
21/06/2025
🦅সে চাইলে তার ডানা মেলে দিতে পারত, পালিয়ে যেতে পারত, নিজেকে বাঁচাতে পারত।
কিন্তু সে তা করেনি। এমনকি সে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টাটাও করেনি। নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও সে ঠিক সেখানটাতেই থেকে গিয়েছিল — তার সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসগুলোর পাশে!
পাখিদের মধ্যে এই প্রবৃত্তি তাদের Gene এর গভীরে প্রোথিত। ইনকিউবেশন বিহেভিয়ার (ডিমে তা দেওয়ার সময় মা পাখির আচরণ) এর জন্য দায়ী প্রোল্যাকটিন হরমোন প্রজনন ঋতুতে মা পাখির মস্তিষ্কে প্রবেশ করে। এই পদার্থটি কেবল তাদের বাসা তৈরি করতে এবং ডিম গরম করতেই চালিত করে না, আসন্ন বিপদের মুখে বাচ্চাদের রক্ষা করতেও ভূমিকা রাখে।
আমরা মানুষেরা যেমনটা বুঝি, তারা তেমন ভালোবাসা অনুভব করে না, বরং তারা জরুরি পরিস্থিতি, কর্তব্য এবং আরও গভীর কিছু অনুভব করে। সেভাবেই তাদের জেনেটিক প্রোগ্রামিং করা। তাদের প্রজাতির ভবিষ্যৎ রক্ষা করার জন্য তারা সবকিছু করতে পারে, এমনকি যদি এর জন্য মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়, তা-ও।
ছাইয়ের মধ্যে থাকা ওই ছোট্ট শরীরটি কেবল একটি পাখির নয়, এটি একটি মায়ের।
সে প্রকৃতির একজন বেনামি নায়িকা, যে একমাত্র কাজটিই করেছিল যা সে জানত, আর তা হলো তার সবচাইতে মূল্যবান জিনিসগুলোর যত্ন নেওয়া।
একজন মা তার সন্তানকে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে এবং চারপাশের বিপদ থেকে রক্ষা করতে ঠিক কি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যায় তা আমরা বুঝতে পারি না — বোঝা সম্ভবও না! সেই সকল মায়ের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা যারা তাদের সন্তানের কথা ভেবে নিজেকে বিসর্জন দিতেও দ্বিধা করেনি।