় ৮টার দিকে, হালকা বৃষ্টির শব্দের মাঝে দরজায় টোকা পড়ে। দরজা খুলতেই দাঁড়িয়ে ছিল এক মধ্যবয়সী মানুষ — গায়ে সাদা পাঞ্জাবি, ভেজা মাথায় টুপি, হাতে একটা পুরনো খাম। লোকটা বলল, সে মামার গ্রামের এক পুরনো পরিচিত শিক্ষক ইদ্রিস স্যারের পক্ষ থেকে এসেছে।

খামের ভেতর থাকা চিঠিটাতে লেখা ছিল:

**"রাশেদ,
আমার এক আত্মীয় ঢাকায় এসেছে। ওকে এক রাত তোমার কাছে থাকতে দাও।

ইদ্রিস"**

মামা কিছুটা অবাক হলেও চিঠির লেখার হাত চিনে ফেলেন — স্যারের হাতের লেখা সহজেই চেনা যায়। তাই বেশি না ভেবেই লোকটিকে ভেতরে ডাকেন। লোকটির নাম জাহিদ — কথা বলায় নরম সুর, চোখে একটা অদ্ভুত স্থিরতা।

দুজন একসাথে রাতের খাবার খায় — ডাল, ভুনা গরুর মাংস আর ভাত। খাওয়া শেষে লোকটি বলে, “একটা ছবি তুলবেন ভাই? অনেকদিন পর এত সুন্দর রাত কাটাচ্ছি।”

মামার একটা DSLR ছিল, ছবি তুলে দেন। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায় — পুরো বাসা অন্ধকার। সেই অন্ধকারেই লোকটা হালকা হাসি দিয়ে বলে,
“আপনি কখনও ছায়া দেখেছেন? এমন ছায়া, যেটা ছায়া না হয়ে শরীর হয়ে ওঠে?”

মামা হেসে উত্তর দেয়, “ভূতের গল্পে তো শুনেছি, কিন্তু নিজের চোখে দেখিনি।”

লোকটা এবার ঠাণ্ডা গলায় বলে,
“আজ দেখবেন... কারণ আমি ছায়া।”

মামা ভাবলেন, লোকটা হয়তো মজা করছে। গল্প চলতে থাকে, সময় গড়িয়ে রাত একটা। মামা পাশের রুমে জাহিদের থাকার ব্যবস্থা করেন। এরপর নিজের রুমে এসে ঘুমানোর চেষ্টা করছিলেন, হঠাৎ রাত তিনটার দিকে কড়া শব্দে ঘুম ভেঙে যায়।

দরজা খুলেই মামা যা দেখলেন, তা বিশ্বাস করা কঠিন। তার রুম থেকে পাশের রুম পর্যন্ত লালচে, জ্যামি মতন কিছু একটার ছোপ! রক্ত!

তিনি দৌড়ে গিয়ে জাহিদের ঘরের দরজায় টোকা দেন। দরজা ধীরে ধীরে খোলে। সামনে পড়ে থাকা কাটা একটা মাথা, আর ভেতরে বিছানার ওপর একটা ছটফট করতে থাকা শরীর — মাথাহীন!

ঘটনা এতটাই অবিশ্বাস্য যে মামা প্রথমে ভেবেছিলেন কেউ হয়তো খু'*ন করে গেছে। কিন্তু তখনই টের পেলেন — বাহিরের দরজা বন্ধ, ভেতর থেকে নয় — বাইরে থেকে তালা লাগানো।

মামা চিৎকার করতে চাইছিলেন, হঠাৎ তার চোখ পড়ে টেবিলের ওপর — সেই কাটা মাথাটা টেবিলের ওপর হাসছে! হ্যাঁ, হাসছে!

এই দৃশ্য দেখেই মামা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

পরদিন সকাল
মামা ঘুম থেকে জেগে দেখেন — সব স্বাভাবিক। কাটা মাথা নেই, রক্তের দাগ নেই, এমনকি সেই জাহিদও নেই। এমনকি সেই চিঠিটাও উধাও!

তবে দেয়ালে বড় করে লেখা একটি বাক্য:
“এখনো সময় আছে, চলে যাও...”

মামা ধাঁধায় পড়ে যান। কাল রাতে যা কিছু ঘটেছে, তা কি স্বপ্ন? কিন্তু পরক্ষণেই খেয়াল করেন, ডাইনিং টেবিলে রাখা আছে দুইজনের খাবারের প্লেট, যেমনটা কাল রাতে খেয়েছিলেন তারা।

মামা বাইরে গিয়ে প্রতিবেশীদের বলেন, “গতরাতে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল, তাই এমনটা হয়েছে।” কিন্তু আশেপাশের সবাই বলেন,
“না ভাই, গতরাতে তো কোন কারেন্ট যায়নি!”

মামার শরীর ঠাণ্ডা হয়ে আসে।

তিনি ঘটনাটা বাড়িওয়ালাকে বললে বাড়িওয়ালা বলেন,
“এই রুমটা আগে দুইজন বন্ধু ভাড়া নিয়েছিল। এক রাতে একজন আরেকজনকে গলা কেটে মেরে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশও লাশ খুঁজে পায়নি, খালি রক্তাক্ত কক্ষ। তারপর থেকে এই ঘরে নানা ঘটনা ঘটে...”

সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপারটা তখনই ঘটে, যখন মামা সেই রাতে তোলা ছবিটা স্টুডিওতে প্রিন্ট করতে দেন। ছবিটা হাতে পাওয়ার পর রীতিমত ঘাম ছুটে যায়।

ছবিতে জাহিদ নেই — শুধু মামা একা দাঁড়িয়ে আছেন। আর পাশে একটা ধোঁয়ার মত সাদা ছায়া, অস্পষ্ট মুখ, ফাঁকা চোখ — যেন তাকিয়ে আছে ক্যামেরার দিকে।

মামা ছবিটা ফ্রেমে বাঁধিয়ে ফেলার কথা ভাবলেন, কিন্তু তার আগেই...

পরদিন সন্ধ্যা:

আবার দরজায় টোকা।

মামা দরজা খুলতেই চমকে ওঠেন — একই চেহারার এক লোক, হাতে আবার একটি খাম।

চিঠিটাতে লেখা:
**"রাশেদ,
আমার এক আত্মীয় ঢাকায় এসেছে। ওকে এক রাত তোমার কাছে থাকতে দাও।

ইদ্রিস"**

মামা এবার ভয় পেয়ে যান। লোকটি বলে,
“ভাই, আমি কাল রওনা দিয়েছিলাম, কিন্তু বাসার ঠিকানা হারিয়ে ফেলি। অনেক কষ্টে আজকে সন্ধ্যায় খুঁজে পেয়েছি।”

বাকী অংশ কমেন্ট এ

গল্প: ছায়া ভূত
লেখক: ভূতের গল্প লেখক সান

দ্রষ্টব্য: গল্পের লেখায় ছোটখাটো ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। যদি সম্ভব হয়, মেসেজের মাধ্যমে জানাবেন। সবশেষে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না, আজকের গল্পটি আপনার কেমন লেগেছে।

Note: This AI-generated image portrays a fictional scenario designed for creative and storytelling purposes. It may include elements that could be unsettling to some viewers. Please exercise discretion when viewing. The content aims to delve into themes of suspense and mystery and does not endorse or encourage any form of violence.

#ভূতেরগল্প

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Saiful Islam Sun posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category