Rakib's Earth

Rakib's Earth অনন্ত অসীম মহাকালের ক্ষুদ্র জ্ঞানার্থী....

23/07/2025

কবে জানি অন্তিম-মুহুর্ত ঘনিয়ে আসে
চল প্রেয়সী এই মৃত্যু উপত্যকায়
আমাদের প্রণয়ের সুর ছড়িয়ে যাই..🌻

10/06/2025

খোদার বান্দা হয়ে দুনিয়ায় আইসা নিজেই খোদা হইয়া বইসা থাকাটাই নাস্তিকতা।
বিচার কইরো নিজেরে মানুষ। 🚫

  পদযাত্রার ১২ তম দিনতারিখ: ০১/০৫/২০২৩গন্তব্য: কুড়িল বিশ্বরোড় থেকে মদনপুর,নারায়নগঞ্জঅতিক্রম: ২৫ কিলোমিটার। পদযাত্রা বিশে...
09/01/2025


পদযাত্রার ১২ তম দিন
তারিখ: ০১/০৫/২০২৩
গন্তব্য: কুড়িল বিশ্বরোড় থেকে মদনপুর,নারায়নগঞ্জ
অতিক্রম: ২৫ কিলোমিটার।
পদযাত্রা বিশেষণ...
গতকাল রাত ৯ টার দিকে কুড়িল বিশ্বরোড় মোড়ে এসে দিনের বিরতি দিয়ে দিই। ওখান থেকে বন্ধু ফারুকীর সাথে তার বাসা মিরপুরের দিকে রওনা দিই। রাতে তার বাসায় ছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রয়োজনীয় কাজ গুলো সেরে দুপুরের দিকে রওনা দিই কুড়িল বিশ্বরোড়ের দিকে। ৩ টার দিকে কুড়িল মোড় থেকে যমুমা ফিউচার পার্ক হয়ে হাতিরঝিল এর পাশে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির পাশের বনশ্রী রোড় হয়ে ডেমরার দিকে রওনা দিই।
বনশ্রী থেকে ডেমরা মড়েল টাউন এলাকা ক্রস করে চিটাগং রোড় বাসস্ট্যান্ডের মোড়ে যতক্ষনে পৌছায় তখন ৮ টা বেজে গেছে।
একটা দোকানে ফোন চার্জে লাগিয়ে এক দফা চা পর্ব শেষ করে কাচপুর সেতু হয়ে মদনপুর এর দিকে রওনা দিলাম। ভিডিও কলে বন্ধু শাহেদের সাথে কথা বলতে ব্রিজের উপরের দিকে যাচ্ছিলাম। বিপদটা তখনি টের পেলাম যখন ব্রিজে উপর দিয়ে হেটে যাওয়া শুরু করলাম। একটু এগুতেই তিনটা কিশোর ছেলের আচরন সন্দেহজনক মনে হল। এমনি তাদের হাবভাব দেখেও বুঝতে পারলাম তারা ছিনতাইকারী!
দ্রুত রাস্তা পার হয়ে ব্রিজের অপর সাইডে চলে গেলাম। একটা দোকানে ঢুকে দোকানের মালিককে বিস্তারিত বললাম। ওনি আমাকে হেটে না যাওয়ার কথা বললেন। আমার পদযাত্রার কথা শুনে ওনি একটা লোককে ঠিক করে দিলেন আমাকে ব্রিজ পার করে দেয়ার জন্য। দোকান থেকে একটু এগুতেই দুজন মাদ্রাসার ছেলেকে ব্রিজের উপর দিয়ে যাইতে দেখলাম। লোকটা তাদের সাথে আমাকে ব্রিজ পার হতে বলল। আমিও তাদের সাথে রওনা দিলাম। ব্রিজের উপর দিয়ে হাটার সময় কথা হল তাদের সাথে। দুজন জমিয়াতুল আবরার কাচপুর মাদ্রাসার ছাত্র। ব্রিজের ওপারে মোড়েই মাদ্রাসাটা।
তাদের সাথে সেল্ফি তুলা হল। এবার তারা আমাকে আরো কিছুদূর এগিয়ে দিতে চাইলে আমি নিষেধ করলাম। তারা রাজি করাতে না পেরে সালাম দিয়ে বিদায় নিল। ধন্যবাদ তোমাদের আমার বিপদে তোমাদের পাইলাম।
কাচপুর বাজার এর পরের পেট্রোল পাম্প পার হতেই আবার ওই ছিনতাইকারী ছেলে তিনটাকে দেখতে পাইলাম। ভয়ে বুকে কাপুনি দেয়া শুরু করল। বন্ধ কয়েকটা দোকানের এমাথা ওমাথা করে তারা দাঁড়িয়ে আছে আলাদা হয়ে। বুঝতে পারলাম তারা আমাকে ফলো করতেছে। উপায়ন্তর না দেখে দ্রুত হাটা শুরু করলাম। তারা আমার দিকে চেয়ে রইল শুধু। হয়তো সামনে আসার মত তড়িৎ সাহসে কুলিয়ে উঠতে পারেনি তারা। কিছুদুর এগুতেই বেশ কয়েকটা দোকান আর একটা বড় কবরস্থানসহ মসজিদের দেখা পাইলাম। মনের ভয় কাটতে শুরু করল। ছেলে তিনটাকেও আর দেখতে পাইনি। দৃষ্টির আড়ালে হারিয়ে গেছে তারা।
তারপর ও সাবধান আর ভয়ে দ্রুত হাটতে লাগলাম মদনপুর এর দিকে। রাস্তার পাশে দোকানপাট এখনো খোলা আছে। মানুষজনের আনাগোনাও দেখা যাচ্ছে। মিনিট বিশেক হাটার পর মদন পুর বাসস্টপেজ এসে থামলাম। আজকের দিনটা মনে রাখার মত।
এবার থাকার বন্দোবস্ত করার পালা। আজকের মত এখানেই আমার জীবনের একটা রাত অতিবাহিত হবে।
#দখলদার হঠাও, নদী বাচাও।
#নদীর তালিকা নিশ্চিত কর।

 পদযাত্রার ১১তম দিনতারিখ:৩০/০৪/২০২৩গন্তব্য: চন্দ্রা থেকে কুড়িল বিশ্বরোড় মোড়।দুরত্ব অতিক্রম :৩৮ কিলোমিটার। পদযাত্রা বিশেষ...
09/01/2025


পদযাত্রার ১১তম দিন
তারিখ:৩০/০৪/২০২৩
গন্তব্য: চন্দ্রা থেকে কুড়িল বিশ্বরোড় মোড়।
দুরত্ব অতিক্রম :৩৮ কিলোমিটার।
পদযাত্রা বিশেষন...

  পদযাত্রার ১০ম দিনদূরত্ব অতিক্রম : ৫৩ কিলোমিটার তারিখ:২৮/০৪/২০২৩পদযাত্রা বিশেষন....ভোর ৫ টার এলার্ম দিয়ে গতরাতে ঘুমিয়েছ...
09/01/2025


পদযাত্রার ১০ম দিন
দূরত্ব অতিক্রম : ৫৩ কিলোমিটার
তারিখ:২৮/০৪/২০২৩
পদযাত্রা বিশেষন....
ভোর ৫ টার এলার্ম দিয়ে গতরাতে ঘুমিয়েছি। সকালে সময়মত ঘুম ভেংগে গেলেও আলসেমি আর ঘুমকাতুরে হওয়ায় এই সেই ভাবতে ভাবতে ৭ টা বেজে গেল। শুরুর দিকে কয়েকদিন উদ্দীপনা বেশি থাকায় ৪/৫ টার দিকে যাত্রা শুরু করলেও এখন তা ৬/৭ টায় চলে আসছে। কেননা অনিদ্রা শরীরকে দুর্বল করে দিচ্ছে আর ঘুমের পরিমান বাড়াতে হচ্ছে। তাছাড়া রোদের তীব্রতায় শরীরের উপর ধকল বেড়ে যাওয়াটাও অন্যতম কারন হতে পারে।
যাইহোক,উঠে ফ্রেশ হয়ে রওনা দিলাম সকাল ৭.৪০ এর দিকে। এখনো সূর্য অতটা উজ্জ্বল হয়নি। আবছা অন্ধকার ছেয়ে আছে। আকাশে কালো মেঘের কারনে হয়তো!
যেহেতু সকাল ১০ টার পর্যন্ত রোদের তাপ কম থাকে তাই ক্লান্তি আসে কম। এই সময়টাতে ঘন্টায় ৫ কি.মি অনায়াসে হাটা যায়। বেশ কিছুক্ষন হাটার পর রাবনা বাইপাসে এসে থামলাম। কিছু খাওয়া দরকার। সকালে খালি পেটে পানি খেয়ে রওনা দিছিলাম যেহেতু পেটে ক্ষিধে এসেছে। পাশের একটা দোকানে ড্রাই কেক,কলা আর চা খেয়ে ১৫ মিনিটের বিরতি দিয়ে আবার যাত্রা শুরু করলাম। রাবনা ফ্লাইওভার উপর হাটার সময় চারপাশটা বেশ মনোরম দেখাচ্ছিল।
ঘন্টাখানেক বিরতিহীন হাটার পর জালফৈ বাইপাস এসে আবারো বিরতি। পায়ে হাল্কা ব্যথা অনুভব হচ্ছিল তাই আরো ১০ মিনিট মত বিরতি নিয়ে পায়ের হালকা কসরত করে নিলাম। ততক্ষনে রোদের তাপ বাড়তে শুরু করেছে। আকাশের হাল্কা কালো মেঘ সরে গিয়ে সেখানে উজ্জ্বলতা প্রতীয়মান হচ্ছে। সময় তখন ১১.৩০ এর কাছাকাছি।
জালফৈ বাইপাস থেকে নাটিয়াপাড়া বাজারে যখন এসে পৌছালাম তখন সময় ২.৩০ পার হয়ে গেছে। অবশ্য পথিমধ্যে আরো একবার ছোট বিরতি নিছিলাম মিনিট পাঁচেক মত। যেহেতু দুপুর পার হওয়ার পথে তাই খাওয়া দাওয়া এখানে সেরে নেয়াই শ্রেয় মনে হল। কেননা আরো বেশ কিছুক্ষণ হাটার সক্ষমতা থাকলে সামনে বাজার কতদূরে তা অজানা। যদি অতিরিক্ত দূরে হয়ে যায় তাহলে খাওয়া দাওয়ার সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া খরচের ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হয়। বাজারের হোটেল গুলোতে কম খরচে খেতে পারলেও হাইওয়ে রেস্তোরাঁ গুলোতে একই মানের খাবারের দাম বেশি। তাই পাশের এক দোকানিকে জিজ্ঞেস করে হোটেলের লোকেশন জেনে তাতেই খেতে বসে গেলাম।খাওয়ার সময় ফোন চার্জে দেয়ার ব্যাপারটা কখনোই ভূলে যায়নি। আজও ব্যতিক্রম নাম খাওয়ার পর ঘন্টাখানেকের বিরতি দিই অভ্যাসমত। এতে খাবারটা হজম হয় অন্যদিকে বিরতির পর হাটতেও অসুবিধা হয়না। ততক্ষণে ফোন ও যথেষ্ট চার্জ হতে পারে।
বেশ কিছুক্ষন বিরতির পর আবার যাত্রা শুরু। শরীরটাও হাল্কা লাগছে আর পায়ে তেমন ব্যথাও নেই মনে হচ্ছে। দ্রুত হাটতে লাগলাম সামনের দিকে। দিনের শুরুতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আজ যেভাবেই হোক চন্দ্রা মোড়ে পৌছাতে হবে। যদিও দূরত্বটা বেশি। প্রয়োজনে রাতে হাটব।
ওখান থেকে রওনা দিয়ে পাকুল্লা বাজার এলাকা ক্রস করে ধল্যা বাসস্ট্যান্ডে যখন পৌছায় ততক্ষনে বিকেল হয়ে গেছে। অন্যদিকে আকাশে কালো মেঘে ছেয়ে গেছে। একটু সামনেই যেতেই বৃষ্টি শুরু। দৌড়ে পিছিয়ে গিয়ে ধল্যা আন্ডারপাসের পাশে একটা চায়ের দোকানে ঢুকে পড়লাম। একদফা চা খাওয়া আর দোকানির সাথে আলাপও হল। প্রায় ২০ মিনিট মত হাল্কা বৃষ্টি হল। তারপর আরো কয়েকমিনিট অপেক্ষা করলাম। কেননা হাল্কা বৃষ্টির কিছুসময় পর ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে আমার একটা ধারনা আছে। মিনিট দশেক অপেক্ষার পর বৃষ্টি না আসায় আবার হাটতে শুরু করলাম। এবারের গতি বেশ ধীরলয়ে। কেননা রাস্তাঘাট এখনো ভেজা আর কাদাময় হয়ে আছে। কিছুদূর আসার পর হাটার গতি আবার বাড়িয়ে দিলাম।
ধল্যা থেকে শুভল্লা আর কুর্নী বাজার ক্রস করে দেওহাটা নামে একটা এলাকায় পৌছালাম। দেওহাটা মহাসড়ক ধরে ২ নাম্বার ব্রিজটা ক্রস করার সময় দৃশ্যটা চোখে পড়ল। মহাসড়ক আর পার্শ্ব-রাস্তার সিমেন্টের ডিভাইডার উল্টে রাস্তার মাঝখানে বেশ বিপদজনক ভাবে পড়ে আছে। প্রথমে ইউএনও,পরে ন্যাশনাল হেল্প লাইনে ফোন দিয়ে বিষয়টা জানালাম। তারাও কিছুক্ষন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোনো ব্যবস্থা করতে পারলনা। পরে হেল্প লাইনের অপরপাশের ব্যক্তিকে বললাম, ওনি যেন নিজ দায়িত্বে তাদের যোগাযোগ করে কিছু একটা ব্যবস্থা করে। নাহয় এভাবে থাকলে এক্সিডেন্ট হওয়ার ঝুকি শতভাগ। ওনিও সম্মতি দিয়ে আমাকে আশ্বস্ত করে লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিল। আশা করি সমস্যাটার সমাধান হবে। এবার হাটার গতি বাড়ানোর পালা। আরো প্রায় ঘন্টাখানেক দ্রুত হেটে গোড়াই বাজারে যখন পৌছায় ততক্ষনে বেশ অন্ধকার হয়ে গেছে। একদিকে আকাশে মেঘ করে বেশ মাত্রাতিরিক্ত ভাবে অন্যদিকে সন্ধ্যাও পার হয়ে গেল। গোড়াই বাজারে ফোন চার্জে দেয়ার কোনোরকম ব্যবস্থা করতে পারলাম না। লাইনে বিদ্যুৎ নেই। কোন কারনে আজ লোডশেডিং চলছে। আর আমার ফোনে মাত্র ৬% চার্জ বাকি আছে। আরো মিনিট দশেক বিরতি দিয়ে তা নিয়েই রওনা দিলাম মির্জাপুর বাজারের দিকে। গোড়াই বাজার থেকে চন্দ্রা ১৬ কি.মি লেখা মাইলফলকটা চোখে পড়ল। মনে কিছুটা সাহস আর আত্ববিশ্বাস সঞ্চার হল।
গোড়াই বাজার থেকে কিছুক্ষন হাটতেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়া শুরু হল। যদিও তা তোয়াক্কা করার মত না। আরো কিছুদূর এগুতেই আসল বিপদ শুরু। ফোন বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ চিন্তা নিয়েই মির্জাপুর বাজারের দিকে এগুতে লাগলাম। ২০ মিনিট মত হাটার পর বৃষ্টির বেগ আরো বেড়ে গেল। যতক্ষনে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের পাশে পৌছালাম ততক্ষনে কাকভেজা হিয়ে গেছি। হঠাৎ প্রচন্ড বাতাসের সাথে ঝুম বৃষ্টি পড়তে শুরু করল। উপায়ন্তর না দেখে পাশের একটা দোকানে ঢুকে গেলাম। পুরো শরীর ভিজে গেছে। একাকার অবস্থা! কাধের গামছা দিয়ে মাথা,হাত মুখ আর ব্যাগটা মুছে দোকানের বেঞ্চিটাতে বসে পড়লাম। দোকানদারকে চায়ের কথা বলে উদাস ভাবে বৃষ্টি পড়া দেখতে লাগলাম। বৃষ্টি উপভোগ করতে ভাল লাগলেও গন্তব্য পৌছানো নিয়ে চিন্তা হচ্ছে।
প্রায় আধা ঘন্টা অবিরাম বৃষ্টি পড়ার পর থামতে শুরু করল। অবস্থা বুঝে বের হয়ে পড়লাম দোকান থেকে। মহাসড়ক এর পাশের রাস্তা ধরে এগুতে লাগলাম। বাজার পার হওয়ার পর বেশ কিছু ট্রাকের ঝটলা চোখে পড়ল। হয়তো ট্রাক স্ট্যান্ড হবে, পাশেই একটা হাইওয়ে রেস্তোরাঁও দেখলাম।
রেস্তোরাঁ পার হয়ে কিছুদূর এগুতেই ভয় শুরু হল। সামনের দিকে পুরো রাস্তা অন্ধকার। তার উপর ঝিরিঝিরি হাল্কা বৃষ্টি! নিজেকে সাহস জুগিয়ে অন্ধকার এর মধ্য দিয়েই হাটা শুরু করলাম। মহাসড়ক হলেও গাড়ির যাতায়াত হঠাৎ কমে গেছে কোনো কারনে। মাঝে মধ্যে দুয়েকটা গাড়ি যাচ্ছে। তাতেই ভয় কিছুটা কমছে। প্রায় ৪০ মিনিট মত আবছা অন্ধকার রাস্তার অংশ পার হয়ে কালিয়াকৈর বাজারের বাইপাসে এসে কিছুটা স্বস্তি লাগল। দুয়েকটা দোকান ঘুরে ফোন চার্জে দেয়ার ব্যবস্থা করতে না পেরে পাশের সিকদার মেডিকেল নামে একটা হাসপাতালের লাউঞ্জে ফোন চার্জ দেয়ার ব্যবস্থা হল। বাইরে তখনো কিঞ্চিৎ ফোটা বৃষ্টি হচ্ছে। প্রায় মিনিট বিশেক চার্জ দেয়ার পর এবার রওনা দিলাম সামনের দিকে। চন্দ্রা এখান থেকে ৬ কিলোমিটার। হিজলতলী নামে একটা এলাকায় এসে ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে রওনা শুরু করলাম। তারপর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক এর উপর দিয়ে আরো একটা ফ্লাইওভার ক্রস করলাম। নাম কালিয়াকৈর ফ্লাইওভার। প্রায় ৭০০ মিটার লম্বা। অবশ্য দৈর্ঘ্যের বিষয়টা নামফলক দেখে জানলাম। ফ্লাইওভার এর উপর দিয়ে হাটার সময় হাইটেক পার্ক এর কয়েকটা ছবিও তুলে নিলাম। যদিও রাতের অন্ধকার বেশি হওয়ায় তা স্পষ্ট হয়নি।
ফ্লাইওভার ক্রস করে সামান্য সামনে এগুতে একটা সিনেমা হল। সামনে ছোট একটা মোড়। আরো কিছুদূর এগুতেই পরিচিত চন্দ্রা মোড়টার দেখা পেলাম। মনে প্রশান্তি আর বেশ আনন্দ লাগছে। যেন অনেক প্রতীক্ষার পর হারানো স্বজনকে খুজে পেলাম। যদিও সময় রাত ১১ টা পার হয়ে গেছে।
মোড়ে এসে একটা দোকানে চা খেলাম আরেক দফা। চা খেয়ে উঠে দুয়েকটা হোটেল ঘুরে মোড়ের অপর পাশে একটা হোটেলে থাকার বন্দোবস্ত করলাম।
°কোনো সিদ্ধান্ত যদি সমগ্র পৃথিবীর বিরুদ্ধে যায় যদিও তা স্রষ্টার পছন্দের। সে কাজটা করাই উত্তম।
যদি সমগ্র পৃথিবীর সৃষ্টি কোনো ভূল সিদ্ধান্তে অটল থাকে তার বিরুদ্ধে কথা বলাটা বীরত্বের।
#নদীর তালিকা নিশ্চিত কর।
#দখলদারদের উচ্ছেদ কর।
#নদীর প্রবাহ নিশ্চিত কর।

  পদযাত্রার ৯ম দিনদুরত্ব অতিক্রম: ৪১ কিলোমিটার। তারিখ:২৮/০৪/২০২৩গন্তব্য: হাটিকুমুরুল গোলচত্ত্বর,সিরাজগঞ্জ  থেকে এলেঙ্গা ...
08/01/2025


পদযাত্রার ৯ম দিন
দুরত্ব অতিক্রম: ৪১ কিলোমিটার।
তারিখ:২৮/০৪/২০২৩
গন্তব্য: হাটিকুমুরুল গোলচত্ত্বর,সিরাজগঞ্জ থেকে এলেঙ্গা মোড়,টাংগাইল।

পদযাত্রা বিশেষন...
সকাল ৭.৪০ এ খালি পেটে গ্লাস দুয়েক পানি খেয়ে কাধে ব্যাগ ঝুলিয়ে রওনা দিলাম। গোল চত্ত্বর এর শেষপ্রান্তে এসে একটা ঝুপড়ি দোকানে হাল্কা নাস্তা করে নিলাম। খাওয়া দাওয়া সেরে বাইরে রাস্তায় এসে দেখি মাত্রাতিরিক্ত ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে চারপাশটা। ধুলার মাঝে ব্যস্ত সড়ক ধরে হাটা শুরু।
কিছুদূর আসার পর গাড়ির জ্যাম চোখে পড়ল। শ খানেক গাড়ির দীর্ঘ সারি ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। রাস্তায় ফুটপাত নেই, তাই পাশের সড়ক প্রসারনের অংশ দিয়েই হাটা শুরু করলাম। পা দেবে যাচ্ছে বালিতে,তাও গতি বাড়িয়েই হাটতে লাগলাম। গাড়ি এবং আশেপাশের লোকজন উদ্দেশ্যহীন দৃষ্টিতে থাকিয়ে দেখছে। হয়তো মনে মনে নিজেকে জিজ্ঞেস করছে " কে এই লোক? কাধে ব্যাগ আর প্রান্তে পানির বোতল ঝুলিয়ে এই গরমে এত দ্রুত হেটে যাচ্ছে কই?।
আমি ধুলাবালি,গরম আর শয়ে শয়ে দৃষ্টিকে তোয়াক্কা না করে এগুতে লাগলাম সামনের দিকে। সামনে কিছুদুর এগুতেই দৃশ্যটা চোখে পড়ল। একটা গাড়ির পিছনে আরেকটা গাড়ির পিছনের অংশ বেধে নিয়ে সিরাজগঞ্জের দিকে যাচ্ছে। দেখতে অদ্ভুদ ঠেকল,তাই দুয়েকটা ভিন্ন এংগেলে ছবি তুলে নিয়ে আবার আবার রওনা দিলাম। মিনিট বিশেক হাটার পর বাংগালী নদীর উপর নির্মিত নলকা সেতু পার করে এলাম।
সেতু ক্রস করার পর গাড়ির গতি বেড়ে যায়। হুশহাশ করে গায়ের পাশ দিয়ে ভয় ধরিয়ে ক্রস করছে যান্ত্রিক বাহন গুলো।
নলকা সেতু পার হয়ে কিছুদূর এগুলেও কামারখন্দ উপজেলা। উপজেলার চিহ্নিত মাইলফলক এর আশে পাশে দুয়েকটা ছবি তুলে হাটার গতি বাড়ি আবার এগুতে শুরু করলাম।
তীব্র গরমে হাটতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। তার উপর রাস্তায় ফুটপাত না থাকার দরুন পাশের বালির উপর দিয়ে হাটতে হচ্ছে। বালু রোদের তাপে উত্তপ্ত হয়ে গেছে অসহনীয় ভাবে।
আরো ঘন্টা দেড়েক হাটার পর শরীরে অস্বস্তি শুরু হল। কোনাবাড়ি কলেজ মোড়ে যখন পৌছায় তখন ১০.৩০ পার হয়েছে। পথচারি একজনকে জিজ্ঞেস করে পাশের মসজিদের ওয়াশরুমে বিসর্জন কার্য সেরে নিলাম।
পাশের নলকূপ থেকে ফ্রেশ হয়ে আবার শুরু যাত্রা। বেশ কিছুক্ষন ধরে ভুগিয়েছে 🥵
গরমের তীব্রতায় শরীরের অবস্থা কাহিল। মধ্য দুপুরের দিকে কি অবস্থা হয় ভাবতেই গা শিউরে উঠছে। কিছুদুর এগুতেই ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট আর কোনাবাড়ি কলেজটা চোখে পড়ল। এখানেও কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম।
কলেজ পার হয়ে পাশেই একটা ছোট হাট। একটা হোটেলে বসে রুটি/ডাল খেয়ে রওনা দিতে উদ্যোগী হলাম আবার। রওনা দেয়ার আগে পানির বোতলটা আর এক তরফা পানিপূর্ন করতে ভুললাম না।
ততক্ষণে রোদের তীব্রতা বেড়ে গেছে মারাত্মক ভাবে। পিঠে দুকাধি হয়ে ব্যাগ ঝুলিয়ে নেয়ার দরুন পিঠ ঘামে ভিজে একাকার। মাথার উপর তীব্র রোদ আর ঘর্দমাক্ত শরীর নিয়েই হাটা শুরু করলাম। হাটার গতি অনেক কমে গেছে। শুরুর দিকে ঘন্টা প্রতি ৫ কি.মি থেকে নেমে ৩ কি.মি হয়ে গেছে। ফোনের স্পিড মিটার চেক করে তা নিশ্চিত হয়ে নিলাম একদফা।
মহাসড়কের পাশ ঘেষে বালির রাস্তায় আরো ঘন্টা দেড়েক হাটার পর মিয়াবাড়ি মোড়ে এসে থামলাম। তখন ১২.৪০ হয়ে গেছে। মাথার উপর ঝলসে দেয়া রোদ।
একটা ভ্রাম্যমান দোকান থেকে এক গ্লাস লেবু পানি খেয়ে পাশের দোকানে গিয়ে বসলাম। এক জোড়া কলা আর চা খেয়ে আবার হাটতে শুরু করলাম যমুনা সেতুর দিকে।
শরীরে দূর্বলতা চলে আসছে, হয়তো অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়ার কারনে। তাও হাটার গতি না থামিয়ে ধীর লয়ে এগুতে লাগলাম। যতক্ষনে আমি যমুনা সেতুর পশ্চিম প্রান্তে এসে পৌছায় তখন দুপুর ২ টা বেজে গেছে। মাথার উপরে গরমের তীব্রতাও অনেকাংশে কমে গেছে। পেটে ক্ষিধে অনুভব করতে পারছি। যমুনা সেতু চত্বরে খাবার হোটেল থাকলেও তাতে যাওয়ার সাহস পাচ্ছিনা দামের কারনে।
ভাবলাম ওপার গিয়েই নাহয় খেয়ে নিব। রাস্তা পার হয়ে ওপারের নিরাপত্তা কর্মিদের জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম কোনোভাবেই হেটে ব্রিজ পার হওয়া সম্ভব না। তাই বাধ্য হয়ে একটা বাসে করেই ব্রিজ পার হওয়া যুক্তিযুক্ত মনে করলাম। বেশকিছুক্ষন বিফল চেষ্টার পর একটা বাস৷ পেলাম। ৪.৬ কিলোমিটার এই ব্রিজটা পার হতে সে ১০০ টাকা চাইল। যেহেতু আমার পাশের লোকজন ও একই ভাড়ায় যাচ্ছে আমারও এতেই যাওয়ায় শ্রেয়। সেতুটা পার হতে তো হবেই। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাসে উঠে পড়লাম
মানুষের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে ফায়দা লুটে নেয়ার অভ্যাসটা প্রাত্যহিক হয়ে গেছে! নাহয় ৫ কিলোমিটার রাস্তার জন্য ১০০ টাকা ভাড়া!
বাসে বসার সিট নেই, দাঁড়িয়েই যেতে হবে। যেহেতু যমুনা সেতুর উপর দিয়ে প্রথমবার যাচ্ছি তাই ছবি আর ভিডিও করে রাখার চিন্তা করলাম।
কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকার কারনে তার কোনোটাই সম্ভব না। বাস কনট্রাক্টরকে বলে সামনের ইঞ্জিন বক্সে বসে একটা লোককে দিয়ে বেশ কিছু ছবি আর পুরো সেতুর ভিডিও করে নিলাম। ব্রিজের উঠানামা আর চারপাশের দৃশ্য বেশ মুগ্ধময় ছিল। হেটে আসতে পারলে বেশ ভালোই লাগত!
ব্রিজ পার হয়ে পূর্ব প্রান্তের গোলচত্ত্বরে নেমে পড়লাম। নেমেই ঝটপট আরো কয়েকখানা ছবি তুলে নিলাম। পাশের খোলা মাঠে অনেক মানুষ দেখলাম। বেশিরভাগই মোটরসাইকেল। হয়তো এদিক সেদিক যাওয়া আসার ফাঁকে ভ্রাম্যমান দোকানে খাওয়া আর ছায়ায় ঝিরিয়ে নেয়ার মানসেই ঝটলা পাকিয়েছে এখানে।
তাদের একজনকে জিজ্ঞেস করে পাশের যমুনা সেতু বাজারের খোজ পেলাম। দুপুরে খাওয়ার সময় পার হয়েছে,এদিকে পেটে ক্ষিধে বেড়ে গেছে। কিছুদূর হেটে বাজারের সম্মুখেই খাবার হোটেলটায় ঢুকে পড়লাম। দোকানদারকে বলে ফোন চার্জে লাগিয়ে ফ্রেশ হয়ে ঝটপট খেতে বসলাম। ঘন্টা দেড়েক বিশ্রাম নেয়ায় শ্রেয় মনে হল। কেননা শরীরটাও ভীষন রকমের দূর্বল লাগছে আর ফোনেও চার্জ কমে গেছে।
খাওয়া দাওয়া সেরে বাজারের এদিক সেদিক কিছুক্ষন ঘুরে আবার হোটেলে ফেরত আসলাম। বেশকিছুক্ষন ঝিরিয়ে নিয়ে এবার রওনা শুরু।
বাজার পেরিয়ে মাঠ,মাঠ পেরিয়ে কিছুদূরেই আরেকটা বাজার।
বাজার পেরিয়ে ধানক্ষেতের বুক চিরে এগিয়ে চলা মহাসড়ক ধরে দ্রুত হাটতে লাগলাম। পাশ দিয়ে এগিয়ে গেছে রেলের রাস্তাও। কিছুসময় পরপর রেলের যাওয়া দেখি। অন্যসময় গায়ের পাশ দিয়ে তীব্র গতিতে ছুটে চলা বাস,ট্রাক।
সময় ৫.২০! হাতিয়া বাসস্ট্যান্ড নামক ছোট বাজারটাতে এসে থামলাম। পা ব্যথা হয়ে গেছে বিষমভাবে। চলতি পথে আরো দুয়েকটা ছোট বাজার ক্রস করে এলেও তা স্মরনে নেই।
পাশের একটা ছোট চায়ের দোকানে বসে পড়লাম পা টেনে। দোকানদারকে চায়ের কথা বলে আশে পাশে থাকালাম। দোকানের ভেতরে দুয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দেখা যাচ্ছে। হয়তো পাশের অস্থায়ী ক্যাম্পে ডিউটিতে আসছে।
চা খেয়ে আরো মিনিট পনের বিশ্রামের পর আবার রওনা দিলাম।
সূর্য অস্ত যাচ্ছে। পাশের রেলের রাস্তা দিয়ে বাইরে ছাদে ভেতরে করে যাত্রী নিয়ে একটা রেল ছুটে গেল ঢাকার দিকে। তাকিয়ে দেখলাম কিছুসময়। গাড়ির চলে যাওয়া,পাশের রেল রাস্তায় ঘুরতে আসা মানুষজন আর পাশের ক্ষেত দেখতে দেখতে যতক্ষনে এলেঙ্গা মোড়ে এসে থামলাম তখন ফোনে সময় দেখাচ্ছে ৭.১২।
টাংগাইল সদরে গিয়ে থামার কথা থাকলেও পায়ের ব্যথা আর অনিচ্ছার কারনে রাতটা এখানেই কাটাব ভাবলাম। দুয়েকটা হোটেল ঘুরেফিরে একটাতে উঠে পড়লাম। দিনের সমাপ্তির সাথে যে ব্যস্থতা থমকে যায় একই নিয়মে সে ব্যস্থতা গ্রাস করবে আগামিও।

যে যান্ত্রিকতা মানুষের সৃষ্টি,তার গর্জনের বিশালতার কাছে মানুষের ব্যক্তিত্বও ক্ষুদ্র হয়ে পড়ে। মানুষকে শুধু দেখা যায় পেটের ক্ষিধে মিটানোর তাগিদে পিঠে ভারি বোঝা নিয়ে কুজো হয়ে হাটতে! -ম্যাক্সিম গোর্কি

#নদীর তালিকা নিশ্চিত কর।
#দখলদারদের উচ্ছেদ কর।

 পদযাত্রার ৮ম দিন...অতিক্রম দূরত্ব :৩৮.৪ কিলোমিটার (Google fit)তারিখ:২৭/০৪/২০২৩গন্তব্য: শেরপুর সদর বাজার থেকে হাটিকুমরুল...
08/01/2025


পদযাত্রার ৮ম দিন...
অতিক্রম দূরত্ব :৩৮.৪ কিলোমিটার (Google fit)
তারিখ:২৭/০৪/২০২৩
গন্তব্য: শেরপুর সদর বাজার থেকে হাটিকুমরুল গোল চত্ত্বর।
পদযাত্রা বিশেষন:...
গতরাতে হোটেল রুমে ভোর ৭ টার এলার্ম দিয়ে ঘুমাইছিলাম। সকালে এলার্মের সাউন্ডে ঘুম ভাংলে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। শরীরের দূর্বলতা আর পা ব্যথার কারনে আরো কিছুক্ষন ঘুমিয়ে ১০ টার দিকে রওনা দেয়ার কথা ভাবলেও পথ এগুতে পিছিয়ে পড়ব ভেবে ৭.৩০ এর দিকে রওনা দিলাম।
রাস্তায় বের হয়ে দেখি দোকানপাট এখনো বন্ধ। কিছুদূর হেটে ধূনট মোড়ে এসে একটা টং দোকানে বিস্কুট আর চা খেয়ে রওনা দিলাম সামনের দিকে।
পায়ের ব্যথা আজকে আবারো বেড়ে যাচ্ছে। হাটুর জয়েন্টে অসহনীয় ব্যথা। ঘন্টা দেড়েক হাটার পর ব্যথা উপশম হওয়ার জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করার কথা ভাবলাম। এইদিকে পেটে ক্ষিধেও পেয়েছে সমানতালে। আজকের দিনটা প্যারাময় হবে সেটা বুঝতে পারছি দিনের শুরুতেই।
একটা দোকানে বসে কলা,বিস্কুট আর চা খেয়ে আবার রওনা দিলাম।
পাশের দোকানের একটা সাইনবোর্ড পড়ে জানতে পারলাম জায়গাটির নাম মির্জাপুর বাজার।
বিশ্রাম শেষে আড়মোড়া ভেংগে আবারো রওনা দিলাম।
মহাসড়ক ধরে এগিয়ে ছনকা বাজার ক্রস করে গাড়ই বাসস্ট্যান্ডে যখন আসি তখন ১২ টা বেজে গেছে। মাথার উপরে তীব্র গরম আর পায়ে অসহনীয় ব্যথা। গাড়ই মসজিদের নিচে একটা দোকানে বসে আবার কিছুক্ষন বিশ্রাম নিলাম। গরমের কারনে শরীর খুব বাজে ভাবে ঘেমে গেছে। বেশ কিছুক্ষন পর আবার রওনা দিলাম।
গাড়ই বাসস্ট্যান্ড থেকে ধনকুন্ডি বাজার ক্রস করে সীমা বাড়ি হয়ে চান্দাইকুনা বাজারে আসলাম। দুপুরের খাওয়া দাওয়াটা এখানেই সেরে নিতে হবে। ঘন্টা খানেক দুপুরের খাওয়া ও বিশ্রামের সুবাধে ব্যয় করলাম।
পড়ন্ত দুপুরে আবার রওনা দিলাম সামনের দিকে। ততক্ষনে আকাশের রোদ কেটে গেছে। তীব্র রোদ উজ্জ্বল আকাশের জায়গায় সেখানে এখন মেঘের ঘনঘটা।
বেশ কিছুদূর এগুতেই বিপত্তিটা ঘটল!
ঝিরঝিরে বৃষ্টি পড়তে শুরু করল হঠাৎ করেই। কিছুসময় পর সেটা আরো বেড়ে গেল। একটা হাইওয়ে রেস্টুরেন্ট এর ছাউনিতে বসে অপেক্ষা করা ছাড়া আমার কাছে আর কোনো উপায় ছিলনা।
ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করার পর বৃষ্টির মাত্রা কিছুটা কমে এল। এবার যাত্রা শুরু করলাম আবার। মাথার উপরে তখনো কিঞ্চিৎ বৃষ্টি। তা নিয়েই এগুতে লাগলাম সামনের দিকে।
ঘন্টা দেড়েক হাটার পর ভুইয়াগাতি বাজারের উপর দিয়ে রায়হাটি ক্রস করে গুর্কা বেলতলা নামে একটা ছোট বাজারে এসে পৌছালাম। সময় তখন সাড়ে ছয়টা বেজে গেছে। আবারো ১৫ মিনিটের জন্য ক্ষেন্ত দিলাম এখানেই।পায়ের ব্যথাটা ভীষন রকমের প্যারা দিচ্ছে আজ।
ওখান থেকে রওনা দিয়ে হাটিকুমুরুল বাজারের কিছুদুর আগে হাটুর ব্যথাটা বেড়ে যাওয়ায় পাশের একটা বেঞ্চিতে বসে রইলাম কিছুক্ষন।
মিনিট বিশেক পর আবার এগুতে লাগলাম সামনের দিকে।
হাটিকুমুরুল বাজার ক্রস করে অন্ধকার রাস্তা। দ্রুত পায়ে হাটতে লাগলাম সামনের দিকে। বেশ কিছুক্ষন দ্রুত গতিতে হাটার পর গন্তব্যের আলো দেখতে পেলাম। হাটিকুমুরুল গোল চত্ত্বর! আজকে মত এখানেই বিরতি নিতে হবে। ওয়ালেটের অবস্থা ভাল নয়। রাত কাটানোর চিন্তা ঝেঁকে বসতে শুরু করেছে মাথায়।রাতের খাবার খেয়েদেয়ে থাকার ব্যবস্থা খোজা শুরু করলাম। আজকের মত এখানেই শেষ।
#নদী বাচাও, দেশ বাচাও।
#নদীর তালিকা নিশ্চিত কর।

 ..পদযাত্রার ৭ম দিনঅতিক্রম: ৪২.৫ কি.মিতারিখ:২৬/০৪/২০২৩গন্তব্য: মহাস্থান বাজার থেকে শেরপুর উপজেলা বাজার।পদযাত্রা বিশেষণ.....
25/12/2024

..
পদযাত্রার ৭ম দিন
অতিক্রম: ৪২.৫ কি.মি
তারিখ:২৬/০৪/২০২৩
গন্তব্য: মহাস্থান বাজার থেকে শেরপুর উপজেলা বাজার।
পদযাত্রা বিশেষণ...

সকাল ৮ টার দিকে দুই সাধুর আজাইরা ক্যাচালের তর্কে ঘুম ভেংগে যায়। উঠে ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা করে মাজারের ডকুমেন্টারি ছবি তোলা ও ভিডিও করা শুরু করি।
মাজার থেকে বের হয়ে মহাস্থান গড়ের দিকে রওনা দিই।
মাজারের পাশের মানকালী কুন্ডের ধ্বংশাবশেষ হয়ে গড়ের সীমান্ত প্রাচীর দিয়ে জিয়ত কুপ,ও পরশুরামের প্রাসাদ দেখতে যায়। ওখান থেকে বের হয়ে মূল সীমান্ত প্রাচীর হয়ে মহাস্থান গড়,মহাস্থান জাদুঘর ও গোবিন্দ ভিটা দেখতে যায়। বেশ কিছুক্ষন আশেপাশে ঘুরঘুর করি এবং ছবি তুলি।
তখন ও সবকিছু বন্ধ। দর্শনার্থী প্রবেশ শুরু হবে ১০ টার পর। তাই আমি যতটুকু সম্ভব দেখে চলে আসি বাজারের দিকে।
বাজারে ঘন্টা দেড়েক বিশ্রাম করি। বাজারের আরিফ নামে এক ভাইয়ের দোকানে ফোন চার্জে লাগিয়ে পায়ে বরফ দিই। কেননা কাল থেকে পায়ের ব্যথাটা বেশ ভোগাচ্ছে।
বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ১১ টার দিকে রওনা দিই বগুড়া জেলা সদরের দিকে।
বিমান মোর পার হয়ে বগুড়া বাজারে এসে একটা হোটেলে দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে আবার বের হয়ে পড়ি।
বগুড়া শহরের প্রবেশ পথের বনানী মোড়ে যখন আসি তখন সময় ৬ টা।
পায়ের ব্যথাটা আজকেও বেশ ভূগিয়েছে। পুরোটা পথ জুড়েই বেশ ভোগান্তির মধ্যে ছিলাম।
বনানী মোড়ে এসে ফোন কারেন্টে লাগিয়ে আরো কিছুক্ষন অপেক্ষা করি।
৬.৩০ এর দিকে রওনা দিই আবার গন্তব্যের দিকে।
বনানী মোড় থেকে শাহজানপুর উপজেলা হয়ে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট, নয়মাইল,দশমাইল ও আড়িয়া বাজার ক্রস করে শেরপুরে এসে পৌছালাম রাত ১০ টার দিকে। আজকের যাত্রা বিরতি এখানে।

গুগল fit এবং pedometer হিসেব মতে আজ ৪২.৫ কিলোমিটার হেটেছি।
বি.দ্র: পায়ের ফোলা কমেছে,কিন্তু গোড়ালি ও পায়ের হাড়ের ব্যথাটা এখনো সমানভাবে রয়ে গেছে।

পদযাত্রার ৬ষ্ঠ দিনঅতিক্রম: ৪৭ কিলোমিটার গন্তব্য: জয়পুরহাট জেলা সদর হতে মহাস্থান বাজার।পদযাত্রা বিশেষন...জয়পুরহাট থেকে সক...
23/12/2024

পদযাত্রার ৬ষ্ঠ দিন
অতিক্রম: ৪৭ কিলোমিটার
গন্তব্য: জয়পুরহাট জেলা সদর হতে মহাস্থান বাজার।
পদযাত্রা বিশেষন...
জয়পুরহাট থেকে সকাল ৭.৩০ এ রওনা দিয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা ক্রস করে কালাই উপজেলা অতিক্রম করতে বিকেল ৩ টা বেজে যায়।
ওখান থেকে শিবগঞ্জ উপজেলার আমতলী মোড় দিয়ে ডানে সদর উপজেলা হয়ে মহাস্থান বাজারে যখন পৌছায় তখন রাত ১০.২০।
বি.দ্র: আজকে সারা দিন পায়ের গোড়ালি এবং হাটুর প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে হেটেছি।
বিশেষ ঘোষনা: কাল মহাস্থান গড়,মহাস্থান মাজার নিয়ে বিশেষ ডকুমেন্টারি প্রতিবেদন ও ভিডিও আকারে দেয়া হবে।

  the Distance and Limitations.. পদযাত্রার-৫ম দিনগন্তব্য: ফুলবাড়ি থেকে জয়পুরহাট সদরম২৪/০৪/২০২৩...অতিক্রম দুরত্ব :  ৫০.৮ ...
23/12/2024

the Distance and Limitations..
পদযাত্রার-৫ম দিন
গন্তব্য: ফুলবাড়ি থেকে জয়পুরহাট সদরম
২৪/০৪/২০২৩...
অতিক্রম দুরত্ব : ৫০.৮ কিলোমিটার।
গন্তব্য বিশেষন...

গত রাতে সকাল ৭ টার এলার্ম দিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। এলার্ম বাজতেই ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে প্রতিদিনের অভ্যাস মত দুই গ্লাস পানি খেয়ে রওনা দিলাম ফুলবাড়ি সদর উপজেলা থেকে।
ফুলবাড়ি থেকে ঢাকা মোড়ে এসে লক্ষীপুর,জয়নগর,চন্ডীপুর বাজার ক্রস করে শালবনের বুক চিরে এগিয়ে চলা রাস্তা দিয়ে এগুতে লাগলাম বিরামপুর সদরের দিকে।
বিরামপুর উপজেলা বাজার থেকে মির্জাপুর রেলগেইটে এসে বিরতি নিলাম দুপুরে খাওয়ার জন্য।তখন মধ্যদুপুর ১২.৩০ বেজে গেছে। পাশের একটা হোটেলে খাওয়া দাওয়া সেরে নিলাম। হোটেলের পরিচালকের সাথে কথা বলার পর জানতে পারলাম তিনি বিক্রমপুর পৌরসভার ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
তার সাথে অনেক্ষন আলাপ করলাম। তার ইন্টারভিউ নিলাম।(পরে একদিন সেটা দেখাব)
আলাপ ও বিশ্রাম সেরে কাউন্সিলর ছকিনা বিবির থেকে বিদায় নিয়ে ১.৩০ এর দিকে রওনা দিলাম হিলি স্থলবন্দর অভিমুখে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর আর মনমোহনীয় রাস্তা দিয়ে এগুতে লাগলাম ধীরলয়ে। রাস্তার সমান্তরালে বিশাল ধানক্ষেতের বুক চিরে পাশ দিয়ে গেছে রেললাইন। রেললাইনের এপারে বাংলাদেশ ওপারে ভারত। পথে যেতে যেতে বেশ কিছু ছবিও তুলে নিলাম।
সীমান্ত ঘেষা রাস্তা দিয়ে হিলি বাজারে এসে জিরো পয়েন্ট ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থল বন্দর দেখতে গেলাম। তখন সময় বিকেল অবসানের ৩.৩০।
ফোনের চার্জের বেশ বাজে দশা দেখে এখানে আরো কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে ফোন কারেন্টে লাগালাম।
ঠিক ৪.৩০ এর সময় হিলি থেকে পাঁচবিবি বাজারের দিকে রওনা দিলাম।
সাপের মত আঁকাবাকা রাস্তা দিয়ে পাঁচবিবি বাজারে যখন পৌছালাম তখন সময় ৭.০০।
পাঁচবিবি বাস স্ট্যান্ডে ৩০ মিনিট মত বিশ্রাম ও ফোন আবার কারেন্টে লাগালাম।
ডাটা এবং লোকেশন চালু থাকা অন্যদিকে পেডোমিটার ও গুগল ফিট ব্যাকগ্রাউন্ডে সচল থাকার দরুন ফোনের চার্জ দ্রুত চলে যায়।
৭. ৩০ এর দিকে পাঁচবিবি বাজার থেকে জয়পুরহাট সদর এর দিকে রওনা দিলাম। পুরো রাস্তায় ভীষণ পা ব্যথা ছিল। তাও মনোবলের উপর ভর করে জয়পুরহাট সদরে যখন এসে পৌছালাম তখন সময় ৯.৪০। আজ এখানেই যাত্রা বিরতি। রাতটা কোথাও কাটিয়ে আগামিকাল সকালে বগুড়া অভিমুখে রওনা দিব ইনশাআল্লাহ।
জয়পুরহাট থেকে বগুড়ার দুরত্ব ৫৭ কিলোমিটার।

  the Distance and Limitations.  #নদী দখলদারদের উচ্ছেদ কর।পদযাত্রার ৪র্থ দিনঅতিক্রম দুরত্ব :৪৬ কিলোমিটার। ২৩/০৪/২০২৩গন্ত...
22/12/2024

the Distance and Limitations.
#নদী দখলদারদের উচ্ছেদ কর।
পদযাত্রার ৪র্থ দিন
অতিক্রম দুরত্ব :৪৬ কিলোমিটার।
২৩/০৪/২০২৩
গন্তব্য:-
৩য় দিনের পদযাত্রা শেষ করি চিরির বন্দর উপজেলার ২ নং সাতনালা ইউনিয়নের তারুক শাহ হাট নামক গ্রামে। বাজারে কোনো আবাসিক হোটেল কিংবা থাকার জায়গা ম্যানেজ করতে না পারায় পাশের মসজিদে থাকার সিদ্ধান্ত নিই।
আজ সকাল ৭.৩০ এ তারুক শাহ হাট থেকে বিন্যাকুড়ি জিসি অভিমুখে রওনা দিই। পন্ডিত পাড়া থেকে কালিতলা,বিন্যাকুড়ি বাজার ও দক্ষিন নগর পার হয়ে চিরির বন্দর ও দিনাজপুর উপজেলাকে বিভক্ত করা শিমুলতলী বাজারে পৌছায় সকাল ১০.১০ এর দিকে।
বিন্যাকুড়ি বাজার থেকে শিমুল তলী বাজার অব্দি পুরো রাস্তা কাচা ও এবড়ো থেবড়ো ছিল। তবে গ্রামের রাস্তা হওয়ায় চারপাশের পরিবেশ ছিল বেশ মনোমুগ্ধকর।
শিমুল তলী বাজার থেকে মন্মথপুর ইউনিয়নের যশাই মোড় দিয়ে যশাই হাট এর উপর দিয়ে আসা রাস্তাটি আমবাড়ি অব্দি যায়। তাই এই রাস্তাটায় নিরাপদ ও সহজ বিবেচনায় আমবাড়ি যাওয়ার জন্য নির্ধারন করলাম।
যশাই হাট পার হয়েই আমার ভূলটা বুঝতে পারি । কিছুদূর গিয়েই দেখতে পাই রাস্তা কংক্রিট বিছানো আর এবড়ো থেবড়ো। মাটির রাস্তার চেয়ে কংক্রিট বিছানো রাস্তায় হাটা আরো কষ্টকর। উপায় না পেয়ে আস্তে ধীরে হাটা শুরু করলাম।
চন্দ্রপুর থেকে মোমিনপুর এবং দুবলগাছি দিয়ে আমবাড়ি বাজারে পৌছায় ৩.২০ এর দিকে।
আমবাড়ি বাজারে এসে বুঝতে পারি হাটু আর কোমর এর ব্যথা অসহনীয় আকারে বেড়ে গেছে। তাই বাজারে কিছুক্ষন বিশ্রাম করা উচিৎ মনে হল। পাশের একটা ফাকা বাস কাউন্টারে ফোন চার্জে লাগিয়ে ১.৩০ ঘন্টা মত বিশ্রাম নিলাম।
৪.৪০ এর দিকে ফ্রেশ হয়ে রওনা দিলাম সামনের দিকে। গন্তব্য ফুলবাড়ি উপজেলা বাজার।
বিস্তৃত বিলের বুক চিরে বয়ে চলে রাস্তা ধরে এগুতে লাগলাম। রাস্তায় হু হু করে বাতাস গায়ে দোলা দিয়ে যাচ্ছে। কিছুদূর যাওয়ার পর বেজাই মোড় ক্রস হয়েই বেজাই বাজার। ফোনের চার্জ কমে যাওয়ায় বাজারে একটা দোকানে ফোন কারেন্টে লাগিয়ে বসলাম আরো ৩০ মিনিট মত।
কিছুক্ষন পর আবার এগুতে লাগলাম সামনের দিকে। রাঙামাটি বাজার ও বিজিবি ক্যাম্প বাজার ক্রস করে ফুলবাড়ি উপজেলা বাজারে যখন আসি তখন সময় ৭.৩০।
৭০ কি.মি লম্বা শুকিয়ে প্রবাহহীন হয়ে পড়া ছোট যমুনা নদীর উপর নির্মিত সরু ব্রিজটার অপর পাশে এসে থামলাম।
পাশেই একটা হোটেলে খাওয়া দাওয়া সেরে আবার এগুতে চাইলাম। কিন্তু পায়ের ব্যথা বেশি হওয়ায় আজকে ফুলবাড়ি বাজারে যাত্রা শেষ করাই উপযুক্ত মনে হল।
পাশেই নিমতলা মোড়ে একটা আবাসিক হোটেল এর খোজ পেলাম। আজকের মত পদযাত্রা এখানেই শেষ।
সবার কাছে দোয়া কামনা।

15/12/2024

পদযাত্রার ৩য় দিন। ✊🇧🇩
গন্তব্য: নতুন হাট,বীরগঞ্জ -- থেকে --- তারুকশাহ বাজার,সাতনালা,চিরির বন্দর।
দুরত্ব : ৪২ কি.মি
# Defeat the Distance and Limitations..

Address

Cox's Bazar

Telephone

+8801647526447

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rakib's Earth posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Rakib's Earth:

Share