রেজাউল করীম আবরার

রেজাউল করীম আবরার হুকুম চলবে একমাত্র আল্লাহর ✅
যে মানবে সে বনবে।
যে মানবে না সে বনবে না।
0+

04/02/2025

১৮ বছরের নিচে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যাবে না, এ আইন পরিবর্তন করা আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইসলাম যেখানে বিয়ের জন্য নির্দিষ্ট কোন বয়স বেধে দেয় নি, সেখানে আপানারা কে বয়স নির্ধারণ করার?

মাশা আল্লাহ।
04/02/2025

মাশা আল্লাহ।

03/02/2025

হুব্বে সাহাবা জিন্দাবাদ! বুগজে সাহাবা মুর্দাবাদ!

03/02/2025

কওমী মাদ্রাসা সনদের যথাযথ মূল্যায়ন এ সময়ের সবচেয়ে দরকারী কাজ। জাতীয় ওলামা মাশায়েখ থেকে আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আবারও চেষ্টা চালিয়ে যাব।সবাইকে সাথে থাকার আহবান।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ | National Ulama Mashaikh Aimma Parishad

কওমী মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট কারো উপর জুলুম করা ও জুলুমের বৈধতা দেয়ার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠছে আওয়ামী যোগসাজশের আলাপ। কোনরুপ স...
03/02/2025

কওমী মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট কারো উপর জুলুম করা ও জুলুমের বৈধতা দেয়ার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠছে আওয়ামী যোগসাজশের আলাপ। কোনরুপ সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণেরও প্রয়োজন হয়না। একসাথে খেয়েছে, ঘুরেছে, বসেছে এটাইপ কিছু পেলেও যথেষ্ট!

যেকোনো প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক ব্যক্তিবর্গকে পেরেশান করার হাতিয়ার হল আওয়ামী আমলে/আওয়ামী ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া।

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বাদ দেয়া হয়েছে একঝাঁক মেধাবী শিক্ষককে। যারা সাবেক জামায়াত ও আওয়ামী এমপি আবু রেজা নদভীর সময়কালীন নিয়োগ হওয়া।

আচ্ছা যদি নদভী আমলে নিয়োগ হওয়াই অপরাধ এবং আওয়ামী দোসর প্রমাণিত হয় তাহলে বিগত ১৬ বছর যারা নিয়োগ হল,সরকারি বেতন-ভাতা ভোগ করলো এরা সবাই কি আওয়ামী দোসর?

বাংলাদেশের একজন প্রসিদ্ধ আলোচকের প্রতিষ্ঠান নিয়ে আমি একটি পোস্ট করেছিলাম সেখানে স্পষ্ট দেখিয়েছি আওয়ামী পুরো সময়জুড়েই প্রতিষ্ঠানটি আওয়ামী সরকারের যাবতীয় সুবিধা ভোগ করেছে এমনকি তাদের অফিসে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের ছবি ঝুলানো ছিল।

আজ যারা আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্টদের স্বেচ্ছায় প্রদত্ত দান নিয়ে অভিযোগ আনার চেষ্টা করছে এরা বিগত ১৬ বছর সরাসরি আওয়ামী সরকারের বেতন-ভাতা ভোগ করেছে৷ সংগঠনের মাসিক চাঁদা তথা বাইতুল মালও এ অর্থ থেকেই জোগান দিয়েছে!

কোন কোন সুশীল দাবী করছেন এ প্রতিষ্ঠানের মালিকানা জামায়াতের! এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। প্রতিষ্ঠানটি মালিকানা পুরোপুরিই রাষ্ট্রের। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এটাকে সুনির্দিষ্ট কোন দল বা গোষ্ঠীর একক মালিকানা দাবী করার কোন সুযোগ নেই।

৫ই আগস্ট পরবর্তী দখল ও জুলুমের ঘটনা দুয়েকটা নয়,বহু। নিজেদের পছন্দসই লোকদের জায়গা করে দিতে দেশব্যাপী এ জুলুম চালিয়েছে জামায়াত সংশ্লিষ্টরা। বেশ কিছু অভিযোগ ও তথ্য প্রমাণ আমার কাছে আছে। ইসলামী শক্তির বৃহৎ ঐক্যের কথা চিন্তা করে আমরা চুপ থাকলেও তারা চুপ নেই। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে ঝামেলা করেই যাচ্ছে।।

আল্লাহ হেফাজত করুন। আমিন।

03/02/2025

কওমি মাদরাসার সকল বোর্ড পরীক্ষার্থীর জন্য আন্তরিক শুভকামনা। হলে যাওয়ার আগে অবশ্যই দু-রাকআত সালাত আদায় করে যেতে ভুলবেন না। আর কোনোকিছু মনে না এলে অধিক পরিমাণ দুরুদ পাঠ করবেন। শীতল মস্তিষ্কে প্রশ্ন বুঝে শুরু থেকেই সময় ভাগ করে নিয়ে লিখতে শুরু করবেন। পবিত্রতা ও আমানতদারিই আপনাদের শক্তি বৃদ্ধি করবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ বরকত দান করুন। প্রত্যেককে সফলতা ও কৃতকার্যতা দান করুন।

02/02/2025

হাত মিলানো টা যেনো পূর্বের মত না হয়!

02/02/2025

দেওবন্দি/কওমি ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা তাদের অন্য রাজনৈতিক শক্তিগুলোর তুলনায় আলাদা ও বিশেষভাবে শক্তিশালী করতে সক্ষম। এই ইতিবাচক দিকগুলোকে কাজে লাগিয়ে তারা নিজেদের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে ইসলামি রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে।

একটি শক্তিশালী প্লাটফর্ম তৈরি করতে প্রয়োজন -( ১) উপযুক্ত নেতৃত্ব (২) যোগ্য কর্মী বাহিনী (৩) সমর্থক
আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের সবকিছুই আছে।

(১) ধর্মপ্রাণ জনগণের আস্থা

দেওবন্দি/কওমি ধারার রাজনীতির অন্যতম শক্তি হলো বিশাল ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠীর অকুণ্ঠ সমর্থন।

সাধারণ মানুষ ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে পরিচালিত দলগুলোর প্রতি স্বাভাবিকভাবে আস্থাশীল, যা রাজনৈতিক মূলধন হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

(২) আলেমদের নেতৃত্বের প্রতি জনসমর্থন

ইসলামী দলগুলোর নেতা সাধারণত আলেম ও মাদরাসা শিক্ষিত, ফলে সাধারণ মানুষ তাদের ওপর আস্থা রাখে।

ধর্মীয় ও নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব একটি বড় পুঁজি, যা অন্য দলগুলোর নেই।

(৩) দাওয়াতি ও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা

ইসলামী দলগুলো শুধু রাজনৈতিক সংগঠন নয়, বরং সমাজ সংস্কারমূলক কাজেও নিয়োজিত, যা তাদের জনসমর্থন বাড়াতে সাহায্য করে।

ওয়াজ-মাহফিল, ইসলামী শিক্ষা, জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড—এসবের মাধ্যমে তারা সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে।

বিশেষত দাওয়াত ও তাবলীগের মতো বিশাল জনসম্পৃপ্ত প্লাটফর্ম আলেমদের হাতে। এখানে বিভিন্ন শ্রেনি ও পেশার বিশাল জনগোষ্ঠী রয়েছে।

(৪) সাংগঠনিক শক্তি ও মাদরাসাভিত্তিক কাঠামো, কওমি মাদরাসা নেটওয়ার্ক

কওমি মাদরাসাগুলোর বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে, যা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইসলামী রাজনীতির বিস্তারে সাহায্য করতে পারে।

প্রতিটি মাদরাসাই একেকটি সাংগঠনিক ইউনিটের মতো কাজ করতে পারে, যা প্রচারণার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে।

(৫) দক্ষ কর্মী ও সংগঠক

ইসলামী ছাত্রসংগঠন, উলামা পরিষদ ও বিভিন্ন ইসলামী সামাজিক সংগঠন থেকে অভিজ্ঞ সংগঠক ও কর্মী পাওয়া যায়।

মাদরাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সহজেই ইসলামী আন্দোলনের প্রচারে যুক্ত হতে পারেন, যা রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির অন্যতম মাধ্যম।

(৬) স্থানীয় পর্যায়ে গভীর সাংগঠনিক উপস্থিতি

কওমি ধারার রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত প্রতিটি গ্রাম ও মহল্লায় কোনো না কোনোভাবে প্রভাব বিস্তার করে থাকে।

স্থানীয় মসজিদ, মাদরাসা ও ওয়াজ-মাহফিলের মাধ্যমে তারা সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হতে পারে।

(৭) আদর্শিক শক্তি ও নৈতিক অবস্থান, দ্বীনদার ও দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্ব

অন্যান্য রাজনৈতিক দলের চেয়ে দেওবন্দি/কওমি ধারার ইসলামি দলগুলোর বড় শক্তি হলো তাদের স্বচ্ছ ও নৈতিক নেতৃত্ব।

দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে তুলনামূলক মুক্ত থাকায় জনগণের মধ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বেশি।

(৮) ইসলামী আইন ও নীতির পক্ষে অবস্থান

ইসলামী আদর্শভিত্তিক রাজনীতি এবং শরিয়াহ-সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অনেক ইসলামপ্রেমী মানুষের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মিলে যায়।

ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি তাদের অঙ্গীকার জনগণের সমর্থন পাওয়ার অন্যতম কারণ।

(৯) শক্তিশালী বুদ্ধিবৃত্তিক ও ফতোয়া ভিত্তিক অবস্থান

কওমি ধারার আলেমদের মধ্যে বহু স্কলার রয়েছেন, যারা ইসলামী ফিকহ ও সমাজনীতি সম্পর্কে গভীর জ্ঞান রাখেন।

অন্য রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে দুর্বল, সেখানে ইসলামী দলগুলোর চিন্তাধারা সুসংহত ও নীতিনির্ধারণে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে।

(১০) গণসংযোগ ও প্রচার ক্ষমতা,ওয়াজ-মাহফিল ও ইসলামী সমাবেশের মাধ্যমে সহজ প্রচার

কওমি ধারার দলগুলোর অন্যতম শক্তি হলো ওয়াজ-মাহফিলের মাধ্যমে বিপুল জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানো।

ইসলামি আলোচকদের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে সহজেই রাজনৈতিক বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।

(১১) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইসলামি মিডিয়ার ব্যবহার

ইসলামি বক্তাদের জনপ্রিয়তা সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবে ব্যাপক, যা রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য বড় হাতিয়ার হতে পারে।

ইসলামী ঘরানার নিউজ পোর্টাল, ইউটিউব চ্যানেল ও ইসলামি মিডিয়া নেটওয়ার্ককে আরও সুসংগঠিত করে রাজনৈতিক প্রচারণায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

(১২) রাজনৈতিক কৌশলগত শক্তি, নিরপেক্ষ ও ন্যায়ভিত্তিক অবস্থান

ইসলামী দলগুলো যদি বড় দলের সঙ্গে জোট না করে, তাহলে তারা নিরপেক্ষভাবে জনগণের স্বার্থে কথা বলতে পারে, যা তাদের জনপ্রিয়তা বাড়াবে।

বিএনপি-আওয়ামী লীগসহ অন্য দলগুলো যেখানে ক্ষমতার রাজনীতিতে আপস করতে বাধ্য হয়, সেখানে ইসলামী দলগুলো তাদের অবস্থান শক্ত রেখে রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণ করতে পারে।

(১৩) জাতীয় ইস্যুতে জনগণের স্বার্থ রক্ষার শক্তিশালী ভূমিকা

নৈতিক ও সামাজিক ইস্যুগুলোতে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে তারা জনগণের কাছে আরও জনপ্রিয় হতে পারে।

ইসলামী মূল্যবোধবিরোধী যে কোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুসংগঠিত আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে তারা রাজনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী হবে।

(১৪) ইসলামি অর্থনীতি ও কল্যাণমূলক ব্যবস্থার প্রচার

সুদবিহীন ব্যাংকিং, ওয়াকফ সম্পদের সঠিক ব্যবহার, দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাত ও ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রসার ঘটিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তি বাড়ানো সম্ভব।

জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কল্যাণমূলক উদ্যোগ (মাদরাসা-ভিত্তিক দাতব্য হাসপাতাল, বিনামূল্যে চিকিৎসা, দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্প) বাড়ানো যেতে পারে।

দেওবন্দি/কওমি ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তাদের বিশাল ইসলামপ্রেমী জনগোষ্ঠীর সমর্থন, কওমি মাদরাসার সাংগঠনিক কাঠামো, ওয়াজ-মাহফিলের মাধ্যমে সহজে মানুষের কাছে পৌঁছানোর ক্ষমতা এবং নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব।

কীভাবে স্বতন্ত্র শক্তি হিসেবে গড়ে তোলা যায়?

1. অভ্যন্তরীণ ঐক্য গড়ে তোলা – ইসলামি দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি দূর করে একটি শক্তিশালী ইসলামী জোট তৈরি করা।

2. শিক্ষা ও বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব গঠন – ইসলামি স্কলারদের রাজনৈতিকভাবে আরও সচেতন করে সুপরিকল্পিত নেতৃত্ব তৈরি করা।

3. গণসংযোগ ও মিডিয়া ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধি – সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়াজ-মাহফিল ও ইসলামি মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলামী রাজনীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া।

4. রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণ – সরাসরি বড় দলের সঙ্গে জোট না করে, বরং নিজস্ব অবস্থান থেকে শক্তিশালী একটি রাজনৈতিক বলয়ে পরিণত হওয়া।হ্যাঁ,পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় একান্ত যদি রাজনৈতিক জোট করতেই হয় তাহলে নিজেদের স্বতন্ত্র, স্বকীয়তা বজিয়ে রাখার প্রতি গভীর মনোযোগী হতে হবে।

5. সামাজিক ও কল্যাণমূলক কাজের প্রসার – ইসলামী অর্থনীতি, দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো খাতে কাজ করে জনগণের আস্থা অর্জন করা।

সঠিক পরিকল্পনা ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেওবন্দি/কওমি ধারার দলগুলো নিজেদের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হতে পারে, যা ভবিষ্যতে ইসলামি রাজনীতির জন্য টেকসই ভূমিকা রাখবে।

শেষ ছবিতে চমক আছে... যদিও ছবিগুলো কাল্পনিক কিন্তু পৃথিবীর সকল উদ্ভাধন কল্পনা থেকেই হয়। ইসলামপন্থীদের এই ধরণের মুখগুলো নি...
02/02/2025

শেষ ছবিতে চমক আছে... যদিও ছবিগুলো কাল্পনিক কিন্তু পৃথিবীর সকল উদ্ভাধন কল্পনা থেকেই হয়। ইসলামপন্থীদের এই ধরণের মুখগুলো নির্বাচন ও সংসদে উঠতে পারলে রাষ্ট্রক্ষমতায় দারুণতম ভয়েস হয়ে উঠবেন।

ক্ষমতার চেয়েও এখানে বড় প্রশ্ন ইসলামপন্থার প্রতিনিধিত্ব। জুলাই অভ্যুত্থান সেই প্রতিনিধিত্বের সুযোগ করে দিয়েছে। ইসলামপন্থীরা সেই প্রতিনিধিত্বে অংশ নিক। রাজনৈতিক নেতাদের বাইরেও এই মানুষগুলো নির্বাচনী প্রস্তুতি গ্রহণ করুক। তাদের প্রতিনিধিত্ব ইসলামপন্থার জন্য উপকার বয়ে আনুক।

আমি অবশ্যই জানি না নির্বাচনের মত বিষয়ে এদের মধ্যে কারা কারা রাজি হবেন কিন্তু মনে প্রাণে চাই সবাই রাজি হোক। তরুণদেরকে ইসলামী রাজনীতিতে আগ্রহী করে তুলুক।

দেওবন্দি/কওমী ঘরানার ইসলামি দলগুলো যদি নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে না পারে, তাহলে রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় এবং সাংগঠনি...
02/02/2025

দেওবন্দি/কওমী ঘরানার ইসলামি দলগুলো যদি নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে না পারে, তাহলে রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় এবং সাংগঠনিকভাবে নানা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এসব ক্ষতি শুধু দলগুলোর জন্যই নয়, বরং ইসলামি রাজনীতি ও সাধারণ ধর্মপ্রাণ জনগণের জন্যও দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর হতে পারে।

১. রাজনৈতিক ক্ষতি -

★ রাজনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে

★ এককভাবে ছোট ছোট ইসলামি দলগুলো রাজনৈতিকভাবে প্রভাব ফেলতে পারবে না।

★ ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান ও কৌশল গ্রহণের কারণে ইসলামি রাজনীতির ধারাবাহিকতা নষ্ট হবে।

★ মূলধারার রাজনীতিতে ইসলামপন্থীদের অবস্থান আরো দুর্বল হয়ে পড়বে।

★ ইসলামী রাজনীতির প্রতি সাধারণ মানুষ অনাস্থা ও অনাগ্রহ তৈরি হবে

২. ভোট বিভক্ত হয়ে যাবে

★ একক ইসলামী দলগুলো পৃথক পৃথকভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের ভোট শক্তি ছড়িয়ে যাবে, ফলে তারা উল্লেখযোগ্য আসন পেতে ব্যর্থ হবে।

★ ইসলামি ভোট ব্যাংক বিভক্ত হওয়ায় বড় রাজনৈতিক দলগুলো সহজেই এ ভোট নিজেদের দিকে টেনে নিতে পারবে।

★ ইসলামি দলগুলোর প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করলে মূলধারার দলগুলো ফায়দা লুটবে।

৩. সরকার ও বিরোধী দলগুলো ইসলামি শক্তিকে গুরুত্ব দেবে না

★ সরকার বা বিরোধী দলগুলো ইসলামী দলগুলোর পৃথক পৃথক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে তাদের দাবিগুলোকে অগ্রাহ্য করবে।

★ সরকার যখনই কোনো ইসলামবিরোধী নীতি গ্রহণ করবে, তখন ইসলামি দলগুলো এককভাবে প্রতিবাদ করলে তা উপেক্ষিত হবে।

★ বিরোধী দলগুলোও ইসলামি শক্তির প্রতি মনোযোগ দেবে না, কারণ তারা জানবে যে এদের মধ্যে ঐক্য নেই এবং সহজেই এদের দমন করা যাবে।

★ ধর্মীয় ও আদর্শগত ক্ষতি★

১. ইসলামবিরোধী শক্তির আক্রমণ সহজতর হবে

★ ইসলামবিরোধী গোষ্ঠীগুলো বিভক্ত ইসলামি শক্তির সুযোগ নিয়ে ইসলামি মূল্যবোধ ও কওমী শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাবে।

★ ইসলামী শক্তির ঐক্যের অভাবে ইসলামবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়বে।

২. কওমী শিক্ষাব্যবস্থার স্বায়ত্তশাসন হুমকির মুখে পড়বে

★ ইসলামি শক্তি ঐক্যবদ্ধ না হলে সরকার কওমী মাদরাসার স্বায়ত্তশাসন হ্রাস করতে পারে।

★ কওমী শিক্ষাব্যবস্থা ধীরে ধীরে সরকারি নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে, যা এর মূল উদ্দেশ্যকে ক্ষুণ্ন করবে।

★ সাংগঠনিক ক্ষতি ★

১. আলেম সমাজ বিভক্ত হয়ে পড়বে-

★ আলেমদের নেতৃত্বাধীন সংগঠনগুলো এককভাবে কাজ করলে ইসলামী আন্দোলনের ঐক্য বিনষ্ট হবে।

★ ছাত্র-শিক্ষক এবং মাদরাসাগুলোর মধ্যেও বিভক্তির সৃষ্টি হতে পারে।

২. অভ্যন্তরীণ কলহ বাড়বে

★ ইসলামী দলগুলোর নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতা চলতে থাকলে দলগুলোর ভেতরেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।

★ এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে কাজ করলে ইসলামী দলগুলোর শক্তি কমে যাবে।

★ ইসলামি সংগঠনগুলোর কর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হবে

★ দীর্ঘমেয়াদে কর্মীরা হতাশ হয়ে ইসলামি রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে।

---

★ সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি ★

১. ইসলামী সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দুর্বল হয়ে যাবে

★ সমাজে ইসলামী নীতি-নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার কাজ দুর্বল হয়ে পড়বে।

★ ইসলামি আইন ও সামাজিক নীতির পক্ষে কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলা কঠিন হবে।

★ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্ষতি★

১.বৈশ্বিক ইসলামি আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে

★ বাংলাদেশের দেওবন্দি ও কওমী ঘরানার রাজনীতি যদি বিভক্ত থাকে, তাহলে তারা আন্তর্জাতিক ইসলামি শক্তির সমর্থন ও সংযোগ হারাতে পারে।

★ বিশ্বব্যাপী ইসলামি আন্দোলনের সঙ্গে সমন্বয় ও সহযোগিতা কঠিন হয়ে পড়বে।

★ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে

★ ইসলামি দলগুলোর বিভক্তি বিদেশি ইসলামবিরোধী শক্তিগুলোকে সুযোগ করে দেবে বাংলাদেশে ইসলামি শক্তিকে দুর্বল করার জন্য।

★ ইসলামি ঐক্যের অভাবে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক লবিগুলো ইসলামি রাজনীতিকে হুমকি হিসেবে দেখবে না এবং তাদের দাবিগুলো গুরুত্ব পাবে না।

দেওবন্দি/কওমী ঘরানার ইসলামি দলগুলো যদি নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সাংগঠনিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। ইসলামী আদর্শ রক্ষার জন্য শক্তিশালী রাজনৈতিক অবস্থান অপরিহার্য, আর তা কেবল ঐক্যের মাধ্যমেই সম্ভব।

যদি ঐক্য গঠনের উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে:

১) ইসলামি রাজনীতি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে।

২) ইসলামবিদ্বেষী শক্তির দখলদারিত্ব বাড়বে।

৩) কওমী শিক্ষাব্যবস্থার ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে।

৪) ইসলামী দলগুলোর নিজস্ব জনসমর্থন ও গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে।

অতএব, যেকোনো মূল্যে বিভক্তি পরিহার করে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সমঝোতার মাধ্যমে ইসলামী ঐক্য গড়ে তোলার এখনই সময়। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বিষয়গুলো উপলব্ধি করার এবং এক ও নেক হয়ে কাজ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

02/02/2025

একুশে বই মেলায় প্রস্রাবখানা কিবলামুখী করে নির্মান করা হয়েছে।
মুসলিম অধ্যুষিত দেশে এ ধরণের ভুল কীভাবে হতে পারে?
লিংক কমেন্টে-

02/02/2025

বেফাক পরিক্ষার্থী সকল তালিবুল ইলম ভাইদের জন্য দোআ রইল।

ড. মিজানুর রহমান আজহারি আসবেন। প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে পর্যন্ত কালেকশন করা হচ্ছে। যারা করছেন তাদেরকে আমরা একটা দলের বলেই জ...
01/02/2025

ড. মিজানুর রহমান আজহারি আসবেন। প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে পর্যন্ত কালেকশন করা হচ্ছে। যারা করছেন তাদেরকে আমরা একটা দলের বলেই জানি। বললে আবার অস্বীকার করেন, এটা দলীয় মাহফিল না।

কুপন সর্বনিম্ন ৫০ টাকা। ১০০, ২০০ টাকাও আছে। বাজারগুলোতে গ্রামের মাহফিলগুলোয় ৫/১০ টাকা যেখানে দেয় তাদেরও ৫০ টাকা দিতে হয়েছে।

আমি যে কুপন পেয়েছি এর সিরিয়াল নাম্বার ছিল ৭৭৯৮৫। তাহলে ঠিক কত কোটি টাকা সাকুল্যে আসবে? এখনও আরও ১৫ দিন বাকি। যেদিন মাহফিল হবে সেদিন আবার ঢাবি ক ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। বিভাগের সব ছাত্ররা পরীক্ষা দিতে আসবে।

আয়োজকরা কি এই ভোগান্তি মাথায় রেখেছিলেন? ভুল বুঝবেন না। মাহফিলকে স্বাগত জানাই। কিন্তু জনভোগান্তিকেও আমলে নিতে হবে। শুনেছি, ২০ হাজার ভলান্টিয়ার থাকবে। সত্য মিথ্যা জানি না।

তবে এই ভলিন্টিয়াররা তো দলীয় কাঠামো থেকে আসা সেটা স্বীকার করতে অসুবিধা কোথায়? দলের আয়োজনকে দলের আয়োজন বলুন। মানুষ বরং ভালোভাবেই নেবে।

সংগঠনের আয়ের উৎস হিসেবে এরকম মাহফিলও বোধকরি ভালোই। আজহারি সাহেবকে স্বাগত।

01/02/2025

তারা কেন কুরআনকে ভয় পায়?
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিরাত মাহফিল।

01/02/2025

দেওবন্দি ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে বড় ধরনের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ। বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্নভাবে কারো সাথে রাজনৈতিক জোটে না গিয়ে আগে নিজেদের মধ্যে একটা জোট তৈরি করা গেলে আগামীর রাজনীতিতে সম্ভাবনার জায়গা আরও প্রশস্ত হবে,ইনশাআল্লাহ। কিন্তু বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্নভাবে কিছু করলে গুরুত্বহীন হয়ে যাওয়ার আশংকা আছে।

31/01/2025

গায়*রত কি সেটা সারজিস দেখিয়ে দিয়েছে।

31/01/2025

বিবাহের সিরিতে পা রাখায় Md Sarjis Alam কে মোবারকবাদ।

31/01/2025

সারাদেশের প্রায় সকল কওমি মাদ্রাসার বাৎসরিক পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে!
এবার বিশ্ব ইজতেমায় মাদ্রাসার ছাত্র ওস্তাদরা নেই বললেই চলে।
তবুও সাথীদের ভরপুর মজমা প্রমাণ করে ছাত্রদের দিয়ে মাঠ পূর্ণ করার সাদপন্থীদের দাবী কতোটা মিথ্যা।
আল্লাহ তাআলা এই মোবারক মজমাকে পুরো দুনিয়ার হেদায়েতের মাধ্যম বানিয়ে দিন। আমীন।

Address

কামরাঙ্গীরচর
Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রেজাউল করীম আবরার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share