
26/04/2025
শেখ রবিউল ইসলাম রবির হত্যাকাণ্ড: পাওনা টাকার দ্বন্দ্ব, গুলির শব্দে স্তব্ধ হল এক নেতৃত্ব
---
ভূমিকা: প্রিয় নেতার অকাল মৃত্যু
ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম রবি
ছিলেন সাধারণ মানুষের মাঝে জনপ্রিয় এক নেতা।
তার সময়ে ইউনিয়নে উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
তার অকাল মৃত্যু আজও এলাকাবাসীর মনে বেদনার ছাপ ফেলেছে।
---
আর্থিক বিরোধ: মৃত্যুর পূর্বসূত্র
বিশ্বস্ত অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায়:
শেখ রবিউল ইসলাম রবি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার মতো পাওনা দাবি করেন।
টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি সরাসরি ওই প্রভাবশালীর বাড়িতে যান এবং সেখানে কথাকাটাকাটির ঘটনা ঘটে।
---
হত্যাকাণ্ডের ঘটনা: গুটুদিয়া ওয়াপদা ব্রিজের পাশে নির্মম গুলি
কিছুদিন পর ঘটে এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড:
খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের গুটুদিয়া ওয়াপদা ব্রিজের পাশে,
শেখ রবিউল ইসলাম রবিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডটি ছিল ঠাণ্ডা মাথায় সুপরিকল্পিত বলে ধারণা করা হয়।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী:
ঘটনাস্থলটি ছিল অপেক্ষাকৃত নির্জন এবং গুলি চালিয়ে দ্রুত হত্যার পর হত্যাকারীরা এলাকা ত্যাগ করে।
এলাকাবাসী ঘটনার পরপরই গভীর শোক ও ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
---
অভিযোগ ও বিচারপ্রক্রিয়া: ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা
হত্যাকাণ্ডের দায় চাপানো হয়েছিল এক ব্যক্তির (আজগর বিশ্বাস তারা)-এর ওপর।
তবে তদন্তে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, প্রকৃত পরিকল্পনাকারীরা আসলে অদৃশ্য থেকে গেছে কিনা।
বিশ্লেষকরা মনে করেন:
ঘটনাটি ছিল টাকার বিরোধের বাইরে আরও বড় রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ।
কিছু প্রভাবশালী মহলের চাপ ও প্রভাবের কারণে প্রকৃত সত্য চাপা পড়ে যেতে পারে বলে অনেকের ধারণা।
---
উপসংহার: বিচারহীনতার বেদনা
আজও শরাফপুরের সাধারণ মানুষ মনে করেন:
> "যদি প্রকৃত হত্যাকারীদের বিচার হতো, তাহলে শেখ রবিউল ইসলাম রবির মতো সৎ ও জনপ্রিয় নেতৃত্ব হারাতে হতো না।"
তার পরিবারের সদস্যরা এবং সাধারণ জনগণ এখনো প্রকৃত ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় আছেন।